বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে ঘটেছে একটি অন্যরকম ঘটনা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন যুবক মিলন মুন্সী (২৩)। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী যেতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে শ্বশুরবাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক।
আত্মহননকারী মিলন মুন্সী উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।
মিলন মুন্সীর বাবা বলেন, গত ৫ মার্চ পারিবারিকভাবে ছেলেকে বিয়ে করাই। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হয়নি আমার ছেলের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি মেয়েকে দেবে না বলে ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জানতে পারি এক পর্যায়ে অভিমানে আমার ছেলে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে রাগী স্বভাবের ছিল এবং মানসিক সমস্যাও ছিল তার। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের মারধর করতো। যার কারণে তাকে জেলেও দিয়েছিলাম একবার।
গৃহবধূর বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও দুইবার তারা আমাদের মেয়েকে নিতে এলে ফেরত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলে আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি তার বাবাকেও মারধর করতেন। নেশাগ্রস্ত ও উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা বাদল মুন্সী থানায় মামলা করেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।
বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে শনিবার ভ্রাম্যমান আদালত একটি বিশেষ পরিচালনা করে ।
রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে দালাল নির্মুলের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের বিশেষ অভিযানে জুয়েল নামের এক দালালকে গ্রেফতার করে তার পকেট থেকে একটি ইয়াবা ট্যাবলেট ও সেবনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় ।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ও সাধারণ রোগীদের ঠকিয়ে দালালি করার অপরাধে জুয়েল নামের দালালকে ৩ মাসের জেল ও ৫০ টাকা জরিমান করা হয় ।
জরিমানা দিতে ব্যর্থ হইলে আরো সাত দিন জেল খাটতে হবে বলে এই আদেশ দেন এসিল্যান্ড ভূমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান।
রোগীদের সঠিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুবিধা নিশ্চিত করতে সামনের দিনগুলোতেও এমন অভিযান চলমান থাকবে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করুন
ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত
এসআই (নিরস্ত্র)শফিক উল্লাহ, এএসআই (নিরস্ত্র) মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ব্রাহ্মণপাড়া
থানা এলাকা থেকে ৩৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় ।
শুক্রবার দিনে গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে ব্রাহ্মণপাড়া
থানাধীন ৪নং শশীদল ইউনিয়নের পশ্চিম বাগড়া সাকিনে আছমত আলী বেপারী বাড়ির পুকুরের দক্ষিণ
পাড়ে পৌঁছামাত্রই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকজন লোক দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের
মোকাবেলায় আসামীদের ফেলে যাওয়া ১টি সাদা রংয়ের বিশেষ কায়দায় তৈরী মাছ রাখার ড্রাম তল্লাশী
করে ড্রামের ভিতর লুকিয়ে রাখা ১ টি পাটের বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দিয়ে মোড়ানো
১০টি বান্ডেল গাঁজা উদ্ধার করা হয় যারে মোট পরিমাণ ২০ কেজি গাঁজা ।
আরেকটি সাদা রংয়ের প্লাস্টিকের
বস্তার ভিতর থেকে খাকী রংয়ের কসটেপ দ্বারা মোড়ানো উদ্ধারকৃত ৭টি বান্ডেল গাঁজার ওজন
হয় ১৪ কেজি গাঁজা ।
সর্বমোট ৩৪কেজি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা মূলে জব্দ
করে উক্ত ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণপাড়া থানার
মামলা নং- ২০/১০৫ তারিখ- ২৭/০৪/২০২৪খ্রিঃ ধারা ৩৬(১) সারনির ১৯(গ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইন ২০১৮ তে রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চের মালিককে নিয়ম অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে ১০
হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সদরের মজু চৌধুরীর হাটের লঞ্চঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের
মাধ্যমে এ জরিমানা আদায় করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর
রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবদুর রহমান ও নৌপুলিশের
এএসআই মো. সাইফুজ্জামান।
জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে যাত্রীদের উপচেপড়া
ভিড় সৃষ্টি হয়। এ সুযোগে লঞ্চগুলো সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত
যাত্রী পরিবহন করছে। এমভি পারিজাত-১ নামে একটি লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করে ভোলার
উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লঞ্চটি না থেমে চলতে থাকে। এমন অভিযোগে
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মজু চৌধুরীর হাট লঞ্চঘাট এলাকায়
অভিযান চালানো হয়। স্পিডবোডে চড়ে ধাওয়া করে মাঝ নদীতে লঞ্চটি থামানো হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ
আদালত পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদ এলেই লক্ষ্মীপুর
ভোলা-বরিশাল নৌ-রুটে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় থাকে। এ সুযোগে কিছু অসাধু লঞ্চ ঝুঁকি জেনেও
অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদীপথে যাতায়াত করে।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে আশুলিয়া থানা অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি জানান, পোশাক কারখানা ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদানের সময় স্ট্যাম্পের চাহিদার সুযোগ নিয়ে কোটি টাকার জাল স্ট্যাম্প সরবরাহ করে আসছিল একটি চক্র। এমন চক্রের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়া থানা পুলিশ আর এ অভিযানে বিপুল সংখ্যক জাল স্ট্যাম্পসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বরিশাল জেলার সদর থানার ব্রাউন কম্পাউন্ড রোড এলাকার মৃত আ. রশিদ হাওলাদারের ছেলে মো. আসিফ ইকবাল (৩৮) ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানার বাহেরচর গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে মো. জুয়েল (৪২)। একটি পোশাক কারখানায় জার স্ট্যাম্প বিক্রির সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস্) আবদুল্লাহিল কাফি বলেন, জাল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা আমরা গত ঈদের আগে শনাক্ত করে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছি। তারা কিন্তু ধরন পরিবর্তন করেছে। পোশাক কারখানার বেতনের সময় ১০ টাকার জাল স্ট্যাম্পের প্রয়োজন হয়। একই সঙ্গে পণ্য শিপমেন্টের সময় ৫০০ টাকার স্ট্যাম্প প্রয়োজন হয়। এ চাহিদাকে চক্রটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার ডংলিয়ন পোশাক কারখানায় জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতে আসেন আসামি আসিফ ইকবাল। খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।
পুলিশের উপস্থিত বুঝতে পেরে তিনি আসিফ ইকবাল পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০ টাকা মুল্যের ২ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টি রিভিনিউ স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার মৌচাক বাজারের ইউনিয়ন ব্যাংকের সামনে থেকে মো. জুয়েল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ১০ টাকা মূল্যের ১০ হাজার ও ৫০০ টাকা মূল্যের ৪০ হাজার স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। যার মুল্য দুই কোটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এ জাল স্ট্যাম্পের কারখানার করা হচ্ছে। দ্রুত কারখানাসহ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তারকৃত আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বামীর ঘরে রাখলেন ইয়াবা। পরে কল দিলেন ৯৯৯-এ। উদ্দেশ্য- যেকোনো ভাবে ফাঁসাতেই
হবে স্বামীকে।
কিন্তু ভাগ্য হলো না সহায় । স্ত্রী নিজেই গেলেন ফেঁসে। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও
এমন ঘটনাটাই ঘটেছে রাজধানীতে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে ১৪ ইয়াবাসহ রুমা আক্তার
(৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বামী কাওছার আহম্মেদের কাছে ইয়াবা আছে বলে
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করেন রুমা, কিন্তু পরে স্বীকার করেন স্বামীকে ফাঁসাতে তিনি
নিজেই এই ইয়াবা কিনে সেখানে রেখেছেন।
তেজগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহসিন পিপিএম (বার) এ তথ্য নিশ্চিত করে
জানিয়েছেন, প্রবাসী কাওছার আহম্মেদের সাথে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় রুমার। বিয়ের পর থেকেই
তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে থাকে। তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ করেন। ঝগড়া বিবাদের
কারণে কাওছার বিদেশ থেকে চলে আসেন এবং ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি শুরু করেন। দেশে
ফিরলেও তাদের মধ্যে বিবাদ বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, স্বামীকে ফাঁসাতে জাকির নামে এক মাদক কারবারির নিকট হতে ১৪ পিস ইয়াবা
কিনেন রুমা। সেই ইয়াবা শোবার ঘরের একটি ব্যাগে রেখে ৯৯৯- এ ফোন করেন। তাৎক্ষণিক তেজগাঁও
থানা পুলিশের একটি টিম পশ্চিম নাখালপাড়ার কাওছারের বাসায় যায়। রুমার আচরণ সন্দেহজনক
হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, স্বামীকে ফাঁসাতেই তিনি
নিজে ইয়াবা কিনে ঘরে রেখেছেন। পরে ১৪ পিস ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রুমার দেয়া তথ্য মতে ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে জাকিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে
জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
শপথ নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ বিচারপতি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।
রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
রাষ্ট্রপতির নিয়োগের পর গত মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদ-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বৃহৎ পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করেছে।
এই অভিযানে চার জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বুধবার রাত ৩.২৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় কর্মরত এসআই মোঃ শাহাবুর আলম ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় রাত্রীকালীন মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন ০৪নং শশীদল ইউনিয়নের বাল্লক রামচন্দ্রপুর সাকিনে ভারত সীমান্ত হতে রামচন্দ্রপুরগামী রাস্তায় চেকপোস্ট ডিউটি করাকালে একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এই সময় মাইক্রোবাসে যাত্রা করছিলেন চার জন মাদক ব্যবসায়ী, যাদের পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৪), মোঃ আলমগীর হোসেন (২৮), মোঃ জুয়েল মিয়া (২৯) ও মোঃ শাহপরান (২০)। তারা সবাই ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে যে, তিন জনের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক মামলা রয়েছে।
এ সম্পর্কে ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম আতিক উল্লা বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন