

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল সিয়েল দুবাই। ৩৭৭ মিটার উঁচু এই হোটেলটি নির্মাণ করেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ, এবং পরিচালনা করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপের ভিগনেট কালেকশন।হোটেলটিতে রয়েছে মোট ৮২ তলা এবং ১,০০৪টি রুম ও সুইট। প্রতিটি তলা থেকে অতিথিরা দুবাইয়ের পাম জুমেইরা এবং মেরিনার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
নতুন হোটেলের রুমের ন্যূনতম ভাড়া রাতপ্রতি ১,৩১০ দিরহাম (প্রায় ৪৫,৫০০ টাকা) এবং প্রিমিয়াম স্যুইটের ভাড়া প্রায় ২,৪০০ দিরহাম।
হোটেলটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, চারপাশের আলো সহজেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও, অতিথিরা রুফটপ অবজারভেশন ডেকে বসে ৩৬০ ডিগ্রির প্যানোরামিক ভিউ উপভোগ করতে পারবেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বঙ্গবনের দরবার হলে প্রায় ৪০০ অতিথির উপস্থিতিতে শপথ নেন তিনি।
ড. ইউনূসের পর শপথ নেন ১৩ উপদেষ্টা। তারা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
এদিকে ঢাকার বাইরে থাকায় উপদেষ্টার শপথ নেননি তিনজন। তারা হলেন- বিধান রঞ্জন রায় (চিকিৎসক), ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ও সুপ্রদীপ চাকমা (পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত)।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসসহ উপদেষ্টা পরিষদে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব ও পরিচয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো:
১.
ড.
মুহাম্মদ
ইউনূস
ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। সেখান থেকে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। পরে ওই ব্যাংককে সাথে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেই থেকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন অধ্যাপক ইউনূস।
২. সালেহউদ্দিন আহমেদ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নবম গভর্নর। ড. ফখরুদ্দীন আহমদ দায়িত্ব ত্যাগের পর তিনি ২০০৫ সালের ১ মে গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলার নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর (দরিশ্রীরামপুর) গ্রামে তার জন্ম। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে এবং ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন। ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ অনার্স পাস করেন এবং ১৯৬৯ সালে একই বিষয়ে এমএ পাস করেন। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় প্রশাসনে সিভিল সার্ভিস অব পাকিস্তান (সিএসপি) ক্যাডারে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে কানাডার হ্যামিল্টন শহরে অবস্থিত ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
৩. ড. আসিফ নজরুল
আসিফ নজরুলের জন্ম ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬। তিনি একাধারে লেখক, ঔপন্যাসিক, রাজনীতি বিশ্লেষক, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও কলামিস্ট। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক ও ১৯৮৭ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তাঁর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। পরবর্তী সময় জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে আসিফ নজরুল একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন। তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন।
৪. আদিলুর রহমান খান
আদিলুর রহমান খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২। একজন মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি বাংলাদেশের একজন আইনজীবী এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। আদিলুর রহমান এবং সুশীল সমাজের অন্য সদস্যরা ১০ অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকার কর্তৃক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন।
২০১৩ সালে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ২০১৩ সালের শাপলা স্কোয়ার বিক্ষোভের সময় নেতাকর্মীদের অপসারণের অভিযানে নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তি ছড়ানোর’ জন্য খানের বিরুদ্ধে ঢাকায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
৫. এ এফ হাসান আরিফ
আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ বাংলাদেশের সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ফখরুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। আরিফ সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতা থেকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
হাসান আরিফ অক্টোবর ২০০১ থেকে এপ্রিল ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেলের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি জানুয়ারি ২০০৮ থেকে জানুয়ারি ২০০৯ পর্যন্ত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন উপদেষ্টা ছিলেন।
৬. তৌহিদ হোসেন
মো. তৌহিদ হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ সালে। তিনি একজন সাবেক পররাষ্ট্রসচিব। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন।
৭. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের জন্ম ১৫ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ‘পরিবেশ পুরস্কার’ এবং প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ‘গোল্ডম্যান এনভায়রনমেন্টাল প্রাইজ’ প্রাপ্ত এবং ২০০৯ সালে টাইম সাময়িকীর ‘হিরোজ অব এনভায়রনমেন্ট’ খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আইনজীবী ও পরিবেশকর্মী।
৮. মো. নাহিদ ইসলাম
নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। নাহিদের জন্ম ১৯৯৮ সালে ঢাকায়। তার বাবা শিক্ষক। মা গৃহিণী। ছোট এক ভাই রয়েছে তার। তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
৯. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
১০. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
এম সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮ সালে। তিনি একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার (২০০৭-২০১২)। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত)।
১১. সুপ্রদীপ চাকমা
সুপ্রদীপ চাকমা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুপ্রদীপ চাকমার জন্ম ১৯৬১ সালে খাগড়াছড়ির কমলছড়িতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তিনি সপ্তম বিসিএসে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। মেক্সিকো ও ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত ছিলেন সুপ্রদীপ চাকমা। এ ছাড়া রাবাত, ব্রাসেলস, আঙ্কারা ও কলম্বোতে বাংলাদেশ মিশনেও তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন।
১২. ফরিদা আখতার
ফরিদা আখতার একজন লেখক, গবেষক ও আন্দোলনকর্মী। বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) নির্বাহী পরিচালক তিনি।
১৩. বিধান রঞ্জন রায়
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ছিলেন তিনি।
১৪. আ ফ ম খালিদ হাসান
আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন (যিনি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন নামে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলাদেশি সুন্নি দেওবন্দি ইসলামী পণ্ডিত। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শিক্ষা উপদেষ্টা, মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক।
১৫. নুরজাহান বেগম
তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
১৬. শারমিন মুরশিদ
ব্রতী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ।
১৭. ফারুক-ই-আজম
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’। চট্টগ্রাম বন্দরে আক্রমণের জন্য গঠিত ওই অভিযানিক দলের উপ-অধিনায়ক ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে তিনি চট্টগ্রামে পৌঁছান। ৬ মে তিনি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতের হরিণা ইয়ুথ ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। এই অবস্থায় তিনি একদিন শুনলেন, নৌবাহিনীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা রিক্রুট করা হবে। তিনি লাইনে দাঁড়ালেন। টিকে গেলেন। পলাশীতে দুই মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ১ আগস্ট অপারেশনের জন্য তাঁকে মনোনীত করা হয়।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, স্বাধীন ও দক্ষ বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জুলাই বিপ্লব নতুন সভ্যতা
গড়ে তোলার সুযোগ করে দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য বিচার বিভাগ
সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ রোববার (২২জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে
আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও দক্ষতা’ বিষয়ক এক জাতীয় সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট
জয়নাল আবেদীন।
মন্তব্য করুন


বুধবার (২৮ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি এবং অনিয়মের আখড়া বলেই জনমনে ধারণা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তথ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, জনগণ এই ধারণা পোষণ করে কারণ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়েই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ আসে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে নির্দেশনা দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অনেকগুলো প্রকল্প নির্ধারিত সময় শেষ হয়নি যার নানা কারণ থাকতে পারে কিন্তু এটা ভালো বার্তা দেয় না। সেজন্য গৃহীত প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার অনুরোধ করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আপনারা সকলেই এই বিষয়ে সচেতন থাকবেন যাতে প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা থাকে এবং কোনো অভিযোগ না আসে। বিভিন্ন সময়ে কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পের কথা শোনা যায়, যেগুলো মূলত দুর্নীতি করার জন্যই নেওয়া হয়। এই ধরনের কোনো প্রকল্প যেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে না নেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন


জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজন করলে ব্যয় কিছুটা বাড়বে, তবে বাজেট নিয়ে কোনো সংকট হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, তপশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হবে। স্পর্শকাতর ভোটকেন্দ্রে বডি ক্যামেরা ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে, যার বরাদ্দ দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা একটি চ্যালেঞ্জ হলেও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত। পৃথিবীর অনেক দেশেই একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি আরও জানান, পরিশোধিত তেল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও সাম্প্রতিক বৃদ্ধি মোকাবিলায় নন-বাসমতি চাল আমদানি করা হবে, সাধারণত যেটির পরিমাণ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টনের কম হয় না। দেশের ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বে এভাবে পণ্যের দাম বাড়ে না; এর সমাধান প্রশাসনের চেয়ে রাজনৈতিক সরকারের হাতে বেশি কার্যকর।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জে
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত
ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.)
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
তিনি
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের
সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতকাল বুধবার এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল
বিস্ফোরণের ঘটনার পর গতকাল রাত ৮টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ
জারি করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গোপালগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৫ জনকে
আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় আমাদের ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনকে
ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত আরো ৩ জন পুলিশ সদস্যকে রাজারবাগ
হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন


শনিবার (২ মার্চ) সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন জানান, চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হচ্ছে রোববার (৩ মার্চ)। এবার ডিসি সম্মেলন শেষ হবে ৬ মার্চ (বুধবার)।
ডিসি সম্মেলনকে সামনে রেখে এবার ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া গেছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের মতো এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল ভেন্যু রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন।
সরকারের নীতি-নির্ধারক ও জেলা প্রশাসকদের মধ্যে সামনাসামনি মতবিনিময় এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, এবার সম্মেলনে মোট ৩০টি অধিবেশন হবে। এরমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কার্য অধিবেশন ২৫টি। এছাড়া একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্পিকারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ, নির্দেশনা গ্রহণ এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে দুটি অধিবেশন হবে। কার্য অধিবেশনগুলোতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/সিনিয়র সচিব/সচিবরা উপস্থিত থাকবেন।
এবার সম্মেলনে মোট ৫৬টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অংশ নেবে। অন্যান্য বছর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একটি সেশন থাকলেও এবার রাষ্ট্রপতি বিদেশে থাকায় সেটি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এবার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে ৩৫৬টি প্রস্তাব পাওয়া নিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোতে জনসেবা বাড়ানো, জনদুর্ভোগ কমানো, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। বেশি সংখ্যক প্রস্তাব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সংক্রান্ত। এ সংক্রান্ত মোট প্রস্তাব ২২টি।
মন্তব্য করুন


গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড় ডুমরাশুর এলাকায় সাভানা ইকোপার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের প্রধান ফটকের সামনে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ছাত্রদল নেতা মিকাইল হোসেন হামলার শিকার হন। রাতেই তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিকাইলের বর্ণনা অনুযায়ী, বিকেলে তিনি সাতপাড় এলাকায় বিএনপির প্রার্থী কে এম বাবরের নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। সেখান থেকে বিকেল ৫টার দিকে কয়েকজনসহ সাভানা পার্কে ঘুরতে যান। পার্কের ভেতরে মোটরসাইকেল নেওয়া নিয়ে এক স্টাফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে পার্কের ম্যানেজার ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করেন।
তার দাবি, সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় হঠাৎ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে ঘিরে ফেলে এবং লাঠি ও ঘুষি–থাপ্পড় মেরে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক আফজাল হোসেন জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে—পার্কের এক স্টাফের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির সময় মিকাইলের সঙ্গে থাকা একজন যুবক ওই স্টাফকে থাপ্পড় মারেন। এরপর মিকাইল পার্ক ছাড়ার সময় স্থানীয় কয়েকজন ও পার্কের স্টাফরা তার ওপর হামলা চালায়। তবে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।
মন্তব্য করুন


লিওনেল
মেসি ও বিখ্যাত পানীয় প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান মার্ক অ্যান্থনি ব্রান্ডস এই পানীয়টি
বাজারে আনছে। এ বছরের মার্চে নিজের সামাজিক মাধ্যমে সর্বপ্রথম এই সম্পর্কিত ঘোষণা দেন
মেসি। তিনি নিজেই জানান যে তিনি এই নিয়ে খুবই উৎসাহিত। মেসির এই পানীয়টি বাজারের অনান্য
পানীয় থেকে আলাদা এবং সম্পূর্ণভাবে নন অ্যালকোহলিক হতে যাচ্ছে।
বুধবার
(২৯ এপ্রিল) মেসি নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে তার আসন্ন এই হাইড্রেশন ড্রিংকস
সম্পর্কে আপডেট প্রকাশ করেন। তিনি জানান সর্বপ্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে
ড্রিংকসটি জুনের ১৪ তারিখ থেকে পাওয়া যাবে। ইন্সটাগ্রামে দেওয়া ভিডিওতে দেখা যায় মেসি
ও তার স্ত্রী অ্যান্তোনেলা রোকুজ্জো ড্রিংকস প্রস্তুতকরা ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখছেন।
মেসি
ভিডিওর ক্যাপশনে লেখন, ‘আমরা নিজেদের হাইড্রেশন ড্রিংকটি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের
সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন সবার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে
হওয়ার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে
মাত্রই ফিরলাম। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রেশন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, সেটি
সম্পর্কে জেনেছি।’
তবে
মার্ক অ্যান্থনি ব্রান্ডসের সাথে তৈরি করা পানীয় বাদেও মেসির আরো অনেক ব্যবসা ও পার্টনারশিপ
রয়েছে যেখান থেকে বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বছরে বড় ধরনের অর্থ আয় করেন। ফোর্বসের মতে মেসির
বর্তমান আর্থিক ভ্যালু প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো। অ্যাডিডাস, পেপসিকো, বাডউইসার
ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা পান বিশ্বের সেরা এই ফুটবলার।
ফুটবলে
সবচেয়ে বিখ্যাত খেলোয়াড়ের নাম বলতে বলা হলে প্রথমেই থাকবে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী
তারকা লিওনেল মেসির নাম। ফুটবলে প্রায় ২০ বছর ধরে রাজত্ব করা এই আর্জেন্টাইন ফুটবল
যে যা যা পাওয়ার সবই পেয়েছেন। বিশ্বকাপ জয়ে ফুটবলকে পূর্ণতা দেওয়া মেসির হয়তো আর ফুটবল
থেকে চাওয়ার কিছু নেই। তাই এবার ফুটবলের বাইরে ব্যবসার দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন এই মহাতারকা।
ফুটবলের
বাইরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত আছেন আট বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই
তারকা। যার মধ্যে রয়েছে হাইড্রেশন পানীয় তৈরির ব্যবসাও। মেসির নিজের ভাষ্যমতেই তিনি
যে পানীয়টি বাজারজাত করতে যাচ্ছেন তা পানীয়র বাজারকে পুরোপুরি বদলে দিবে। মেসি ভক্তরাও
অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে পানীয়টির জন্য। তাদেরও জানার আগ্রহ কবে থেকে পানীয়টি তারা
বাজারে পাবে?
অবশ্য
জুনে মেসির নন অ্যালকোহলিক হাইড্রেশন ড্রিংক বাজারে আসলেও পানীয়টির নাম এখনো ঠিক করা
হয়নি।
মন্তব্য করুন


আঞ্চলিক পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, সড়কের পাশে আগে থেকে পেতে রাখা আইইডিটি পুলিশের গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর অস্ত্রধারীরা নিরাপত্তা সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। ঘটনায় একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)সহ তিন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং প্রাদেশিক গভর্নর ফয়সাল কুন্ডি হামলাটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে পাকিস্তানে, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান অঞ্চলে, সন্ত্রাসী কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। পুলিশি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম আট মাসে শুধু খাইবার পাখতুনখোয়াতেই ৬০০–র বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এসব হামলায় অন্তত ৭৯ জন পুলিশ সদস্য এবং ১৩৮ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে জাপানি রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, জাপান সরকার শান্তি ও স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক— এই তিনটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে।
কিমিনোরি বলেন, ‘আমরা এই তিনটি স্তম্ভের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।’
তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সংস্কার কার্যক্রমে টোকিওর ‘দৃঢ় সমর্থনের’ কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখায় জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই সম্পর্ক সবসময় খুব শক্তিশালী ছিল।’
সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি আমাদের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ থেকে জাপানি কোন কোম্পানিও চলে যায়নি। তারা এখানে থাকতে আগ্রহী।’
তিনি নিক্কেইয়ের বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখবেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ওই সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন এবং তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানাতে পারবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপের প্রশংসা করে জাপানি রাষ্ট্রদূত বলেন, টোকিও এই বৈঠককে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
অধ্যাপক ইউনূস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের গ্যারান্টিযুক্ত একটি নিরাপদ এলাকা তৈরির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, যেখানে সংঘাত শেষ হওয়ার পর বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে তাদের বাড়িতে ফেরার পূর্বে সাময়িকভাবে পুনর্বাসিত করা যেতে পারে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন