চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা ও টামটা এবং হাজিগঞ্জ উপজেলার মাইশামোড়া মৎস্য আড়ত এলাকায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অভিযান চালিয়ে ৩ প্রজাতির ৭ মণ কচ্ছপ (আনুমানিক সর্বমোট ওজন ২৮০ কেজি) জব্দ করেছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে কুচিয়া মাছের আড়ালে একদল অসাধু চক্র এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক চাঁদপুর জেলা থেকে ইতিপূর্বে ২০ মণ কচ্ছপ আটক করা হয় এবং উক্ত অভিযানের তথ্যে পর্যালোচনা করে এই অভিযানটি পরিচালনা করা হয়। কচ্ছপ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
অভিযানে জীবিত ৩ প্রজাতির কচ্ছপের মধ্যে রয়েছে সুন্ধি কাছিম ১৭০ কেজি, করি কাইট্ট ১০০ কেজি, হলুদ কচ্ছপ ১০ কেজি। প্রাকৃতিক জলাশয়ে অবমুক্ত করা হবে কচ্ছপগুলো।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে রাখায়, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসিসি)।
অভিযানে সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভিতরে থাকা পশু ফার্মটি থেকে। বুলদোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের অবৈধ অংশের স্থাপনা। অভিযানটি পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন ডিএনসিসির প্রচুর পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
স্থানীয়রা জানান, সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু-ছাগল বুধবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেলসহ অস্থায়ী স্থাপনা ছিল সেগুলোও সরিয়ে নিয়েছে তারা।
আলোচিত এই সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশু খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
মন্তব্য করুন
পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর প্রামাণ্যচিত্র
নির্মাণে সরকার সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ
ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর জাতীয়
গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে কনটেন্ট ক্রিয়েশন, স্ক্রিন প্লে অ্যান্ড ভিজ্যুয়াল প্রোডাকশন
টেকনিকস্ বিষয়ক প্রশিক্ষণ পাঠ্যধারার সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও সংরক্ষণের
ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, এই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণের
দায়িত্ব আামাদের সকলের। এ গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করেই আমাদের সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ
করতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শাসকের
যেমন বর্বরতার গল্প রয়েছে, তেমনি ছাত্র-জনতার সাহসিকতার গল্পও রয়েছে। তিনি ছাত্র-জনতার
সাহসিকতার গল্প জনসম্মুখে তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তথ্য উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের
ওপর ভিডিও কনটেন্ট নির্মাণের জন্য প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষণার্থীর প্রতি আহ্বান জানান।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক
সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সচিব মাহবুবা ফারজানা, কোর্স পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের
সার্চ কমিটির আহ্বায়ক মো. আল আমিন রাকিব তনয়।
অনুষ্ঠানের শেষে উপদেষ্টা প্রশিক্ষণার্থীদের
মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
মন্তব্য করুন
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী জনসংযোগ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালেহ উদ্দিন সিফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, ৬ দিনব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় জনসংযোগ করবে। এসময় তারা জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করবে, সমাবেশ করবে এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নিয়েছে। আমরা একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কথা তুলে আনতে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আজ অথবা কালকের মধ্যে সরকার জনগণের সামনে দৃশ্যমান উদ্যোগ প্রদর্শন করুক। এ বিষয়ে আমাদের মতামত চাওয়া হলে আমরাও দিতে প্রস্তুত আছি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ঘোষণাপত্র প্রদানের বিষয়ে সবার ঐক্যমত রয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি বা তা কীভাবে তুলে আনা যায়, সে বিষয়ে হয়তো পার্থক্য রয়েছে। শব্দ চয়নে কিছু পার্থক্য থাকতে পারে৷ সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু ঘোষণাপত্র নিয়ে কারও আপত্তি নেই।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সকলের
মানবাধিকার নিশ্চিত করতে গোটা বিশ্বের সম্মিলিত অঙ্গীকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা
জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন একটি বিশ্ব
গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যেখানে ন্যায়বিচার, সমতা এবং মানবিক মর্যাদা সবার
জন্য সমুন্নত থাকবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ অঙ্গীকার করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের অধিকার,
আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে মৌলিক
স্বাধীনতার অবক্ষয়, ক্রমাগত বাড়তে থাকা অসমতা, অসহিষ্ণুতা, জলবায়ু সংকট, কর্তৃত্ববাদ
এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত উত্থানের চ্যালেঞ্জের মুখে এই প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী
এবং প্রাসঙ্গিক।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র মর্যাদা,
সমতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতে একটি মৌলিক দলিল, যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানবাধিকার
সার্বজনীন, অবিচ্ছেদ্য এবং সকল মানুষের জন্য প্রযোজ্য।
৭৬ বছর আগে মানবাধিকারের সার্বজনীন
ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে বিশ্বে নাগরিক মর্যাদার অগ্রগতি ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি
বলেন, ‘তবে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশের দীর্ঘস্থায়ী সংকট নির্দেশ করে যে বিশ্বমানবতা সৃষ্টির
জন্য আমাদের এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি অত্যন্ত
দুঃখজনক যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার দিকে খুব কমই দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে
ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান বর্বর নিপীড়নের অর্থ হলো আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে
ব্যর্থ। ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য একটি ন্যায্য, দীর্ঘস্থায়ী এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের
জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি।
তিনি বলেন, আমরা গর্বিত যে, নয়টি মূল
মানবাধিকার চুক্তিতে সই করা দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকারের
সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে নিহিত মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে অদম্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্বাধীনতা
ও মর্যাদার জন্য আমাদের জনগণের আকাঙ্ক্ষা কতটা দৃঢ় তা প্রমাণ করে উল্লেখ করে ড. ইউনূস
বলেন, ন্যায্য অধিকারের জন্য আমাদের জনগণ তাদের দৃঢ় প্রত্যয়কে পুনর্ব্যক্ত করেছে। আমাদের
তরুণ সমাজ যে সাহস নিয়ে মানুষের অধিকার রক্ষায় ব্রত হয়েছে তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা
আমাদের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করার যাত্রা শুরু করেছি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের
সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সর্বত্র মানবাধিকার রক্ষা ও প্রচারে অবদান রাখবে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক
মানবাধিকার ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক সম্পৃক্ততা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে থাকবে।
জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সুশাসন
সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ উল্লেখ করে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সেই ঐকান্তিক প্রত্যাশার ভিত্তিতে সার্বিক কার্যক্রমে
সহায়তা করতে ২৯-৩০ অক্টোবর ঢাকা সফরকালে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশে
মানবাধিকার সংক্রান্ত একটি মিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক
ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, আর্থ-সামাজিক কাঠামো এবং বিদ্যমান বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার
প্রস্তাবিত ধারণাটিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সরকারের
সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহকে কারিগরি সহায়তা এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রস্তাবিত এই মিশনের
লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কর্ম-পরিধি, গঠন কাঠামো ও পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
প্রস্তাবিত মিশনটি স্থাপনপূর্বক এটিকে কার্যকরী করার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করার বিষয়ে সরকার আশাবাদী বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদের অস্ত্র দেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেসব জায়গায় পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
পুলিশ
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ঈদে যাত্রীদের
কাছ থেকে গণপরিবহন বা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার
(২৯ মার্চ) রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজান, কিরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার
বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজিপি এ কথা বলেন।
এসময়
কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯
নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি।
আইজিপি
বলেন, যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করবো আপনারা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করবেন না। আমরা কিছুদিন
আগেও সমন্বয় সভা করেছি। ১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের সব ইউনিটকে নিয়ে একটি
সমন্বয় সভা হবে। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে।
এসব সভার মাধ্যমে আমরা সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজিদের
আমরা ব্রিফ করবো। ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর সমন্বয় করবেন। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও
ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি
নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য
পর্যটন স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় হতে পারে। তাই সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের
জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রস্থ
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় প্রিয় প্রাঙ্গণ সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক এটর্নি জেনারেল বিশিষ্ট আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফকে শেষ বিদায় জানালো তাঁর দীর্ঘ দিনের সহকর্মী, স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডি ৭ নম্বর জামে মসজিদে এএফ হাসান আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান উপদেষ্টা হাসান আরিফ। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট এবং ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয় দিবসটি উপলক্ষে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে উপদেষ্টা স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডাক বিভাগের দুর্লভ ডাকটিকিটের ছবি সংবলিত বিশেষ অ্যালবাম ‘ন্যাচারাল বিউটি অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ অব বাংলাদেশ পোস্টেজ স্টাম্পাস’র মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দীনসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন