ভোলায় ৪টি অস্ত্র ও ২ রাউন্ড তাজা গুলিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী গ্রুপ বেলায়েত বাহিনীর প্রধান বেলায়েতসহ ৪ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে সদরের বাপ্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটক বাকি ৩ জন হলো বেলায়েত বাহিনীর সদস্য মো. কামাল (৫২), শেখ ফরিদ (৩৭) এবং মো. আল আমিন (২১)।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, বেলায়েত বাহিনী চাঁদাবাজি, জমি দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি বেইস ভোলা কর্তৃক কোস্টগার্ড ও পুলিশ ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন বাপ্তা ইউনিয়নে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে ২টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি গুলি ও ৪টি দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
আটককৃত মো. বেলায়েত হোসেনের নামে হত্যা এবং চাঁদাবাজীসহ একাধিক মামলা রয়েছে। জব্দকৃত অস্ত্র ও গুলিসহ আটককৃত ৪ জনকে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী
আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন- ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালেই ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। এবারের ঈদযাত্রায় কোনোভাবেই মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করবে না। চলবে
না নছিমন করিমন ভটভটিও। যারা চালানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে গাবতলীর
কোরবানির পশুর হাট ও বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়
এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন
বলেন, বরাবরের মতো এবারও আমরা ঈদ উপলক্ষ্যে পশুর হাট, রেল, সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রার নিরাপত্তা
নিশ্চিতে সবকিছু মিলিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। রোজার ঈদে একমুখী চাপ থাকে। কিন্তু কোরবানির
ঈদে সাধারণত যেটা ঘটে সেটা হচ্ছে, ঘরমুখো মানুষের চাপ সড়কে যেমন থাকে তেমনি, পশুবাহী
ট্রাক-পিকআপও চলাচল করে। অর্থাৎ মানুষ বাড়ি যায়, গরু আসে। সড়কে দ্বিমুখী চাপ মোকাবিলা
করতে হয়। পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক ও সঠিক রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষি কাজে প্রাণী হিসাবে মহিষকে
বিবেচনা করা হতো আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ
করে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার
(২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএমে ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
প্রফেসর ওমর ফারুকি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের
মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও
বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব,
ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ
ও বৈচিত্র্যময়। মহিষ পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে
মহিষ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে
হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে
বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা
বলেছেন, ইতিপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে
কিভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের
প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, উন্নত
বিশ্ব মহিষের উৎপাদন বাড়িয়ে দুধ সরবরাহ বৃদ্ধি ও পুষ্টির যোগান দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি
খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ দিতে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ।
আগামী ৯ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে শনিবার (৪ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এনটিআরসিএ।
এতে আরো বলা হয়, আবেদনের পর প্রার্থীদের প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এ ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। ভুল উত্তরের জন্য ০.৫০ নম্বর করে কাটা পড়বে। লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত নিজ নিজ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে।
নিবন্ধন পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন।
এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে (http://www.ntrca.gov.bd) এ বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যাবে।
আবেদনের ওয়েবসাইট (http://ntrca.teletalk.com.bd)।
মন্তব্য করুন
আগামী ৩ থেকে ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৪।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ মার্চ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে তিন দিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন । মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। আর কর্মঅধিবেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ডিসি সম্মেলন উপলক্ষ্যে ব্যস্ততম সময় পার করছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাঠ প্রশাসন) আমিন উল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী মাঠ কর্মকর্তাদের নতুন করে নির্দেশনা দেবেন। তার বক্তব্য এবং নির্দেশনা মাঠ প্রশাসনে দায়িত্বপালন অধিক প্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ডিসিরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেবেন। জানাবেন তাদের সমস্যাগুলো। কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হয় তাও তারা জানাবেন প্রধানমন্ত্রীকে।
তিনি আরো বলেন, নতুন সরকারের মন্ত্রীরা মাঠ প্রশাসনে কর্মরত ডিসিদের নির্দেশনা দেবেন। মন্ত্রণালয়ের কাজে ডিসিদের গাইডলাইন দেবেন। তাদের পরামর্শ এবং নির্দেশনায় ডিসিদের দায়িত্ব পালনে নতুন করে প্রেরণা পাবেন। সমস্যা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করবেন। ডিসিরা কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সেগুলো তারা তুলে ধরবেন সম্মেলনে। মাঠের কাজে অনেক সমস্যা ডিসিদের নজরে আসে। সেগুলো যাচাই-বাছাই কর সম্মেলনের বিভিন্ন কর্ম অধিবেশন আলোচনা করা হয় এবং সমাধানের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।
তিন দিনের সম্মেলনের পর মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন। সমাপনী দিবসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন।
মন্তব্য করুন
আজ (৫ ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন দুই সংস্কার কমিশনের প্রধান।
কমিশনগুলো হলো: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন।
দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিচারবিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
গতকাল (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আমাদের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল গত মাসে। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের কারণে পারিনি। কারণ আমরা মাঠে গিয়েছি, লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গিয়ে আমরা কথা বলেছি, অনলাইনে আমরা মতামত নিয়েছি। প্রতিবেদনে ১০০টির বেশি সুপারিশ থাকছে।
গত ৩ অক্টোবর ৮ সদস্যের জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করে সরকার। পরে কমিশনের সদস্য সংখ্যা আরও তিনজন বাড়ানো হয়। ৩ মাসের মধ্যে প্রস্তুত করা প্রতিবেদন হস্তান্তর করতে বলা হয়। এরপর তিন দফা বাড়িয়ে কমিশনের মেয়াদ ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বেঁধে দেওয়া বর্ধিত সময়ের ১০ দিন আগেই প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হলো। আর বিচার বিভাগকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় ৩ অক্টোবর।
মন্তব্য করুন
বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে, যা পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতও।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এমন তথ্য জানিয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানায়, ১৪ অক্টোবর দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে৷ পরবর্তীতে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এবং শক্তি বাড়িয়ে লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। পরেরদিন এটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। এরপর ১৭ অক্টোবর এটি উপকূলে উঠে আসতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস মাসের শুরুতেই একটি ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও এখনও তারা ঝড়ের কোনো আভাস দেয়নি। তবে আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাত বাড়ার কথা জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকা
মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রোববার (২২ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে
হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়।
আজ
শনিবার (২১ জুন) একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজের
চলমান অচলাবস্থা নিরসনের লক্ষ্যে আগামীকাল (রোববার) থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের
একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকাল
দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এর আওতামুক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য,
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবাসিক ও একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার
প্রতিবাদে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মাইক্রোক্রেডিটই
ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ।
তিনি মাইক্রোক্রেডিট’র জন্য আলাদা আইন করার
আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এনজিও ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে মাইক্রোক্রেডিটকে ব্যাংকিংয়ের ধারণা
গ্রহণ করতে হবে। আর এ ধারণা গ্রহণ করেই ঋণগ্রহিতাকে সেবা দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘মাইক্রোক্রেডিট এখনো এনজিও। এই এনজিও থেকে উত্তরণ
ঘটাতে হবে। এনজিও পর্যায়ে থেকে গেলে ব্যাংকিং মেজাজ আসবে না। মেজাজে আসতে হলে এটাকে
ব্যাংক হতে হবে। মাইক্রোক্রেডিট’র জন্য আলাদা আইন করতে
হবে।’
আজ শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি
অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর সময়কার স্মৃতিচারণ করে প্রফেসর ইউনূস
বলেন, আমরা যখন গ্রামীণ ব্যাংক করলাম তখন আপত্তি উঠলো এটাকে ব্যাংক বলা যাবে কি না।
আমরা বললাম, আমাদেরটাই প্রকৃত ব্যাংক, তোমাদেরটা লোক দেখানো। ব্যাংক যে শব্দ থেকে উৎপন্ন
হয়েছে সেটা হলো ট্রাস্ট, তোমরা যেটা করছো সেটা ডিসট্রাস্ট। আমাদের ব্যাংকিং মানুষের
বিশ্বাসের ভিত্তিতে হয়েছে। জামানতবিহীন ব্যাংক, বিশ্বাসের ভিত্তিতে আমরা টাকা দেই।
আজ এমন সময় আমরা আলাপ করছি যখন জামানতওয়ালা ব্যাংক, যারা নিজেদের প্রকৃত ব্যাংক বলে
দাবি করত তাদের অনেকে আজ হাওয়া। টাকা নিয়ে লোপাট। ব্যাংক শেষ। আর মাইক্রোক্রেডিটের
পরিসংখ্যান দেখেন। কেউ পয়সা নিয়ে পালায় নাই। এই হলো পরিহাস।’
মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটাই প্রকৃত ব্যাংকিং, আগামী দিনের ব্যাংকিং যেটাতে মানুষ
নিজের পরিচয়ে কাজ করবে, নিজের বিশ্বাসের ওপরে ব্যাংকিং চলবে, টাকার উপরে না।’
মাইক্রোক্রেডিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে
প্রধান উপদেষ্টা নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যের
পর প্রত্যেক এনজিও চেষ্টা করলো একইরকম কিছু করতে। ক্রমে ক্রমে প্রসার হতে আরম্ভ করল।
নানারকমের নতুন নতুন জিনিস, নানা আইডিয়া নিজেদের সুবিধার জন্য ঢোকাতে আরম্ভ করল। এটা
ভবিষ্যতের জন্য খারাপ হবে মনে করে একটি রেগুলেটরি অথরিটির প্রয়োজন হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের
সঙ্গে যোগাযোগ করলাম, তারা বলল ‘আমাদের কাজ না’। অর্থ মন্ত্রণালয় শুরুতে
গুরত্ব দিল না, পরে বলল ‘আচ্ছা কী করতে হবে জানাও’। তখন আমরা বললাম, ‘রেগুলেটরি অথরিটি
হওয়া দরকার, কারণ যে হারে বাড়ছে বড় রকমের সমস্যা হতে পারে।
‘তৎকালীন গভর্নর ফখরুদ্দীন সাহেব আমাদের সমর্থন করলেন। কিন্তু
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে এটা হতে পারবে না। তারা ব্যাখ্যা চাইল। আমি বললাম, এটা বহু
দেশে বলেছি, এখনো বলি, গ্রামীণ ব্যাংকও ব্যাংক, অন্যান্য ব্যাংকও ব্যাংক। কিন্তু তফাত
অনেক। উদাহরণ দেই, আমেরিকান ফুটবলও ফুটবল। ইউরোপিয়ান ফুটবলও ফুটবল। কিন্তু খেলা ভিন্ন।
আপনি যদি ইউরোপিয়ান ফুটবলের রেফারিকে দিয়ে আমেরিকান ফুটবল খেলা চালাতে চান ইট উইল বি
অ্য ডিজাস্টার। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিয়ে ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রণ করবেন, সে তো ক্ষুদ্রঋণ
জানেই না। সে তো ইউরোপীয় ফুটবলের রেফারি,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।
তিনি আরোও বলেন, ‘অবশেষে ফখরুদ্দীন সাহেব রাজি হলেন। গভর্নরকে
দিয়ে এটা পরিচালনা করানোর ব্যাপারেও তাঁকে রাজি করাতে হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে
এর অফিস করার আলোচনা ছিল। আমরা বললাম, আলাদা জায়গায় অফিস হতে হবে... আজকে নতুন ভবন
হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা এটিকে বোঝার চেষ্টা করেছেন, নিয়মকানুন করেছেন। তারা
যদি অন্যান্য ব্যাংকের রেগুলেটরি নিয়মের ওপর এটা স্থাপন করত তাহলে মাইক্রোক্রেডিট সেদিনই
শেষ হয়ে যেত, আর খুঁজে পাওয়া যেত না। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অভিনন্দন
জানাচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ
কে হবে এ নিয়ে শুধু বাংলাদেশ না, যে দেশেই মাইক্রোক্রেডিট হয়েছে সে দেশই সমস্যায় পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে বারে বারে বলে এসেছি তোমাদের এত কিছু
চিন্তা করতে হবে না। কারণ বাংলাদেশ এর সমাধান দিয়ে দিয়েছে। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি
অথরিটি শুধু যে বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছে তা না এটা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক দেশের জন্যে
সহায়ক হয়েছে।’
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রেগুলেটরের ওপর কড়া
না হয়ে ইউজার ফ্রেন্ডলি রেগুলেশন যেন হয় সেভাবে আইন করা, যেন কোনোকিছু চাপিয়ে না দেয়া
হয়। এমআরএ’কে এখন রেগুলশনের পাশাপাশি প্রমোশনাল অ্যাক্টিভিটিও দেখতে হবে।
সেভিংসের রিটার্ন, সার্ভিস চার্জ যেন সহজ হয় সেদিকে নজর দিন। উপকারভোগীদের জন্য যেন
সহজ হয়।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর তাঁর বক্তব্যে বলেন,
‘মাইক্রোক্রেডিট আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের ১০ শতাংশ সমপরিমাণ সম্পদ
আছে মাইক্রোক্রেডিট সেক্টরে। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যাংকিং খাতে যে জায়গাগুলোতে দুর্বলতা
আছে, মাইক্রোক্রেডিট সে জায়গায় শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সদস্যদের সঞ্চয় বেড়ে ৬৮ হাজার
কোটি টাকার ওপর, পুঞ্জীভূত উদ্বৃত্ত বেড়ে ৬১ হাজার কোটি টাকার উপরে হয়েছে। এটা বড় অর্জন।
তারা নিজেদের সঞ্চয় ও উদ্বৃত্ত দিয়ে নিজেদের গড়ে তুলছে। বিদেশি সহায়তা, অনুদান নাই
বললেই চলে। দাতা তহবিল তিন হাজার কোটি টাকার মতো। এটা খুবই নগণ্য।’
‘বাংলাদেশে গ্রামীণ অর্থনীতি বাড়ছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ছড়িয়ে পড়ছে।
মাইক্রোক্রেডিটের শাখা আছে ২৬ হাজারের মতো। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এখানে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে ফরমাল সেক্টরের পদচারণা
বাড়ছে, বাড়বে। মাইক্রোফাইন্যান্স ইন্সটিটিউটটে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে
হবে। মাইক্রোক্রেডিট আরও ফাংশনাল করতে রেগুলেটরি অথরিটি ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে
কাজ করবে,’ বলেন তিনি।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি নিয়ে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। সরকারের
কাছে শিগগিরই নিয়ে আসা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার
বিশেষ সহকারী ড. এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ির গুইমারার দুর্গম এলাকায় প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গুইমারার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষকৃত গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন অভিযানে যায়। এ সময় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেত কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব চৌধুরী, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন ও মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
ওসি মুহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন, একটি চক্র দুর্গম এলাকায় গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মন্তব্য করুন
দেশজুড়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটি ও অসঙ্গতি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
এসব সমালোচনা ও মতামতকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকের ভুল-অসঙ্গতির সংশোধনী অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার বিকালে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীসহ সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সব শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করতে অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা আমাদের আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে একই সাথে আরো বলা হয়, আপনাদের এ তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণপূর্বক সংশোধনীসমূহ অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। যারা আমাদের নানান তথ্য-উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মন্তব্য করুন