পুলিশ রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ঘুড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে । এদের মধ্যে চারজনের বয়স কম হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আর বাকি দুইজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আলামিন ও আতিকুর রহমান।
এছাড়া চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কাফরুল থানা পুলিশ জানায়, গত বুধবার মিরপুরের কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারে ঘুড়ি আটকে প্রায় ৪০ মিনিট ট্রেন চলা বন্ধ ছিল। বিষয়টি সমাধানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করে ডিএমপির কাফরুল ও মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। এদের মধ্যে চারজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরিবারের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল থেকে অনুরোধ করা হচ্ছিল - মেট্রোরেলের রুট অ্যালাইনমেন্ট ও পার্শ্ববর্তী এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে ঘুড়ি, ফানুস ও গ্যাস বেলুন ইত্যাদি বা অনুরূপ কোনো বস্তু না ওড়ানোর । পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জনস্বার্থে বিশেষভাবে ডিএমপি কমিশনারকে অনুরোধ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ডিএমপির কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম এ বিষয়ে জানান, আটক দুজনকে ডিএমপি অধ্যাদেশে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের রামু উপজেলায়
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ইউনিয়নের পশ্চিম
রাজারকূল মৌলভী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
দুই শিশুর ব্যাপারে জানা
যায় তারা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ।
মৃত মো. রিহাব (৭) ও মারিয়া
(৫) পশ্চিম রাজারকূল মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সন্তান।
স্থানীয়দের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান
মুফিজুর বলেন, “সন্ধ্যার ঠিক আগে বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল
রিহাব ও মারিয়া। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের রেললাইনের সেতুর দিকে চলে যায়। সন্ধ্যার
পরেও দুই ভাই-বোন বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের
সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে হাসমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে
রেললাইন সংলগ্ন একটি সেতুর মুখে পানিতে ভরে থাকা গর্তে জাল ফেলেন। এ সময় দুই ভাই-বোনের
মৃতদেহ জালে উঠে আসে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
বলেন, রেললাইন ও সেতু নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের
সময় ওই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। আর ওই পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, গর্ত বা কূপের পানিতে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের লাশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।
বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।
নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।
মন্তব্য করুন
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় নিষিদ্ধ নেশার বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ আব্দুর রশিদ (৪৫) এবং আজিজুল ইসলাম (৪৪) নামে দুই মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
বুধবার জেলার দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা মাঠ এলাকা থেকে এবং চুয়াডাঙ্গা শহরের স্টেশন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আব্দুর রশিদ দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মাঝেরপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং আজিজুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে আব্দুর রশিদের কাছ থেকে ৩শ অ্যাম্পুল এবং আজিজুল ইসলামের কাছ থেকে ১’শ এ্যাম্পুল ভারতীয় বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
অপর একটি অভিযানে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ পিচ বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজিজুলের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত হিলি সীমান্ত থেকে মাদক নিয়ে আনার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স গোপন সংবাদরে ভিত্তিতে দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি সড়কের পাটাচোরা মাঠে অভিযান চালায়। এ সময় ব্যাটারিচালিত চলন্ত একটি ইজিবাইকের গতিরোধ করে আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করেশ। গ্রেফতার আব্দুর রশিদের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশন উদ্ধার করা হয় ও চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মৃত কাশিম মন্ডলের ছেলে আজিজুল ইসলামের নিকট থেকে ১’শ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বলেন, আব্দুর রশিদ একজন চিহ্নিত মাদক কারবারি। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা ছদ্ববেশে ক্রেতা সেজে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে অভিযান চালিয়ে ৩শ’ অ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইনজেকশনসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, আব্দুর রশিদসহ আরও বেশ কিছু ব্যক্তি মাদক কারবারির সাথে জড়িত আছে।
চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলাসহ গ্রেফতার আব্দুর রশিদকে দামুড়হুদা মডেল থানায় ও আজিজুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গা সদর থািনায় নিয়মিত মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও র্যাব-১ এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নাশকতার অভিযোগে নয়জন আটক করা হয়েছে। তবে রেলের ঠিক কোন কোন ঘটনায় তারা জড়িত সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখনো জানায়নি র্যাব।
বিমানবন্দর রেলস্টেশনে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ বলেন, বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
সম্প্রতি নেত্রকোনা থেকে তেজগাঁও রেলস্টেশনে আগত একটি ট্রেনের বগিতে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় একজন মা-শিশুসহ ৪ জন নিহত হোন। তারই ধারাবাহিকতায় র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সহযোগিতায় সন্ধ্যা থেকে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আটকরা সামান্য কিছু উৎকোচের বিনিময়ে চলমান হরতাল অবরোধকে কেন্দ্র রেললাইন ও ট্রেনে নাশকতা করতো। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি- এরা কোন কুচক্রী মহলের হয়ে স্বল্প টাকার বিনিময়ে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে থাকে। তারা বিভিন্ন জায়গাতে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক আরো বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমরা রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবো। যতক্ষণ পর্যন্ত ট্রেনের যাত্রীরা নিরাপত্তা নিশ্চিত অনুভব না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ভবিষ্যৎতে ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা আছে কি না এবং বাড়তি কী ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মোসতাক আহমদ বলেন, প্রথমে বাস-ট্রাকের ওপরে অগ্নি-সন্ত্রাস ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি সময়ে তা রেলের ওপরেও এসেছে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।নাশকতাকারীরা এ ধরনের কাজ করে কখনো রেহাই পাবে না। বিভিন্ন রেলস্টেশনে আমাদের সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছে। ট্রেন আসা ও যাওয়ার সময় নজরদারি করা হচ্ছে।
ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, আমরা আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করবো। সেই সঙ্গে আমাদের অভিযান অব্যাহত। আমরা মূলহোতা কিংবা অগ্নিকাণ্ডে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করলে আপনাদের জানবো।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুন চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই রেলের যাত্রী ছিলেন। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুরে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার পর আত্নগোপনে থাকা ঘাতক স্বামীকে
বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর র্যাব-৬।
শুক্রবার ভোরে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার বেনাপোল ডিগ্রী কলেজ এলাকায় বসবাসরত
তার আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ইব্রাহিম প্রধানিয়াকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা
হয়েছে বলে জানান যশোর র্যাব-৬ কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
আটক ইব্রাহিম প্রধানিয়া চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ থানার বকচর গ্রামের আব্দুল
মোতালেব প্রাধানিয়ার ছেলে।
মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ
থানা এলাকায় স্বামী ইব্রাহিম প্রধানিয়া তার স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে (২৩) শারীরিক নির্যাতন
করে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। চাঞ্চল্যকর ও স্পর্শকাতর এই হত্যাকান্ডের
বিষয়ে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকান্ডের
সাথে জড়িত ভিকটিমের শাশুড়ী মামলা রুজুর পরপরই গ্রেফতার হলেও মূল অপরাধী ঘাতক স্বামী
ঘটনার পরপরই নিজেকে আত্মেগোপন করে। ঘটনাটি স্পর্শকাতর ও হৃদয় বিদারক হওয়ায় উক্ত ঘটনায়
সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ণ সৃষ্টি করে এবং আলোচিত হত্যাকান্ডের মূল অপরাধী ঘাতক স্বামীকে
গ্রেপ্তারের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সহযোগীতা চান।
স্পর্শকাতর এই ঘটনার মূল পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তারে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের গোয়েন্দা
তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে
এবং সে আরো জানায়, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল
ডিগ্রী কলেজ এলাকায় বসবাসরত তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপনে ছিলেন।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে মামলার তদন্তকারী
কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত
আহমেদ শুক্রবার প্রথম প্রহরে (রাত ১২ টার পর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বলেছেন, বাঙালি জাতি সত্ত্বার
একটি প্রাথমিক স্তম্ভ একুশ। ব্যক্তিগতভাবে এক আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে আমার একুশের
সঙ্গে। আমার মা একজন ভাষা সৈনিক, ভাষা কন্যা।
সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের
নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ কেন্দ্রীয় শহীদ
মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের বীর
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় দেশের ভাষা আন্দোলনে
শহীদদের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়, এবং জাতির গৌরবোজ্জ্বল ভাষা আন্দোলনের
ঐতিহ্যকে ধরে রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রধান বিচারপতির মা বাংলাদেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অবদানের জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন। ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী থাকাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারীদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম।
মন্তব্য করুন
এহসান আহমেদ (৩০) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া এলাকার আব্দুর রবের ছেলে যিনি নিজেকে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের গ্রিনকার্ড হোল্ডার ও পিএইচডিধারী এবং দেশের একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকের সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতেন।
এহসান টার্গেট করতেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উচ্চবিত্ত পরিবারের তরুণীদের । বিশেষত যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেতে ইচ্ছুক এমন তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হতেন। এরপর সরাসরি দেখা করতেন। দেখা করার সময় নিজের পরিচয় বিশ্বাসযোগ্য করতে ভালো বেশভূষা ও নামিদামি গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যেতেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়নরত এক তরুণীকে টার্গেট করেন এহসান। কানাডায় স্ত্রী হিসেবে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে গড়ে তোলেন প্রেমের সম্পর্ক। নানা কৌশলে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। এরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। সেসব ছবি-ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ও পরিচিতদের কাছে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন এহসান।
এ ঘটনায় সম্প্রতি রাজধানীর মুগদা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রমনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এহসানকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান,তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সাবেক এক ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয় প্রতারক এহসানের। তিনি নিজেকে কানাডা প্রবাসী, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ও বড় শিল্পপতি পরিবারের সন্তান পরিচয় দেন। তাদের গুলশানে বাড়ি ও বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে এমন তথ্য দেন। এসব পরিচয় ব্যবহার করে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। প্রেমের সুযোগে ভুক্তভোগী তরুণীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও। পরে সেগুলো সামাজিক মাধ্যম ও স্বজনদের কাছে প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এর আগেও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ফারদিন ও সাকিবের মতো এ ধরনের অনেক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। এসব প্রতারক নিজেদের মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সচিব, বড় ব্যবসায়ীর সন্তান দাবি করে মেয়েদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নামিদামি বাড়ি-গাড়ির প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক ও আর্থিকভাবে প্রতারণা করে আসছিলেন , গ্রেফতার এহসান পড়াশোনা না করেও নিজেকে পিএইচডিধারী পরিচয় দিতেন। এমনকি কোনোদিন বিদেশে না যাওয়া এহসান বলতেন তার কানাডায় গ্রিনকার্ড রয়েছে। বিভিন্ন তরুণীকে কানাডায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখাতেন। গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর আমরা এখন পর্যন্ত তার শতাধিক নারীকে ফাঁদে ফেলার তথ্য পেয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ বড়লোক, ব্যবসায়ী বা সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিলে যাচাই করা উচিত। এছাড়া অনলাইনে বন্ধুত্বের নামে ব্যক্তিগত ছবি আদান-প্রদানে সতর্ক হতে হবে। তবে কেউ যদি কারও মাধ্যমে প্রতারিত হন তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন
হঠাৎ ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হলে শুক্রবার (১৪ মার্চ) ভোরে কর্মস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলার অবনতি ছাড়াও তার নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছিল।
এদিকে ওসির কর্মস্থল ত্যাগের খবর দেরিতে পেয়ে কমপক্ষে ৩০ জন পাওনাদার বিচ্ছিন্নভাবে থানায় এসে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, নান্দাইল থানায় ওসি হিসেবে গত ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর যোগ দিয়েছিলেন ফরিদ আহম্মেদ। এর পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক রাতেই তুচ্ছ ঘটনায় পাঁচটি অভিযোগ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রেকর্ডভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে এ ওসির বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি চুরি ছিনতাইসহ আইনশৃঙ্খলার
মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে পুরো উপজেলার আনাচে-কানাচে ইয়াবার কারবার, গ্রেপ্তার
বাণিজ্য চলছিল নির্বিঘ্নে।
বিভেদপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না নান্দাইল থানার ওসি ফরিদ আহম্মেদ। অন্যদিকে মামলা নেওয়ার নামে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছিল নিয়মিত।
এমন অবস্থায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে তাকে প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠি পেয়ে ওসি ফরিদ সবকিছু গুছিয়ে আজ শুক্রবার ভোরে চলে যান জেলা শহর ময়মনসিংহে।
এসব বিষয়ে জানতে প্রত্যাহার হওয়া ওসি ফরিদ আহম্মেদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
জানতে চাইলে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘ওসির কাছে সাধারণ লোকজন টাকা পায়, এটি খুবই দুঃখজনক।’ এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
আর এক রাতে ৫টি মামলা রেকর্ডভুক্ত
হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে তো দুটির কথা বলা হয়েছিল। বাকিগুলো তো
জানাননি।’
মন্তব্য করুন