গ্রেপ্তার অভিযান
আরো জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব
ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা
কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তিনি জানান।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর)
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সরকার
উপদেষ্টা এ কথা জানান। সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা
সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, কমিটিতে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং
আমাদের সামনের যে ইভেন্ট আছে এই ইভেন্ট গুলোকে কিভাবে সুষ্ঠুভাবে শৃঙ্খলা বজায় রেখে
শেষ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আশা করি সামনের ইভেন্টগুলো শান্তিপূর্ণভাবেই পালন করা যাবে। এর
বাইরেও কিছু বিষয় নিয়ে যেমন গ্রেপ্তার অভিযান বৃদ্ধি করার জন্য, আমরা কিছু এক্টিভিটি
গত কিছুদিন লক্ষ্য করেছি। তার ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযান আরো জোরদার করার ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত হয়েছে তার ফলাফল হয়তো আপনারা দেখতে পাবেন।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক আয়ুবের্দিক চিকিৎসকের মৃত্যু ঘটে।
নিহত চিকিৎসক আবু নুর মোহাম্মদ মাসুম (৩৮) লক্ষীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে। এ দুর্ঘটনায় নিহতের ভাই মাসুদ রানা (৫০) আহত হয়।
আজ সকালে নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাসুমের অনেক জায়গায় আয়ুবের্দিক চিকিৎসার চেম্বার ছিল। সকালে তারা দু'ভাই অ্যাম্বুলেন্সযোগে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে অ্যাম্বুলেন্সটি নোয়াখালী টু ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের সেতু ভাঙ্গা পশ্চিম বাজার দানবাক্স এলাকায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সের সামনে থাকা ব্যানারটি তাদের গাড়ির চাকায় পেঁচিয়ে পুরো রাস্তাজুড়ে মাঝামাঝি ভাবে দাঁড়িয়ে যায়। ওই সময় পিছনে থাকা ক্যাভার্ড ভ্যানটি তাদের অ্যাম্বুলেন্সে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার তীব্রতা এত বেশি ছিল যে অ্যাম্বুলেন্সটি উড়ে গিয়ে রাস্তার উল্টো পাশে পড়ে নোয়াখালী মুখি হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
উক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চন্দ্র হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদ।
তিনি বলেন ঘটনার পরপরই ঘাতক কাভ্যার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল
হক নুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি ফোনে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে
নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার
আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক নুরুর দ্রুত
আরোগ্য কামনা করেন এবং তার পরিবারকে সাহস রাখার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শেখ হাসিনার ‘নির্মমতা ও পাশবিকতার’ বিচার একদিন হবেই এবং তাকে ইতিহাস ক্ষমা করবে না। তিনি বলেন, 'হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, মায়েরদের কলঙ্ক। তার বিচার হবেই, ক্ষমা নেই।
আজ
রোববার (২০ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার প্রাঙ্গণে বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত একটি স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা—সবুজ পল্লবে স্মৃতি অম্লান’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে মাজার প্রাঙ্গণে নিম গাছ রোপণ করা হয়।
এক শহীদ মায়ের আহাজারির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, 'এক মা তার সন্তানের স্বপ্ন দেখেছিলেন—পরিবার দেখেছিল ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই সন্তানকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পড়ে গেলে একটি ভ্যানে তোলা হয়, মরে গেছে কি বেঁচে আছে তা না দেখেই আরও লাশসহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটা কোনো স্বাধীন রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না।'
তিনি আরও বলেন, '১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি একটি স্বাধীন দেশের জন্য। অথচ সেই রাষ্ট্রের পুলিশ, প্রশাসন—যাদের বেতন আমরা দেই, তারা আজ আমাদের সন্তানদের হত্যা করছে, পুড়িয়ে মারছে। এটা নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, আর সেই অপরাধের দায় থেকে হাসিনা রেহাই পেতে পারেন না।'
এই ঘটনায় শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করে বিএনপি মহাসচিব জানান, দলীয়ভাবে একটি পুনর্বাসন ফান্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, 'আজই আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বলব, যেন শহীদ ও আহতদের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়। এরইমধ্যে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ পক্ষ থেকে কিছু সহায়তা শুরু হয়েছে।'
অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার সুপারিশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক এ সুপারিশ করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে চতুর্থ বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ। স্যামসাং, এলজির মতো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু উচ্চ করহারের কারণে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের মাধ্যমে অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ করার সুপারিশ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগেও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, কর কমানোর বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। অর্থনৈতিক সংস্কারের সময় কর কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে, যাতে অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের কার্যক্রম চলছে, সেখানে অর্থনৈতিক সংস্কারও হবে। বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে অন্তর্বর্তী সরকার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, যাতে দেশে বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।
তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা স্থানীয় প্রস্তুতকারী শিল্পগুলোকে উৎসাহিত করতে চাই। সেজন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে।
ডাক ও টেলিযোগ যোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মুশফিকুর রহমান সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেডে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূতকে।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এ চেতনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উপদেষ্টা আজ এসব কথা বলেন। (খবর তথ্য বিবরণীর)
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, গতকাল থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে-বই প্রকাশের আগে পুলিশ বা বাংলা একাডেমি পরীক্ষা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, বই ছাপার আগে পুলিশ বা অন্য কারো সেটা নিরীক্ষা করার প্রশ্নই আসে না। যে পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এটা গতকাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সব রকম বিভ্রান্তি দূর করার জন্য জানানো যাচ্ছে- বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না। সরকার মত প্রকাশ ও লেখার স্বাধীনতায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সব প্রকার দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
রোববার (১৭ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় (এডিবি) তিনি এসব কথা বলেন।
১৯টি দপ্তর সংস্থার মোট ২৩০টি প্রকল্প এর মধ্যে বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প ৬২টি, জিওবি অর্থায়নে ১৬৮টি প্রকল্প।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেন, যথাযথভাবে এবং যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পবাস্তায়নে দ্রুততার সঙ্গে করতে হবে। প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতার ফলে উন্নয়ন সহযোগীরা নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন, তারা আমাদের সঙ্গে কাজের উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। কোনো কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বেশি লাগলে সেক্ষেত্রে উন্নয়ন সহোযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা উচিত।
রাস্তা বা কালভার্টের কাজ করতে চাহিদা কীভাবে নিরুপণ করতে হয় জানতে চেয়ে উপদেষ্টা বলেন, কনসালটেন্ট নিয়োগে সময়ক্ষেপণ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রভাব পড়ে। কনসালটেন্ট নিয়োগে সংক্ষিপ্ত সময়ে কীভাবে করা যায় সে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আরও বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আজকের নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। নতুন দেশের মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আমাদের সবার চেষ্টা থাকবে মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটাতে। এ মন্ত্রণালয়ের জনসম্পৃক্ততা বেশি দায়িত্বও বেশি তিনি সবাইকে দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে পালন করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) মো. নজরুল ইসলাম। এছারা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রকল্প পরিচালক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ এর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ (৬ অক্টোবর ২০২৪) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে প্রধান
অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে 'সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪' এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও
লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত
হবেন।
পদোন্নতি পর্ষদের মূল্যবান বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা
ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের
প্রতি।
তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী
সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাঁদের আত্মত্যাগ জাতি
চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
প্রধান উপদেষ্টা পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা,
নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি
নিযুক্তিগত উপযুক্ততার উপর গুরুত্বারোপ করতে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা
প্রদান করেন। এছাড়াও সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন
অফিসারগণই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া রাজনৈতিক
মতাদর্শের উর্দ্ধে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য
নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার
নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের
মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে
ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলশ্রুতিতে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে বলে তিনি তাঁর মূল্যবান বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি; প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারি, চীফ অব জেনারেল স্টাফ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।
মন্তব্য করুন
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনের অদূরে ডুবে যায় ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারের জন্য নারায়ণগঞ্জ ও মাওয়া থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও প্রত্যয় রওনা দিয়েছে।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় উদ্ধারকারী ২টি জাহাজ রওনা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ জানান, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে এসে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ডুবে যাওয়া ফেরিকে সোজা করবে হামজা এবং বাকি কাজ প্রত্যয় ও রুস্তম এসে করবে। আমাদের ট্রাক বোর্ড দিয়ে ভেসে যাওয়া পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলো উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসবে।
তিনি আরও জানান, হয়ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এসে পৌঁছাতে পারে রুস্তম ও প্রত্যয় উদ্ধারকারী এই ২টি জাহাজ।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে জাতিসংঘ পাশে থাকবে বলে
মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক এক্স বার্তায় এমন মন্তব্য করে তিনি
বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বাংলাদেশের
জনগণকে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ধন্যবাদ জানাই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংস্কার
ও রূপান্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি টেকসই ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার
লক্ষ্যে জাতিসংঘ সর্বদা আপনাদের পাশে থাকবে।
এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব
ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠক করেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টায়
রাজধানীর ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘ মহাসচিব একই উড়োজাহাজে কক্সবাজার ভ্রমণ করেন
।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে কক্সবাজার পৌঁছেছেন
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
কক্সবাজারে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর
ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন ড. ইউনূস। পরিদর্শন শেষে
উখিয়ায় ড. ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গার
সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব সেখানে রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার,
রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।
পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসাথে সন্ধ্যায় ঢাকায়
ফিরবেন।
মন্তব্য করুন