

নির্বাচন
কমিশন গঠন হয়ে গেছে। এখন ধাপে ধাপে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে সরকার বলে মন্তব্য
করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান
আরিফ।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের বিআইসিসিতে এশিয়ান আন্তর্জাতিক
বাণিজ্যমেলার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশনে যারা এসেছেন সবাই অভিজ্ঞ। তারা ভালো একটি
নির্বাচন উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
উপদেষ্টা
আরও বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যটকরা
এ দেশে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বেসরকারি
উদ্যোগে মেলা আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামের মেলার আমেজ এ
মেলায় পেলাম। এ ধরনের মেলায় বিদেশিরাও আসেন। তারা বাংলাদেশে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য দেখতে
মেলায় আসেন। মেলাগুলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরার একটা জায়গা। এ মেলা আমাদের পর্যটন
বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত
৭ নভেম্বর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আদলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী
সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে ১৭ দিনব্যাপী এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। মেলা শেষ হবে আগামী
২৩ নভেম্বর।
মন্তব্য করুন


তুষার ধস আর ‘রকফলের’ ঝুঁকি নিয়েই হিমালয়ের
২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছেন বাংলাদেশের যুবক
তৌফিক আহমেদ তমাল।
তিনি চতুর্থ বাংলাদেশি হিসাবে শুক্রবার
(২৫ অক্টোবর) নেপালের ওই পর্বত চূড়ায় ওঠেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।
তমাল কুমিল্লার সন্তান, কুমিল্লার পথিকৃত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত শরীফ আহমেদ অলীর সন্তান।
তৌফিক আহমেদ তমাল তার ফেসবুকে আমা দাবলামের
চূড়ায় পৌঁছে বাংলাদেশের পতাকা হাতে একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই সঙ্গে তার নিজের অভিজ্ঞতাও
শেয়ার করেন।
তিনি জানান, আমা দাবলাম পৃথিবীর অন্যতম
কঠিন পর্বতগুলোর মধ্যে একটি, চূড়ায় উড়লো বাংলাদেশের পতাকা। আমরা ২২ তারিখ বেজক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করি। ২৩ তারিখ রাতে
থাকি ক্যাম্প-১। পরদিন সকালে আবার যাত্রা শুরু। সুজন হুট করেই শারীরিক ভাবে কিছুটা
অসুস্থ বোধ করায়, ক্যাম্প-২ থেকে সামনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অত:পর আবহাওয়ার অনিশ্চয়তার
কারণে, সিদ্ধান্ত নেই আজই বের হবো, পরে রাত ১১:৪৫ এ ক্যাম্প-০২ থেকে সামিট পুশ দেই,
মিংমা তেনজেনের সঙ্গে। ২৫ তারিখ আমরা পৌঁছে যাই আমা দাবলামের চূড়ায়। আমা দাবলামের এই
অভিযানের সময় ২ দিনের কিছু বেশী।
মন্তব্য করুন


আগামী মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন ও এজলাস কক্ষ উদ্বোধন করা হবে।
এ ভবন উদ্বোধন করবেন, প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে ‘গভর্নর হাউজ’ হিসেবে যাত্রা করা 'পুরাতন হাইকোর্ট' হিসেবে পরিচিত এই ভবনটির সংস্কার কাজ শেষে, উদ্বোধনের পর এখানে চলবে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজ।
অক্টোবর মাসে ২য় সপ্তাহ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরোনো এউ ভবনটির সংস্কারের কাজ শুরু করে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এই সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাইব্যুনালের অবকাঠামো আন্তর্জাতিক মানের করতে।
মন্তব্য করুন


মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় দেশের সব বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ বাদে দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা কমারও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ।
চট্টগ্রাম বিভাগের দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার
দায়িত্ব আমাদের। তা নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বিবিসি হিন্দিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি
এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত
ওই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের
নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যেটা নিয়ে ভারতের
বলা প্রয়োজন সেটা হলো, গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।
এই প্রশ্ন করা যেতে পারে, বাংলাদেশের
বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন।
আরও বলতে চাই, ভারতের গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের
উচিত এ বিষয়ে একটা সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের
প্রশ্নেও আলোচনা হোক।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আওয়ামী
লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটাকে ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট
করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে
কোন কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপরে এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয়
দিয়েছে। যে ব্যক্তি তার স্বজনকে হারিয়েছে, ভারত যদি তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে
বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক,
যাতে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। এখানে যা কিছু
হয়েছে তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এটাও
মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি
আরও খারাপ হতো। দুর্গাপূজার কথাই ধরেন। বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়েছে।
আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।
আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা
গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ বিষয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর
থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি,
তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে। আওয়ামী
লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থি সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে
শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে—এ প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা
বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের
মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়। আপনি যা বলছেন সেটা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান।
তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব
বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এই বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে
আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এটা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?
এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল।
বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন- আমরা দেখি না ভারতে
কে ক্ষমতায়, বিজেপি না কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও এটাই হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমি শুধু এটাই বলব, বিষয়গুলো
আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের
কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও
বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড মুহাম্মদ ইউনূস বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের জন্যে মাইলস্টোন স্কুলের কাছে উত্তরা ১২ নম্বরে সিটি কর্পোরেশনের কবরস্থানে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
পরবর্তী সময়ে এই কবরস্থান তাঁদের স্মৃতি রক্ষার্থে সংরক্ষণ করা হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
(সূত্র-বাসস )
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা
সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
আজ শুক্রবার (২২
নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের
কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে
ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ
উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের
কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ
কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের
মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রীনিং
পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও
অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের
৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে
চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি
তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা
করছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি
অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি।’ তিনি উলে¬খ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে
চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস
ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে
দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক
বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে
বসবাস করছে উলে¬খ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের
যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার
দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ,
প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের
স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান
উপদেষ্টাকে আরো অবিহিত করেন যে, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি
সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি
হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার
ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
মন্তব্য করুন


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতে সুফল পাওয়ায় ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সকালে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আর বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, প্রথম যখন আইনটি প্রণয়ন করা হয়, তখন একটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরবর্তীতে কয়েক ধাপে সেটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ আইনটি মন্ত্রিসভায় তুলেছিল। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানোর পরিবর্তে স্থায়ী আইন হিসেবে নীতিগত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এটিকে আর নতুন করে মেয়াদ বাড়াতে হবে না।
আইনটিতে কোনো পরিবর্তন আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।
আগে ছিল দুই বছর পর পর মেয়াদ বাড়ানো হবে, তাহলে কেন স্থায়ী করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে মাহবুব হোসেন বলেন, জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এ আইনটির অনেক সুফল আছে, এ আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এজন্য তারা আইনটি কন্টিনিউ করতে চাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। সরকারের
প্রত্যক্ষ মদদে এক বছর আগে ঘটে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর,
বর্তমানে দেশ যথেষ্ট স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
তিনি জানান, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির
প্রথমার্ধে নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
প্রধান উপদেষ্টা আজ সোমবার (২৫ আগস্ট)
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা অংশীজন সংলাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা
এখন আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আছি। এক বছর আগে আমরা এক ভয়াবহ
হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী
শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের
কাছে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরতে, গতকাল থেকে কক্সবাজারে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সংলাপ
“স্টেকহোল্ডার্স’ ডায়ালগ: টেকঅ্যাওয়ে টু দ্য হাই-লেভেল কনফারেন্স অন দ্য রোহিঙ্গা সিচুয়েশন”
শুরু হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয় হোটেল বে ওয়াচে আজ সংলাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ইউনূস
রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের জন্য সাত দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এবং আন্তর্জাতিক
সম্প্রদায়কে কার্যকর ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিপীড়ন
ও বাস্তুচ্যুতি থামাতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অধ্যাপক ড. ইউনূস উত্থাপিত সাত দফা
প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের
জন্য বাস্তবসম্মত রোডম্যাপ প্রণয়ন, দাতাদের অব্যাহত সমর্থন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ও আরাকান
আর্মির কাছে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও জীবিকা নিশ্চিত করার আহ্বান, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে
গঠনমূলক সংলাপ ও অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা,
গণহত্যার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক আদালতে জবাবদিহিতা ত্বরান্বিত করা।
মন্তব্য করুন


ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিষ্টান্ন ‘ছানামুখী’। ছানা থেকে তৈরি এই মিষ্টান্নের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়া দেশের অন্য কোথাও তৈরি হয় না এই ছানামুখী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
পণ্যের জিআই স্বীকৃতি দেয় ডিপিডিটি। কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কোনো একটি পণ্য চেনার জন্য জিআই স্বীকৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ছানামুখী’। সরকারিভাবে ছানামুখীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্র্যান্ডিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। জেলার ব্র্যান্ডবুকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই মিষ্টান্ন।
মন্তব্য করুন


রোববার ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২) ও যৌথ বাহিনী অভিযানে শীর্ষ মাদক কারবারি পিচ্চি রাজাসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ৩ জন নারী মাদক কারবারিও রয়েছেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানায়, র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানিয়েছেন, রোববার ভোরে জেনেভা ক্যাম্পে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে র্যাব-২ ও যৌথ বাহিনী ছিল। এ অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, দুটি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া অভিযানে ৩ জন নারী মাদক কারবারি ও শীর্ষ মাদক কারবারি পিচ্চি রাজাসহ ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন