শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক মো. আলা উদ্দিন আল মামুন সব সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য পাঠানো নির্দেশনাটিতে আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ আগামী ২ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই সম্পন্ন করতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তিত তারিখ পাঠিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাদের ভোটগ্রহণের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন , দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং কর্মকর্তা। মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে স্কুল-কলেজের শিক্ষক, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছে ।
মন্তব্য করুন
থাইল্যান্ড,কুয়েত, সুইজারল্যান্ড, ও পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার রাতে এসব নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আদেশে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল মো. আশিকুজ্জামানের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিত করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ১৭ নভেম্বর থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য তাকে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইকে তার অবসর উত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৯ ডিসেম্বর অথবা যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস মেয়াদে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সুফিউর রহমানকে ১ ডিসেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য জেনেভায় জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা সুলতানা লায়লা হোসেনের অবসর উত্তর ছুটি এবং এ সংক্রান্ত সুবিধা স্থগিতের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২৫ ডিসেম্বর বা যোগদানের তারিখ থেকে ছয় মাসের জন্য পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূত পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মহিষের উৎপাদন বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, একসময় কৃষি কাজে প্রাণী হিসাবে মহিষকে
বিবেচনা করা হতো আর এখন মহিষ মাংস ও দুধ দিয়ে আমাদের আমিষ ও প্রোটিনের চাহিদা পূরণ
করে যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার
(২৫ অক্টোবর) সকালে সাভারের বিসিডিএমে ১১তম এশিয়ান বাফেলো কংগ্রেস-২০২৪ এর উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
প্রফেসর ওমর ফারুকি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে
বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের
মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,ইন্টারন্যাশনাল বাফেলো ফেডারেশনের মহাসচিব অ্যান্তনিও
বর্গোসি, এশিয়ান বাফেলো এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ড.অশোক কুমার বালহারা, ড.যাদব,
ড.হিরন্ময় বিশ্বাস প্রমুখ।
মহিষের গুরুত্ব উল্লেখ করে উপদেষ্টা
ফরিদা আখতার আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ
ও বৈচিত্র্যময়। মহিষ পালন গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং দুধ ও মাংস উৎপাদনে
মহিষ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ভোলার চড়ে
হাজার হাজার মহিষ পালন করে মহিষের দুধের দই তৈরি হচ্ছে।
বক্তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশেষ করে
বাংলাদেশে মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানালে উপদেষ্টা
বলেছেন, ইতিপূর্বে পলিসি লেভেলে মহিষ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে
কিভাবে মহিষের উৎপাদন বাড়ানো যায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে বিভিন্ন
পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
মহিষসহ গবাদি পশুর উপর জলবায়ু পরিবর্তনের
প্রভাবকে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মহিষ পালন বিভিন্ন
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড হ্রাসে অবদান রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, উন্নত
বিশ্ব মহিষের উৎপাদন বাড়িয়ে দুধ সরবরাহ বৃদ্ধি ও পুষ্টির যোগান দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ইতালিতে মহিষ ফার্মিং অত্যন্ত সফল এবং লাভজনক একটি
খাত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশেও মহিষ ফার্মিং করার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
ইতালির মহিষ ফার্মিং মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশেও মহিষ পালনের মাধ্যমে লাভবান হওয়া সম্ভব।
মন্তব্য করুন
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন
আগে গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে International Convention for the Protection of
All Persons from Enforced Disappearance (ICPPED) যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের
সভায় গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে সই করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক
সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে
এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য
হলো: গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের
সহায়তা দেওয়া।
মন্তব্য করুন
এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না। এ জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবার তো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবারে বাড়তি র্যার, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই বাজার একটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করেন তিনি। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে, সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি কিন্তু বাড়েনি। মনে রাখতে হবে, দেশের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা এই কৃষিক্ষেত্রের। কৃষির উন্নতির জন্য কাজ করছে এই ইনস্টিটিউট।’
এ সময় উপস্থিত
ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ ইউছুব আখন্দ, কৃষি সচিব মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
হারানো অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি জানান,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আনুমানিক ৭০০ অস্ত্র উদ্ধার এখনো বাকি রয়েছে।
আজ রোববার (১০
আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা
সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো
অস্ত্রগুলো উদ্ধার করতে আমরা একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি৷ যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো
অস্ত্রের সন্ধান দিতে পারবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত একটি কমিটি
গঠন করা হবে, যা পরবর্তীতে মিডিয়ায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
গাজীপুরে সাংবাদিক
তুহিন হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক৷ এ ধরনের
ঘটনা ঘটুক সমাজে কেউ চিন্তাও করতে পারে না৷ জাতি হিসেবে আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি৷
আগে সমাজে কোনো খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ত সেটা প্রতিহত করার জন্য৷ কিন্তু আজকাল
সেটা খুব কমে গেছে৷ এখন সবাই ভিডিও করে৷ অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব৷ সবসময়
সব জায়গায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকেন না৷ সে সময় উপস্থিত জনতারই
প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রতিরোধ বা প্রতিহত করা উচিত। উপদেষ্টা এ সময় গাজীপুরের ঘটনায়
জড়িতদের বেশিরভাগকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান।
নিউমার্কেট থেকে
১১০০ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব অস্ত্র যারা তৈরি করেন, তাদের আরও
সতর্ক হতে হবে। তারা জানে- কারা এসব ব্যবহার করছে। যারা এগুলো করছে তাদের আইনের আওতায়
আনা হয়েছে।
উপদেষ্টা আরও
বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নয়। এর
সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সর্বোপরি জনগণ। আশা করি, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ
নির্বাচন উপহার দিতে পারব। উপদেষ্টা এ সময় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসারের
নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রসহ একজন বাড়তি আনসার সদস্য (গানম্যান) নিয়োজিত থাকার সিদ্ধান্তের
কথা জানান।
ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, পিএসসি প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি ডাকাতদলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের চর রাসেল এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৬টি দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: ডাকাত সর্দার মো. মোফাজ্জল (৫৫) এবং তার সহযোগী আব্দুল বাতেন (৬৫)।
তারা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মধুচৌধুরি হাট ও মধ্যের চর রমনীর বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ইলিশা এলাকায় মেঘনা নদী এবং তৎসংলগ্ন চরে কুখ্যাত রাসেল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মো. মোফাজ্জল এবং আব্দুল বাতেন স্থানীয় জনসাধারণ এবং জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড এসব এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ইলিশার চর রাসেল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাসেল বাহিনীর দুই সক্রিয় ডাকাতকে ১টি পিস্তল, ৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ১টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।
পরে জব্দ করা অস্ত্রগুলোসহ আটককৃতদের ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে রাখায়, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় সাদিক অ্যাগ্রোতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএসিসি)।
অভিযানে সাদেক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে ভিতরে থাকা পশু ফার্মটি থেকে। বুলদোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের অবৈধ অংশের স্থাপনা। অভিযানটি পরিচালনা করছেন ডিএনসিসির মোতাকাব্বীর আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন ডিএনসিসির প্রচুর পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
স্থানীয়রা জানান, সাদিক অ্যাগ্রোর বেশ কিছু গরু-ছাগল বুধবার রাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাস্তার ওপরে তাদের প্যান্ডেলসহ অস্থায়ী স্থাপনা ছিল সেগুলোও সরিয়ে নিয়েছে তারা।
আলোচিত এই সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশু খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জানিয়েছে,বাংলাদেশি ভোটার বিদেশে বসবাস করলেও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।
সম্প্রতি এ নিয়ে ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি হয়েছে যাতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের বিধান রয়েছে।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের জন্য আবেদন:প্রবাসী ব্যক্তি ভোটদানের জন্য কমিশনের ঘোষিত সময়সূচির প্রজ্ঞাপন ঘোষণার দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের জন্য রিটার্নিং অফিসারের নিকট বিধি অনুসারে আবেদন করতে পারবেন।বিধান অনুযায়ী পোস্টাল ব্যালটে ভোট প্রদান সংক্রান্ত রিটার্নিং অফিসার স্থানীয়ভাবে প্রচার করবেন। আর বিদেশে অবস্থিত দূতাবাস, হাইকমিশন ও মিশনসমূহ থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পদ্ধতিগতভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর করণীয়: রিটার্নিং অফিসার উল্লিখিত আবেদন প্রাপ্তির পর পরই সংশ্লিষ্ট ভোটারের নিকট একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার এবং তার সঙ্গে একটি খাম পাঠাবেন। এই খামের ওপর ভোটার থেকে যথারীতি পূরণকৃত খামটি ডাক বিভাগের উপযুক্ত কর্মকর্তার দ্বারা সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে প্রেরণের প্রত্যয়নসহ তারিখ উল্লেখ থাকবে। সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ এবং চিঠির ওপর এ সম্পর্কে রাবার স্ট্যাম্পের সিল ব্যবহার করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ডাকযোগে ভোটদানের যোগ্য ব্যক্তিদের নিকট পোস্টাল ব্যালট পেপার প্রেরণ করবেন।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের নিয়ম: যার নিকট ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হবে তার নাম, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাম এবং ভোটার তালিকায় বর্ণিত ক্রমিক নম্বর ইস্যুকৃত ব্যালট পেপারের মুড়িপত্রে লিপিবদ্ধ করবেন।) উল্লিখিত ভোটার সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোট প্রদান করতে পারেন তা নিশ্চিত করবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্তৃপক্ষকে ডাকযোগে ব্যালট পেপার প্রেরণ ও প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করতে হবে ।
মন্তব্য করুন
আজ (১১ নভেম্বর ৪)
আর্টিলারি সেন্টার এন্ড স্কুল (এসিএন্ডএস), হালিশহর, চট্টগ্রামে রেজিমেন্ট অব
আর্টিলারির ৪৩তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন ২০২৪ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
ছিলেন সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি,
পিএসসি। সেনাবাহিনী প্রধান আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল এ পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি
ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার,
চট্টগ্রাম এরিয়া এবং কমান্ড্যান্ট, আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল অভ্যর্থনা জানান।
বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে
সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির অধিনায়ক ও অন্যান্য
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির
গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সেই সাথে
আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির সকল সদস্যদের
প্রতি আহবান জানান।
এছাড়া, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে সেনাবাহিনী প্রধান এ রেজিমেন্টের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান নবগঠিত 'আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোর' হতে জ্যেষ্ঠতম ইউনিট অধিনায়ককে সোল্ডার টাইটেল ও ক্যাপ ব্যাজ দ্বারা অলংকৃত করেন।
এছাড়াও, তিনি পরিচালক, এডহক
আর্মি এয়ার ডিফেন্স পরিদপ্তর এর নিকট নবগঠিত 'আর্মি এয়ার ডিফেন্স কোর' এর পতাকা
হস্তান্তর করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ, বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর সকল আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডারগণ, আর্টিলারি ইউনিটসমূহের অধিনায়কগণ
এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, সেনাবাহিনী প্রধান
চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিংক রোড সংলগ্ন খিল্লাপাড়ায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট
আর্মি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই
হাসপাতাল নির্মাণ সুদক্ষ চিকিৎসক তৈরীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য
এবং তাদের পরিবারবর্গের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে
জিওসি, আর্টডক; জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ;
আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ, চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফ্যাকাল্টিগণ,
ছাত্র-ছাত্রী ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমনে এবং বোরোতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩ কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টন। তারই মধ্যে আমনে ১ কোটি ৭০ লাখ ও বোরোতে ২ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।
সম্প্রতি সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলমান ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমন ধান কাটা চলছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৮২ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এবার ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এ বছর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমনে প্রায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টন আর ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছিল।
আসন্ন বোরো মৌসুমে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৫০ লাখ ৪০ হাজার হেক্টর ও ২ কোটি ২২ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণে ২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো চাল আমদানি করার প্রয়োজন হয়নি। প্রায় সাড়ে ২৯ লাখ কৃষকের মাঝে ১৯৮ কোটি টাকার সার, বীজসহ বিভিন্ন প্রণোদনা বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন