

সাতক্ষীরার শ্যামনগর
থানা পুলিশের অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের মোঃ বশির শেখ (৩৮) নামে এক সদস্যকে অস্ত্র,গাড়ি
সহ আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাত দুইটার দিকে শ্যামনগর -কালিগঞ্জ রোডের জাহাজঘাটা নামক স্থান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি খুলনা জেলার রুপসা উপজেলার জাবুসা গ্রামের মোঃ হোসেন আলী শেখের পুত্র।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার নেতৃত্বে ৫/৬ জন সদস্যর ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্ততির কালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের অন্যতম সদস্য মোঃ বশির শেখকে একটি মিনি ট্রাক সহ আটক করা হয়েছে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃত ব্যক্তির নিকট ও নম্বর বিহীন একটি মিনি ট্রাক তল্লাসি করে ২টি বড় হাসুয়া, ১টি বড় কাতারি, ১টি শাবল, ৫টি বাঁশের লাঠি, ১টি লোহার রড, ৩টি হাতুড়ী, ১টি লোহার পাইপ, ৯টি সেলাই রেঞ্জ, ৩টি ছোট-বড় প্লাস, ১টি ছোট কাতারী, ১টি কাঁচি, ৩টি স্ক্রু ড্রাইভার, ৮টি রিং রেঞ্জ, ৩টি টর্চ লাইট, ১৬টি ডাল রেঞ্জ, ৯টি কস টেপ, ৬০ ফিট লম্বা রশি, গাড়ীর নম্বর প্লেট দুটি ও ১টি মিনি ট্রাক জব্দ করা হয়।
জানা যায়, ডাকাত দলের সদস্যকে আটক করার সময় নিজেই ট্রাকের চালক সেজে পুলিশের গাড়ীকে খাদে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। তার নামে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, রাহাজানি সহ অন্যান্য ১৪টি মামলা রয়েছে।
শ্যামনগর থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় মো. শিহাব (১৭) নামে এক কিশোর ১২ দিন পর আজ সকালে মারা গেছে।
আজ শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে মারা তিনি।
নিহত শিহাব উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমান রিপনের ছেলে। রিপনের এক ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে শিহাব ছিল সবার বড়। চলতি বছর এসএসসি পাস করে শিহাব। এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। প্রচণ্ড মারধরের পর থেকে সে অচেতন অবস্থায় ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিহাব ২০ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী বান্দুড়িয়া এলাকায় তার প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সে তেঁতুলতলা বাঁকের কাছে গেলে তার প্রেমিকার আত্মীয়স্বজন তাকে তাড়া দেয়। শিহাব নিজেকে রক্ষা করতে রাতের আঁধারে মাঠের মধ্যে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে শিহাব দিক হারিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। এ সময় তাকে পুকুর থেকে তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়।
একপর্যায়ে শিহাব জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে ঢলে পড়ে। পরে তাকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা। তারপর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তার জ্ঞান ফেরেনি। তাই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সেখানেই সে মারা যায়। শিহাবকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা রিপন ২৪ অক্টোবর রাতে রতন আলী (৩২), মো. কানন (২২), সুজন আলী (৩২), ইয়ার উদ্দীন (৩২), মো. শরীফ (৩৫), মো. রাব্বি (২৫), মো. হালিম (৩০) এবং মো. কলিমের (৩২) নাম উল্লেখ করে আরও ৮-৯ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি থানা-পুলিশ।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শিহাব হামলার শিকার হয়েছিল। তিনি তার মৃত্যুর খবর শুনেছেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর হামলার ঘটনায় আগেই করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের হাঁকানো বলের আঘাতে মাথায় চোঁট পেয়েছেন । সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর আজ দলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। তারই পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফোর্ড। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারের হাঁকানো একটি বল এসে আঘাত করে টাইগার পেসারের মাথায়। এতেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।
মোস্তাফিজের অবস্থা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে, আপাতত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই পেসারকে। হাসপাতালে নিয়ে করা হচ্ছে স্ক্যান। মূলত স্ক্যান রিপোর্টের উপরই বোঝা যাবে তার অবস্থা।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
মন্তব্য করুন


মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে ৯টি যানবাহনসহ ‘রজনীগন্ধা’ নামের ফেরিডুবি ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, আজ বুধবার সকাল সোয়া ৮ টায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি ১ জনকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে মোট ৫ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার আরও বলেন, ফেরি উদ্ধারের জন্য দৌলতদিয়া ঘাট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা রওনা হয়েছে।
এর আগে ৬ জনকে জীবিত উদ্ধারের তথ্য দিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, যানবাহন নিয়ে ফেরি ডোবার সংবাদ সকাল ৮টা ১৬ মিনিটে পাই। খবর পেয়েই আরিচা ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এছাড়া ঢাকার সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরিরা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে।
মন্তব্য করুন


ঝালকাঠিতে
প্রেমিকার রান্না করা নুডুলস খাওয়ার পর সজল দেবনাথ (১৯) নামে এক কলেজছাত্রের রহস্যজনক
মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার
(১১ নভেম্বর) সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। সজল
দেবনাথ ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ও ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার
বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের
পরিবার জানায়, রবিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন।
রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে
দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথি খাটের নিচে লুকিয়ে আছেন।
দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও
তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সজলের
বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই
সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে
পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এ
বিষয়ে প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন
তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয়
এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে
কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
ঝালকাঠি
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এটিএম মেহেদী হাসান সামি বলেন, গভীর রাতে হাসপাতালে
আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর
সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
ঝালকাঠি
সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (ডিপ্রকৌস), কুমিল্লা শাখার ২০২৪-২০২৬টার্মের নির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতি ও মোঃ হাবিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিলন আকন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজীব চন্দ্র দেবনাথ, প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যান সম্পাদক শিপন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর আলম, নির্বাহী সদস্য মোঃ বাবুল হোসেন, সুমন হোসেন সরদার, জনাব আবু সালেহ মোঃ নাসিম। কাউন্সিলর মোঃ ফারুক হোসেন দেলোয়ার, মোঃ সোহাগ, জসীম উদ্দিন, আয়ুইব আলী সরকার, সঞ্জয় কুমার দত্ত, মোঃ ফয়সাল হাওলাদার।
ডিপ্রকৌস কুমিল্লা শাখা নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল উদ্দিন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার পিন্টু দেবনাথ, ও জাহিদুর রহমান কর্তৃক সমন্নয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২৫ নভেম্বর’২৪ তারিখে উল্লেখিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে নির্বাচিত বলে ঘোষনা দেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় বিদেশি পিস্তলসহ আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক খোকন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আজ (শুক্রবার) সকালে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
গ্রেপ্তারকৃত খোকন মিয়া (৫৫) পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। সে আদর্শ সদর উপজেলা পাঁচথুবী ইউনিয়ন চাঁনপুর গ্রামের মৃত ইউনুস মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার ভোর ৫টায় অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে ১টি ৭.৬৫ মিমি. পিস্তল ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানতে পারে, চাঁনপুর এলাকার খোকন মিয়া অবৈধ একটি পিস্তল তার বাসায় না রেখে এক শিশুর মাধ্যমে পাশের বাড়ির জহিরুল হকের বাসায় পাঠান। পরে অভিযান চালিয়ে জহিরুল হকের বাসা থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জহিরুল হক স্বীকার করেন পিস্তলটি খোকন মিয়ার। বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় অস্ত্রটির প্রকৃত মালিক খোকন মিয়া।
সেনাবাহিনী জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও অস্ত্র কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে। কুমিল্লাকে অবৈধ অস্ত্রমুক্ত রাখতে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় সবজিক্ষেতে গাঁজা চাষের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ এক চাষীকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কুমিল্লা কার্যালয়ের সরবরাহকৃত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুড়িচং উপজেলা প্রশাসন, বুড়িচং থানা পুলিশ ও কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি যৌথ টিম অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের বড়াইল পশ্চিম পাড়ায় মো. দুলাল মিয়া (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে তার সবজিক্ষেত থেকে গাঁজা গাছসহ আটক করা হয়। অভিযানে একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে, অভিযানের আগেই তিনি অতিরিক্ত গাছ সরিয়ে ফেলেছেন। পরে তার বসতবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এক বক্স শুকনো গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।
জানা গেছে, দুলাল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সবজিক্ষেতের আড়ালে গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিলেন। আটক ব্যক্তি মৃত মো. কালা মিয়ার ছেলে। তার বাড়ি বুড়িচং উপজেলার বড়াইল পশ্চিম পাড়া।
এ ঘটনায় রাতেই কুমিল্লা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল হক বলেন, “আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
মন্তব্য করুন


ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ , বৃহস্পতিবার (০৯ অক্টোবর) ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের সেনা সদস্যরা আশুলিয়ার ঘোষবাগ পূর্বপাড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একটি সন্ত্রাসী চক্র চাঁদাবাজি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে আসছিল। সেনাবাহিনী গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সক্রিয় ( তিন ) সদস্যকে আটক করে।
অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ( ০১ অত্যাধুনিক শটগান, ১৩টি ধারালো চাপাতি, ৪টি ছোরা এবং চাঁদাবাজির টাকাসহ ) বিভিন্ন অপরাধমূলক আলামত উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বিশাল (২০), নাজমুল (২০) ও শিপন (২২)।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি ঘোষবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের আধিপত্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছিল। সেনা অভিযানের পর এলাকায় স্বস্তির বাতাস ফিরে এসেছে। আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রসমূহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) “ আব্দুল হান্না “ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর এ সহযোগিতা প্রশংসনীয়।’
মন্তব্য করুন


আন্তঃজেলা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের মূল হোতাসহ আরো ৮ সদস্য গ্রেফতার এবং চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গত ২৪ জানুয়ারি রুজুকৃত বুড়িচং থানার মামলা নং-১৮, তারিখ-২৪/০১/২০২৪, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫ এর রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ মনির হোসেন (৩২), ২। মোঃ সোহেল (৩০), ৩। কামরুল হাসান (৩২), ৪। মাঈনউদ্দিন (২৮), ৫। রুবেল আহমেদ @মিন্টু (২৯) দের গত ০৪/০২/২০২৪খ্রিঃ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে আসামি সোহেল ও মাঈনউদ্দিন ফোজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য যে, তারা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রান্সফরমার চুরি সংক্রান্তে রুজুকৃত ৮টি মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলো এবং তাদের দেওয়া তথ্য তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে সত্যতা পাওয়া যায়।
আসামী মাঈন উদ্দিন (২৮) এর দেওয়া বিজ্ঞ আদালতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি মোতাবেক কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় চোর চক্রের চোরাই মাল ক্রয় -বিক্রয়ের মূল মধ্যস্থতাকারী রুবেল (২৮) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। কুমিল্লার অধিকাংশ চোরাই মাল ক্রয়কারী মাঈন উদ্দিন ঢাকায় চোরাই মাল বিক্রয় করে। ঢাকায় চোরাইমাল ক্রয় চক্রের মূলহোতা ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর মালিক দেলোয়ার ও ম্যানেজার মনসুর। তার দেওয়া তথ্য মতে চোরাই মালামাল ক্রয়কারী ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ এর ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম মনছুর কে ঢাকা মিডফোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মনসুরের দেখানো মতে ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজ নামক দোকান হতে ৫০ কেজি চোরাই তামার তার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাথে জড়িত অনেক সদস্যের নাম প্রকাশ করে। প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে লালমাই থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৩/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ২০১৮ সালের বিদ্যুৎ আইনের ৩৫/৪১ এর পলাতক আসামী চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। রবিউল আলম @ রফিক (২৬) কে নোয়াগাঁও চৌমোহনী এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয় । তার দেখানো স্থান হতে ২টি ট্রান্সফরমারের খালি খোসা, ৩৩ কেজি ষ্টিলের পাত, ২টি ট্রান্সফরমারের ঢাকনা ও ২টি লোহার তৈরি কয়েলের ঢাকনা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। রবিউল আলম রফিককে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে অত্র মামলার সাথে জড়িত আসামী ২। মেহেদী হাসান শাকিল (২৩), ৩। রুবেল (২৬), ৪। মাসুদ রানা (২৩) দেরকে ভূশ্চি এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয় এবং চুরির কাজে ব্যবহৃত অটোটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী রুবেলের দেওয়া তথ্য মতে, তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয় সোর্সের মাধ্যমে সদর দক্ষিণ থানার মামলা নং-৭, তারিখ- ০২/০২/২০২৪ ইং, ধারা- ৩৭৯ দন্ডবিধি এর পলাতক আসামী জহিরুল ইসলাম (২৮) কে সদর দক্ষিণ থানাধীন সুয়াগাজি থেকে গ্রেফতার করা হয়। জহিরুল ইসলাম (২৮) এর দেওয়া তথ্য মতে, অত্র মামলার আর এক পলাতক আসামী মোঃ কবির হোসেন (৩০) কে জাঙ্গালিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, তারা ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ৩/৪ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ থানাসহ বিভিন্ন থানা এলাকায় এবং পাশর্^বর্তী জেলা চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় ট্রান্সফরমারের তামার তার চুরি করে আসছে। তারা দিনের বেলায় টার্গেট ট্রান্সফরমারের স্থানে রেকি করে এবং রাতের বেলা গিয়ে ট্রান্সফরমারের ঢাকনা খুলে তামার তার নিয়ে চলে আসে। ট্রান্সফরমার থেকে তামার তার চুরি করতে তাদের মাত্র ২০ থেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। চুরি করার পরে ট্রান্সফরমারের খালি খোলস (বক্স) সাধারণত ঘটনাস্থলেই ফেলে দেয়।
উল্লেখ্য যে, আসামী মোঃ কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে পূর্বে ৬টি মাদক মামলা রয়েছে। আসামী জহিরুল ইসলাম জহির এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ৩টি মাদক মামলা, ২টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মাসুদ রানা এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী মেহেদী হাসান শাকিল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১ টি চুরি মামলা, ১টি ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। আসামী রবিউল আলম রফিক এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মাদক ও ১টি মারামারি মামলা রয়েছে। আসামী রফিকুল ইসলাম মনছুর এর বিরুদ্ধে পূর্বে ১টি মারামারি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো:
১। মোঃ কবির হোসেন (৩০), পিতাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সাং-কাদির বক্স বাড়ী, গ্রাম- সৈয়দপুর, থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা,
২। জহিরুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মৃত মোঃ জাকির হোসেন, সাং- পূর্ব পাড়া, গ্রাম- বড় দৌলতপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- কুমিল্লা
৩। রুবেল (২৬), পিতাঃ মিজান, সাং- চৌকিদার বাড়ী, গ্রাম- দূর্গাপুর, ওয়ার্ড- ১, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
৪। মাসুদ রানা (২৩), পিতাঃ আব্দুল গফুর, সং- গ্রাম- ভুচ্চি (নুরপুর) মুক্তিযোদ্ধা জহির সাহেবের বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৫। মেহেদী হাসান @শাকিল (২৩), পিতাঃ শুক্কুর আলী,সাং- মোহরী বাড়ী, গ্রাম- চেংহাটা, থানা- লালমাই, জেলা- কুমিল্লা।
৬। রবিউল আলম @রফিক (২৬), পিতাঃ মৃত সুরুজ, সাং- ভুচ্চি( নুরপুর) ডাক্তার বাড়ী, থানা- লালমাই, জেলা-কুমিল্লা।
৭। রুবেল (২৮), পিতাঃ মৃত ফোরকান মিয়া, সাং- আহাম্মদপুর(ধানুর বাড়ী), থানা-নবীনগর, জেলা- ব্রাহ্মনবাড়ীয়া
৮। মোঃ রফিকুল ইসলাম @মনছুর (৪৮), পিতাঃ মোঃ শাহজাহান আলী , সাং- পায়না (প্রামানিক বাড়ী), থানা- ভেড়া, জেলা- পাবনা
মন্তব্য করুন


মো:
মাসুদ রানা,কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
মুড়ি ভাজার কারখানা চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা গ্রাম। মাহে রমজানকে সামনে রেখে দেশীয় মুড়ি ভাজার কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই গ্রামের পালবাড়ির বাসিন্দারা। এ যেন কারিগরদের ধম নেয়ারও সময় নেই।
সরেজমিনে কাদলা গ্রামের পাল বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন মুড়ি ভাজার কারিগরদের সাথে কথা হয়। ওই গ্রামের বিমল পাল,শ্যামল পাল, যুবরাজ,অমর পাল ও অজয় পাল জানান,মুড়ি ভাজা আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত পেশা হিসেবে মুড়ি ভাজার কাজে আছি। সংসারের হাল ধরার একমাত্র উপার্জনক্ষন ব্যক্তি হিসেবে তারা বংশগত এ পেশার উপরেই নির্ভরশীল রয়েছেন বলেও তারা জানান।
তারা আরো জানান, মুড়ি ভাজতে অনেক পরিশ্রম হয়। বর্তমান যুগে মুড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় তাদের এখানে আগের মতো এখন আর কেউ মুড়ি ভাজতে আসে না। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কেজি মুড়ি ২০ টাকা প্রতি কেজি ধরে ভাজা হয় প্রতিটি পরিবারে। প্রতি কেজি মুড়ি তারা ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করেন। এক সময় এ গ্রামে ২৫টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে থাকলেও বর্তমানে ৩/৪টি পরিবার মুড়ি ভাজার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ধানের দাম বেশি হওয়ায় এবং আধুনিক মেশিনে মুড়ি ভাজায় হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। তবে রমজান আসলে একটু চাহিদা থাকলেও বছরের অন্যান্য সময় অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। মুড়ি ভাজতে লবন, বালু লাগলেও এতে সহায়ক হিসেবে মাটির চুলা, লাকরি ও মাটির কড়াইয়ে মুড়ি ভাজা হয়। এতে এক একটি পরিবারের ৪ থেকে ৫ জন সদস্য সার্বক্ষনিক মুড়ি ভাজার কাজে সহায়তা করে থাকেন।
এমনি ভাবে কাদলা পাল বাড়ির অজয় পাল, যুবরাজ পাল, বিমল পাল, দিলিপ পাল, বিষ্ণু পদ পাল, বিমল পালের পরিবারও এ মুড়ি ভাজার কাজ করে তাদের সংসার চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তবে তারা জানান, এ পেশায় আগের মতো চাহিদা না থাকায় এবং লোকজন আগের মতো মুড়ি না ভাজায় বাধ্য হয়ে বংশগত পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে অনেকে।
তাদের দাবি বাপ-দাদার ঐতিহ্যগত এ পেশা বদল করতে চাইলেও পারছে না এবং কাছা-কাছি এলাকায় বৃহৎ বাজার না থাকায় ইচ্ছা করলেও ব্যবসা করতে পারছে না তারা।
বিমল পাল,শ্যামল পাল ও অমর পাল জানান, চলতি বছর এক মন ধান ১৭-১৮শ টাকায় ক্রয় করতে হয়। মুড়ির দাম কম হওয়ায় এবং আগের মতো মানুষের হাতে ভাজা মুড়ি ক্রয়ে আগ্রহ না থাকায় এ পেশায় আমাদের এখন আর পোষে না। আমরা বাপ দাদার ঐতিহ্য পেশায় ধরে রাখলে ভবিষ্যত প্রজন্ম আমাদের ছেলেরা এ পেশায় থাকবে না। তারা আরো জানান, ইচ্ছা করলেই এ পেশা বদল করা যায় না। তাই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা এনজিও সংস্থার ঋণ সহায়তা নিয়ে এ পেশাকে এগিয়ে নিতে চান কাদলা গ্রামের মুড়ি ভাজার কারিগড়রা ।
মন্তব্য করুন