গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর বা মেরামত কাজের জন্য আগামী রোববার (২৪ নভেম্বর) দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়, আগামী রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা সিদ্ধিরগঞ্জ, গোদনাইল, লাকিবাজার, বৌবাজার, জালকুড়ি, রঘুনাথপুর, মাহমুদপুর তাইজউদ্দি মার্কেট, সোনামিয়া মার্কেট (আদমজী), দেলপাড়া, নারায়ণগঞ্জ শহর, প্রাইম টেক্সটাইল এলাকা, দক্ষিণ সস্তাপুর, নিশ্চিন্তপুর ঋষিপাড়া, পাগলা শাহি মহল্লা, নয়ামাটি, পিলকুনি মোড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া ওই সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন হবে বলে গ্রাহকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জের চৌহালী ও শাহজাদপুরে বজ্রপাতে ১ কিশোরসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ২ শিশু আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকেলে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানাধীন বেতিল চর এলাকায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে এক যুবক ও এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলো: বেতিল চরের তারা মিয়ার ছেলে আল-আমিন হোসেন (২৮) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে মারুফ হোসেন (১৪)।
অপরদিকে সন্ধ্যায় শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের চর পোরজনা গ্রামে ধানের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সালাম (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামের জয়নালের ছেলে কৃষক আব্দুস সালাম।
বজ্রপাতে আহত শিশুরা হলো- বেলাল হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান (৮) ও বেতিল চরের ময়েন উদ্দিনের ছেলে সিয়াম (৭)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে বেতিল চরের একটি মাঠে শিশু-কিশোর ও এলাকার প্রাপ্তবয়স্করা মিলে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলছিলেন। এসময় বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বজ্রপাত হলে দুই শিশু, এক কিশোরসহ চারজনের দেহ ঝলসে যায়। এ অবস্থায় তাদের স্থানীয় খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে এক কিশোর ও এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আসলাম আলী জানান, বিকেলে ক্ষেত থেকে কাটা ধানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান কৃষক আব্দুস সালাম।
মন্তব্য করুন
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’এই প্রতিপাদ্য অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা।
এর আগে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি আবুল কাসেম ফজলুল হক।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এছাড়াও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
এ সময় আরও
অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
কৃষি
ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধ ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে। এখানে কোন ধরনের
সমস্যা নেই। কৃষকরা ভালোভাবে ধান কাটতে পারবেন।
আজ
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বিরল উপজেলার মোকলেছপুর ইউনিয়নের ঢেলপীর ব্লকে বোরো ব্রি
ধান-৮৮ কাটার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
কৃষি
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। যখন আমাদের সাড়ে ৭ কোটি
মানুষ ছিল; সেই সময়ে কৃষিজমির সংখ্যা বেশি ছিল। কিন্তু এখন লোকসংখ্যা ১৮ কোটি, ফলে
কৃষি জমি কমে গেছে। উন্নত জাত এবং কৃষকদের কঠোর ও বিজ্ঞানীদের কঠোর পরিশ্রমের কারনে
ধানের উৎপাদন ভালো।
কৃষি
জমির ব্যাপারে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, নতুনভাবে আইন করা হবে। ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, কৃষি
জমি সুরক্ষা আইন নতুনভাবে করার চিন্তা-ভাবনা আছে, কিছুদিনের মধ্যেই তা করা হবে। ভাটা
যেন না চলে; সেজন্য আমরা নতুনভাবে চিন্তাভাবনা করছি।
এ
সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন
কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) তরিকুল ইসলাম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার
শহীদুল ইসলাম, রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ
আলীসহ রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দেশবাসীকে সালাম জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেছেন, আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস
উদযাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ
সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার
দায়িত্ব আমাদের।
তিনি বলেন, আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।
গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা এবং অজানা শহীদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার প্রিয় তরুণেরা, তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছো। বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারাদেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছো। আমি জানি তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।
তিনি বলেন, মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এদেশে এসেছেন এবং তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলিতে পূর্ণাঙ্গতা দেওয়া হচ্ছে। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস সবশেষে বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের
আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য
তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে
আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। মহান আল্লাহ আমাদের
সকলের সহায় হোন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের
নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছেন।
সোমবার
(৩ মার্চ) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর কাকরাইলে আঞ্জুমান জে আর টাওয়ার নামের নতুন
এ ভবনটির উদ্বোধন করা হয়।
নতুন
ভবন উদ্বোধন শেষে প্রধান উপদেষ্টা এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতার করেন।
প্রধান
উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আলী ইমাম মজুমদার,
আঞ্জুমান মুফিদুলের সভাপতি মুফলেহ আর. ওসমানী ও সহ-সভাপতি গোলাম রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র
করে যোবায়ের ও সাদপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক।
তাবলিগ জামাতের যোবায়েরপন্থিদের মিডিয়া
সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান ও মাওলানা সাদপন্থিদের মিডিয়া সমন্বয়ক আবু সায়েম বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত
৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন আমিনুল
ইসলাম বাচ্চু (৫৫), বেল্লাল হোসেন (৬০) ও তাইজুল ইসলাম(৭০)।
আহতরা হলেন- আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান
(৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ
(৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০),
আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫),
আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
মন্তব্য করুন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে রাজধানী ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৩২ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারা দেশে ২৩২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে।
এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। পরে শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি।
এরপর একদিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ দেওয়া হয়। আবারও শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় ১২ ও ১৩ নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি।
একদিন বিরতি দিয়ে ১৫ ও ১৬ নভেম্বর আবারও বিএনপি অবরোধ কর্মসূচি দেয়। পরে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। এর প্রতিবাদে ১৯ ও ২০ নভেম্বর হরতাল ডাকে বিএনপি। একদিন বিরতি দিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
মন্তব্য করুন
দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয় স্বার্থে
সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে সেজন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে
ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে রাষ্ট্রীয়
অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের
ব্রিফিংকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান
বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ কয়েকজন উপদেষ্টা বৈঠকে ছিলেন। তাদের
সঙ্গে বিদ্যমান পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দেশ কীভাবে শান্তিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে
আগামীতে একটা কার্যকর নির্বাচনের দিকে এগোতে পারে, সে বিষয়ে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম, দল-মত নির্বিশেষে
এ দেশ আমাদের সবার। সবাই মিলেমিশে জাতীয় ঐক্য আরও কীভাবে সংহত করা যায়, প্রশাসনকে আরও কীভাবে গুছিয়ে আনা যায়, এসব বিষয়ে
আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, যেটাতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটাকে
লাঘব করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীতে রমজান মাস আসছে, এটাকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা
যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেসব নিয়েও কথা হয়েছে। আমরা পরামর্শ করেছি।
পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু
বিষয় নিয়ে আলাপ হয়েছে। এসব আলোচনায় আমরা একমত হয়েছি যে—দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে সামনে
এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আর দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকবে,
তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে দিতে হবে। এরজন্য
প্রয়োজন সর্বোত জাতীয় ঐক্য। দল-মত-ধর্মের ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে জাতীয় স্বার্থে আমরা
যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি। আপনাদের মাধ্যমে আমরা সে আহ্বান জানাই। আমরা বৈঠকেও এ কথা
বলেছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম যে
সংস্কার দরকার, সেটা দ্রুত করে তারপর নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছি আমরা।
বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত
ছিলেন, দলটির দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, আব্দুল হালিম এবং
নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় কোতোয়ালী মডেল থানা কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ৪৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালী মডেল থানার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ১৪ টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনসমূহ আজ (২৮ নভেম্বর) মঙ্গলবার কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তানতর করেন।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন
নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি সদ্য
বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। আগামী তিন বছরের
জন্য তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন।
আজ রোববার (২৩ জুন) তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
এর আগে ১১ জুন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী
প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়।
নতুন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমানও
একসময় (১৯৯৭-২০০০) সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ওয়াকার-উজ-জামানকে চলতি বছরের শুরুতে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ
অফিসারের (পিএসও) দায়িত্ব থেকে সিজিএস করা হয়। তার আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে মেজর জেনারেল
থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হন ওয়াকার-উজ-জামান। তখনই তাকে সেনা সদর দপ্তরের
সামরিক সচিবের দায়িত্ব থেকে পিএসও করা হয়।
শেরপুরের সন্তান ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ দীর্ঘমেয়াদি
কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক কোরে কমিশন পান। দীর্ঘ ৩৯ বছরের সামরিক
জীবনে তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, একটি পদাতিক ব্রিগেড ও পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্ব
দিয়েছেন। স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও সেনা সদর দপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব
পালন করেছেন তিনি।
ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদর দপ্তরের সামরিক সচিবের দায়িত্ব পান ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি।
তার আগে তিনি নবম পদাতিক ডিভিশনের নেতৃত্বে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রিন্সিপাল
স্টাফ অফিসারও ছিলেন একসময়। দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যাঙ্গোলা ও লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ শান্তি
মিশনেও, সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে।
সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশন পাওয়া ওয়াকার-উজ-জামান মিরপুরের ডিফেন্স
সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ ও যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড
স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স
স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’
ডিগ্রি পান।
ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াকার-উজ-জামানের সহধর্মিণী সারাহনাজ কমলিকা জামান। এই দম্পতির
ঘরে দুই কন্যা সন্তান (সামিহা রাইসা জামান এবং শাইরা ইবনাত জামান) রয়েছে।
ওয়াকার-উজ-জামান প্রয়াত
জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমানের জামাতা, যিনি ২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৭ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ২০০০
সাল পর্যন্ত সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন