জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম উত্তর প্রতিনিধি:
উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা গ্রামে হৃদয়বিদারক ও আনন্দঘন এক ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ২৮ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু সাইফুল ইসলাম অবশেষে ফিরে এসেছে তার বাবা-মায়ের কোলে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সন্তানকে ফিরে পেয়ে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন।
সাইফুল দরিদ্র কৃষক পরিবার আব্দুল লতিফ ও আমেনা বেগম দম্পতির চতুর্থ সন্তান। নয় বছর বয়সে পরিবারের অভাব অনটনের কারণে প্রতিবেশী এক নারীর সঙ্গে চট্টগ্রামে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে। কিন্তু পথে ট্রেন থামলে শৌচকর্ম সারতে নেমে যায় সাইফুল। মুহূর্তেই ট্রেন ছেড়ে গেলে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। এরপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি ছোট্ট সাইফুলের।
ভাগ্যের খেলায় সাইফুল আশ্রয় পায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি রেলস্টেশনের এক চায়ের দোকানে। সেখানেই কাটে তার দীর্ঘ ২৮ বছর। সম্প্রতি নেফরা গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের বাবা-মায়ের নাম ও গ্রামের নাম বলতে পারায় ধীরে ধীরে সাইফুলের খোঁজ মেলে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তার বড় ভাই মাহফুজার রহমান ভাটিয়ারি গিয়ে সাইফুলকে বাড়ি নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে বাড়ি ফেরার পর শতশত মানুষ ভিড় জমায় তাদের বাড়িতে।
অশ্রুসিক্ত বাবা আব্দুল লতিফ বলেন, “ছেলেকে পেয়ে আমি আল্লাহর দরবারে সেজদায় পড়েছি। বহু বছর দোয়া করেছি, আজ আল্লাহ তা কবুল করেছেন।”
মা আমেনা বেগম বলেন, “সংসারের অভাবে ছেলেকে কাজে পাঠিয়েছিলাম। পথে হারিয়ে যায়। খুঁজেছি বহু জায়গায়। আজ আল্লাহর রহমতে সন্তানকে ফেরত পেলাম।”
এলাকাবাসী জানান, সন্তান হারিয়ে পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। দাদী আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে নাতির ফেরার প্রার্থনা করলেও তা আর দেখে যেতে পারেননি।
চায়ের দোকানের মালিক মোস্তাকিন জানান, সাইফুল দীর্ঘদিন তার দোকানে কাজ করেছে। পরবর্তীতে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর লিখিতভাবে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, “পরিবারটি অসহায়। সরকারি-বেসরকারি সহায়তা খুবই প্রয়োজন।”
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, “২৮ বছর পর সন্তানকে ফিরে পাওয়া সত্যিই আনন্দের বিষয়। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
মন্তব্য করুন
দুই
বছর আগেই চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি বিয়ে করেছেন। নায়িকা নিজেই সম্প্রতি সেই খবর প্রকাশ্যে
এনেছেন । তার স্বামী সৈয়দ অমি একজন গায়ক। মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজের সুবাদে পরিচয় তাদের।
এরপর ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেন তারা।
অমির
সঙ্গে পরিচয়ের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে আঁচল জানান, ‘ও জান রে’ শিরোনামে একটি গানের ভিডিও
চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে অমির সঙ্গে পরিচয় তার। গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি মডেলও হয়েছিলেন
অমি। অমির সঙ্গে তার অল্প পরিচয়েই হয়েছে বিয়ে। ‘ও জান রে’ গানটি রিলিজের পর সেটির এডিটিং
মুগ্ধ করে আঁচলকে। ধন্যবাদ জানাতে তিনি ফোন করেন অমিকে। তখনই নায়িকাকে ট্রিট দেওয়ার
প্রস্তাব দেন গায়ক।
এক
সপ্তাহ পর একটি রেস্তোরাঁয় আঁচল-আমির দেখা হয়। তখন আঁচলকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন
অমি। আঁচল এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অমির বাড়ি কুমিল্লায়। কুমিল্লার ছেলেদের অনেক
সাহস, আমি একটা নায়িকা, আমাকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি শুনে অবাক হয়েছিলাম।
তখন
আঁচল অমিকে বলেছিলেন, ‘প্রেম নয়, বন্ধুত্ব নয় সরাসরি বিয়ে প্রস্তাব, কত বড় সাহস তোমার?
আমরা তো বন্ধু হতে পারি। প্রেম হওয়ার মতো হলে পরে হবে। উত্তরে অমি জানায়, সে আঁচলকে
অনেক আগে থেকেই পছন্দ করে। তার সিনেমার ভক্ত। এ ছাড়াও সব কিছু জেনে বুঝে নিয়ে তার পরিবারের
সঙ্গে কথা বলতে আঁচলকে অনুরোধ করেন অমি।
চিত্রনায়িকা
আঁচল জানান,পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্তের পরই বিয়েটা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ১৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক
ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী
মডেল থানাধীন কাপ্তানবাজার এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। সোলেমান
আহমেদ ও ২। আবু সায়েম নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
কাছ থেকে ১৫ কেজি গাঁজা এবং মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী ১। সোলেমান আহমেদ
(২০) কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন খারেরা পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং ২। আবু সায়েম (২১)
একই এলাকার শরিফুল ইসলাম এর ছেলে।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায় যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত সিএনজি ব্যবহার করে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক
ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর
মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো
সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরে জীবন্ত রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপ ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়ার পর
আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের অর্থ পেয়েছেন দুই ব্যক্তি।
এ দুজন ছাড়াও আরও একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো.
ইশতিয়াক আরিফ জীবিত রাসেলস ভাইপার ধরা দুজনকে ৫০ হাজার করে ১ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুরস্কারের অর্থের চেক পাওয়া আজাদ শেখ বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত পুরস্কারের
৫০ হাজার টাকা পেয়েছি। ধন্যবাদ জেলা আওয়ামী লীগ, তাদের কথা রাখার জন্য।
সোমবার দিবাগত রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অফিসে
দুজনের হাতে পুরস্কারের অর্থের চেক তুলে দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ
মো. ইশতিয়াক আরিফ।
পুরস্কার পাওয়া ব্যাক্তিরা হলেন—ফরিদপুর সদরের রেজাউল করিম ও আজাদ শেখ। শাহজাহান
নামের আরও একজনকে পরে পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আমাদের
ঘোষণা অনুযায়ী তিন ব্যক্তিকে পুরস্কার বাবদ ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা। আমরা ঘোষণা
অনুযায়ী দুজনকে সোমবার রাতে আমার ব্যক্তিগত অফিসে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা দিয়েছি।
আর একজনকে আমরা পুরস্কার দেব। সেটা দুই-একদিনের মধ্যে দিয়ে দেব। জেলা আওয়ামী লীগ তাদের
কথা রেখেছে।
প্রসঙ্গত, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে প্রথমে রাসেলস ভাইপার মারতে পারলে
গত ২০ জুন ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
শাহ মো. ইশতিয়াক। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ার একদিন পরে ২১ জুন জেলা আওয়ামী লীগ ওই ঘোষণা
থেকে কিছুটা সরে এসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিজে সুরক্ষিত থেকে জীবিত রাসেলস
ভাইপার ধরে বনবিভাগে জমা দেওয়া হলে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হব। তবে জেলা
আওয়ামী লীগের এ সংশোধিত ঘোষণাও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের পরিপন্থি। এ ঘোষণার পর রাসেলস
ভাইপার জীবিত ধরার জন্য তোড়জোর শুরু হয়ে যায় ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে।
ইশতিয়াক আরিফ আরও বলেন, মৃত রাসেলস ভাইপার সাপ আনতে পারলে ও পরবর্তীতে জীবিত
রাসেলস ভাইপার ধরতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। তবে প্রথমে মৃত রাসেলস ভাইপারের পুরস্কারের
কথাটা আমরা একটু ইমোশনাল হয়েই বলেছিলাম। তবে, এ ব্যাপারে নানা জনের নানা কথা শুনতে
হয় আমাদের, পরবর্তীতে জীবিত রাসেলস ভাইপার সাপ ধরতে পারলে পুরস্কারের ঘোষণা করেও নানা
কথা শুনতে হয় এবং আইনগত সমস্যা আছে বলে জানানো হয়। পরে আমরা উভয় পুরস্কারের ঘোষণা প্রত্যাহার
করে নিয়েছি। এরপর থেকে জীবিত কিংবা মৃত রাসেলস ভাইপারের জন্য কাউকে কোনো পুরস্কার দেওয়া
হবে না।
মন্তব্য করুন
মো:
মাসুদ রানা,কচুয়া:
শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার দহুলিয়া গ্রামে অবস্থিত জামিআ দারুত তাওহীদ মাদ্রাসায় অভিভাবক সমাবেশ,শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা ও শীতকালীন পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকালে তাওহীদ একাডেমি এন্ড ইসলামিক সেন্টারের আয়োজনে ওই মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বাহারী রকমের পিঠা আনেন। পরে অভিভাবকদের নিয়ে সমাবেশ করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। একই দিনে মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসায় আরবী শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষায় পাঠদান করাচ্ছেন শিক্ষকরা।
তাওহীদ একাডেমি এন্ড ইসলামিক সেন্টারের সভাপতি মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মালেক মিয়াজীর সঞ্চালনায় অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, তাওহীদ একাডেমী এন্ড ইসলামিক সেন্টার ও জামিআ দারুত তাওহীদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. জামাল হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি কামাল হোসেন বাবুল,ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামী আমীর মো. জসিম উদ্দিন,ইউপি সদস্য কামাল হোসেন,মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শায়েখ আকরামুজ্জামান ও বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম মিয়াজী সহ আরো অনেকে।
এসময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজী মো. দুলাল মিয়া,সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান,রাসেল হোসেন,গোলজার হোসেন,আব্দুল মালেক,জালাল মিয়া,সাইফুল ইসলাম,সাজেদুল ইসলাম, মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন প্রতিযোগি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন
নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার তিতাসে পরকীয়ার জেরে ফোনে ডেকে নিয়ে নজরুলকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া বাদী হয়ে খুনি দম্পতি হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার জেরে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি নজরুলকে (৩৫) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে বাজারের ব্যাগে ভরে বাড়ির পাশে খালে ফেলে দেয়। আটককৃত দম্পতির স্বীকারোক্তি মতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় জেলেদের দিয়ে খণ্ডিত দুই হাতসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুড়ি উদ্ধার করেছে। এদিকে নিহতের বাকী অংশবিশেষ উদ্ধারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই।
এ বিষয়ে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্যাহ বলেন, নজরুলকে হত্যাকারী দম্পতিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি এবং তাদের স্বীকারোক্তি মতে নিহতের খণ্ডিত দুই হাত উদ্ধার করাসহ হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ছুরি উদ্ধার করেছি। নিহতের বাকি অংশবিশেষ উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় নিহত নজরুলের পিতা হানিফ ভূঁইয়া বাদী হয়ে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতিকে আসামি করে এবং আরো ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত দম্পতিকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ৬ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টায় নজরুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নিজ ঘরে হত্যা করে হোসেন-স্মৃতি দম্পতি।
মন্তব্য করুন
খাগড়াছড়ির গুইমারার দুর্গম এলাকায় প্রায় ৩ একর গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে গুইমারার দুর্গম চৌধুরীপাড়ায় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষকৃত গাঁজা ক্ষেত ধ্বংস করা হয়।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন অভিযানে যায়। এ সময় প্রায় ৩ একর জায়গার ওপর চাষ করা গাঁজা ক্ষেত কেটে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি টাকা বলে জানা গেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব চৌধুরী, গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফুল আমিন ও মাটিরাঙ্গা সেনা জোনের সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন খাগড়াছড়ি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম ও খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
ওসি মুহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন, একটি চক্র দুর্গম এলাকায় গোপনে গাঁজা চাষ করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। তবে এই ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
মন্তব্য করুন
জাহাঙ্গীর আলম, কুড়িগ্রাম (উওর) প্রতিনিধি:
"গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই"এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট)) বিকেলে ফুলবাড়ী উপজেলা ছওয়াব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে ১টি লটকন ও ১ টি মেহগনি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলা ছওয়াব ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মাহফুজার রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ছওয়াব ফাউন্ডেশনের
ঢাকা হেড অফিসের জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসানসহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ লাগানো খুবই জরুরী। গাছের মাধ্যমে আমরা অক্সিজেন পাই, আর অক্সিজেন গ্রহণ করে আমরা বেঁচে থাকি। বনজ গাছ থেকে আমরা বিভিন্ন আসবাব পত্র তৈরী এবং জ্বালানী কাঠ পাই। ফলজ গাছ থেকে বিভিন্ন ফল পাই। ফল আমাদের খাদ্য ও পুষ্টির চাহিদা মেটায়। গাছ লাগানো ছদকায়ে জারিয়া। মানুষ মারা গেলেও তার লাগানো গাছ বেঁচে থাকলে সে কবরে শুয়ে শুয়ে ছওয়াব পেতে থাকবে। পরিবেশ সুরক্ষায় তাই আসুন প্রত্যেকে এই মেীসুমে কমপক্ষে ২ টি করে গাছ লাগাই।
মন্তব্য করুন
তাপস চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলাধীন ডুমুরিয়া গ্রামের সন্তান অমিত কুমার সরকার। পেশায় একজন ব্যবসায়ী। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় অমিত। ছোটভাই আশিক সরকার গেলো তিন বছর আগে না ফেরার দেশে চলে গেছেন। বাবা দিলীপ সরকার একজন প্রবাসী এবং মা রাধা রাণী সরকার গৃহিণী। তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন অমিত। তাকে আঁকড়ে ধরে ছোট ছেলের শোক প্রতিনিয়ত ভুলার চেষ্টা বাবা-মার।
এদিকে, একমাত্র ছেলে অমিতকে ধুমধাম করে বিয়ে করানোর স্বপ্ন নিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরের প্রবাসী জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরেন বাবা দিলীপ। অবশেষে বিয়ে ঠিক হয় নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জের ভিংরাব গ্রামে।
পঞ্জিকার তিথি অনুযায়ী ১৫ শ্রাবণ (৩১ জুলাই ২০২৫) বৃহস্পতিবার অমিতের বিয়ের দিন পাকা হয় গত তিন মাস আগে। সেই অনুযায়ী বুধবার গ্রামের বাড়িতে চলে অমিতের গাঁয়ে হলুদ। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বিয়ে বাড়িতে বাদ্যযন্ত্রের সাথে সানাইয়ের সুর। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ অতিথিদের উপস্থিতিতে যেন ভরপুর ছোট্ট বাড়ি।
বিকেলে মঙ্গল ঘট স্থাপন করে সন্ধ্যায় ধুতি ও পাঞ্জাবির সাথে মাথায় মুকুট পড়ে চন্দনের ফোঁটায় বর সেঁজে মায়ের কোল ছেড়ে রওয়ানা হন অমিত। বরযাত্রী নিয়ে রূপগঞ্জের উদ্দেশে ছুটে অমিতের গাড়িবহর। নতুন বউ নিয়ে ছেলে বাড়ি ফিরবে এ স্বপ্ন নিয়ে বসে প্রহর গুণছেন মা রাধা রাণী।
রাত তখন ১০টা। বরযাত্রীর গাড়িবহর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার গৌরীপুর পৌঁছার পর বুকের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হয় অমিতের। দ্রুত গৌরীপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাত ২টার দিকে কনে বাড়ি পৌঁছার আগেই পরপারে পাড়ি জমান অমিত।
অপরদিকে, কনে বাড়িতে চলছিল বিয়ের ব্যাপক আয়োজন। বরযাত্রী আসছে সেই অপেক্ষার প্রহর গুণছে কনেসহ সবাই। রাত গভীর হওয়ার সাথে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়তে শুরু হয় সবার। মোবাইলফোনে কল আসতে থাকে কনের অভিভাবকদের কাছে।
ওপাশ থেকে কান্নার ভারী কণ্ঠ। নেই অমিত। নিস্তব্ধ গুটা পরিবার। গুটগুটে অন্ধকারে যেন মিশে গেছে শোকের কালো ছায়া। নিমিষেই গড়িয়ে পড়ে কনের দু’চোখ বেয়ে শত ফোটা আর্তনাদ।
সব কিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারযোগে নতুন বউ নিয়ে বাড়ি ফিরতো অমিত। মা-বাবার দেখা হতো আদুরি বউয়ের মুখ। কিন্তু নিয়তির নির্মমতায় শুক্রবার ভোরে সুসজ্জিত প্রাইভেটকারের জায়গায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে নিথর দেহে একাই বাড়ি ফেরেন অমিত! তখনও মুছেনি কপালে থাকা চন্দনের ফোঁটা। বরবেশে ছেলের সাদা কাপড়ে মোড়ানো দেহ দেখে বাকরূদ্ধ বাবা-মা। শোকে বিহ্বল গোটা পরিবার।
দুপুরে অমিতকে শেষবারের মতো বিদায় দিতে করানো হয় গোসল। আবারো সাজানো হয় নতুন সাজে। ধর্মীয় রীতি অনুস্মরণ করে পারিবারিক সমাধিস্থলে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় তাকে।
তিন বছরের মধ্যে দুই ছেলেকেই হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা রাধা রাণী। আর্তনাদের চিৎকারে বলছেন, ‘বাবা তোরা আমাকে কোথায় রেখে গেলি। আমরা এখন কারে নিয়ে বাঁচবো। কী অপরাধ ছিল আমাদের, কেন বুকের ধনকে কেড়ে নিল!
এদিকে, অমিতের মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আবেগতায়িত হয়ে পড়েন স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা। একই বাড়ির গুরুপদ সরকার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘বরযাত্রীর গাড়ি বহরে আমিও ছিলাম। বরের গাড়ি অতিক্রম করে আমরা সামনে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর বরের প্রাইভেটকারচালক আমাদের গাড়ি চালককে কল করে বলেন গাড়ি ঘুরিয়ে গৌরীপুর আসতে। বর অসুস্থ। রাজধানীর ল্যাবএইডে নেয়ার পর আর বিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয়নি...!
মন্তব্য করুন
তিস্তা নদীতে ভেসে আসা মেহেদি রাঙা হাত বাঁধা সেই কিশোরীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। সে মরদেহটি নববধূ জোসনা বেগমের (১৫)। সে নীলফামারীর ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী।
এরআগে রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার চর থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
মরদেহটি পেছনে হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। মেহেদি-রাঙা হাতে লেখা ছিল ‘আই লাভ ইউ’।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, ২০ দিন
আগে জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় স্কুলছাত্রী জোসনার। গত শুক্রবার চাচাতো বোনের বিয়ের
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসেন তিনি। ওই দিন বিকেলে সেখান থেকে
নিখোঁজ হন নববধূ জোসনা বেগম। তখন পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন বিয়ের আগের প্রেমিকের
হাত ধরে চলে যেতে পারে জোসনা। সেই ধারণা থেকে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন তার পরিবার।
এদিকে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে
মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় তিস্তা নদীর চরাঞ্চলে ভেসে আসা তরুণীর মরদেহ
দেখতে পান স্থানীয় কৃষকরা। মেহেদি রাঙা হাতে আই লাভ ইউ লেখা এবং দু'হাত ওড়না দিয়ে পেছন
দিক থেকে বাঁধা। মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়া ছিল। পরে খবর পেয়ে সোমবার সকালে জোসনার পরিবারের
সদস্যরা এসে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে মরদেহ শনাক্ত করেন। এরপর ডিমলা থানায় মামলা থাকায়
মরদেহ সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের উপস্থিতিতে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে আদিতমারী
থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন,
মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আদিতমারী
থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় মাদকবিরোধী অভিযানে ৭ কেজি
গাঁজাসহ এক নারীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা।
বুধবার (১২ জুন) বুড়িচং থানাধীন কোরপাই
ফয়েজউদ্দিন নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহকারী উপ-পরিদর্শক মিজানুর
রহমান এর নেতৃত্বে ডিএনসি- কুমিল্লা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা
করে হনুফা আক্তার নামের এক নারীকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার
করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী হলো- বাগেরহাট জেলার
মোরেলগঞ্জ থানাধীন বারইখালী এলাকার মোশাররফ খা এর মেয়ে হনুফা আক্তার (২৭)।
আসামীদের বিরুদ্ধে সহকারী উপ-পরিদর্শক
মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন