সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে সোনামুখী
কাঠের আসবাবপত্রের মেলায় যাদু প্রদর্শনীর আড়ালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করার দায়ে ১০
জনকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাতে
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত
এ দণ্ডাদেশ দেন।
এর আগে রাত ১২টার দিকে সেনাবাহিনী ও
এনএসআই সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক অশ্লীল নৃত্য শিল্পী, যাদু প্রদর্শনীর
প্যান্ডেল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দর্শকদের আটক করে।
আটকদের মধ্যে থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে
১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকিদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শারদীয় দুর্গাপূজা
উপলক্ষে সোনামুখীতে প্রায় ৩০০ বছর ধরে কাঠের আসবাবপত্রের মেলা বসে। এই মেলা মাসব্যাপী
স্থায়ী হয়। এ বছরও যথারীতি মেলাটি শুরু হয়। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বাইরে যাদু প্রদর্শনীর
সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে টিকিট বিক্রির করে ভেতরে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছিল। এলাকার
কিছু স্থানীয় নেতার সহযোগিতায় মেলায় ৪টি প্যান্ডেল স্থাপন করে অশ্লীলতা চালানো হয়।
এ বিষয়টি জানতে পেরে এনএসআই ও সেনাবাহিনীর
সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানের সময় অশ্লীল নৃত্যের প্যান্ডেলগুলো ভেঙে
ফেলা হয়।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
(ভারপ্রাপ্ত) সাবরিন আক্তার জানান, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি সোনামুখী মেলায় অশ্লীল
নৃত্য প্রদর্শন করা হচ্ছে, পরে অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা
হয়। এদের মধ্যে অশ্লীলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকায় ১০ জনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া
হয়েছে।
উক্ত অভিযানে এনএসআইয়ের যুগ্ম পরিচালক
আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়ায় মিশুক চালক সাব্বির হোসেনকে হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও গ্রেফতারকৃত আসামীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। রবিবার দুপুরে এলাকাবাসীর আয়োজনে কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর সড়কের পালাখাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাব্বির হত্যার গ্রেফতারকৃত আসামীদের দ্রুত ফাঁসির কার্যকর দাবি জানাচ্ছি। কোনো ভাবে তারা যেন আইনের ফাঁকফোকড় দিয়ে জামিন না পায় তারও দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহতের মা জাহানারা বেগম,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল,পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি করেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুুস,যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন,অহিদ রাজা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৪ জানুয়ারি বুধবার বিকালে মিশুক নিয়ে সাব্বির বাড়ি থেকে বের হলেও আর বাড়ি ফিরেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে পালাখাল-সেঙ্গুয়া সড়কের পাশে ডোবা থেকে মিশুক চালক সাব্বির হোসেনের হাত পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা জাহানার বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করলে তারই প্রেক্ষিতে ৯জন আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
শ্বশুরকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়ে তাক লাগালেন জামাই। এ বিরল ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের দেউলী গ্রামে।
জামাই সাবিত হাসান পেশায় একজন ফ্রিল্যান্সার। বাবাহারা এই যুবক ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করে বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে তার ইচ্ছা ছিল কোনো বাবার কলিজার টুকরো কন্যা সন্তানকে ঘরে তুললে বিনা যৌতুকে বিয়ে করবেন। শুধু তাই নয় উলটো শ্বশুরকে উপহার দিবেন মোটরসাইকেল। যে কথা সেই কাজ বিয়ে হয়েছে প্রায় দুমাস আগে।
এ সময় তার শ্বশুরকে কথা দিয়েছিলেন একটি মোটরসাইকেল উপহার দেবেন। তার ইচ্ছামতো একটি মোটরসাইকেল সম্প্রতি উপহার দিলেন শ্বশুর আলী হোসেনকে। সাবিতের শ্বশুরবাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গুঞ্জরগড় গ্রামে।
শশুর আলী হোসেন মোটরসাইকেল পেয়ে শুধু খুশি নয় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন। তিনি জানান, তার মনের মতো জামাই নয়, যেন ছেলে পেয়েছেন তিনি।
অপরদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় বেশ ধুম পড়ে যায়। এরকম ঘটনা সমাজে দৃষ্টান্ত বলে মনে করে স্থানীয়সহ বন্ধুরা।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ছোটবেলা থেকেই সাবিতের ইচ্ছা ছিল বিনা যৌতুকে বিয়ে এবং শ্বশুরকে উল্টো মোটরসাইকেল গিফট করা। তার ইচ্ছা পূরণ হলো।
জামাই সাবিত হাসান বলেন, বর্তমান সমাজে যৌতুক ও খুশি করে দেওয়া উপহার যেন ট্র্যাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই যৌতুক প্রথা ভাঙতেই তার এই মহৎ উদ্যোগ।
তার মতো সবাই শশুরকে উপহার নয় অন্তত বিনা যৌতুকে বিয়ে করবে এবং সমাজের যৌতুক প্রথার অবসান ঘটবে এমনটাই ইচ্ছা সাবিতের।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা ও সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে ০৬ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত (২১ জুন) বিকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০), ২। মোঃ শাহিন (৪৮), ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) এবং ৪। মোঃ খোকন (৫০) নামক ০৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ২,৫৪০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গত (২১ জুন) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আসামী ১। মিজানুর রহমান (২২) এবং ২। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) নামক ০২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের হেফাজত হতে চাঁদাবাজির ৯,৭৯০/- টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ জামাল হোসেন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার শাসনগাছা গ্রামের মৃত শফিক ইসলাম এর ছেলে, ২। মোঃ শাহিন (৪৮) একই গ্রামের মৃত খয়েজ আলী এর ছেলে, ৩। রাসেল আহমেদ (২৭) একই গ্রামের মৃত আবুল হাশেম এর ছেলে, ৪। মোঃ খোকন (৫০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সাতোরা চম্পকনগর গ্রামের মৃত তাজুল এর ছেলে, ৫। মিজানুর রহমান (২২) কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানার পরকরা গ্রামের আবুল হাশেম এর ছেলে এবং ৬। মোঃ আব্দুর রশিদ (৫০) কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার উত্তর বিজয়পুর গ্রামের মানিক মিয়া এর ছেলে।
আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা সকলেই চাঁদাবাজ চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী ও সদর দক্ষিণ থানা এবং এর আশ-পাশের বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে ক্ষয়ক্ষতি ও গুরুতর আঘাতের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলপূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় নিহত হয়েছেন একজন।
নিখোঁজ রয়েছেন একাধিকজন। এ ছাড়াও চার শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফুলগাজী, পরশুরাম
ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সব এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট
ও বসতবাড়ি। নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বন্যাদুর্গতরা। এ দিকে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার
ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি।
ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর,
মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রাম ও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর, চিথলিয়া,
বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ছাড়া ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর, রাধানগর,
শুভপুর ইউনিয়নসহ তলিয়ে গেছে পুরো উপজেলার রাস্তাঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায়
মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চাল ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন
বাসিন্দারা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
বুধবার (২১ আগস্ট) পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, ভয়াবহ এ বন্যায় স্থানীয় পৌরসভা ও উপজেলার
প্রায় অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। দিনের প্রথম
প্রহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে
উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ জনকে
উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের
সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন লোক নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে দুর্গতদের মাঝে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার
এবং ৫০ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
তানিয়া ভূইয়া বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ এ বন্যায় উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের প্রায়
অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট)
থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় নৌকা দিয়ে লোকজনকে উদ্ধার
করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায়
৩০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তায় উদ্ধার কাজ
শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পানির উচ্চতা সময়ের সঙ্গে
সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ ও
আরও ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৮ টন চাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয়
প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলার মেঘনা থানাধীন মেঘনা নদীতে চাঁদা আদায়কালে চাঁদার নগদ টাকা, চাঁদা আদায়ের রশিদ
সহ ৩জন গ্রেফতার ।
কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং সহকারী
পুলিশ সুপার হোমনা সার্কেল, মীর মুহসীন মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ পুরিদর্শক (তদন্ত)
মোহাঃ বিল্লাল হোসেন, মেঘনা থানা, কুমিল্লা সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) হাক্কানী বিল্লাহ ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে গতকাল রাতে মেঘনা নদীতে চলাচলরত মালবাহী
ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় কালে আসামী মহিউদ্দিন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, ওমর ফারুক কে গ্রেফতার
করা হয়। তাদের নিকট হতে চাঁদা আদায়ের রশিদ ও আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৪৩০০ টাকা উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো:
১।
মহিউদ্দিন (৪৫), পিতা-মৃত বাদশা মিয়া, ২। মোঃ ইসমাইল হোসেন (২২), পিতা-মোহাম্মদ আলী,
৩। ওমর ফারুক (৩৭), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সর্বসাং-রাধানগর, থানা-বাঞ্ছারামপুর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়ীয়া।
উক্ত
ঘটনা সংক্রান্তে মেঘনা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মজিবুর রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লা
নগরীর চকবাজার ডিজেল ও অকটেন কম দিয়ে ক্রেতাদের ঠকানোর অভিযোগে দুই তেলের পাম্পকে সিলগালা
করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তেল পরিমাপের ৪টি ডিসপেন্সিং ইউনিট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ
মঙ্গলবার (৬ মে) কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করেন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
বিএসটিআই
কুমিল্লা কার্যালয় প্রধান কে এম হানিফ বলেন, নগরীর চকবাজার এলাকায় সার্ভিল্যান্স অভিযানে
মেসার্স শরীফ এন্টারপ্রাইজের দুটি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে
১৯০ মিলি ও ২০০ মিলি তেল কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। একই পাম্পের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং
ইউনিটেও প্রতি ১০ লিটারে যথাক্রমে ১৯০ মিলি ও ২২০ মিলি তেল কম দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত
হয়। এই গুরুতর অপরাধে পাম্পের চারটি ইউনিট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে,
একই এলাকার মেসার্স এম এ হাকিম এন্ড ব্রাদার্সের দুটি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটেও তেলের
মাপে কারচুপির চিত্র দেখা যায়। পাম্পটির এই দুটি ইউনিটে প্রতি ১০ লিটারে গ্রাহকদের
যথাক্রমে ৩৪০ মিলি ও ৩৯০ মিলি তেল কম দেওয়া হচ্ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই দুটি ইউনিটও সিলগালা
করে দিয়েছে বিএসটিআই।
বিএসটিআই
কুমিল্লা অফিসের পরিদর্শক (মেট্রোলজি) মো: লুৎফর রহমান এবং মো: হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে
এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
মন্তব্য করুন
উত্তরাঞ্চলের বড় বড় হাট-বাজারগুলোয় ধান-চালের দাম কমতে শুরু করেছে । তার মধ্যে জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া চালের দাম মণে কমেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় বাজার বগুড়ার নন্দীগ্রামের রণবাঘা হাট। গতকাল শুক্রবার হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, হঠাৎ করে চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা অর্থাৎ মণে ৮০-১২০ টাকা কমে যায়। এর প্রভাব পড়ে ধানের দামে। জাত ও মানভেদে ধানের দাম মণে কমেছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা। ধানের দাম কমে যাওয়ায় গতকাল ওই হাটে যেমন কম ছিল পাইকারি ক্রেতা, তেমনি কম ছিলেন ক্ষুদ্র চাষিরা।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি অটোরাইচ মিলগুলো হঠাৎ ধান কেনা বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।
পাইকারি ক্রেতারা জানান গত সপ্তাহে এই হাট থেকে ৯০ জাতের চিকন ধান কিনেছিলেন ২ হাজার ১০০ টাকা পর্যন্ত। এখন একই মানের ধানের দাম কমে হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ মণে কমেছে ৩৫০ টাকা।
উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ধান উৎপাদনকারী এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলা। ধান নিয়ে রণবাঘা হাটে এসে ক্ষুদ্র চাষিরা নজরুল ইসলাম প্রতিমণ ধান ১ হাজার ৩১০ টাকা দরে বিক্রি করেন। গত সপ্তাহে তিনি এ হাটেই একই জাতের ধান বিক্রি করেছেন ১ হাজার ৩৬০ টাকা দরে। বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় পড়ে গেছে ধানের দর। তাদের আশঙ্কা ধানের দাম আরও কমবে।
এদিকে গতকাল দিনাজপুরের বির উপজেলার ওরিয়েন্টাল এগ্রো নামে এক প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। তাদের গুদামে জব্দ করা হয় ৬৫ কেজি ওজনের ৫ হাজার বস্তা ধান।
জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন জানান, অবৈধ ভাবে মজুত করায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দিনাজপুরে ধানের দাম কমেছে মণে মান ও জাতভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
বগুড়ায় নন্দীগ্রামে মায়ামানির অটো রাইস মিল মালিক মিজানুর রহমান জানান, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ায় বাজারে ধানের দাম কমেছে। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন
মোঃ মাসুদ রানা, কচুয়া প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ভূঁইয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ডা. মো. মাসুদুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে ও সহকারী শিক্ষক মো. ফজলুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দোয়া কামনা করে বক্তব্য রাখেন, শাজুলিয়া দরবার শরীফের পীর আলহাজ্ব হযরত মাও. শাহ্ মুহাম্মদ রুহুল্লাহ শাজুলী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ্ মুহাম্মদ জাকির উল্লাহ শাজুলী, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারি অধ্যাপক মুহাম্মদ ফানাউল্লাহ শাজুলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো: খলিলুর রহমান, জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
পরে শিক্ষার্থীদের সফলতা ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
মো মিজানুর রহমান মিনু:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পাঁচটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে অনিয়মের অভিযোগে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান ও তমালিকা পাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ইটভাটাগুলো হলো: ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকস।
জানা গেছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলার ফাতেমা ব্রিকস, একতা ব্রিকস, মিরাজ ব্রিকস, সিটি ব্রিকস ও ইসলামিয়া ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন। এরমধ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী তিনটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ২টি ইটভাটা থেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগিতায় ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার পরিদর্শক চন্দন বিশ্বাস, জুবায়ের হোসেন, বিএসটিআই কুমিল্লার পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ শাহান, চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মেহেদী হাসান ও থানা পুলিশের একটি টিম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জেপি দেওয়ান বলেন, বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবস্থিত পাঁচটি ইটভাটাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইটভাটাগুলোতে অনিয়ম রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
জেলার মোল্লাহাটে বিয়ে বাড়িতে কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহতের ঘটনায় কনের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আছাদুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামে কনে পক্ষের হামলায় বরের দুলাভাই নিহত হন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আংড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোল্লাহাট উপজেলার আংড়া গ্রামের শাহদাত মুন্সি ও তার স্ত্রী পপি বেগম। নিহত আজিজুল হক খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার ইছামতি গ্রামের শাহাদাত মোল্লার ছেলে এবং বরের ভগ্নীপতি।
পুলিশ জানায়, মোল্লাহাট উপজেলার গাংনি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী গাজীর ছেলের সঙ্গে আংড়া এলাকার শাহাদাত মুন্সির মেয়ের বিয়ের কথা হয়েছিল। বরের পছন্দ হলে বিয়ে হবে এই শর্তে শুক্রবার সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে যায় বর পক্ষ। দাতে সমস্যা থাকায় মেয়ে পছন্দ হয়নি বলে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বর হাফিজুর রহমান গাজীসহ অন্যরা চলে আসার চেষ্টা করে। এ সময় কনে পক্ষের হামলায় বরের ভগ্নীপতি আজিজুল হক নিহত হন। পরে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শীলা বেগম বাদী হয়ে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বরের বাবা মোহাম্মাদ আলী গাজী বলেন, মেয়ে পক্ষের সঙ্গে কথা ছিল ছেলের যদি মেয়ে পছন্দ হয় তাহলে বিয়ে করবে। ছেলের যখন মেয়ে পছন্দ হয়নি, তখন চলে আসছিলাম। কিন্তু মেয়ে পক্ষ আমাদের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বড় জামাতা নিহত হয়েছেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় দুই জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন