মাদকের গডফাদারদের ধরে আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আজ সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশনা দেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেন, শুধু বাহক নয়, মাদকের সঙ্গে জড়িত বড় বড় গডফাদারদের ধরতে হবে। চলমান যৌথ অভিযানে এ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে এবং দৈনিক অগ্রগতির রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে সাফল্যের ওপর নির্ভর করে অধিদপ্তরের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ, দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, দুর্নীতি না কমাতে পারলে এ সরকারের সাফল্য আসবে না। মাদক ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনে। তাই মাদক নির্মূলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতার পরিবর্তন করে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ইউনিফর্ম আছে কিন্তু অস্ত্র বা হাতিয়ার নেই। তাই সফল অভিযান পরিচালনার স্বার্থে তাদের অস্ত্র দেয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া যেসব অভিযান পরিচালনার সময় হামলার আশঙ্কা রযেছে, সেসব জায়গায় পুলিশসহ অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি পরামর্শ দেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ ছাত্রদের সঙ্গে, আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশে আজারবাইজানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এলচিন হুসেইনলি আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় তারা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলন এবং জ্বালানি, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও দুই দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন।
আশা করা হচ্ছে অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় কপ-২৯ সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অন্তত ৩২ হাজার মানুষ জলবায়ু অর্থায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
রাষ্ট্রদূত হুসেইনলি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও নিবিড় করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ উন্মোচন এবং আরও বেশি ব্যবসার উপায় খোঁজার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, জুন মাসে বাকুতে দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র দপ্তর পর্যায়ে একটি পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আজারবাইজান বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বিমান পরিষেবা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনুস আজারবাইজানকে "ভাল বন্ধু" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস আজারবাইজানের জনগণ, দেশটির নেতৃত্ব এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তার দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন।
মন্তব্য করুন
কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। কিছুটা বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রাও। তবে আভাস নেই ঘন কুয়াশা কমার।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) আবহাওয়া অফিস এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আগামী সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও অব্যাহত থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত। কুয়াশার কারণে প্লেন চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
রাজশাহী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গায় থেকে প্রশমিত হতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দেশের অনেক জায়গায় দিনে ঠাণ্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে-বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে তাদের
নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার
ততটুকু সময় পেতে পারে।
আজ
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিরতিতে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন এমন কথা বলেন।
আখতার
হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান রোডম্যাপ সরকারকে উপস্থাপন
করতে হবে। আমরা নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষে নয়, তবে তার আগে বিচার এবং সংস্কারকে
যেন অবশ্যই দৃশ্যমান করা হয়। সে ব্যাপারে আমরা জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। আমরা
এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন,
জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি। তবে
পুলিশ সংস্কার কমিশিনের রিপোর্ট কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন
করেছি। আমাদের মতামতগুলো জানাতে চেয়েছি।
বর্তমান সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব
নয় উল্লেখ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র
ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ
তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা
আমরা বলেছি। কীভাবে নতুন একটি সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়। গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা
নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
এনসিপি’র
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি বিষয়ের মধ্যে
১২৯টি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেসব বিষয়ে আমাদের অবজারভেশন
রয়েছে। এসব বিষয়ে সংযোজন, বিয়োজনের নোট আমরা ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছি। আমরা মূলত এখন পর্যন্ত
তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথমত, প্রটেকশন অব সিটিজেন (নাগরিকদের নিরাপত্তা)। আমরা দেখেছি,
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার কখনো স্বীকৃত হয়নি। সেসব
বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি।
দ্বিতীয়ত,
আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছি। আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি, যখনই ক্ষমতা
হস্তান্তরের একটি সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটা সরকার
থেকে অন্য সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কীভাবে হবে এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা
হচ্ছে।
তৃতীয়ত,
সংসদের স্থিতিশীলতার নামে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে আমাদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। আমাদের সংসদকে আরো বেশি কীভাবে কার্যকর করা যায় ওই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা
হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনসিপি’র
পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক
সরোয়ার তুষার, জ্যেষ্ট যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
মুখ্য সংগঠক (দাক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সেনাবাহিনীর কমিশন প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই ধারা অনুযায়ী সরকারকে মেট্রোপলিটনের বাইরে যে কোনো ব্যক্তিকে বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ক্ষেত্রে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিচে কাউকে দায়িত্ব প্রদান করা না গেলেও অন্যদের ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে আইনে শর্ত আরোপ করা হয়নি।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭(১) ধারা অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা (সেনা কর্মকর্তা) সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (জেলা প্রশাসক) তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন।
গ্রেফতার, তল্লাশি ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের ক্ষমতা: প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। এসব ধারা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা কাউকে আটক বা গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ, তল্লাশির আদেশ ও বেআইনি সমাবেশ ভঙ্গের জন্য আদেশ দিতে পারবেন।
গ্রেফতার বা গ্রেফতারের আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধির ৬৪ ও ৬৫ ধারায় একজন ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কোনো অপরাধ করলে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারবেন অথবা অন্য কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিতে পারবেন। এছাড়া ৮৩ ও ৮৪ ধারা অনুযায়ী অধিক্ষেত্রের বাহিরে কার্যকরের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। আইনের ৮৬ ধারার বিধান মতে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিতে পারবেন অথবা অপরাধ জামিনযোগ্য না হলে তাকে আদালতে পাঠাবেন।
তল্লশি সংক্রান্ত আদেশ: ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৯৫(২) ধারার বিধানমতে তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে ডাক বা টেলিগ্রাম বিভাগের দ্বারা তল্লাশি পরিচালনা করবার ও উক্ত দলিল, পার্সেল বা ব্যক্তি আটক করার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ১০০ ধারার বিধানমতে কোনো ব্যক্তিকে বেআইনিভাবে আটক করার বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ পেলে তল্লাশি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। ১০৫ ধারার বিধানমতে নিজ উপস্থিতিতেও ম্যাজিস্ট্রেট তল্লাশির আদেশ দিতে পারবেন।
শান্তিরক্ষায় মুচলেকা গ্রহণ: শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা থাকলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ ধারা অনুযায়ী শান্তি শান্তিরক্ষায় সদাচরণের মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন। ১০৯ ধারার বিধানমতে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা নিতে পারবেন। ১১০ ও ১২৬ ধারা অনুযায়ী অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়াও শান্তিরক্ষায় মুচলেকা নিতে এবং প্রয়োজনে মুচলেকা বাতিল করতে পারবেন।
বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দান: ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারা অনুযায়ী সর্বসাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে এই ধরনের পাঁচ বা তারবেশি ব্যক্তির সমাবেশ ছত্রভঙ্গের আদেশ দিতে পারেন। আদেশ অমান্য করলে ১২৮ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ভঙ্গে বল প্রয়োগের আদেশ দিতে পারেন। ১৩০ ধারার বিধান অনুযায়ী সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে পারবেন।
এছাড়াও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী একজন ম্যাজিস্ট্রেট পথ, নদী, খাল বা প্রকাশ্য স্থানে বেআইনি বাঁধা অপসারণ, ব্যবসা বা সংরক্ষিত এলাকায় মানুষের আরাম আয়েশের বিঘ্ন ঘটানো, গৃহ বা তাবু হতে ক্ষতিকর বস্তু বা বৃক্ষ অপসারণ, জলাশয় ঘেরাও, বিপজ্জনক প্রাণী ধ্বংস বা আটক ইত্যাদি আদেশ দিতে পারেন। কোনো ব্যক্তি ১৪২ ধারার বিধান মতে ক্ষতি এড়াতে কোনো ব্যক্তির উপর নির্দিষ্ট স্থানে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
মন্তব্য করুন
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ সকলকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামীকাল (২৫ ডিসেম্বর) ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে দেওয়া আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক বাণীতে তিনি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’ উপলক্ষ্যে এ সম্প্রদায়ের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রিষ্ট এই দিনে বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যীশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত। মহামতি যীশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলির জন্য তিনি মানব ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরে যাত্রী ছদ্মবেশে ২ নারীকে নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ছিনতাই করে আসা ১টি চোর চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে ওই চোরচক্রের ৬ সদস্যকে।
আটককৃতরা হলো: শহরের টেপাখোলা এলাকার আকরাম শেখের ছেলে তূর্য ওরফে রায়হান শেখ (২৫), ছনেরটেক এলাকার সুমাইয়া (২৫), সদরের চরমাধবদিয়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৫৫), দিনাজপুরের ডাসমারী এলাকার শাকিলা (৩০), ফরিদপুরের সালথার বালিয়াগট্টি এলাকার রায়হান মাতুব্বর (২৫) ও সালথার আটঘর এলাকার মনসুর সরদার (৪৪)।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে চোর চক্রের মূলহোতা তূর্য রায়হান ও শাকিলা এবং সুমাইয়া নামে ২ নারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১টি চোরাই অটোরিকশা জব্দ করা হয়। তাদের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতেই জেলার সালথা উপজেলার আটঘর এলাকা থেকে জব্দ করা হয় আরেকটি চোরাই অটোরিকশা। পরে অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের ওই ৬ জনকে বিভিন্ন এলাকায় থেকে আটক করে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান জানান, আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে বুধবার দুপুরে আটককৃতদের ফরিদপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ভোলায় কোস্টগার্ডের অভিযানে একটি ডাকাতদলের সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোরে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের চর রাসেল এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৬টি দেশীয় অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো: ডাকাত সর্দার মো. মোফাজ্জল (৫৫) এবং তার সহযোগী আব্দুল বাতেন (৬৫)।
তারা লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলাধীন মধুচৌধুরি হাট ও মধ্যের চর রমনীর বাসিন্দা।
কোস্টগার্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে ইলিশা এলাকায় মেঘনা নদী এবং তৎসংলগ্ন চরে কুখ্যাত রাসেল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মো. মোফাজ্জল এবং আব্দুল বাতেন স্থানীয় জনসাধারণ এবং জেলেদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি, জমিদখল ও বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড এসব এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে ইলিশার চর রাসেল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাসেল বাহিনীর দুই সক্রিয় ডাকাতকে ১টি পিস্তল, ৬টি দেশীয় অস্ত্র ও ১টি মোবাইল ফোনসহ আটক করা হয়।
পরে জব্দ করা অস্ত্রগুলোসহ আটককৃতদের ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম মাত্র এক টাকা কমিয়ে ১৪৫৫ (এক হাজার চারশত পঞ্চান্ন) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা ৪ দফা দাম বাড়ার পর ভোক্তা পর্যায়ে অবশেষে কমলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এলপিজির এই নতুন দাম ঘোষণা করেছেন এক সংবাদ সম্মেলনে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৫৬ টাকা থেকে ১ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে, সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় অক্টোবর মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৫৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।
তারও আগে রবিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোক্তা পর্যায়ে সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম আগস্ট মাসের তুলনায় ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪২১ টাকা। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে এলপিজির প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল যথাক্রমে ১১ টাকা ও ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হয়েছিল যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।
মন্তব্য করুন
রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের রশিদপুর দুই নম্বর কূপে ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা মূল্যের গ্যাস স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, কূপে ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে আপার স্যান্ড টপ জোনে টেস্টিং করে গ্যাস স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। আর এখান থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট হারে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
গ্যাসের বর্তমান গড় মূল্য বিবেচনায় এ স্তরে উত্তোলনযোগ্য ১৫৭ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মূল্য ১০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এর আগে সিলেটের হরিপুর এলাকায় ১০ নম্বর কূপ থেকে চার স্তরের তেল গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন । চার স্তরের মধ্যে একটি স্তরে সম্পূর্ণ তেলের খনি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন