খুলনার পাইকগাছায় মরা গরুর মাংস বিক্রয়ের অভিযোগে ৪ কসাইকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
সোমবার (৩ জুন) সকালে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ মে উপজেলার কুমখালী গ্রামের রমেশ বৈদ্যের দুটি গরু অসুস্থ হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় একটি গরু সুস্থ হলেও অন্যটি মারা যায়। সেই মরা গরুটি রমেশ বৈদ্যের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয় গড়ইখালী ইউপির আল আমিন মোড়ে কসাই ইলিয়াস গাজী ও তার সঙ্গীরা।
পরে ওই মাঠে জবাই করে ভ্যানযোগে দোকানে নিয়ে গিয়ে ৫শ টাকা দরে ২০ জনের নিকট বিক্রি করে। পরে মরা গরু জানাজানি হলে খবর পেয়ে ১০ মে উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরা গরুর মাংসের প্রমাণ পেয়ে পচা মাংস জব্দ করেন ও কেরোসিন দিয়ে পুড়িয়ে বিনষ্ট করেন।
এ ঘটনায় কসাই ইলিয়াস গাজী, খানজাহান গাজী ওরফে খানজে, জাকির সানা, মোকছেদ গাজীর নাম উল্লেখ করে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ধারায় মামলা করেন। মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের ৩ জুন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য
পরিদর্শক উদয় কুমার মন্ডল জানান, অনিরাপদ খাদ্যদ্রব্য যারা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন করলে
তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই অভিযান অব্যাহত
থাকবে।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকার শীতার্ত অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব চত্বরে কম্বল বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, দেশবন্ধু গ্রুপের আবাসিক পরিচালক মইনুল ইসলাম লাল, দেশবন্ধু গ্রুপের সাহেরা অটো মিলের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক ফারুক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খ,ম আতাউর রহমান বিপ্লব, টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ইউনুছ আলী, সাংবাদিক রেজাউল করিম রেজা, বাদশা সৈকত, ওয়াহেদুজ্জামান তুহিন প্রমূখ।
এসময় তিন শতাধিক মানুষের মাঝে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ফকিরবাজার এলাকায় অপরাধী চক্রের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী।
আর সে টর্চার সেল থেকে দেশীয় অস্ত্র ও এলজিসহ সালাউদ্দিন খান (৩৮) নামে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী।
২৩ বীর সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম স্টেশনের কর্মকর্তা মেজর মাহিন জানান, সালাউদ্দিন খানসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষকে জোরপূর্বক ধরে এনে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো। টর্চার সেলে অস্ত্র মজুত রাখা ও নির্যাতনের অভিযোগটি আগেই আমরা পেয়েছি। পরে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়। রোববার রাতে উপজেলার ফকির বাজারে রিয়াজ হুসাইন কামালের ‘লন্ডন বাড়ি'র টর্চার সেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী। এ সময় অস্ত্রসহ মূল হোতা সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়। তবে সালাউদ্দিনের সহযোগীরা সেনাবাহিনীর অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সালাউদ্দিন খান স্বীকারোক্তি দিয়েছে। মানুষকে টার্গেট করে টর্চার সেলে এনে জিম্মি করতো তারা। নির্যাতন চালিয়ে আদায় করতো অর্থ। সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চৌদ্দগ্রাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত সালাউদ্দিন চৌদ্দগ্রাম থানার গুণবতী কালিয়াতর (বিষ্ণুপুর) গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
প্রচন্ড শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গরিব-অসহায় শীতার্ত মানুষ। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন সমাজের ছিন্নমূল মানুষেরা। গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের শীতের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী।
ঢাকা পিজি হাসপাতালের রেন্ট কালেক্টর ইনচার্জ মো. সাজেদুল হাসান কামালের উদ্যোগ ও সার্বিক তত্ত্ববধানে শুক্রবার রাতে উপজেলার সফিবাদ নূরানীয়া হাফিজিয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ও এতিখানা এতিম শিশুদের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শীতের কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী। শীতের রাতে কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে এতিম ও অসহায় শিক্ষার্থীদের মুখে।
এসময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম,এতিমখানার সভাপতি ডা. মো. সফিকুল ইসলাম লনী,বিএনপি নেতা মো. জুয়েল,বাবুল হোসেন,মহসিন মোল্লা,জামাল মোল্লা ও রুবেল বেপারী অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, হঠাৎ শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের প্রকোপে সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষের অবর্ণনীয় কষ্ট হচ্ছে। শীতার্ত কোনো মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেজন্য কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মোঃ জামাল হোসেন, শাহরাস্তি প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের উদ্যোগে ২০২৪ মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পৌর ১২নং ওয়ার্ডের নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের আয়োজনে বিভিন্ন শ্রেণীর ৪০জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সভাপতি মোঃ জানে আলম ও সদস্য মোঃ রাতুলের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক লুৎফুন্নাহার, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান, সরোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ কবির হোসেন, অভিভাবক সদস্য মোঃ মহসিন, মোঃ আলমগীর হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আয়োজক সূত্রে জানায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের সদস্য প্রবাসী মোঃ আরিয়ান ফরহাদ, মোঃ শরীফ, সাহারাজ, শাওন, মোঃ নিলয়, হৃদয় হাসান, রায়হানের সার্বিক সহযোগিতায় শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মোঃ রাহাদ, মোঃ রাতুল, মোঃ সোহরাব,মোঃ বিকনসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি জানে আলম জানায়, প্রতিবছরের ন্যায় নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাব বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন। এলাকায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করে থাকেন, অসহায় হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন বলে জানান এবং এ সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নোয়াগাঁও টাইগার ক্লাবের ধারাবাহিকতা সবসময় অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
গতকাল টানা দ্বিতীয়বার সাফ চ্যাম্পিয়ন
হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ
সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ট্রফি নিয়ে দেশে পা রাখেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা। এরপর সংবাদ সম্মেলন
শেষে ছাদখোলা বাসে শুরু হয় বিজয় প্যারেড। এই বাসে করে বাফুফে ভবনে যাবেন মেয়েরা।
আগেরবারের মতো এবারও তাদের ছাদখোলা
বাসে সংবর্ধনা দিচ্ছে বাফুফে। চ্যাম্পিয়নদের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে বাস।
এবার নারী ফুটবলারদের জন্য বাসের ব্যবস্থা
করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
এর আগে গতকাল দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে
আসরের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফের শিরোপা ধরে রাখে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামের উলিপুরে
ব্রহ্মপুত্র নদের ঘাট এলাকা থেকে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে তাদের আটক
করা হয় এবং রোববার দুপুরে মাদক মামলায় কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শনিবার
রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল উলিপুর উপজেলার হাতিয়া
ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে বাবুর চর ঘাটের পাশ থেকে মশালের চর গ্রামের একাধিক
মাদক মামলার আসামি মাদক কারবারি সরবেশ মন্ডল রফিক ওরফে দরবেশ (৩০) এবং মুসা
মিয়া (১৯) এ দুজনকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের মাদক পরিবহনে
ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ করা হয়। পরে তাদের নামে উলিপুর থানায় একটি মাদক
আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ২৪
ঘন্টায় জেলায় পুলিশ বিভিন্ন মামলায় ২০জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত সকল
আসামীকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মন্তব্য করুন
ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে আজ শুক্রবার
(২০ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারের পশ্চিমে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে গাড়ি চালকদের বিশ্রামাগারের পাশে রাস্তার উপর গৌরিপুর-হোমনা অভিমুখী নিউ একতা সার্ভিস
বাস তল্লাশী করে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ সোহেল রানা নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়।
আসামী মোঃ সোহেল রানা একটি প্লাস্টিকের
বড় জেরিক্যান নিয়ে কুমিল্লার আলেখারচর বিশ্বরোড থেকে নিউ একতা সার্ভিস নামক বাসে ওঠেন।
আসামি জানান যে সাদ্দাম নামীয় একজন
তার হাতে প্লাস্টিকের জ্যারিকেন তুলে দেয় এবং ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে এটি ঢাকার গুলিস্তানে
পৌঁছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিবে সে ব্যাপারে
আসামি অবগত নয়। আসামী সোহেল রানা এর আগেও নওগাঁ জেলায় গাজাঁসহ ডিএনসি-র হাতে আটক হয়েছিলো
বলে জানায়।
আটককৃত আসামি সোহেল রানা (৩২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ
জেলার শিবগঞ্জ থানার মনাকষা গ্রামের মো: বদিউজ্জামানের ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার
বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন
পটুয়াখালীতে ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হয়েছে। এসব তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে দাবি করছেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
উৎপাদিত এসব তরমুজ উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষক। গত বছরের বৃষ্টিতে তরমুজ চাষের ক্ষতি পুষিয়ে এবার লাভবান চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাঠের পর মাঠ তরমুজ ক্ষেত। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তরমুজ। ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে জড়ো করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা তরমুজ কিনতে ক্ষেতে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে দরদাম করে কিনে নিচ্ছেন। এই তরমুজ ট্রাক-ট্রলি ও ট্রলারে বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রমিকরা। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাতে ব্যস্ততা দেখা গেছে চাষিদের মাঝেও।
এসব দৃশ্য দেখা গেছে পটুয়াখালীর গলাচিপা, দশমিনা, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী উপজেলার তরমুজ ক্ষেতে। চাষিরা জানান, জেলার গলাচিপা ও রাঙ্গাবালীতে প্রচুর তরমুজ চাষ হয়েছে। তবে বরি মৌসুমে অল্প সময়ে তরমুজ আবাদ ও লাভজনক হওয়ায় পটুয়াখালীর চাষিদের মধ্যে আগ্রহ অনেক বেড়েছে।
একই এলাকার চাষি সেলিম হাওলাদার (৪২) বলেন, তরমুজ চাষের জন্য অন্যের কাছে থেকে এক বছরের চুক্তিতে দুই একর জমি লিজ নিয়েছি। এর মধ্যে চাষযোগ্য ১৬০ শতাংশ জমিতে তরমুজ আবাদ করেছি। এতে বীজ ও সার-ওষুধসহ মোট খরচ হয়েছে এক লাখ টাকার মতো। আর বিক্রি করেছি চার লাখ টাকা।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বছরগুলোতে তরমুজ চাষ করে তেমন লাভ করতে পারিনি। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তরমুজ ভালো হয়েছে এবং লাভবান হয়েছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, এ বছর জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে গলাচিপা উপজেলায়। এ উপজেলায় আট হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রসালো ফলটির চাষ হয়েছে। এ ছাড়াও রাঙ্গাবালীতে ছয় হাজার ৩৫০ হেক্টর, বাউফলে তিন হাজার ৫২০ হেক্টর, কলাপাড়ায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর, দশমিনায় এক হাজার ৭২০ হেক্টর, সদর উপজেলায় ৮০৫ হেক্টর, দুমকি উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৫৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। উৎপাদিত এসব তরমুজ বাজারে বিক্রি দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ও গোলখালী ইউনিয়নে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতের পর ক্ষেতে তরমুজ। চাষিরা এখন বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আমখোলা ইউনিয়নের বাউরিয়া গ্রামের তরমুজ চাষি ইউনুচ হওলাদার (৪০) ১৩ বছর ধরে রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ করছেন। এ বছর নিজের ও অন্যের জমি মিলিয়ে দুই একর জমিতে ফলটি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, আমার ক্ষেতের কিছু তরমুজ গাছ মারা গেছে, তবুও যা ছিল ফলন ভালো হয়েছে। বৃহস্পতিবার তরমুজ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। ক্ষেত থেকে ব্যাপারীরা এখন পর্যন্ত তরমুজ কেটে নেয়নি।
বৌবাজার এলাকার কৃষক তাসলিমা বেগম মাঝেরচর এলাকায় আট একর জমি লিজ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি বলেন, দুই একর জমিতে আগাম জাতের তরমুজ উৎপাদন করে সাত লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এখনও ছয় একর জমিতে তরমুজ রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।তিনি আরও বলেন, প্রথমে দাম ভালো ছিল- এখন কিছুটা কম। আজকে রোদের তাপ অনেক, আবহাওয়া এভাবে থাকলে তরমুজের বাড়বে।
সুহুরী ব্রিজ এলাকার কৃষক আলআমিন জানান, মৌসুমের আগেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারীরা অগ্রিম দাদন দিতে এলাকায় চলে আসেন এবং ফলনের পর তরমুজ সংগ্রহ করতে এলাকায় অবস্থান করেন। তিনি ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি শুরু করেছেন।
মৌসুম শুরুর আগেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আড়তদার ও ব্যাপারীরা এখানকার চাষিদের লাখ লাখ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছেন। এখন আড়তদাররা এলাকায় এসে চাষিদের কাছ থেকে তরমুজ সংগ্রহ করছেন। ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে ট্রলার কিংবা ট্রলি বোঝাই করে এনে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে দেখা গেছে। এ ছাড়া ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে তরমুজ চলে যাচ্ছে রাজধানীতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, জেলায় ২৩ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এতে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন তরমুজ উৎপাদন হবে। প্রায় সবগুলোই অধিক ফলনশীল হাইব্রিড জাতীয়। জেলার আগাম উৎপাদিত তরমুজ বাজারে ভালো দাম পেয়েছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। উৎপাদিত তরমুজের বাজার মূল্য দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আবাদের পর আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। এ অঞ্চলে দোআঁশ মাটিতে তরমুজের ফলন ভালো হয়। বৃষ্টির কারণে মাটিতে প্রচুর রস থাকায় তরমুজ আকারে বড় ও উৎপাদন বেড়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও দিনের বেলা প্রখর রোদে তরমুজের রং উজ্জ্বল ও সুস্বাদু হয়। ফলে এ অঞ্চলের তরমুজ খুব সুস্বাদু এবং ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয়।
মন্তব্য করুন
সাতক্ষীরায়
অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট সুমন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ বুধবার
(২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার
করা হয়। মাস্টার এজেন্ট সুমন হোসেন (২৪) শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের ফজলুল হকের
পুত্র।
সাতক্ষীরা
ডিবি পুলিশের ওসি নিজাম উদ্দীন মোল্যা আজ বুধবার রাত ৮ টায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার এস আর ফ্যাশনের সামনে থেকে পুলিশ
সুমনকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে ১ টি অনলাইনে জুয়া খেলার মোবাইল ফোন উদ্ধার
করা হয়। সুমন অনলাইন জুয়ার মাষ্টার এজেন্ট। অয়ানএক্সবেড অ্যাপস মাধ্যমে একটি অনলাইন
জুয়ার সাইট ব্যবহার করে অনলাইন ক্যাসিনো জুয়া খেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন
ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে অনলাইনে জুয়া খেলায় উদ্বুদ্ধ করে মোবাইল
ব্যাংকিং (নগদ/বিকাশ) ব্যবহার করে অবৈধ ই-ট্রানজেকশন এবং নগদ টাকা লেনদেনর মাধ্যমে
বিপুল পরিমান টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায়
সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০২৩ এর ২৭(২)/৩০(২)/৩৩ (২) ধারা মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ২৬ কেজি গাঁজা ও ১৪৯
বোতল ফেন্সিডিল’সহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (৮ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সবুজ খান (২৩), ২। সবুজ হাওলাদার (২৩) এবং ৩। মোঃ রাহাত খান (২০) নামক তিন জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে অদ্য ৮ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন উত্তর রামপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ হালিম শেখ (৪৮) নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৬ কেজি গাঁজা, ১৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি কাভার্ড ভ্যান উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- ১। সবুজ খান (২৩) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার আরুয়া সোনারগাঁও গ্রামের বাবুল খান এর ছেলে, ২। সবুজ হাওলাদার (২৩) গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার গচাপাড়া গ্রামের আলীম হাওলাদার এর ছেলে, ৩। মোঃ রাহাত খান (২০) ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানার উত্তর চড়াইল গ্রামের সোহরাব খান এর ছেলে এবং ৪। মোঃ হালিম শেখ (৪৮) নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগ গ্রামের মৃত মোঃ করিম শেখ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য সংগ্রহ করে ঝালকাঠি, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন