যে কোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ
করব বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও
পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে জুলাই পদযাত্রার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন,
এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশিদের
নির্বিচারে গুলি করা হত্যা করা হচ্ছে৷ অবৈধভাবে একের পর এক পুশইন করা হচ্ছে। যে কোনো
মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব। জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল৷ নতুন
দেশ গঠনে সারা দেশে কর্মসূচি চলছে। জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের
মাধ্যমে আমরা নির্বাচন চেয়েছি৷
এনসিপির জুলাই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনীম যারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা৷
মন্তব্য করুন
জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আগামী ১৯ ও ২০ নভেম্বর এর (রবিবার ও সোমবার) সব পরীক্ষা স্থগিত
করা হয়েছে।
১৮
নভেম্বর (শনিবার) দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো
হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে ওই দুদিনের সব
পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থগিত এসব পরীক্ষার সংশোধিত তারিখ
সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরে জানানো হবে। এ ছাড়া পূর্ব ঘোষিত অন্যান্য পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি
অপরিবর্তিত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় সার্বিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বরিস তাদিচ অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্ব এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার আগ্রহ জানিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট তাদিচ বলেন, ‘আমি এই দেশকে ভালোবাসি।
আমি আপনাকে কোনোভাবে সাহায্য করতে পারি কি না, জানান। ’
বৈঠকে দুই নেতা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, অন্তর্বর্তী সরকারের চ্যালেঞ্জ এবং সার্বিয়ার ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে।
নিয়োগ পদ্ধতি শিক্ষক নিবন্ধন সনদের পরিবর্তে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া করবে সরকারি কর্ম কমিশনের আদলে গঠিত একটি কর্তৃপক্ষ।
তবে এ নিয়ে বর্তমানে আইন তৈরির কাজ চলছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সনদের ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। এজন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। আর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বিজ্ঞপ্তির পর সনদের ভিত্তিতে আবেদন করলে আবেদনপত্রের ভিত্তিতে নিয়োগে সুপারিশ করে থাকে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস এম মাসুদুর রহমান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আইনটি পাস হলে শিক্ষক নিয়োগে আর কোনো নিবন্ধন সনদের দরকার হবে না। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর এনটিআরসিএর জন্য নতুন আইন তৈরি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়।
শিক্ষক নিয়োগে নতুন আইন প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক অনুবিভাগ-২) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন আইন তৈরির কাজ চলমান। আশা করছি, আইনটি পাসের জন্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
এদিকে এনটিআরসিএর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নির্বাচন এবং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সুপারিশ কর্তৃপক্ষ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করবে। তবে এই নতুন আইন কার্যকর হতে দেড় থেকে দুই বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আর এই সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আগের নিবন্ধন সনদের ভিত্তিতে হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে এনটিআরসিএর সনদধারীরা গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আবেদন করলে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এ ক্ষেত্রে অনূর্ধ্ব-৩৫ বা নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছর রয়েছে এমন সব প্রার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। ফলে অনেকেই বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তবে নতুন আইন কার্যকর হলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বয়স উল্লেখ থাকবে। এতে বঞ্চিত হতে হবে না কাউকে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন সনদ দিয়ে আসছে এনটিআরসিএ। প্রথম দশকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি। তবে ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর এতে পরিবর্তন আসে। সনদ দেয়ার পাশাপাশি নিয়োগের জন্য সুপারিশের ক্ষমতা দেয়া হয় এনটিআরসিএকে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই
শুরু হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শনের
পর এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, ‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।’বি
জিবি সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে
না। চোরাচালান যেন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার
পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ
৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস
বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
মন্তব্য করুন
দেশের আকাশে হিজরি শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শবে বরাত পালিত হবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায়। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার সভাটির সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহাঃ বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. কাউসার আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমীন, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমানসহ আরও অনেকে।
মন্তব্য করুন
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যপুস্তক উৎসব-২০২৪ এর জন্য পৃথক ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,প্রাথমিকের বই উৎসব হবে ঢাকা মিরপুরে। আর মাধ্যমিকের বই উৎসব হবে কুমিল্লায়। উৎসব শুরু হবে সকাল ১০টায়।
নিয়মানুযায়ী, এক দিন আগে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর পরদিন পহেলা জানুয়ারি পৃথক পৃথক ভেন্যুতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমেদ বলেন,প্রাথমিকের বই উৎসব এবার মিরপুরের ন্যাশনাল (সকাল-বিকাল) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হবে। এটা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পাশেই অবস্থিত।
আর মাধ্যমিকের বই উৎসব সম্পর্কে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রতি বছরের মতো এবারো বছরের প্রথম দিন বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। মাধ্যমিকের বই উৎসব কুমিল্লার সোয়াগঞ্জ তোফাজ্জল আহমেদ চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হবে।
বই ছাপানোর অগ্রগতি বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকের সব বই গত ৪ ডিসেম্বর উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এছাড়া নতুন কারিকুলামের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রায় সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। অষ্টম শ্রেণির সব বই গত মঙ্গলবার প্রেসে দেওয়া হয়েছে। আর নবম শ্রেণির বিজ্ঞানের একটি বই গত শনিবার প্রেসে দিয়েছি। সামাজিক বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানের আরেকটি বই আজ সোমবার প্রেসে যাবে।
জানা গেছে, ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে মোট ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৪ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি পাঠ্যবই ও শিক্ষক সহায়িকা (টিজি) বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে ৩০ লাখ ৮০ হাজার ২০৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ৬১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৮টি পাঠ্যবই। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এক কোটি ৮২ লাখ ৫৫ হাজার ২৮৪ জনকে দেওয়া হবে ৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৬৯৭টি পাঠ্যবই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৮৫ হাজার ৭২২ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ লাখ ৫ হাজার ৩১টি পাঠ্যবই। এছাড়া প্রাথমিক স্তরের ইবতেদায়ি প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ২ কোটি ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬টি পাঠ্যবই।
মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ১০৭ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১৩ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭টি পাঠ্যবই। দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৪ কোটি ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২টি পাঠ্যবই। ইংরেজি ভার্সনের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ১১ লাখ ৭২ হাজার ৫৭টি পাঠ্যবই। কারিগরি ট্রেডের জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩৪ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হবে ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭০২টি পাঠ্য বই। এসএসসি ভোকেশনালের ৬ হাজার ১৫ জন শিক্ষার্থীকে ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৫টি পাঠ্য বই দেওয়া হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে ৭২৮টি বই। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য ৪০ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৮টি শিক্ষক সহায়িকা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ 'নৈপুণ্যর' আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।
গতকাল বুধবার এ অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে অ্যাপটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অ্যাপটির উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, বিশিষ্ট সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদসহ শিক্ষা প্রশাসনের কর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, এ অ্যাপটি শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংগ্রহ করতে প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অ্যাপটিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। একইসঙ্গে এ অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষার্থীদের রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করবে।
জানা গেছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালুকৃত মূল্যায়ন পদ্ধতির তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের জন্য ‘নৈপুণ্য’ নামের অ্যাপটি উন্নয়ন করা হয়েছে। এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর দায়িত্বে রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এনসিটিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ অ্যাপে শিক্ষকদের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করবেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা। প্রধান শিক্ষকদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে অ্যাপে লগইন করা ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়েছে। তা ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকরা অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। শিক্ষক ব্যবস্থাপনা অপশন থেকে শিক্ষকদের যুক্ত করা যাবে এবং বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন করা যাবে। কোনো শিক্ষককে যুক্ত করা হলে তার মুঠোফোনের এসএমএসের মাধ্যমে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড চলে যাবে। যা দিয়ে ওই শিক্ষক অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে লগইন করতে পারবেন। এতে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে৷ এটি ব্যবহার করেই সক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তারা আরো বলছেন, এ অ্যাপে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীর শিখণকালীন ও সামস্টিক মূল্যায়নের (পরীক্ষা) তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অ্যাপে সংরক্ষিত তথ্য শিক্ষার্থীর একটি আইডিতে সংরক্ষিত থাকবে। যা পরবর্তী শ্রেণিতেও শিক্ষকরা দেখতে পারবেন।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড তৈরির অ্যাপ ‘নৈপুণ্য’ গত শনিবার শিক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এ অ্যাপে মাধ্যমিক পর্যায়ের সব স্কুল ও মাদরাসার রেজিস্ট্রেশন করতে স্কুল ও মাদরাসাগুলোর প্রধানদের বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।
মন্তব্য করুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ
এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সবাই আমরা এক হয়ে ইনশাআল্লাহ, জাতিকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর
নির্বাচন উপহার দিতে পারব, এ বিশ্বাস আমার আছে। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নির্বাচন
কমিশনের (ইসি) অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওবার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে তথ্য দেওয়া
হবে উল্লেখ সিইসি বলেন, দেশবাসীর সম্মুখে খুব নির্ভরযোগ্যভাবে সহজভাবে সুন্দরভাবে বিস্তারিতভাবে
উপস্থাপনের জন্য আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলে মূলত থাকবে নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন
সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য। এতে থাকবে ভোটার রেজিস্ট্রেশনের পদ্ধতি সম্পর্কিত বিষয়।
নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সময়সূচি, প্রার্থীদের
করণীয় সংক্রান্ত এবং এদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সম্পর্কিত বক্তব্য। ভোটার হিসেবে
আপনার যে নাগরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে এবং অধিকার রয়েছে সে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় এ ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা পরিবেশন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের
মূল ফোকাস থাকবে নারী, যুব সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, এবং সমাজের পিছে পড়া জনগণকে আমাদের
এই মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা। যেন তাদের আমরা আমাদের এই নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে
সম্পৃক্ত করতে পারি এবং তারা যেন সচেতনভাবে দেশের গণতন্ত্রায়নে অংশ নিতে পারে, সে সুযোগ
আমরা সৃষ্টি করতে চাই।
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য,
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার
স্বচ্ছতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের প্রত্যাবলী বিস্তারিতভাবে, সুন্দরভাবে,
গ্রহণযোগ্যভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে চাই, উন্মোচিত করতে চাই, যেন মানুষের আস্থা
এবং আমাদের যে স্বচ্ছতা, তা আরও সুদৃঢ় হয়। ইদানীং একটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
সেই চ্যালেঞ্জ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই)
অপব্যবহার সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ। মিথ্যা ভিডিও, বানোয়াট তথ্য নিয়ে ভিডিও, অপতথ্য
নিয়ে ভিডিও এগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার আবেদন থাকবে,
যেকোনো তথ্য বিশ্বাস করার আগে আপনারা দয়া করে যাচাই করে নেবেন। যদি শেয়ার করেন, আগে
যাচাই করে নেবেন। আগে যাচাই করে তারপর আপনারা বিশ্বাস স্থাপন করবেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির
উদ্দিন বলেন, আমি আশা করব আপনারা আমাদের এই ভিডিওটা নিয়মিত দেখবেন। সাবস্ক্রাইব করুন।
নিয়মিত একটু দেখবেন এবং নিজের সঠিক তথ্য সম্পর্কে অবহিত হবেন এবং অন্যদের সঙ্গে এটি
শেয়ার করবেন। আসুন আমরা সবাই মিলে এই অপতথ্য মোকাবিলা একসঙ্গে শুরু করি। এই অপতথ্যের
বিরুদ্ধে একটা লড়াই শুরু করি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপতথ্য ছড়ানোর যে প্রয়াস, এর
বিরুদ্ধে আমরা ইলেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে আপনাদের আহ্বান জানাই, মিলে মিশে এর মোকাবিলা
করি এবং সঠিক তথ্য জাতির সামনে উপস্থাপনে আমরা সবাই মিলে সহযোগিতা, সহায়তা করি এবং
সঠিক তথ্য এবং প্রতিটি কণ্ঠস্বর, প্রতিটি ভোট যে গুরুত্বপূর্ণ, বিষয়টা আমরা প্রতিষ্ঠিত
করতে চাই।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বলেছেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা শুধু বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ নয়, সারাবিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত
মানুষের মুক্তি আন্দোলনের অনুপ্রেরণার উৎস।
‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’ উপলক্ষে
এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা দাবি
থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান
মো. সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন,
৭ জুন ‘ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস’। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে ৬ দফা
একটি অনন্য মাইলফলক। ৬ দফার মাধ্যমেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির
রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির দাবি দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন।
তিনি এই মহান দিনে জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাঙালির
মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন আমি তাদের স্মৃতির প্রতি
জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতা
বাঙালির সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে আন্দোলনের সূত্রপাত
হয়, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। রচিত হয় বাঙালি জাতীয়তাবাদের
ভিত্তি। এরপর ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠন, ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন ও ১৯৬২
সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার
লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সর্বদলীয় সম্মেলনে ঐতিহাসিক ৬ দফা
প্রস্তাব পেশ করেন। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো, কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রানীতি, রাজস্ব
ও করনীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, আঞ্চলিক বাহিনী গঠনসহ এই ৬ দফার মধ্যেই তিনি পূর্ব বাংলার
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার তুলে ধরেন, যার মধ্যে নিহিত ছিল
বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ৬ দফা
ঘোষণার পর শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং তাকে বারবার গ্রেফতার
করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ৬ দফার দাবি থেকে পিছপা হননি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বঙ্গবন্ধু
রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন।
এজন্য তিনি বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নপূরণ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার প্রতি আহ্বান
জানান।
মন্তব্য করুন
২০২৪ সালে একক পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এর ফলে এবারও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আগের নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কবে পরীক্ষা সব তথ্য একসঙ্গে এখানে -
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিকবিজ্ঞান ইউনিটের মধ্য দিয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন)। আর সব ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে সি ইউনিটের (বিজ্ঞান) পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে আর এরপর ৬ মার্চ এ ইউনিট (মানবিক) এবং ৭ মার্চ বি ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পদ্ধতির এক ঘণ্টার এই পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০। পাস নম্বর ৪০।
আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। আর ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই। কোটা বাদে ৫৯টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ৩ হাজার ৯০৪ শিক্ষার্থী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আগামী ২২, ২৫, ২৭, ২৮ ও ২৯ ফেব্রুয়ারি (সম্ভাব্য) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিভিন্ন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে। ১৪ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ মার্চ এ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে। এরপর ৭ মার্চ সি ইউনিট, ৮ মার্চ বি ইউনিট ও ১৬ মার্চ ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। এ ছাড়া বি-১ ও ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা যথাক্রমে ৩ ও ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।
বুয়েটে দুই ধাপে পরীক্ষা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা হবে দুই ধাপে (প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি পরীক্ষা)। প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণ ও জমা শুরু হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ চলবে।
তবে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য কারা, জানা যাবে ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আর প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। দুই পালায় (শিফট)।
মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সময় ২৯ ফেব্রুয়ারি। ৯ মার্চ মূল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের সম্ভাব্য সময় আগামী ৩১ মার্চ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৩০৯।
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা তিন দিনে
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (জিএসটি) বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভুক্ত হয়ে একযোগে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। গত ২৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কিছু বিষয় সমন্বয় করার জন্য আবেদনের তারিখ ও পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন হবে। পরিবর্তিত তারিখ শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রকৌশল গুচ্ছে এবার তিন বিশ্ববিদ্যালয়
এবারও চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট); খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) একটি গুচ্ছভুক্ত হয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির জন্য সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিচ্ছে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন ৩ হাজার ২৩১টি।
অনলাইনে ২৪ জানুয়ারি আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রসহ যোগ্য অংশগ্রহণকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৩ মার্চ এই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ১৮ মার্চ।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কৃষি ও কৃষির প্রাধান্য থাকা আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছভুক্ত হয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেবে। এবার নতুন প্রতিষ্ঠিত কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এই গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আছে এই গুচ্ছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।
মেডিকেল কলেজ
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে । এবছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ৫ হাজার ৩৮০ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর মধ্যে ৮৮২টি কলেজে স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জারি করা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২২ জানুয়ারি অনলাইনে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মন্তব্য করুন