

বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম তদারকিতে
রাজধানীর চাঁনখারপুলে আনন্দ বাজার পরিদর্শন করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে তিনি বাজার পরিদর্শনের বিষয়টি জানিয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেন, ‘ডিমের হালি ৬০ থেকে ৪৮ টাকা, লাউ প্রতিপিস ১০০ থেকে ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ১৪০-১৫০ টাকায় নেমে এসেছে। যদিও স্থান ও বাজারভেদে দামে কিছু ভিন্নতা রয়েছে। শীতের সবজি বাজারে আসা শুরু হলে আরও কমে আসবে। অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন


রোববার ও সোমবার একটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ
বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩।
রোববার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায়
অনুযায়ী আপিল বিভাগে রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লায় বদলি করা
হয়েছে। আর আপিল বিভাগের নতুন রেজিস্ট্রার হয়েছেন রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন
দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহা. হাসানুজ্জামান।
জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে প্রেষণে নিয়োগে তাদের
চাকরি প্রধান বিচারপতির অধীনে ন্যস্ত করা হলো।
এদিকে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক
(জেলা জজ) মুহা. হাসানুজ্জামানকে আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার পদে, নওগাঁর অতিরিক্ত
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমতিয়াজুল ইসলাম ও বাগেরহাটের অতিরিক্ত চিফ
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদকে হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার পদে
বদলি করা হয়েছে।
সোমবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে
পরামর্শক্রমে জুডিসিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে
পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদে ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি
করা হলো।
আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানকে কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) পদে, কুমিল্লার
জননিরাপত্তা অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) বেগম মরিয়ম মুন মুঞ্জুরীকে
রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) পদে,
হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.মিজানুর রহমানকে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ
পদে, রাজশাহীর যুগ্ম জেলা জজ মো. আফাজ উদ্দিনকে রংপুরের যুগ্ম জেলা জজ পদে
এবং হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো.শামীম সুফীকে আইন মন্ত্রণালয়ের
সংযুক্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
হয়েছে।
আজ
শনিবার ( ২৯ নভেম্বর ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী
ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত
হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আফম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায়
বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর
খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদন হয়। এই সংশোধনের ফলে বর্তমান আইনের কয়েকটি ধারায়
পরিবর্তন এসেছে। এনজিও নিবন্ধনের নিয়ম সহজ হয়েছে। অনুদান অবমুক্তর শর্তগুলোও সহজ করা
হয়েছে। এখন থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদানের ক্ষেত্রে আর অনুমোদনের প্রয়োজন
হবে না।
এছাড়াও,
পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া উত্থাপিত হয়েছিল। তবে অধ্যাদেশটি আরও বিস্তারিতভাবে
এবং সংশোধিত আকারে পরবর্তী পরিষদ সভায় উত্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
সভায়
প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল আরব আমিরাতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার অভিযোগে
বিভিন্ন সময়ে বন্দী থাকা বাকি ২৪ জনকে অচিরেই মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদকে
অবহিত করেন। তিনি জানান, দুই-তিন দিনের মধ্যেই তাঁরা দেশে ফিরবেন।
মন্তব্য করুন


দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মাল ও
সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি
নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার
লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ মধ্যরাত হতে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ
সকাল ৮ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড রাজধানীর
উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টর এবং দক্ষিণখান এর মধ্যবর্তী বাইদা বস্তি এলাকায় যৌথ অভিযান
পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং এর হোতা শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফ হোসেন
ওরফে ঠোঁট-কাটা আলতাফ ও তার ১৩ জন সহযোগী মোঃ সোহাগ, মোঃ শামীম, মোঃ নবী, মোঃ
সুলতান, মোঃ সোহেল, মোঃ আশিক, মোঃ সুমন ইসলাম, মোঃ শাহিন, মোঃ শরিফুল, মোঃ সাগর,
মোছাঃ ময়না বেগম, সেলিনা, মোছাঃ রহিমাকে নগদ অর্থ, মাদক এবং বেশ কিছু দেশীয়
অস্ত্রসহ আটক করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ ১০ টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও, গত ৫
আগষ্ট ২০২৪ তারিখ উত্তরা পূর্ব থানার অস্ত্র লুটের সাথে আলতাফ এবং তার বাহিনীর
সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, এই বাইদা বস্তি অপরাধের এক অভয়ারণ্য যা ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর নিয়ন্ত্রক ঠোঁট-কাটা আলতাফ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করত। আটককৃত সন্ত্রাসীদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষক সমাজ আবার তাঁদের চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা ফিরে পেয়েছেন। এর সঙ্গে এখন যোগ করতে হবে বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখার সক্ষমতা। আকাক্সক্ষাকে উচ্চে রেখে দৈনন্দিন পঠন-পাঠন গবেষণার মাধ্যমেই সেটি অর্জিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার
(৭ নভেম্বর) ঢাকায় ‘বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানের শতবর্ষ উদযাপন : ঢাকার উত্তরাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন
তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগ এবং সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ন্যাচারাল সায়েন্সেস, ঢাবি যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের ফসল। তাই আমরা বিশ্ব-বিজ্ঞানে অবদান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির সকল প্রয়াস নিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই কাজে নিবেদিত সবার কাছ থেকে চাহিদা, পরামর্শ আসতে হবে। নিজের ওপর আস্থা থাকলে এটি আমরা পারবো- যেমন আস্থা সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছিল বলে তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত হয়েও আইনস্টাইনকে লিখতে পেরেছিলেন। ১৯২৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ বসুর আবিষ্কারের পরিবেশ যেভাবে গড়ে ওঠেছিলো, আজও সেভাবেই গড়ে উঠবে। এর কোন বিকল্প নেই। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে আমরাই বিশ্ব। আজ আমরা সেই আকাঙ্খারই শতবার্ষিকী পালন করছি। বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে বাংলাদেশের ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আজ আমরা আমাদের দেশের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একজন উজ্জ্বলতম তারকার মহত্তম অবদানের শতবার্ষিকী উদযাপন করতে এসেছি। যিনি ১৯২৪ সালের এমন একটি সময়ে তাঁর আবিষ্কার বোস-আইনস্টাইন কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের জন্য বিজ্ঞান ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আর তিনি এটি করেছিলেন আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নবীন অধ্যাপক হিসেবে কার্জন হলের একটি কামরায় বসে, আজো যেটি পদার্থবিদ্যার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত। তাঁর আবিষ্কারের গুরুত্বের কারণে পৃথিবীর নানা দেশের পদার্থবিদগণ এই শতবার্ষিকী উদযাপন করছেন। কিন্তু আমাদের জন্য এই আবিষ্কারের মর্মটাই আলাদা। পদার্থবিদরা বলেন, বিংশ শতাব্দীর ওই পর্যায়ে পদার্থবিদ্যায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছিলো কোয়ান্টাম থিওরির মাধ্যমে, এটি ছিল তার মধ্যে একটি বড় সংযোজন। এর মাধ্যমে বসু বিশ্ব-বিজ্ঞানের মানচিত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমাদের ঢাকা নগরীকে উজ্জ্বলভাবে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। আজ আমরা যখন ছাত্র-জনতার একটি সর্বাত্মক বিপ্লবের মাধ্যমে দেশকে নতুন ভাবে গড়ার প্রয়াস নিয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয়কে তার যথাযথ চর্চার জায়গায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি, তখন পরিবর্তনের দিগদর্শিকা হিসেবে উদযাপনের জন্য বসুর আবিষ্কারের এই শতবার্ষিকীর থেকে যথাযথ বিষয় আর কী হতে পারে? আমাদের বিপ্লবের নায়ক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রেরণা হিসেবেও বা এর থেকে বড় গৌরবের স্মরণও আর কী হতে পারে? ১৯২৪ সাল অনেক পেছনে রেখে এসেছি। কালের পরিক্রমায় বসুর আবিষ্কারটি কি এতটুকু ম্লান হয়েছে? পদার্থবিদরা বলছেন মোটেই না। যার প্রমাণ এই আবিষ্কারের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্য প্রমাণ করে সৃষ্ট বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে ২০০১ সালে। এ নিয়ে গবেষণা চলছেই।
তিনি উল্লেখ করেন, সারা দুনিয়ার পদার্থবিদ্যার ছাত্ররা জানে যাবতীয় পদার্থ-শক্তি সব কিছুর একেবারে মূলে যে মৌলিক কণিকাগুলো এদের শ্রেণী বিভাজনে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে বসুর থিওরির দ্বারা ঠিক করে দেয়া নির্দেশিকা।
প্রধান উপদেষ্টা
আরও বলেন, সত্যেন্দ্রনাথ বসু শিক্ষার সর্বস্তরে, বিশেষ করে উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রচলনের জন্য তর্ক বিতর্ক করছেন, বাংলায় বই লিখছেন, পত্রিকা বের করছেন, নিজের পাঠদানে বাংলা ব্যবহার করছেন। শহরের সাহিত্যানুরাগী সংস্কৃতিসেবীদের কয়েকজনকে নিয়ে নিয়মিত বৈঠকি আড্ডা গড়ে তুলেছেন। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখনকার ঢাকার সঙ্গে বসুর ঢাকারই মিল বেশি ছিল। কাজেই পরিবেশটি বেশ কল্পনা করতে পারি, ঢাকার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই শান্ত ছোট শহরকে, সেই সবুজ রমনাকে আর ফেরত আনা যাবে না, কিন্তু সেই গৌরবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা অবশ্যই ফেরত আনতে পারি, আজকের স্বাধীন বাংলাদেশে। বোস- আইনস্টাইন তত্ত্বের শতবার্ষিকীতে একথা আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই।
মন্তব্য করুন


সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। এ সময় বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে এই বৈঠক হয়। সাক্ষাৎকালে দু'দেশের মধ্যে মানবপাচার প্রতিরোধ, কৃষি পুনর্বাসন ও বীমা, পুলিশ বাহিনীর পুনর্গঠন ও সংস্কার, মানিলন্ডারিং ও দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শুরুতে উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রদূত এ মুহূর্তে উপদেষ্টার অগ্রাধিকারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসনই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার ও চ্যালেঞ্জ। উপদেষ্টা এসময় কৃষি পুনর্বাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে বিদ্যমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। তিনি বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় কৃষকদের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে কৃষি ক্ষেত্রে বীমা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের কৃষকগণ এখনো এ বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহী নয়। ভবিষ্যতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন বেশ বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছ। যে কারণ বন্যাসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি এসব সমস্যা সমাধানে কৃষকদের নিকট গ্রহণযোগ্য ও উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, পুলিশ সংস্কার ও পুনর্গঠনে সুইজারল্যান্ডের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সুউচ্চ ও সমুন্নত রাখতে সুইজারল্যান্ডের সহায়তা চান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পাচার হওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সহযোগিতা করবে সুইজারল্যান্ড।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
করতে বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন
সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই। সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত
ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন


নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, বরং মানুষ
হিসেবে এবং বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করে সাংবিধানিক অধিকার চাওয়ার আহ্বান
জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে হিন্দু
সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্ন হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার
প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী
মন্দিরে সনাতন ধর্মালম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা করতে যাচ্ছি, যেখানে সবাই এক পরিবার। এটা হলো মূল জিনিস। এখানে
পরিবারের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা, বিভেদ করা, এটার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমরা মুসলমান,
হিন্দু, বৌদ্ধ হিসেবে বিবেচিত নই; মানুষ হিসেবে বিবেচিত। আমাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত
হোক। আপনারা যদি টেনে টেনে নিয়ে আসেন আমি ওমুক, আমি তমুক, এটা আবার পুরোনো জায়গায় চলে
গেলো। আপনারা বলেন যে আমি মানুষ, আমি বাংলাদেশের মানুষ, আমার সাংবিধানিক অধিকার এই,
আমাকে দিতে হবে। সব সরকারের কাছে এটাই চাইবেন। সব সমস্যার গোড়া হলো আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো
পচে গেছে। এ কারণেই এসব গোলমাল হচ্ছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করতে হবে। ন্যায়বিচার
হলে কে বিচার পাবে না আমাকে বলেন। কোন ধর্মের, কোন জাতের, আইনে কি বলা আছে যে মুসলমান
সম্প্রদায় হলে এই আদালতে হবে, হিন্দু হলে ওই আদালতে যাবে। সবার জন্য আইন একটা, কার
সাধ্য আছে সেখানে বিভেদ করে যে এ রকম একটা, ওই রকম একটা। এটা এমন রোগ, মূলে যেতে হবে।
আপনারা যদি বলেন আমাদের সংখ্যালঘুরা, এটা বললে মূল সমস্যা থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি।
আমাদের বলতে হবে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা পেলে বাকস্বাধীনতা
প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটিই হলো আমাদের মূল লক্ষ্য।
সনির্বন্ধ অনুরোধ আপনারা বিভিন্ন খোপের (বিভেদ) মধ্যে চলে যাইয়েন না। এই খোপ হলে, খোপের
মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি লেগে যাবে। এক হয়ে আসেন। এক আইন, আমাদের আইনি অধিকার দিতে
হবে। বলেন, আপনারা আইনি অধিকার পান না, বিচার হয় না। এটাই হলো আসল জিনিস। বিচারব্যবস্থা
আমাদের দিকে তাকায় না, পুলিশ আমাদের দিকে তাকায় না। কারণ, আমি অধিকারটা … করতে পারি
নাই। আমাদের নীতিটা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। খোপ খোপ করতে আরম্ভ করবেন, তারাও
মজা পেয়ে যাবে। ওই মজার খেলাতে আমাদের আর নিয়ে যাইয়েন না। আমরা এসেছি, আমরা এক মানুষ,
আমাদের এক অধিকার। এর মধ্যে কোনো পার্থক্য করা যাবে না। একটু সহযোগিতা করেন আমাদের,
একটু ধৈর্য্য ধরেন। কী করতে পারলাম, কী পারলাম না সেটা পরে বিচার কইরেন। যদি না পারি
আমাদের দোষ দেবেন।
এর আগে সনাতন ধর্মের ধর্মীয় নেতারা
বিভিন্ন সময় তাদের ওপর হামলার কথা তুলে ধরেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের কাছে এসব
সমস্যার স্থায়ী প্রতিকার চান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে ন্যায়
প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে তাদের আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন


রাজধানীর
বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের পর এবার আসছে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল। বুধবার তারা ঢাকায়
আসবেন।
আজ
মঙ্গলবার ( ২ ডিসেম্বর ) দুপুরে হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান খালেদা
জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
খালেদা
জিয়ার চিকিৎসায় সহায়তা দিতে চীনের পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল সোমবার (১
ডিসেম্বর) ঢাকায় আসেন। তারা ওইদিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের
সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে দলের দায়িত্বশীল কোনো নেতা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
যুক্তরাষ্ট্র,
চীন, কাতার, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ভারত ইতোমধ্যে চিকিৎসা সহায়তার হাত বাড়িয়েছে জানিয়ে
অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেন, খালেদা জিয়ার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য যে কথাটি আমি
পূর্বেও বলেছি, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ওনাকে দেখেছেন। আজও ইউকে থেকে ওনাকে দেখার
জন্য বিশেষজ্ঞ আসবেন এবং ওনারা দেখবেন। দেখার পর ওনাকে যদি ট্রান্সফারেবল হয়, আমাদের
যদি ট্রান্সফার করার প্রয়োজন পড়ে-মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে, তখনই সেই যথাযথ সময়ে
ওনাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি আছে; কিন্তু
সর্বোচ্চটা মনে রাখতে হবে- রোগীর বর্তমান অবস্থা এবং সর্বোপরি মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শের
বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের নেই।
মন্তব্য করুন


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় সরকার বহন করবে । এ ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালে
বিনা মূল্যে সব সেবা ও বেসরকারি হাসপাতালে বিল গ্রহণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার
(১৭ আগস্ট) স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যেসব ছাত্র-জনতা আহত
হয়েছেন সরকারি হাসপাতালে তাদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসহ যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় সরকার
বহন করবে।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে
হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে
একটি কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটির সদস্যরা তাদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে আগামীকাল
রবিবার বৈঠক করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত
ছাত্র-জনতার চিকিৎসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এসব
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিংসাধীন ছাত্র-জনতার সব বিল সরকার বহন করবে বলে জানানো
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে পুলিশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই। আমরা ইতোমধ্যে সাত মাস পার করে এসেছি। আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই কী কী সংস্কার করতে চাই করে ফেলতে হবে।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারাও সংস্কারের কথা বলেছেন। কারও জন্য অপেক্ষা করে কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, দেশ বদলাতে হলে একক নির্দেশে নয়, বরং সবাইকে নিয়ে এক একটি টিম হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে যত টিম আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টিম হলো পুলিশ। সরকার যা কিছুই করতে চায়, শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাত দিয়েই করতে হয়। তারা সব করে দেয় না, তারা পরিবশেটা সৃষ্টি করে। যে পরিবেশটা না থাকলে কোনো কাজই আর হয় না। পুলিশের কথা প্রসঙ্গে বারবার আমরা দুটো শব্দ বলছি- আইনশৃঙ্খলা। পুলিশের হাতেই এটাকে এক্সিকিউট করতে হবে। এই পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সরকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের অধিকার, নাগরিকের অধিকার- কিছুই থাকে না। আমরা পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়তে পারব না। তারাই সম্মুখসারির মানুষ। তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করলেই বাকি জিনিসগুলো হয়। আইনশৃঙ্খলা না থাকলে যত বড় বড় চিন্তাই হোক, যত টাকাই থাকুক, কোনো কাজে আসবে না।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, পুলিশ হবে বন্ধু। কারণ, আমি আইনের পক্ষের মানুষ। আমি আইন প্রতিষ্ঠা করার মানুষ। আইন হলো আমাদের সবার আশ্রয়। পুলিশ হলো আশ্রয়দাতা। আমরা এই ইমেজটা যদি প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, মানুষ অতীতের সব কথা ভুলে যাবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রসচিব নাসিমুল গনি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এ ছাড়া মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম। এ সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শহীদি মার্চ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এই ‘শহীদী মার্চ’ করা হবে। মার্চ-টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিকাল ৩টায় শুরু হবে। সংবাদ সম্মেলন থেকে গেল জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
মন্তব্য করুন