রমজান আলী এশার নামাজ পড়তে গেলে তার
রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। অটোরিকশা হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন রমজান আলী। কোনোদিনও ভাবেননি
তার অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) এশার নামাজ পড়তে গেলে
লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনে থেকে তার রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। অটোরিকশা
হারানোর পর থেকে তিনি প্রতিদিনই মসজিদের সামনে এসে কান্নাকাটি করছেন।
রমজান আলী লালমনিরহাট শহরের উত্তর সাপ্টানা
এলাকায় একটি টিনশেড ভাড়াবাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে, এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ও বৃদ্ধ মাকে
নিয়ে বসবাস করেন।
রমজান আলী বলেন, সেদিন শহরে ভাড়া নামিয়ে
দিয়ে রেল স্টেশন মসজিদের সামনে অটোরিকশাটি রেখে এশার নামাজ পড়ি। পরে এসে দেখি আমার
অটোরিকশাটি নেই। এ সময় আমি চারদিকে খোঁজাখুঁজি করি। আমার একমাত্র সম্বলটি হারিয়ে
গেল। এই অটোরিকশাটি রেলস্টেশনের জামে মসজিদের ইমাম রমজান আলী হুজুর চাঁদা কালেকশন করে
৩৬ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে কিনে দিয়েছিলেন। অটোরিকশাটি হারিয়ে আমি নিস্ব হয়ে গেছি।
এ ঘটনার বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানা
পুলিশের ওসি ওমর ফারুক বলেন, ঘটনাটা স্থানীয়দের কাছে শুনেছি। তবে তিনি এ বিষয়ে থানায়
কোনো জিডি করেননি। থানায় অভিযোগ দিলে রিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য করুন
আব্দুল মোতালেব নিখিল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লায় মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার
করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে নগরীর
২১ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার নিজবাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত লুৎফা
বেগমের ছেলে শাহীন ও তার স্ত্রীকে লাকি আক্তারকে আটক করা হয়।
নিহতরা হলেন, রামনগর এলাকার আবু তাহেরের
স্ত্রী লুৎফা বেগম (৭০)। ও তার মেয়ে শিল্পী আক্তার (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রামনগর এলাকায়
আবু তাহেরের স্ত্রী লুৎফা বেগম ও তার মেয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে শাহীনের স্ত্রী লাকি
আক্তারের পারিবারিক কলহ চলে আসছিলো।
শনিবার বিকেলেও তাদের মধ্যে জগড়া হয়।
সবশেষ রোববার দুপুরে লুৎফা বেগম ও শিল্পী আক্তারের মৃত্যুর ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে
পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে।
ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইফুল
ইসলাম জানান, সুরতহালে নিহতদের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে কি কারনে তাদের
মৃত্যু হয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শাহীন ও ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে খিচুড়ি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আল-আমিনকে হত্যার দায়ে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন: কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন শালধর (সামারচর) গ্রামের মোঃ মোসলেম সরদারের ছেলে মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮)।
মামলার বিবরণে জানাযায়, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মাগরিবের নামাজের শেষে শালধর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ভিকটিম আল-আমিন (৯) মাহফিলের কথা বলে বাড়ীতে ফিরে না আসায় তাঁর পিতাসহ আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন কোতয়ালী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে পরেরদিন শালধরের জৈনক দেলোয়ার হোসেন এর বাগানের পাশে পুকুরে ছোট শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখে শোর চিৎকার করে মোঃ আল আমিন এর পিতা। আল-আমিন এর মরদেহ পুকুর থেকে উপরে তুলে দেখেন আল-আমিনের ঘাড়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। এ ব্যাপারে ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারী ভিকটিম মোঃ আল আমিন এর পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন শালধর গ্রামের মৃত মালু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সারওয়ার আলম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ (১৮) ও মোঃ শাহ জাহানকে আটক করে।
পরবর্তীতে মামলাটি বিচারে আসলে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বিধানমতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, আশা করছি উচ্চ আদালত উক্ত রায় বহাল রাখবেন।
মন্তব্য করুন
বিপ্লব চক্রবর্ত্তী:
প্রতিনিয়তই কেউ না কেউ চলার পথে কিংবা হঠাৎ করেই সবচেয়ে প্রিয় ও মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মূল্যবান মোবাইলটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে দুঃচিন্তায় ভুগতে হচ্ছে দিনের পর দিন। দুঃচিন্তা থেকে মুক্তি দিতেই কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সকল হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল (২ ডিসেম্বর ) শনিবার কোতয়ালী মডেল থানার এ এস আই মনিরুল ইসলাম গত দুইবছর আগে অশোকতলার বাসিন্দা নারায়ণ চক্রবর্ত্তীর ছোট ছেলে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি জিডি মূলে উদ্ধার করে হস্তান্তর করেন।
দুই বছর পর হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি হাতে পেয়ে গোবিন্দ চক্রবর্ত্তীর দুচোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
সদ্য স্নাতক পাশকৃত ছাত্র গোবিন্দ চক্রবর্ত্তী বলেন, হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ফেরত পেয়ে আমি প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি এবং কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মহোদয় ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। শিক্ষাবস্থায় টিউশনির টাকা জমিয়ে এই মোবাইলটি ক্রয় করেছিলাম। টিউশনি করিয়ে কান্দিরপাড় হয়ে বাসায় এসে দেখি আমার শখের ও কষ্টের জমানো টাকা দিয়ে কিনা মোবাইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় আমি সাথে সাথে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হারানো জিডি করে আসি।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনটি প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করে এ এস আই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে প্রতিদিনেই অনেক মোবাইল হারানোর জিডি আসে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান স্যার এর কঠোর দিক নির্দেশনায় ও কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহম্মেদ সন্জুর মোর্শেদ স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার কাছে আসা প্রতিটা জিডিই গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং প্রতিনিয়ত প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করছি।
মন্তব্য করুন
গাজীপুরের
কালিয়াকৈরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে নিহতের
২ ভাই ও ২ ভাতিজাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
মঙ্গলবার
সকালে র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি গাজীপুরের পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার
মেজর মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
জানা
যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের সাজনধারা
এলাকার কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনকে (৫৩) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত মামুন কালিয়াকৈরের
সাজনধারা গ্রামের এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত ব্যক্তি কালিয়াকৈরের চন্দ্রা
এলাকায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গ্রেফতারকৃত
আসামিরা হলো: হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহতের ছোট ভাই মো: মজিবর রহমান (৫০), তার
ছেলে মো: সুমন (২৮) ও মো: সিজান (২০) এবং নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী (৬৫)।
মেজর
মো. ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে নিহত কলেজ শিক্ষকের মধ্যে দীর্ঘদিন
ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে গত ২৮ জানুয়ারি বিকাল সোয়া
৩ টার দিকে আসামিরা কালিয়াকৈরের সাজনধারা এলাকায় তাদের চাষকৃত ধানী জমিতে আগাছা পরিষ্কার
করা জন্য পৌঁছালে তার কিছুক্ষণ পর কলেজ শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনও তার চাষকৃত ধানী
জমিতে যান। এ সময় গ্রেফতারকৃত আসামিরা কাঠের লাঠি, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সজোরে আঘাত করে
মামুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে আসামিরা নিহতের
বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করাসহ হুমকি-ধামকি দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৯ জানুয়ারি নিহতের
স্ত্রী হাসিনা আক্তার বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা
দায়ের করেন। হত্যা মামলার হুকুমদাতা হিসেবে এজাহারনামীয় আসামি মোহাম্মদ আলিকে (৬৫)
হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। পরে তাকে থানা পুলিশের
কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ জানুয়ারি ভোররাতে র্যাব-১ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে
ও গোপন সূত্রে জানতে পারে, মামলার আসামি মো: মজিবুরসহ অন্য আসামিরা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের
কোনাবাড়ি থানার জয়েরটেক এলাকায় আত্মগোপনে আছে। র্যাব এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে তাদের
গ্রেফতার করেন।
মন্তব্য করুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাম্য হত্যাকান্ডের ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ইতিমধ্যে সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য নিহত হওয়ার ঘটনায় রাত আটটার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া অপর এক পোস্টে জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৈঠকে নেওয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা, উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা। নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন, উদ্যানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা ও ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা; উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল খুনীদের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ভাত খাওয়ার
জন্য সৎ মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল ৯ বছরের শিশু আবদুল্লাহ। তাতে সৎমা ফারজানা বিরক্ত
হয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে শিশুটির। এ ঘটনায় সৎমাকে গ্রেফতার করেছে
পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে
উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত শিশু মো: আব্দুল্লাহ উপজেলার ইউসুফপুর
গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ঘোড়া গাজী সরকার বাড়ির আমানউল্লাহর ছেলে। সে একই গ্রামের একটি
স্কুলে ২য় শ্রেণিতে ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার
ওসি মো: নয়ন মিয়া।
স্থানীয়রা জানান, তিন বছর আগে আবদুল্লাহর
বাবার সঙ্গে তার মায়ের ডিভোর্স হয়। পরে ফারজানা আক্তারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ফারজানার
আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ফারজানার নিজের ছেলে সন্তান হওয়ার পর সৎ ছেলে আবদুল্লাহকে
সহ্য করতে পারছিলেন না। প্রায়ই শিশু আবদুল্লাহকে মারধর ও নির্যাতন করত ফারজানা। শনিবার
সকালে আবদুল্লাহ ফারজানার কাছে ভাত খেতে চাওয়ায় বিরক্ত হয়ে শিশু আবদুল্লাহর গলায় ওড়না
পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ বাড়ির উঠান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায়
নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোসলেম উদ্দিন জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উঠানে আবদুল্লাহর লাশ পড়ে আছে। গলায় কয়েকটি দাগ পাওয়া
গেছে।
দেবিদ্বার
থানার ওসি নয়ন মিয়া বলেন, নিহত আবদুল্লাহর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ফারজানাকে
গ্রেফতার করা হয়েছে। ফারজানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক প্রবাসীর পরিবারে হামলা চালিয়ে প্রবাসীর মা ফিরোজা
বেগমসহ কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ধুড়িয়ারা গ্রামে
এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার
(২ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবের হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমন অভিযোগ
করেন মির্জা জয়নাল আবদীন হিরণ ও ঘটনার খবর পেয়ে দেশে আসা তার দুই ভাই আবদুল্লাহ মাহবুব
ও রফিকুল ইসলাম।
ভুক্তভোগীরা
অভিযোগ করে বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আজিজুর রহমান লিটনসহ পরিবারের লোকজনের সাথে প্রবাসীর
পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে তারা গত ২৮ জানুয়ারি প্রবাসীর পরিবারের
উপর হামলা চালায় এবং প্রবাসীর মাকে কোদাল দিয়ে চোখের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত করে রক্তাক্ত
জখম করে। এদিন প্রবাসীর আহত মা ফিরোজা বেগমকে প্রথমে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রতিপক্ষের
হামলা ও হুমকিতে প্রবাসীর পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে তারা জানান। প্রবাসী
আবদুল্লাহ মাহবুব জানান, হামলাকারীরা তার মাকে হত্যার চেষ্টা করলেও তারা এখন ঘটনাটি
ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে অপপ্রচার চালিয়ে হয়রানী
করছে।
নাঙ্গলকোট
থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, দুইপক্ষের মারামারির
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বিষবাগ গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে আটককৃতরা হলো— কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানাধীন বিষবাগ গ্রামের মোঃ সাখাওয়াত হোসেন রিয়াজ (২৫),মোঃ আরিফ (২৯)।
অভিযান চলাকালে অস্ত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে— চাইনিজ কুড়াল ২টি, রামদা ৩টি, দা ৫টি, নুনচাক ১টি, ছুরি ১টি, নক ১টি, ওয়্যার কাটার ১টি, কার্তুজ ১ রাউন্ড, দূরবীন ১টি, পাসপোর্ট ১টি এবং ১০টি মোবাইল ফোন (৮টি অ্যান্ড্রয়েড, ২টি বাটন)।
আটককৃত সন্ত্রাসী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
লক্ষ্মীপুরে
অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় মজিবুর রহমান ফারুক নামে এক ব্যক্তিকে
ভ্রাম্যমাণ আদালত ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।
বুধবার
(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান
চালিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত
মজিবুর রহমান ফারুক সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের উত্তর করইতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের
ছেলে। ফারুক ওই এলাকার মোল্লার হাটে সরকারি রাস্তা দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, অবৈধভাবে সড়ক দখল করে সেপটি ট্যাংক নির্মাণ করায় পরিবেশ আইনে
ফারুকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ঢাকার আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে কারখানার
স্টাফ, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আশুলিয়ার
শিমুলতলা এলাকার ইউফোরিয়া গার্মেন্টসে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় র্যাবের গাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের
চেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে একটি তৈরি পোশাক কারখানায়।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, রবিবার বিকেলে
বকেয়া বেতনসহ ১৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছিলো ইউফোরিয়া গার্মেন্টসের শ্রমিকরা।
বিকেলের দিকে স্টাফদের সাথে শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরে একপর্যায়ে রাতে
বেধে যায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। এ সময় কারখানাটিতে ভাঙচুর শুরু করে বিক্ষুব্ধ
শ্রমিকরা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারখানার এলাকায় গেলে তাদের সাথেও
সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রমিক ছাড়াও আহত হয় বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য। এসময়
শ্রমিকরা র্যাবের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে ।
পরে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
মন্তব্য করুন