কৃষি
ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধ ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। এখানে কোন ধরনের
সমস্যা নেই। কৃষকরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ব্রি
ধান-৮৮ কাটার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষি
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন আমাদের সাড়ে ৭ কোটি
মানুষ ছিল; সেই সময়ে কৃষিজমির সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন লোকসংখ্যা ১৮ কোটি, ফলে
কৃষি জমি কমে গেছে। উন্নত জাত এবং কৃষকদের কঠোর ও বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের কারনে
ধানের উৎপাদন ভালো।
কৃষি
জমির ব্যাপারে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, নতুনভাবে আইন করা হবে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, কৃষি
জমি সুরক্ষা আইন নতুনভাবে করার চিন্তা-ভাবনা আছে, কিছুদিনের মধ্যেই তা করা হবে। ভাটা
যেন না চলে; সেজন্য আমরা নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছি।
এ
সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তরিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার
শহীদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ
আলীসহ রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের তাঁর দেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছেন।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্টির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।
রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।'
বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।
অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে তাকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।
আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক এবং প্রতিনিধিদলের আলোচনার পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে রামোস-হোর্তা বলেন, আমি মনে করি আমরা বাংলাদেশ থেকে আরও পণ্য আমদানি করতে পারি এবং বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তিমুর-লেস্তে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আগামী বছর আমরা আসিয়ানের সদস্য হব এবং সেইসাথে ৭০০ মিলিয়ন জনগোষ্টির অঞ্চলের অংশ হয়ে উঠব। আগামী বছর তিমুর-লেস্তে ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি জিডিপি অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হবে। তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ তাঁর দেশের উন্নয়নে অংশীদার হবে।
রামোস-হোর্তা বলেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত নেতা, যিনি এখনও সক্রিয়ভাবে অফিসে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে নেলসন ম্যান্ডেলা, জন এফ কেনেডি, মহাত্মা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারের মতো বিশ্ব নেতাদের সাথে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, খুবই ভাগ্যবান যে এমন একজন নিরহঙ্কার ও বিনয়ী মানুষ দেশের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আপনাদের তরুণদের সাথে কাজ করছেন দেশের পরিববর্তনের জন্য।'
বাংলাদেশ ও তিমুর-লেস্তের জনগণের ভোগান্তির ইতিহাস প্রায় একই রকম উল্লেখ করে তিমোর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দৃঢ়চেতা, পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও সফল।
অধ্যাপক ইউনূসকে তার ভাই, বন্ধু ও পরামর্শক উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে তাকে আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখানে এসে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিমুর-লেস্তের প্রেসিডেন্ট এবং তার সফরসঙ্গীরা গতকাল রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস তাকে গার্ড অব অনার এবং গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানান।
মন্তব্য করুন
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাইয়ের চেতনার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এ চেতনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না।
একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে উপদেষ্টা আজ এসব কথা বলেন। (খবর তথ্য বিবরণীর)
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, গতকাল থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে-বই প্রকাশের আগে পুলিশ বা বাংলা একাডেমি পরীক্ষা করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে, বই ছাপার আগে পুলিশ বা অন্য কারো সেটা নিরীক্ষা করার প্রশ্নই আসে না। যে পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এটা গতকাল থেকে বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়েছে তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। সব রকম বিভ্রান্তি দূর করার জন্য জানানো যাচ্ছে- বই প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সেন্সরশিপের প্রশ্নই আসে না। সরকার মত প্রকাশ ও লেখার স্বাধীনতায় পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক বলেছেন, আপাতত বন্যার্ত মানুষকে বাঁচানোই আমাদের প্রধান কাজ। তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া, ক্ষুধার অন্ন জোগানো, শিশু ও নারীসহ সবার স্বাস্থ্যের দায়িত্ব নেওয়া; এটায় এখন আমাদের প্রধান কাজ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে নোয়াখালী সার্কিট হাউসে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফারুক-ই-আজম এসব কথা বলেন।
সরকারি কর্মকর্তাদের আরও বেশি উদ্যোগী হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখানে জনসম্পৃক্ততা যেটা হয়েছে, তাদের সাথে সমন্বয় করবেন। এ সমন্বয় যেন কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন না হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবীসহ সকল স্বেচ্ছাসেবীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনাদের মধ্যে যদি মতদ্বৈততা হয়, আপনারা আলোচনার টেবিলে বসবেন। তরুণরা এই বন্যায় এগিয়ে এসেছে। আমাদের রিসোর্সেরও অভাব নেই। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তারাও কাজ করতে আগ্রহী। অনেক প্রতিষ্ঠান আসছে দেশের ও দেশের বাইরের।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর রিফাত আনোয়ার, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) বিজয়া সেন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন
মেয়ে শিশু জন্ম নেওয়ায় ওই নবজাতককে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা নবজাতককে হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ওই ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হয় বিকেলে।
নবজাতক রেখে পালিয়ে যাওয়া দম্পতি হলো আলমগীর হোসেন ও পাপিয়া খাতুন। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই নবজাতককে মা-বাবা।
নিজেদের সন্তান হাসপাতালে ফেলে পালানোর বিষয়ে জানা যায়, তিন মেয়ের পর এবার ছেলেসন্তানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন এ দম্পতি। ফের কন্যাসন্তান হলে স্ত্রী পাপিয়াকে তালাকের হুমকিও দেন আলমগীর! কিন্তু এবারও কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন পাপিয়া। তাই তারা হাসপাতালে সন্তান রেখেই পালিয়ে গেছেন।
হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, প্রসব বেদনা উঠলে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে পাপিয়া খাতুনকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানেই কন্যাসন্তান প্রসব করেন পাপিয়া। পরে তাকে ভর্তি করা হয় গাইনি ওয়ার্ডে। কিছুক্ষণ পর নবজাতককে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া গ্রামের বিলকিস বানু নামে এক নারীর কাছে রেখে পালিয়ে যান ওই নবজাতকের মা-বাবা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী।
পরে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মালেকা খাতুনের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা ওই নবজাতকের নাম রাখেন ‘পুষ্প’।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, ওই দম্পতি হাসপাতালে যে নাম ও ঠিকানা দিয়েছেন তা যাচাই করা হয়েছে। তারা ভুল তথ্য দিয়েছেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও ছবি দেখে ওই নারী ও তার স্বজনদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নবজাতকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা।
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেবে । এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আসছে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার গণভবনে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি। এসব আসনে দলটির মনোনয়ন পেতে ফরম কিনেছেন এক হাজার ৫৪৯ জন। যার ফলে প্রতিটি আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৩২ জন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি পরিশোধ নিয়ে কোনোভাবেই উদ্বিগ্ন নয় বিশ্বব্যাংক। বরং বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব বিষয়ে সহায়তা দিয়ে পাশে থাকতে চায় বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। তিনি জানান, আমরা বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে জেনেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কারে কীভাবে সহযোগিতা করবো সেটিও আলোচনা করেছি। কারণ জটিল কিছু সংস্কার বাংলাদেশের প্রয়োজন। এখানে আর্থিক খাতে সংস্কার প্রয়োজন, বাণিজ্যে সংস্কার প্রয়োজন- আমরা এগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী।
পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, আমরা এখন এ দেশে বেসরকারি খাতে চাকরির বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে যুবকরা এখানে বড় সম্পদ। এছাড়া এখানে জলবায়ু পরিবর্তন অনেক বড় ঝুঁকি, সেখানে অন্তর্বর্তীমূলক বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমরা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক গড়তে কাজ করছি আর আমরা মোটেই বাংলাদেশের ঋণের কিস্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন নই। আমাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। আমি অনেক দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, এটি কখনোই আমাদের উদ্বেগের বিষয় নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের স্থবির অর্থনীতিকে চালু করার জন্য যত রকমের সহযোগিতা দরকার বিশ্বব্যাংক তা দেবে। আইএফসি ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছি আমরা। তারা বলেছে, বাংলাদেশের মানুষের জন্য তারা যে কোনো কিছুই করতে পারে। নিয়মকানুন মেনে তারা বিনিয়োগ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শিক্ষার্থীদের জন্য শোক জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি এ সময়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কারেও পাশে থাকবে সংস্থাটি।
মন্তব্য করুন
১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বমোট ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
মৃত্যুর
আগ পর্যন্ত কামলা হয়ে কুমিল্লা-৩ আসনের মানুষের
পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান
ও সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এবং পাঁচবারের সংসদ সদস্য কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
তিনি
বলেন, ‘অতীতে আমি আপনাদের কামলা হয়ে যেভাবে পাশে ছিলাম, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেভাবে
কামলা হয়ে থাকতে চাই। নেতা হিসেবে নয়, আমি আপনাদের কামলা হিসেবেই থাকতে চাই।’
শনিবার বিকালে কুমিল্লার বাঙ্গরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জনসভায়
বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান কায়কোবাদ বলেন, ‘আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
বাঙ্গরা হাইস্কুল মাঠে আমরা আজকে সমাবেশ করতে পারব? আমরা কি চিন্তা করতে পেরেছিলাম
শেখ হাসিনার দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যাবে? আমরা কি চিন্তা করেছিলাম সেই স্বৈরাচারদের
অনেকে জেলখানায় যাবে এবং বিচারের মুখোমুখি হবে। এসব ব্যবস্থা করেছে আল্লাহ।’
এসময়
আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া জানানোর জন্য সবাইকে একবার সূরা ফাতিহা পাঠ করান তিনি।
অন্তর্বর্তী
সরকার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনাকে এই সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছে আল্লাহ। এই আওয়ামী লীগ সরকার আর কিছুদিন থাকলে অনেকের মত
আপনাকেও জেলখানার স্বাদ গ্রহণ করতে হতো। আল্লাহ আপনাকে সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে।
এজন্য আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন এবং জনগণের আশাকে পূরণ করার চেষ্টা করুন।’
তিনি
বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনগণের একটিই আশা, সেটি হল নির্বাচন। সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এই
সংস্কারের মাধ্যমে বড়লোকদের উপকার হবে গরিবদের কোনো উপকার হবে না। আপনাদের সংস্কারের
প্রয়োজন নেই। সংস্কার ছেড়ে দিন তাদের ওপরে, যারা জনপ্রতিনিধি হবে। তাদের কাছে পরামর্শ
রেখে যান। আপনাদের পরামর্শকের সামনে রেখে এই সেই সরকার এগুলো পালন করার চেষ্টা করবে।
কাজী
শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ আরও বলেন, ‘যেভাবে বাংলাদেশের জনগণ একত্রিত হয়ে আন্দোলন
করেছিল, সেই আন্দোলনের ফসলকে ইউরোপ-আমেরিকা সমস্ত পৃথিবী একসেপ্ট করে নিয়ে স্বাগত
জানিয়েছে। আগে অনেকে অনেক কথা বলেছি অনেকে অনেক ভাষায় কথা বলেছে, কারো কথা শুনে নাই।
কিন্তু এই আন্দোলনের মাধ্যমে যখন বাংলাদেশের নারীরা, যুবকেরা ও মেহনতি মানুষ একত্রিত
হয়ে ঢাকা শহরের রাস্তায় নেমে পড়ল তখন তারা সবাই একযোগে চিৎকার করে বলে উঠল আমরা
তোমাদের সঙ্গে আছি। এরপর সবাই বলল এই স্বৈরাচারের বিচার হবে, বিচার করতে হবে। কিন্তু
এর আগে কিন্তু এই বিচারের কথা কেউ বলে নাই।
তিনি
বলেন, আমরা সবাই একত্রিত হয়ে যেমনিভাবে এই স্বৈরাচারকে পতন করিয়েছি, এমনিভাবেই একত্রিত
থাকতে হবে যেন আমাদের দাবি আদায় ও সুন্দর নির্বাচন আদায় করতে পারি।
এসময়
সৃষ্টিকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আল্লাহর কাছে আমাদের বলতে হবে, চাইতে হবে যেভাবে
স্বৈরাচার সরকারকে আমাদের মাঝখান থেকে বিদায় করেছে সেভাবেই একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা
করে দাও।
নারীদের
প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে বিএনপির জনপ্রিয় এই নেতা বলেন, ‘যতবার নির্বাচন করেছি ভোটের
সেন্টারে গিয়ে দেখেছি মহিলাদের লাইনটা অনেক বড়। আর এ কারণেই দেখা যেত ভোটের যে রেজাল্ট
এখানে আমাকেই আল্লাহপাক বেশি ভোট দিয়েছে।’
এসময়
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকে বলে হিন্দু ভোট আওয়ামী লীগের, আমাদের আন্দিকুট ইউনিয়নে কয়েকটা
গ্রাম আছে যেখানে হিন্দু মুসলমানের চেয়েও বেশি। ওই সেন্টারে আল্লাহ পাক আমাকে সমসময়
আমাকেই জিতিয়েছে।
জনসভা
বিকেল ৪টায় শুরু হলেও দুপুর থেকেই নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে সভাস্থলে এসে জমায়েত
হোন। নেতাকর্মীদের নানা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে চারপাশ। বিকেল চারটার আগেই পরিপূর্ণ
হয়ে পড়ে জনসভাস্থল। জনসভায় উপস্থিত জনতার মধ্যে পুরুষের সঙ্গে নারীদের উপস্থিতিও
ছিল চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লা
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জনের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি
ছিলেন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার,সদস্য সচিব তারেক মুন্সী, যুগ্ম
আহ্বায়ক তৌফিক আহমেদ মীর, সাবেক মেজর মো. শাজাহান, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম
আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা
আক্তার রুবি,উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি কাজী তাহমিনা আক্তার, মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের
আহ্বায়ক সোহেল সামাদ,মুরাদনগর উপজেলা হিন্দু পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দয়ানন্দ
ঠাকুর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে বলে ।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে সারা বছর শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে।
এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে।
আর এরপরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয়। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন। উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের
রক্ষাকবচ।
তিনি
তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ‘কয়েকটি কথা’শিরোনামে
আজ (৯ মে) একটি পোস্টে এই কথা বলেছেন।
তিনি
সেখানে লিখেছেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে
ছাত্ররা রাজি ছিল না, এটা বলে বেড়াচ্ছেন। মিথ্যা কথা। ক্যাবিনেটে প্রথম মিটিং ছিল আমার।
আমি স্পষ্টভাবে এই আইনের অনেকগুলো ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ-আসিফও আমার পক্ষে
ছিল স্বভাবতই। দল হিসেবে বিচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হলে একজন উপদেষ্টার জবাব ছিল
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাৎপদ উদাহরণ আমরা আমলে নিতে পারি কি-না। এই যুক্তি যিনি
দিয়েছিলেন, একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ সমানে তার পক্ষে স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন ছাত্রদের
কুপোকাত করতে। অথচ, উনার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। মিছে বিরোধ লাগানোর অপচেষ্টা
করে কোনো লাভ নেই।
বলে
রাখা ভালো, দু’জন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের
উপদেষ্টা (একজন ইতোমধ্যে মারা গিয়েছেন) ও আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও
পক্ষে ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে কথা হয়েছে। দল হিসেবে লীগের বিচারের প্রভিশন
অচিরেই যুক্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন উক্ত উপদেষ্টা। উনাকে ধন্যবাদ।
মিথ্যা
বলা বন্ধ করুন। ঘোষণাপত্র নিয়ে আপনাদের দুই মাস টালবাহানা নিয়ে আমরা বলব। ছাত্রদের
দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন।
সমস্যা নেই, আমরাও চাই সবাই স্বীকৃত হোক। কিন্তু, এখন সেটাও হতে দিবেন না। দোষ আমাদেরও
কম না। আমরা আপনাদের দলীয় প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম।
পুনশ্চ:
আমরা নির্বাচন পেছাতে চাইনা। ডিসেম্বর টু জুনের মধ্যে নির্বাচন হবেই।
আপনারা
যদি মনে করেন, ছাত্ররা নিজেদের আদর্শ ও পরিকল্পনা নিতে পারে না বরং এখান থেকে ওখান
থেকে অহি আসলে আমরা কিছু করি। তাহলে আপনারা হয় ছাত্রদের খাটো করে দেখছেন, নয়তো ছাত্রদের
ডিলেজিটিমাইজ করার পরিকল্পনায় আছেন। সেই আগস্ট থেকেই আমরা জাতির জন্য যা ভালো মনে করেছি,
সবার পরামর্শ নিয়েই করেছি। বরং, উক্ত দলকেই আমরা বেশি ভরসা করেছি। সবার আগে উনাদের
সাথেই পরামর্শ করেছি। ভরসার বিনিময়ে পেয়েছি অশ্বডিম্ব। সব দোষ এখন ছাত্র উপদেষ্টা নন্দঘোষ!
আমরা
উক্ত দলকে বিশ্বাস করতে চাই। উক্ত দলের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। উনি আমাদের বিশ্বাসের
মূল্য দিয়ে লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা
রাখবেন বলেই আস্থা রাখি। উক্ত দলকে নিয়ে কে কি বলবে জানি না কিন্তু আমরা চাই উক্ত দল
ছাত্রদের সাথে নিয়ে দেশের পক্ষে, অভ্যুত্থানের শত্রুদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ঐকমত্যের
নেতৃত্ব দিক। দেশপ্রেমিক ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের শক্তি হিসাবে নেতৃত্ব দিলে ছাত্ররা
রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় উনাদের সাথে চলবেন।
ঐক্যবদ্ধ
হোন। নেতৃত্ব দিন। এই প্রজন্মকে হতাশ করবেন না।‘এই
প্রজন্ম দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।’
মাহফুজ
আলম ২০২৪ এর জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম
সংগঠক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটির একজন সমন্বয়ক ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলন থেকে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম।
মন্তব্য করুন