

রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্হা ।
তীব্র তাপদাহে ইতোমধ্যে সারা দেশে বেশ কয়েকজনের হিট অ্যাটাকে মৃত্যুও হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন নগরবাসীকে ব্যাগে পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
তীব্র তাপপ্রবাহের এই পরিস্হিতিতে সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই অবস্থা থেকে সবাইকে বাঁচানোর জন্য তারা নিয়মিত ‘হিট অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেন ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়ছে তা খুঁজে বের করার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেটার চেষ্টা সম্পর্কে বুশরা জানান, তার মতে, ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমাতে আরও বেশি গাছ লাগানো জরুরি।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে রাস্তার ধারে ২ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, সেগুলোর উপযুক্তভাবে রক্ষণাবেক্ষণও করতে হবে। নগরে বনায়ন করা খুব জরুরি। এখানে যে ফাঁকা এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলো পড়ে আছে সেখানে সবুজায়ন করার দিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমাদের এখানে আরও অনেক পার্ক এবং সবুজে ঘেরা জায়গা দরকার। তাতে তাপমাত্রা যেমন কমবে, তেমনই পাখিসহ নানা প্রাণীও ফিরে আসবে।
হিট অফিসার আরো বলেন, ঢাকা শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর ফলে নানা রকম সমস্যার সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রাও। দিন দিন বাড়তে থাকা জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে সংকটে পড়া ঢাকার তাপমাত্রা গ্রামাঞ্চলের চেয়ে বেশি হচ্ছে।
নগরের তাপমাত্রা কমাতে ঢাকায় বনাঞ্চল তৈরির পরিকল্পনার বিষয়ে বুশরা আফরিন বলেন, ঢাকায় তাপমাত্রা কমানোর জন্য আমরা ‘টু অ্যাবেল ফরেস্ট’ অর্থাৎ দুটি বন করার চেষ্টা করছি। একটা হচ্ছে মিরপুর কল্যাণপুরের দিকে; অন্যটি বনানীর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে।
তিনি বলেন, এই বন দুটি যে শুধু নগরের হিট কমাবে তা নয় পাশাপাশি দূষণ প্রতিরোধেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহ কমাতে শহরের ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগনো হবেও বলে জানান তিনি।
বুশরা বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহে আমরা নিজেরা যদি সচেতন থাকি- আমরা যদি বাসা থেকে বের হওয়ার আগে আমাদের ব্যাগে একটা পানির বোতল, টুপি, ফ্যান, ছাতার মতো জিনিসপত্র সঙ্গে রাখি তাহলে কিন্তু অনেকটাই নিরাপত্তা পেতে পারি।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল
হক নুরের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি ফোনে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে
নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করার
আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ
কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা নুরুল হক নুরুর দ্রুত
আরোগ্য কামনা করেন এবং তার পরিবারকে সাহস রাখার পরামর্শ দেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিধি আরও বড় হচ্ছে।
নতুন করে ৫ উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। এরমধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আলী ইমাম মজুমদার, লে.ক. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম ও মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, আগামীকাল শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথ পাঠ করাবেন।
বঙ্গভবন সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে নতুন উপদেষ্টাদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাগণ উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট রাতে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় গঠিত হলো দেশের বহুল আলোচিত অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বঙ্গভবনের দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ সময় আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ গ্রহণ করেন। শপথ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিন জন উপদেষ্টা শপথ নেন। তারা ঢাকার বাইরে থাকায় পরে শপথ নেন।
অন্তর্বর্তী
সরকারের উপদেষ্টারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত
হোসেন, ড. আসিফ নজরুল, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুরশিদ,
ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক), আদিলুর রহমান খান, সুপ্রদীপ চাকমা, ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন
রায়, আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫- এ
যোগ দিতে দুবাই পৌঁছেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১১:১৫ মিনিটে
তিনি সেখানে পৌঁছান বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী
আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুবাইয়ে স্বাগত জানান।
ড. আহমেদ বেলহৌল আল ফালাসি ওয়ার্ল্ড
গভর্নমেন্ট সামিটে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান
এবং গত এক দশক ধরে দুবাইয়ে হয়ে আসা আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত সমাদৃত এই সম্মেলনের
বিষয়ে অবহিত করেন।
উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতা বিনিময়সহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়
নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী খাসেফ আল হামৌদি।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ সফরে থাকা ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি সিটি হোটেলে তাদের মধ্যে এ সৌহার্দ্যপূর্ণ দেখা–সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
এর আগে শনিবার সকালে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন শেরিং তোবগে। ড্রুক এয়ারের একটি ফ্লাইট সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাকে অভ্যর্থনা জানান।
সফরসূচি অনুযায়ী, আগামী সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করে থিম্পুর উদ্দেশে রওনা হবেন।
মন্তব্য করুন


বিএনপি
চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক
ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেছেন, খালেদা জিয়াকে শুক্রবার কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে
নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ডাক্তারসহ সঙ্গে থাকবেন ১৪ জন।
আজ
বৃহস্পতিবার ( ০৪ ডিসেম্বর ) দুপুর পৌনে ২টার
দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে
কাতারের আমির জানিয়েছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে
প্রস্তুত কাতার। এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ২৯ নভেম্বর অ্যাম্বুলেন্স
পাঠিয়ে সহযোগিতার করার জন্য চিঠি লেখেন দেশটির কাছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এ সহযোগিতা
প্রদানের কথা জানিয়েছে কাতার।
বহু
বছর ধরে খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায়
ভুগছেন। গত বছরের ৫ আগস্টে গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের
পর খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে
যান খালেদা জিয়া। চিকিৎসার জন্য ১১৭ দিন লন্ডনে অবস্থান শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন তিনি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা ৬ (সদর, সদর দক্ষিণ ও ক্যন্টনম্যান্ট) সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী সমর্থনে রাষ্ট্র কাঠামো বিনির্মাণে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেছে বিএনপি নেতা কর্মীরা। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপির আয়োজনে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হয়। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নগরীর টমছমব্রীজ থেকে শুরু করে সালাউদ্দিন মোড় হয়ে কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মহানগর বিএনপি নেতা সোহেল মজুমদারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিলা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠক ড. শাহ মোহাম্মদ সেলিম, কৃষক দলের সভাপতি মোস্তফা জামান, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হক ভুঁইয়া স্বপন, মহানগর বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ন আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সালুর রহমান পাভেল, সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুস সালাম মাসুক, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর কাজী মাহবুব, খলিলুর রহমান, কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, বিএনপি নেতা জাফর ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ খোকা প্রমুখ। এসময় মহানগর ও দক্ষিণ জেলার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন কুমিল্লা ৬ আসনের জন্য মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনীত করায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা কুমিল্লা মহানগর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ মনিরুল হক চৌধুরীর তথা ধানের শীষের প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ। তারা বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই ধানের শীষের বিজয় আটকাতে পারবেনা। আগামী ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থীকে আমরা বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
মন্তব্য করুন


পুরান
ঢাকার বেশির ভাগ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, এখানে কোনো প্ল্যান ছাড়া এক কাঠার কম
জমিতেও ৬-৭ তলা
বাড়ি করা হয়েছে।
শনিবার
(২২ নভেম্বর) পুরান ঢাকার বংশালের বিভিন্ন ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এসময়
রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভূমিকম্পে রাজধানীর কসাইটুলীর রেলিং ভেঙে পড়া ভবনটির নকশা আগামী সাত দিনের মধ্যে দেখাতে ব্যর্থ হলে ভবনটি সিলগালা করে হবে।
তিনি
বলেন, ‘এক কাঠার নিচে
আমরা কোনো প্ল্যান দিই না। যারা জোর করে করতেছে, আমরা তাদের মিটার কেটে দিচ্ছি। তারপরও আবার চোরাই মিটার নিয়ে বা জেনারেটর দিয়ে
তারা করতেছে।’
তিনি
জানান, পুরান ঢাকার শত বছরের পুরাতন
ভবনের ঐতিহ্য রক্ষা করেই নতুন পরিকল্পিত নগরায়ণের উদ্যোগ নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে নগরীর পূবালী চত্বর। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এ সমাবেশে পূবালী চত্বর পূর্ণ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে লিবার্টি চত্বর, রানীরবাজার, পুলিশ লাইন, রাজগঞ্জ ও টমছম ব্রিজ সড়কে।
দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেন এ মহাসমাবেশে। প্রত্যেকের হাতে ছিল “কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই”লেখা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা। কুমিল্লার নামেই বিভাগ চাই এবং তুমি কে, আমি কে কুমিল্লা” নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সমাবেশস্থল, প্রকম্পিত হয় আশপাশের এলাকাও।
এদিন মহাসমাবেশে অংশ নিতে কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের উদ্যোগে নেওয়া হয় এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি। মহানগরীর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও শপিংমল প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসায়ী থেকে শ্রমিকসবাই দল মত নির্বিশেষে সমাবেশে যোগ দিয়ে কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে একাত্মতা জানান।
নারী-পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পূবালী চত্বর রূপ নেয় জনসমুদ্রে। প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই ঐতিহাসিক সমাবেশে।
এছাড়া সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর সমিতিসহ কুমিল্লার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়ন কুমিল্লাবাসীর প্রাণের দাবি। এ দাবির পক্ষে জনসমর্থনের এই ঢল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন। এসময় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান আমির, কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, কুমিল্লা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি ও জেলা কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের সেক্রেটারি মাওলানা মুন্নীরুল ইসলাম কাসেমী এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া।এছাড়া সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর সমিতিসহ কুমিল্লার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


রাজধানীসহ
দেশের সব মহানগরে নতুন
পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের সদস্যরা। শনিবার (১৫ নভেম্বর) থেকে
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এবং দেশের অন্যান্য মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটে
নতুন লৌহ রঙের পোশাক পরিধান শুরু হয়েছে। তবে জেলা ও রেঞ্জ পর্যায়ের
পুলিশ এখনো এই পোশাক পায়নি;
পর্যায়ক্রমে তাদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ বাহিনীর
সংস্কার ও পোশাক পরিবর্তনের
দাবি জোরালো হয়। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী
সরকার নতুন পুলিশ পোশাক অনুমোদন করে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগর পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং নৌ পুলিশ সদস্যরা
নতুন রঙের পোশাক পরবেন।
ঢাকা
মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার
(ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, আজ থেকেই সব
মহানগরে নতুন পোশাক পরা শুরু হয়েছে। খুব শিগগিরই জেলা পর্যায়েও এর বাস্তবায়ন হবে।
পুলিশ
সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের
সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম
শাহাদাত হোসাইন বলেন, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশও
পর্যায়ক্রমে নতুন পোশাক পরিধান করবে। তবে এপিবিএন ও এসপিবিএন আগের
পোশাকই ব্যবহার করবে।
এর
আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন, পুলিশ, র্যাব ও
আনসারের জন্য নতুন পোশাক নির্ধারণ করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা
হবে।
অন্তর্বর্তী
সরকার আশা করছে, নতুন পোশাকের সঙ্গে পুলিশের মানসিকতা ও আচরণেও ইতিবাচক
পরিবর্তন আসবে। সেই লক্ষ্যেই পুলিশ বাহিনীর সংস্কারের অংশ হিসেবে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন


সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এ নির্দেশনা দেন।
উপদেষ্টার
নির্দেশনাগুলো হলো:
১. সরকারের সব পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি
গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ দিয়েছেন।
২. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন
অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।
৩. জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা
বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার ওপর
দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা
নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৪. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা
চিন্তা-ভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ
গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের
মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৬. সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার
নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা
নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাগুলো দুর
করতে হবে।
৮. সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা
নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ
কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।
৯. ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট
নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে
তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
মন্তব্য করুন