

বাংলাদেশ
নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দুবার শিরোপা জিতেছে। এবার দেড় কোটি টাকা দেওয়ার
ঘোষণা দিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
আজ
শনিবার (৯ নভেম্বর) বাফুফের নবনির্বাচিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মিডিয়া কমিটির প্রধান আমিরুল ইসলাম বাবু। সেখানেই সাবিনা-মারিয়া-তহুরাদের
দেড় কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাটি দেন তিনি।
এর
আগে সাফ শিরোপা জেতায় চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ক্রীড়া
মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও এসেছিল পুরস্কারের ঘোষণা।
মন্তব্য করুন


মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের
গত বছরের ঢাকা সফর সদ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে উত্তরণের সময়ে বাংলাদেশকে এক বড় ধরনের
মানসিক প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
মালয়েশিয়া সফরকালে গতকাল বুধবার দেশটির
সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অধ্যাপক
ড. ইউনূস বারনামাকে বলেন, আনোয়ার ইব্রাহিমের এই সফর বাংলাদেশের কঠিন সময়ে জাতির মধ্যে
আশার সঞ্চার করেছিল।
বারনামা আজ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে।
বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজের নেতৃত্বে সংস্থাটির একদল সাংবাদিক এই
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী
সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক ড. ইউনূস সাক্ষাৎকারে ছাত্র জনতার নেতৃত্বে
কীভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন তা
স্মরণ করেন। এ সময়ে বাংলাদেশ যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছিল, তা তুলে ধরেন তিনি।
এই পরিস্থিতিকে ‘ম্যাগনিচিউড ৯ ভূমিকম্পে
আঘাত হানা’ অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, সবকিছু ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, ভীষণ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, কিছুই চলছিল না- শুধু ক্ষোভ
ফুঁসে উঠছিল।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমাদের
এমন এক কঠিন সময়ে দেশ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এটা ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ। শুধু
বিশৃঙ্খলা দূর করাই নয়, সবকিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হয়েছে। আমরা তখন পথ খুঁজছিলাম, কীভাবে
এগোবো— এমন সময়ে সুখবর এল, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আমাদের দেশে সফরে আসছেন।
বারনামাকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নোবেল
বিজয়ী ইউনূস আনোয়ার ইব্রাহিমের সেই সফর নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
আনোয়ার ইব্রাহিম ২০২৪ সালের অক্টোবর
মাসে বাংলাদেশ সফর করেন। অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব
নেওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় তিনিই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি নেতা হিসেবে বাংলাদেশ
সফর করেন।
‘তিনি আমাদের আশা দিয়েছিলেন। তাঁর সফর
জনগণের মধ্যে বিপুল উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছিল। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে খুব
পরিচিত একটি দেশ, কারণ এখানে বহু বাংলাদেশি বসবাস করেন এবং তাদের পরিবারও এখানে রয়েছে।
এটি কোনো অজানা-অচেনা দেশ নয়। তাই মালয়েশিয়ার
প্রধানমন্ত্রী এসে বললেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তোমাদের পাশে আছি’— এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনেক
অর্থবহ ছিল। তাঁর উপস্থিতি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক ও অনুপ্রেরণাদায়ক ছিল,’ বলেন প্রধান উপদেষ্টা
ড. ইউনূস।
৮৫ বছর বয়সী ইউনূস একজন অর্থনীতিবিদ
ও সামাজিক উদ্যোক্তা। তিনি ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশে দরিদ্র বিশেষত নারীদের জন্য জামানতবিহীন
ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের লক্ষ্যে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বাইরে প্রথম দেশ
হিসেবে আমানাহ ইখতিয়ার মালয়েশিয়া প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংক মডেল গ্রহণ করে।
ইউনূস ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ায়
তিন দিনের সরকারি সফরে আসেন। এ সময় তিনি মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি বিশেষ
করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম, শিক্ষা, পর্যটন ও প্রতিরক্ষা খাত, এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক
পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক
জোরদারের লক্ষ্যে দেশটির বিভিন্ন খাতের নেতৃবৃন্দ এবং বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ
করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, আমি
বলতে পারি, আমাদের সফরটি দারুণ ও অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমরা এই সফর নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।
সবাই তাঁদের সময় নিয়ে খুব উদার ছিলেন। আমরা যেসব কর্মকর্তা, নেতা ও ব্যক্তির সঙ্গে
দেখা করতে চেয়েছিলাম, সবাই এগিয়ে এসেছেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে
বলেন, এই সফর দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে এবং পারস্পরিক উপকারী
ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করবে, যা ১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের
পর থেকে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম
বাণিজ্য অংশীদার ও রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ। এর প্রধান রপ্তানি পণ্য হলো পেট্রোলিয়ামজাত
দ্রব্য, পাম তেল ও রাসায়নিক দ্রব্য, আর আমদানি পণ্য হলো টেক্সটাইল, জুতা, পেট্রোলিয়ামজাত
দ্রব্য ও প্রস্তুত পণ্য।
মন্তব্য করুন


ভোলায় ডাকাতি ও
দস্যুতার অভিযোগে ২ জনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের সদস্যরা। এসময় তাদের আস্তানায়
তল্লাশি চালিয়ে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৭ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৭ অক্টোবর)
সদরের উত্তর দিঘলদী ও ইলিশা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো: মোসলে
উদ্দিন ও কামাল।
কোস্টগার্ড জানায়, গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে নামে কোস্টগার্ডের একটি দল। অভিযান দলটি সদরের ইলিশা
বাজার এবং উত্তর দিঘলদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২ দস্যুকে আটক করে। তাদের
আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র।
আটকদের নামে ভোলার
মেঘনায় নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, দখল ও দস্যুতার অভিযোগ রয়েছে। জেলেদের
অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়। পরে আটককৃতদের ভোলা সদর মডেল থানায় হস্তান্তর
করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানায় কোস্টগার্ড।
মন্তব্য করুন


জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক
ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক
সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে
পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ড. ইউনূস গত
সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব
দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের
সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা
নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন। ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক
মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
রক্ষায় প্রস্তুত।
শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে
তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ
প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের
সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা
বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক
প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা
বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।
তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান,
অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য,
জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।
আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও
গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল,
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা,
নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার
সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া অধ্যাপক ড. ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের
বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক
কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।
রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন,
প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া
এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া
যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায়
ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে
হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য
থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।
শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি
তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)
থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক
যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।
প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান
ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি
দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের
বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার
দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।
মন্তব্য করুন


বিশ্বব্যাপী আলোচিত এবং সমাদৃত প্রধান
উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’ এবং ‘সামাজিক ব্যবসায়’ ধারণাটি
বাস্তবায়নে সমবায় অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী
উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব
ভুঁইয়া।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকায় সমবায়
অধিদপ্তর পরিদর্শন এবং পায়রা সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী
গৃহীত ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, যার ভিত্তি হচ্ছে
শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ। এ সময় ‘থ্রি-জিরো তত্ত্ব’
এবং ‘সামাজিক ব্যবসায়’ ধারণাটি বাস্তবায়নে কাজ করতে সমবায় অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের
নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, সমবায় অধিদপ্তরের
প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এবং পারফরম্যান্স নিম্নমুখী বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু তা ঊর্ধ্বমুখী
করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সমবায় আইন সংশোধন এবং যুগোপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের
নির্দেশনা দেন তিনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে শূন্যপদ পূরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার
বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপদেষ্টা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমবায় অধিদপ্তরের সদস্যদের
নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে পাইলটিং প্রকল্প গ্রহণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। এছাড়াও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সুষম সম্পদের বণ্টনের
জন্য সমবায় অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মতবিনিময় সভার শুরুতে সমবায় অধিদপ্তরের
নিবন্ধক ও মহাপরিচালকের সভাপতিত্বে সমবায় কার্যক্রম সম্পর্কে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন
দেন যুগ্ম নিবন্ধক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
বিভাগের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. মোখলেছুর রহমান। সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও সমবায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকার আজ বৃহস্পতিবার ( ২৭ নভেম্বর )উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে রাজধনী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন করেছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
মুহাম্মদ ইউনূস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের সব ভবন ও নির্মাণ কাজের অনুমোদনের জন্য
একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের নির্দেশ দেন।
বৈঠকের
পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রধান উপদেষ্টা গৃহায়ন
ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করা যায়, যা
দেশের সব স্থাপনা ও নির্মাণ কাজের অনুমোদন দেবে। বর্তমানে রাজউক শুধুমাত্র নিজস্ব এলাকায়
অনুমোদন দিতে পারে।
বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ নির্মাণ বিধি মানা হচ্ছে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, গ্রামাঞ্চলসহ দেশজুড়ে চার থেকে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ হচ্ছে, তবে প্রশ্ন
হলো এগুলো জাতীয় ভবন নির্মাণ কোড মেনে তৈরি হচ্ছে কিনা। এছাড়া ভূমিকম্প ও অগ্নি ঝুঁকির
বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নতুন
রাজউক অধ্যাদেশে পুনর্বিকাশ, জমি পুনর্বিন্যাস, খেলার মাঠ, জলাশয় ও প্রাকৃতিক জলাধারের
সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, ‘জমির মালিক ৬০ শতাংশের
সম্মতিতে পুনর্বিকাশ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।’
প্রধান
উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, নতুন অধ্যাদেশে নির্মাণ, জলাশয় খনন, নিচু জমি ভরাট, প্রাকৃতিক
জলপ্রবাহ বাধা, খেলার মাঠ ও উদ্যানের শ্রেণী পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া অনুমোদিত নকশা ব্যতীত নির্মাণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যত্যয়ী স্থাপনা অপসারণের শাস্তি
এবং রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য বা কর্মচারীদের রাজউকের সঙ্গে সংযুক্ত কোনো চুক্তি বা
শেয়ারে অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


শ্রীলংকায়
ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা কবলিত জনগণের জন্য বাংলাদেশ জরুরী ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
বন্ধুপ্রতীম
দেশ শ্রীলঙ্কায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া'র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের
মতো মানবিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্মাহত। এ পরিস্থিতিতে শ্রীলংকা সরকার জরুরী
অবস্থ জারী করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।
শ্রীলংকার
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কলম্বোস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য, ঔষধ সামগ্রী
ও অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।
আন্ত:বাহিনী
জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি ১৩০জে পরিবহন বিমান ক্ষতিগ্রস্থদের মানবিক সহায়তা প্রদানের
লক্ষ্যে আজ বুধবার বাংলাদেশ বিনান বাহিনীর ১৫ জন ক্রুর একটি দল, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের
একজন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কলম্বো
উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
বিমান
বাহিনীর এয়ার কমডোর মোহাম্মদ সহিদুল ইসলাম মিশন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। আজ প্রেরণকৃত
সর্বমোট প্রায় ১০ টন ত্রাণ সহায়তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, শুকনো খাবার, মশারী, টর্চ লাইট,
গাম বুট, ভেস্ট, হ্যান্ড স্লোভস, রেসকিউ হেলমেট এবং বিপুল পরিমান ঔষধ।
উল্লেখ্য,
মানবিক সহায়তা প্রদান শেষে সি ১৩০জে পরিবহন বিমানটি একই দিন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন
করবে।
বাংলাদেশ
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রেরিত এই মানবিক সহায়তা শ্রীলংকায়
সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা
পালন করবে।
আগামী
দিনগুলোতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বৈশ্বিক যে কোন প্রয়োজনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
আত্মনিয়োগের জন্য সদা অঙ্গীকারবদ্ধ।
উল্লেখ্য,
শ্রীলংকায় সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ডিটওয়া'র প্রভাবে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ফলে
এখন পর্যন্ত ৩৩৪ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২ শতাধিক জন নিখোঁজ রয়েছে। শ্রীলংকার দুর্যোগ
ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক উক্ত বন্যায় ২০ হাজারের বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্থ
হয়েছে এবং ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষকে সরকার পরিচালিত অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া
হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে-বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে তাদের
নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার
ততটুকু সময় পেতে পারে।
আজ
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিরতিতে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন এমন কথা বলেন।
আখতার
হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান রোডম্যাপ সরকারকে উপস্থাপন
করতে হবে। আমরা নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষে নয়, তবে তার আগে বিচার এবং সংস্কারকে
যেন অবশ্যই দৃশ্যমান করা হয়। সে ব্যাপারে আমরা জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। আমরা
এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন,
জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি। তবে
পুলিশ সংস্কার কমিশিনের রিপোর্ট কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন
করেছি। আমাদের মতামতগুলো জানাতে চেয়েছি।
বর্তমান সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব
নয় উল্লেখ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র
ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ
তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা
আমরা বলেছি। কীভাবে নতুন একটি সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়। গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা
নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
এনসিপি’র
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি বিষয়ের মধ্যে
১২৯টি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেসব বিষয়ে আমাদের অবজারভেশন
রয়েছে। এসব বিষয়ে সংযোজন, বিয়োজনের নোট আমরা ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছি। আমরা মূলত এখন পর্যন্ত
তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথমত, প্রটেকশন অব সিটিজেন (নাগরিকদের নিরাপত্তা)। আমরা দেখেছি,
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার কখনো স্বীকৃত হয়নি। সেসব
বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি।
দ্বিতীয়ত,
আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছি। আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি, যখনই ক্ষমতা
হস্তান্তরের একটি সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটা সরকার
থেকে অন্য সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কীভাবে হবে এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা
হচ্ছে।
তৃতীয়ত,
সংসদের স্থিতিশীলতার নামে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে আমাদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। আমাদের সংসদকে আরো বেশি কীভাবে কার্যকর করা যায় ওই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা
হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনসিপি’র
পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক
সরোয়ার তুষার, জ্যেষ্ট যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
মুখ্য সংগঠক (দাক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মন্তব্য করুন


সোমবার (১২ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হটলাইন সেবা চালু করা নিয়ে বলা হয় ।
একটি অনুরোধ জানিয়ে আরো বলা হয় যে,
মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হলে তার তথ্য জানাতে
অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা
বা অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুর্বৃত্ত কর্তৃক হামলার শিকার বা আক্রান্ত হলে তার
তথ্য ০১৭৬৬-৮৪৩৮০৯ এই মোবাইল নম্বরে ফোন বা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে জানানোর জন্য অনুরোধ
করা হলো।
এর আগে গতকাল দুপুরের দিকে অন্তর্বর্তীকালীন
সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ঠেকাতে হটলাইন চালুর
কথা বলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চালু হলো এই সেবা।
মন্তব্য করুন