সিরাজগঞ্জে হারুন অর রশিদ (৩৬) নামে এক শিক্ষককে অপহরণ করে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার শ্বশুরসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১০ জুন) দুপুরে র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান ঘটনাটির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: শাহজাদপুর থানার বড়মহারাজপুর গ্রামের তার শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, একই জেলার মো. ইদ্রিস মোল্লা (৪০) ও মো. মুকুল মোল্লা (৪৬)।
হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের গাজী মো. আলাউদ্দিনের ছেলে।পাবনার আমিনপুর থানাধীন রতনগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ছিলেন হত্যার শিকার হারুন অর রশিদ।
র্যাব-৪ জানায়, দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী রেখা খাতুন পরকীয়ায় লিপ্ত থাকায় তালাক দেন শিক্ষক হারুন অর রশিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলার বড় মহারাজপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ এর শ্বশুর ফখরুল মোল্লা, চাচা শ্বশুর দুলাল মোল্লা ও ইউপি সদস্য হাশেমের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন নিহতের বাবা গাজী আলাউদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৪, সিপিসি- ২ এর কোম্পানি কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান বলেন, শিক্ষক হারুন অর রশিদকে পিটিয়ে হত্যার পর আসামিরা পলাতক ছিল। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির সময় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে রোববার (৯ জুন) মধ্যরাতে আশুলিয়ার ডেইরি গেট বাসস্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিনে বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে শুভ বড়দিন হিসেবে উদযাপন করে থাকে। তারা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরাও আজ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুভ বড়দিন উদযাপন করবেন।
এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া গত শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোকসজ্জার। বড়দিনের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও হোটেলগুলোতে। নগরের বিভিন্ন হোটেলের লবি ও অন্যান্য স্থান সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক প্রভু যিশু ঈশ্বরের পুত্র। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের লক্ষ্যে প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। দুই হাজার ২৩ বছর আগে তিনি আশ্চর্যজনকভাবে ঐশী শক্তিতে মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন। মানবজাতির প্রতীক্ষিত মুক্তিদাতা প্রভু যিশু ৩০ বছর বয়সে প্রকাশ্যে প্রচার শুরু করেন।
এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ সবার শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম চালু থাকবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই ১০ দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কার্যক্রমের জন্য সময়সূচি প্রকাশ করেছে ।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, ক্লাস চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এক পরিপত্রে এ রুটিনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
পবিত্র রমজান মাসে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের সময়সূচিও পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব দপ্তর চলবে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর জোহরের নামাজের জন্য দুপুর সোয়া একটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিরতি থাকবে।
এদিকে, রমজান উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) থেকে সারা দেশের সব মাদ্রসায় ছুটি শুরুর কথা ছিল। তবে স্কুল-কলেজের পর অবশেষে মাদ্রাসার ছুটির তালিকাও সংশোধন করে সরকার। এতে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাদ্রাসায় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। দেশের তিনটি সরকারি আলিয়া মাদরাসা এবং বেসরকারি ইবতেদায়ী, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাগুলোতেও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।
মন্তব্য করুন
নাটোরের সিংড়ায় পচা-বাসি মাংস বিক্রির দায়েভ্রা ম্যমাণ আদালত মো. মারফত আলী নামে এক মাংস ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে জব্দ করা হয় ৮০ কেজি পচা মাংস।
২১ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সিংড়া বাজারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই মাংস ব্যবসায়ীকে এ জরিমানা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কে এম ইফতেখারুল ইসলাম ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাংস ব্যবসায়ী মো. মারফত আলী সিংড়া পৌরসভার মহেশচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।
তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে মায়ের দোয়া গোশতের দোকান নামে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা খাতুন বলেন, সিংড়া বাজারের মুরগি হাটি এলাকায় পচা-বাসি গরুর মাংস বিক্রির খবর পাওয়ায় সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ও ভেটেরিনারি সার্জনসহ ঘটনাস্থলে যান।
পরে পচা-বাসি মাংস বিক্রির কথা স্বীকার করেন ব্যবসায়ী মারফত আলী। এসময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় জব্দকৃত ৮০ কেজি পচা মাংস।
মন্তব্য করুন
গণভবনকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের
জাদুঘর নির্মাণের জন্য উপদেষ্টাদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ
ইউনূস।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) গণভবন পরিদর্শনের
সময় এই নির্দেশ দেন তিনি।
‘‘গণভবনে ক্ষমতাচ্যুত ‘স্বৈরশাসক’ শেখ
হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে বাস করেছিলেন, যা দমন ও তার নৃশংস শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছে’’
বলে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
গণভবনের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) দুঃশাসনের স্মৃতি এবং জনগণ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল, যখন তারা তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছিল, সেসব জাদুঘরের রাখা উচিত হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার কয়েক মুহূর্ত পর ৫ আগস্ট গণভবনে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী হামলা চালায়। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আয়নাঘর, যেখানে হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক করেছিল, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত। আয়নাঘরের উচিত দর্শকদের গোপন বন্দিদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেওয়া।
গণভবন পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।
এসময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
মাহফুজ আলমও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিশেষজ্ঞদের
সঙ্গে পরামর্শ করতে বলেন। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের জন্য প্রস্তাব চূড়ান্ত
করতে বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল
থেকে শুরু হওয়া হাসিনার শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত্নসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ ৯২ জন নোবেল বিজয়ী। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ১০৬ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তার ফেসবুকে চিঠিটি শেয়ার করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা নিম্ন স্বাক্ষরকারীরা বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন এবং আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের জনগণের মতো ড. ইউনূসও স্বৈরাচারিতার শিকার। আজ গণতান্ত্রিক এবং ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের ফলশ্রুতিতে স্বৈরাচার উৎখাত হয়েছে। ড. ইউনূস যেমনটা বলেছেন, বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপভোগ করছে এবং জাতি হিসেবে তার পূর্ণ সম্ভাবনা পূরণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত। এটা বাংলাদেশের নতুন সূচনা এবং এই নতুন সময়ে আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সাফল্য কামনা করি। একটি নতুন এবং উন্নত সমাজ তৈরিতে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে আমরা সমর্থন করি এবং যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি।
ড. ইউনূসকে দেওয়া শুভেচ্ছা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শান্তি, চিকিৎসা, রসায়ন, পদার্থবিদ্যা, অর্থনীতি ও সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ৯২ জন। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের ১০৬ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) দুপুর দুইটায় তিনি সংসদ ভবনে আসেন এবং সংসদের প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে বাজেট উপস্থাপনা প্রত্যক্ষ করেন ।
এর আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ
বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে। দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার এ বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব
করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিন বিকেল তিনটায় জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭
লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি
দেশের ১৮তম অর্থমন্ত্রী। আবুল হাসান মাহমুদ আলী অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট
পেশ করবেন।
এটি দেশের ৫৩তম বাজেট। সময়ের
সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতি বছরই বাজেটের আকার বেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আগামী অর্থবছরের
বাজেট দেশের সবচেয়ে বড় বাজেট হতে যাচ্ছে। এর আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানান, এ নিয়ে আলোচনা করতে আজ ছাত্রদের সঙ্গে, আগামীকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এবং পরদিন বৃহস্পতিবার ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
মন্তব্য করুন
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে শুভেচ্ছা
জানিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বার্তায় বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা
উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। ঈদুল আজহা শান্তি, সহমর্মিতা,
ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষায় উজ্জীবিত হই সবাই। নিজেদের আনন্দ যার যার সামর্থ্য
অনুযায়ী সমানভাবে ভাগ করি সমাজের পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের পাশে থেকে, এটাই ইসলামের
শিক্ষা।
মন্তব্য করুন
পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি - এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দেশব্যাপী শনিবার (৪ নভেম্বর) উদযাপিত হতে যাচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ সদস দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) কামরুল হাসান বিষয়টি জানান।
বাংলাদেশ পুলিশের সব মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ, জেলা পুলিশ, বিশেষায়িত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ ইত্যাদি ইউনিটে দিবসটি পালিত হবে বলে বাংলাদেশ পুলিশ সদস দপ্তর থেকে জানানো হয়।এ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।এছাড়া শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
কামরুল হাসান জানান, কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা, যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ ও পুলিশের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সমাজে অপরাধ ভীতি কমানো ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা হয়। এটি একটি গণমুখী, প্রতিরোধমূলক এবং সমস্যা সমাধানমূলক পুলিশি ব্যবস্থা।
কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্কুল/কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশের কাজে সহযোগিতা, অপরাধ বিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিয়ে রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়ানো ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষে দেশব্যাপী ৪৯ হাজার ৫২৯টি কমিটিতে ৮ লাখ ৯৪ হাজার ২০৬ জন কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক
রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করেন।
আজ (৫ অক্টোবর) শ্যামবাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ীবৃন্দের সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন মতবিনিময় সভা করেন এবং ব্যবসায়ীদের সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে ডিমসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন এঁর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরের শ্যামবাজার এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মোজাম্মেল হক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব দাউদুল ইসলাম, অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনসহ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মাহমুদুল হাসান, ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বাজার তদারকির সময় ব্যবসায়ীদের সংশ্লিষ্ট আইন মেনে যৌক্তিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করার কথা বলেন এবং পণ্যের যথাযথ সরবরাহ নিশ্চিতসহ ব্যবসা সংশ্লিষ্ট কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার সার্বিক সহযোগিতা করবে মর্মে জানান।
অপরদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ৬টি টিম কর্তৃক ঢাকা মহানগরের শ্যামবাজার, কারওয়ান বাজার, কাপ্তান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউনহল মার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়৷
কারওয়ান বাজারে পরিচালিত অভিযানে ডিম, মুরগী, মাছ, মাংস ও চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের বাজার তদারকি করা হয়। এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ধার্যকৃত মূল্য অপেক্ষা বেশি মূল্যে পন্য বিক্রয় করা এবং পন্যের ক্রয়-বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ না করায় ৮টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২১,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ওয়ারী থানাধীন কাপ্তান বাজার এলাকায় ডিমের আড়তসহ মুদি দোকান ও ফার্মেসিতে পরিচালিত অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোহাম্মদপুর টাউনহল এলাকায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আড়তে তদারকি করা হয়। তদারকিতে দেখা যায়, চাল, ডাল,পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু, ভোজ্য তেল ,চিনি ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য এক সপ্তাহ যাবত একই রকম রয়েছে, ডিম ও মুরগির মূল্য কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী এবং বিক্রেতাগণ তেজগাঁও থেকে ডিম ক্রয় করেন। এছাড়া তেজগাঁও ব্যবসায়ীগণ তাদেরকে সরবরাহ কম থাকার বিষয়ে অবহিত করেছেন। অভিযানে একটি ব্রয়লার মুরগির প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না দেয়ায় সতর্কতামূলক ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজ ঢাকা মহানগরে অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে ১৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী সর্বমোট ৮১,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন