কুমিল্লার চান্দিনায় চাঁদাবাজির অভিযোগে শ্রমিক দল ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং এর সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল এর ৩ জন নেতাকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। আটককৃতরা হলো- পৌর এলাকার বেলাশ্বর গ্রামের মৃত মোহর আলীর ছেলে চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়ালী উল্লাহ, একই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কুমিল্লার উত্তর জেলা যুগ্ম-আহ্বায়ক ও চান্দিনা পৌর শ্রমিক দল আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন, রমিজ উদ্দিনের ছেলে ৪নং ওয়ার্ড এলডিপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে চান্দিনা থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র এবং মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়- ঢাকার বনানী আলীসা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী কোম্পানীর ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চান্দিনাস্থ প্রধান কার্যালয় থেকে বৈদ্যুতিক তারসহ বিভিন্ন মালামাল দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয় করেন। রবিবার বেলা পৌনে ২টায় মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলে
চান্দিনা পৌর গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ ওই ম্যানেজারের মোবাইলে কল দিয়ে তার দলীয় পরিচয় দেয় এবং মালামাল নিতে হলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। পরে অলিউল্লাহকে সমিতির স্টোর রুমে আসতে বলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার। সেখানে অলিউল্লাহ্ অপর দুই জন আসামিকে নিয়ে চাঁদার টাকা আনতে যায়। টাকা না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয় চাঁদাবাজরা। বিষয়টি সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে অবহিত করলে মেজর মাহমুদ এর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ওই ৩ জনকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. জাবেদ উল ইসলাম জানান, যৌথবাহিনী তাদেরকে আটক করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) দেশজুড়ে
উদযাপন করা হবে ত্যাগ ও আনন্দের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা।
কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত সকাল
৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন কুমিল্লা কান্দিরপাড়
কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা
ইব্রাহীম।
বরাবরের মতো এবারও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ঈদ জামাত আদায়ে সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জ্বার ব্যবস্থা করেছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন।
মন্তব্য করুন
সাবেক
প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ।
এ
উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ড নানুয়া দিঘি ফাতেমা হুমস এর
নিচে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মাসুক এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোঃ মনিরুল হক সাক্কু ।
কুমিল্লা
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কুমিল্লা মহানগর ১৩ নং ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে
একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জমিজমা নিয়ে বিরোধের
জের ধরে মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও মোঃ জামাল হোসেন নামের দুই চাচাতো জ্যেঠাতো ভাইকে ধারালো
দা, ছেনী ও হকিস্টিক দ্বারা কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সেই সাথে প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড
এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী প্রত্যেককে অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড
প্রদান করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায়
কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ
রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরী গ্রামের মোঃ হাজী আতর আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ তোতা,
মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন, হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন, মোঃ ফরিদ
উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন, মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে মোঃ বাবুল ও মৃত আনোয়ার আলীর হারুনুর
রশিদ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ধনাইতরীর মৃত জুনাব আলীর ছেলে হায়দার আলী, হাজী
আব্দুর রহিমের ছেলে আঃ মান্নান, মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন, মৃত আঃ খালেক
এর ছেলে আবুল বাশার, মৃত আঃ রশিদ এর ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আঃ খালেক এর ছেলে আব্দুল
কাদের ও মৃত ইউসুফ মিয়া'র ছেলে আব্দুল কুদ্দুস।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞ জেলা পিপি
এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্র পক্ষে
নিযুক্তীয় বিজ্ঞ কৌশলী জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম ও অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ মজিবুর রহমান বাহার এবং বাদীপক্ষে প্রাইভেট ল'ইয়ার এডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন
আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দ্রুত কার্যকর করবেন।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও সাইবার অপরাধী চক্রের হুমকি, হামলা, চাঁদাবাজি ও সামাজিক সম্মানহানির শিকার হচ্ছেন। তার দায়ের করা একাধিক মামলার জেরে চক্রটি মামলা প্রত্যাহার, মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মওদুদ।
তিনি জানান, ২০১৭ সাল থেকে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে ২০১৭ সালের ৩ মে ও ২০১৮ সালের ২৮ জুন দায়ের করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ জিডি।
মওদুদ অভিযোগ করেন, বরুড়া থানাধীন নিমসার এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত চলাকালে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাকে চাপ দেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা শহরের ইসলামপুরে তার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হয়।
পরে ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা (মামলা নম্বর: ৪১, জি.আর. নম্বর: ৮৫০/২৪) দায়ের করেন মওদুদ। এই মামলায় ৮ জন এজহারভুক্ত এবং আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। পুলিশ ও যৌথবাহিনী একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময়ে পরোক্ষভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থেকে মামলা প্রত্যাহার ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি ২০২৫ সালের ৯ জুলাই অপরাধীরা নতুন একটি মোবাইল নম্বর (০১৩৪২-৭১৩৮১২) থেকে ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে মওদুদকে প্রাণনাশ, অশ্লীল ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং তার বাসার পানির ট্যাংকিতে বিষ মিশিয়ে হত্যার পরিকল্পনার কথা জানায়।
এছাড়া, গত বছরের ৪ আগস্ট টিক্কাচর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা (দ্রুত সিআর ৩৬/২৪) দায়ের হলে তদন্তে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন অপরাধের প্রমাণ মেলে। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে, আসামিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেক আইডি খুলে মওদুদকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে এবং তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব ঘটনায় গত ২৯ মে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় আবারও অনলাইনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জিডি (নং: ২২৪২) করেন মওদুদ।
এই জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে ৭ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একটি নন-এফআইআর মামলা (নন-জিআর নং: ২০/২৫) রুজু করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি হলেও তারা তা গ্রহণ না করে আদালত অবমাননা করছে। ইতোমধ্যে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রস্তুতি নিয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুহিনুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিক মওদুদের দায়ের করা একাধিক মামলা ও জিডির বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে এবং অপরাধীদের চক্রটি আইনের আওতায় আনতে পুলিশ হার্ডলাইনে রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক মামলা রয়েছে এবং এসব মামলার তদন্তে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে দ্রুত বিচার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ এই স্লোগান নিয়ে কুমিল্লায় শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। এই সপ্তাহ চলবে আগামী ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
সোমবার (১৮আগস্ট) জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে উদ্ভোদন, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
এই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল মালিক।
অনুষ্ঠানটি জেলা মৎস্য দপ্তরের সহকারী পরিচালক অশোক কুমার দাস সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলার মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুদীপ্তি পাল।
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার বলেন, মৎস্য সেক্টরের অবদান জিডিপিতে যুক্ত আছে। আমিষের চাহিদার ৬০ শতাংশ মাছ থেকে আসে। আমরা বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষে নজর দিচ্ছি। সমুদ্রেও মাছ চাষের অপার সম্ভাবনা আছে। মাছ উৎপাদনে কুমিল্লা জেলা সারাদেশে দ্বিতীয়। কুমিল্লায় চাহিদার দ্বিগুণ বেশি মাছ উৎপাদন হচ্ছে। গত এক বছরে দুই হাজার মৎস্যচাষীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তিন হাজার মৎস্য চাষীকে পরামর্শ দেওয়া হয়।
এ বছর পুরস্কার পেয়েছেন কুমিল্লার চান্দিনার যুগপুকুরিয়া এলাকার মো সহিদুল ইসলাম, চৌদ্দগ্রামের বাহেরগড়া এলাকার পাটোয়ারী বহুমুখী এগ্রো ফিসারীজের স্বত্বাধিকারী বায়েজীদ হোসেন পাটোয়ারী, দাউদকান্দির সিংগুলা এলাকার রহমত ফিসারীজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ রহমত আলী।
সম্মাননা পেয়েছেন বুড়িচং উপজেলার কোরপাই এলাকার আগাতা ফিড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রেমাংশু বিকাশ ভৌমিক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মকিমপুর এলাকার আর কে ফিড এন্ড পোল্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো রেহান উদ্দিন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার
(২৯ ফেব্রুয়ারী) দুপুরবেলা কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ এর খাসকামরায় কুমিল্লা সিভিলকোর্ট
কমিশনারদের মাঝে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) বিতরণ করা হয়।
এসময়
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ আরমান হোসেন (মোশারফ) ও সাধারণ
সম্পাদক কাজী মোঃ জাকির হোসেনসহ সিভিলকোর্ট কমিশনারদের হাতে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড)
তুলে দেন সদ্য বিদায়ী কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন। এসময়
উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট মোঃ আহছান উল্লাহ খন্দকারসহ
কুমিল্লা সিভিলকোর্ট কমিশনার এসোসিয়েশনের সকল সদস্যগণ।
এসময়
জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হেলাল উদ্দিন বলেন- এ পরিচয়পত্র গুলো আমার স্বাক্ষরিত আপনারা এমন
কোন কাজ করবেননা যে আমার সন্মান ক্ষুন্ন হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এই শ্লোগানে ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার জিংলাতুলি ধীতপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যানার হাতে ঝটিকা মিছিল করে বেশ কিছু নেতা-কর্মী। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা-কর্মীরা সরকার বিরোধী মিছিল ও শ্লোগান দিয়ে অপরাধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্ন করে সরকারের প্রতি জনমনে ঘৃনা ও আতংক সৃষ্টি করার অপরাধ করে তারা। ওই ঘটনায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনে আওয়ামী লীগের ২১ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন দাউদকান্দি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর আহমেদ ।
মঙ্গলবার রাতে দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় ৩জন এবং এর আগে মিছিল থেকে চারজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা সোহেল মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ফয়সাল এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ কর্মী ৪জন । আজ ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, নাশকতার অভিযোগে তাদেরকে গ্রেপ্তাকৃত সাতজনকে আজ বুধবার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভাষাসৈনিক ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সমাজসেবক মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
পরিবারসূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার হাজতখোলা এলাকার শিকারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ অনুভব করেন এবং রাত ১২টার দিকে হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স ৯০ উর্ধ্ব। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, আট ছেলে ও তিন মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী-শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।
মরহুমের ছেলে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক এডভাইজার এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোঃ জামাল নাছের জানান, ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরি হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। তাছাড়া লালমাই কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এলাকাবাসী জানান, শিক্ষা বিস্তারে মরহুম তাজুল ইসলাম ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। এলাকার অসহায় মানুষের জন্য তাঁর দানের হাত সবসময় প্রসারিত ছিলো। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের বীর সেনা ছিলেন। কুমিল্লা নগরীর ভাষা চত্বর শহীদ মিনারে মোঃ তাজুল ইসলাম শিকারপুরির নাম রয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
পরিবার সূত্র আরো জানায়, আজ বিকাল তিনটায় হাজতখোলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের প্রথম জানাযা এবং বিকেল পাঁচটায় শিকারপুর সেকান্দর আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করন এবং দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার সকাল ১০ টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত নয়টি পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হলেও, বিক্ষোভ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পরবর্তীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করনের জন্য প্রস্তাবিত হয়ে। এছাড়া দীর্ঘদিব সড়কটিতে খানাখন্দ হলেও সেটি মেরামত করা হচ্ছে না। চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই আমরা চাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হোক।
এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, সড়কটি সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত হলো দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণহানি সহ মানুষের অঙ্গ হানি হচ্ছে। তাই সড়কের নিরাপদ করতে দ্রুত মেরামত করা দরকার। আমাদের দাবি মেনে নেয়া হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
দেবপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, যুবদল নেতা মোস্তফা কামাল, সমাজকর্মী আনোয়ারুল আজিম, হারুনুর রশিদ মেম্বারসহ অন্যান্যরা।
এদিকে মহাসড়কের দেবপুর এলাকায় এসে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করার আশ্বাসে দেবপুর এলাকা সহ অন্যান্য এলাকা থেকে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়া হয়।
এ সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লাইনে উন্নীত করনের কাজ সরকারের ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে সড়কটি মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘ ৩২ বছরের চাকরিজীবনের ইতি টানেন চান্দিনা থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মো. অহিদ উল্যাহ। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় সহকর্মীরা তাকে দিয়েছেন রাজকীয় বিদায়। মো. অহিদ উল্যাহকে থানা থেকে ফুল সজ্জিত গাড়িতে করে বাড়ি পৌঁছে দেন সহকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চান্দিনা থানায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মো. অহিদ উল্যাহ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ গ্রামের আব্দুল মান্নান মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৯৩ সালে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী উপপরিদর্শক পদ লাভ করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিজীবনের সায়াহ্নে এসে নিজের পার্শ্ববর্তী থানা চান্দিনা থানায় কর্মরত ছিলেন।
সহকর্মীদের এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে অহিদ উল্যাহ জানান, বাংলাদেশ পুলিশে দায়িত্ব পালন করতে পেরে আমি গর্বিত। এই ইউনিফরম আমার পরিচয়, আর মানুষের সেবা ছিল আমার অঙ্গীকার। সহকর্মীদের ভালোবাসা ও সম্মান আমার জীবনের বড় প্রাপ্তি।
বিদায় অনুষ্ঠানে ওসি জাবেদুল ইসলাম জানায়, মো. অহিদ উল্যাহ একজন সৎ ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। তার পেশাদারি এবং সদাচরণ আমাদের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন