পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী
আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন- ঈদযাত্রায় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালালেই ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। এবারের ঈদযাত্রায় কোনোভাবেই মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল করবে না। চলবে
না নছিমন করিমন ভটভটিও। যারা চালানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে গাবতলীর
কোরবানির পশুর হাট ও বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়
এসব কথা বলেন তিনি।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন
বলেন, বরাবরের মতো এবারও আমরা ঈদ উপলক্ষ্যে পশুর হাট, রেল, সড়ক ও নৌপথে ঈদযাত্রার নিরাপত্তা
নিশ্চিতে সবকিছু মিলিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। রোজার ঈদে একমুখী চাপ থাকে। কিন্তু কোরবানির
ঈদে সাধারণত যেটা ঘটে সেটা হচ্ছে, ঘরমুখো মানুষের চাপ সড়কে যেমন থাকে তেমনি, পশুবাহী
ট্রাক-পিকআপও চলাচল করে। অর্থাৎ মানুষ বাড়ি যায়, গরু আসে। সড়কে দ্বিমুখী চাপ মোকাবিলা
করতে হয়। পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি
স্বাভাবিক ও সঠিক রাখার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
পুলিশ
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ঈদে যাত্রীদের
কাছ থেকে গণপরিবহন বা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায় করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার
(২৯ মার্চ) রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজান, কিরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার
বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আইজিপি এ কথা বলেন।
এসময়
কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯
নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি।
আইজিপি
বলেন, যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করবো আপনারা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করবেন না। আমরা কিছুদিন
আগেও সমন্বয় সভা করেছি। ১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের সব ইউনিটকে নিয়ে একটি
সমন্বয় সভা হবে। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে।
এসব সভার মাধ্যমে আমরা সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজিদের
আমরা ব্রিফ করবো। ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর সমন্বয় করবেন। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও
ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি
নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য
পর্যটন স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় হতে পারে। তাই সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের
জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রস্থ
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), কুমিল্লা কর্তৃক হারিয়ে যাওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর।
কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার সার্বিক তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে হারিয়ে যাওয়া ২৬টি মোবাইল ফোন জিডি মূলে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা শাখা।
সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা রাজেস রড়ুয়া পিপিএম প্রকৃত মালিকগণের কাছে মোবাইল গুলো হস্তান্তর করে।
মোবাইল ফোন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিকটিমগণ তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন ফেরত পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে কুমিল্লা পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন
অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে
টেকসই সংহতি এবং বর্ধিত সহায়তার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এমন
সহায়তার প্রয়োজন যাতে আর্থিক সংকট লাঘব করা যায় এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর
জন্য বাংলাদেশের সহায়তা আরো জোরদার করা যায়।
আজ
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন
লুইস প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে
তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তার চলমান চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্ব
সহকারে আলোচনা করেন।
তাঁরা
উভয়ে অর্থায়নের ব্যাপক কাটছাঁটে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর
শিক্ষা ও অন্যান্য জরুরি কার্যক্রমে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
আবাসিক
সমন্বয়ক গোয়েন লুইস অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে দৃঢ় সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং উভয়
নেতা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তাঁরা
সরকারের উচ্চাকাঙ্ক্ষী সংস্কার কার্যক্রম শক্তিশালী করতে জাতিসংঘ কীভাবে ব্যাপক সহায়তা
দিতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন।
আবাসিক
সমন্বয়ক বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্বিঘ্ন
রূপান্তর নিশ্চিত করতে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
আবাসিক
সমন্বয়কারী বাংলাদেশের সংস্কার ও সংস্কারপ্রক্রিয়ার সঙ্গে তার অবিচল সংহতি পুনর্ব্যক্ত
করেন এবং টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে জাতিসংঘের সমর্থনের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
মন্তব্য করুন
ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক এগিয়ে
নিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের
আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস।
ডি-৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে আজ বৃহস্পতিবার
(১৯ ডিসেম্বর) মিসরের রাজধানী কায়রোর একটি হোটেলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফের সঙ্গে বৈঠকের সময় অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, বিষয়গুলো বারবার আসছে। আসুন আমরা সামনে
এগিয়ে যেতে সেই বিষয়গুলোর ফয়সালা করি।
জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ
শরিফ বলেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত বিষয়গুলো মীমাংসা
করেছে, কিন্তু যদি অন্যান্য অমীমাংসিত সমস্যা থাকে, তবে সেগুলো দেখতে পেলে তিনি খুশি
হবেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের
জন্য বিষয়গুলো চিরতরে সুরাহা করে ফেলা ভালো হবে।
তারা ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং ক্রীড়া
ও সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদের বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত
হন।
এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, দুই
নেতা চিনি শিল্প এবং ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনার মতো নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার
ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী
সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ঘোষিত বৈদেশিক নীতির মূল বৈশিষ্ট্য সার্কের
পুনরুজ্জীবনসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে শরিফের সঙ্গে আলোচনা করেন।
অধ্যাপক ড. ইউনূস ২০২৬ সালের মধ্যভাগের
আগে ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার’ এবং সাধারণ নির্বাচন করতে তার সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ
করেন। তিনি বলেন, তিনি সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের জন্য একটি ঐকমত্য গঠন কমিশনের নেতৃত্ব
দিচ্ছেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান। শরিফ বলেন, আমরা
সত্যিই আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার অপেক্ষায় রয়েছি।
তিনি সার্কের পুনরুজ্জীবনে অধ্যাপক
ইউনূসের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং আঞ্চলিক সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনা
নিয়ে কাজ করার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।
অধ্যাপক ড. ইউনূস শরিফকে বলেন, এটি
একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
সার্ক বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, আমি সার্কের ধারণার একজন বড় অনুরাগী। আমি ইস্যুটি নিয়ে কথা বলেই যাব।
আমি সার্ক নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন চাই। তিনি বলেন, যদিও তা কেবল একটি ফটোসেশনের জন্যেও
হয়, তবুও এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের
রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলগুলোকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব
দেন। তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের কারণে মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন এবং বলেন,
ঢাকা এ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।
তিনি বলেন, প্রায় এক দশক আগে পাঞ্জাবে
ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই বিশ্বমানের বলে প্রশংসিত হয়েছিল। বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের
সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার জন্য আমরা বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠাতে পারি।
অধ্যাপক ড. ইউনূস, শেহবাজ শরিফকে তার
সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং আশা করেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টা অব্যাহত
রাখবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে
সিদ্দিকী।
সিদ্দিকী পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দারকে ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই
প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসকে তার সুবিধামতো সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ডাকাত প্রতিরোধ অভিযানে নিহত শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জন (২৩) এর পিতা-মাতা সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আইএসপিআর জানায়, শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের বাবা-মা বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সেনাসদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় শহীদ লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ার নির্জনের বাবা-মা সন্তান হারানোর বেদনায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইন অনুযায়ী বিচার নিশ্চিতে সর্ব প্রকার সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গিকার করেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ব্যবসায়ী মুসা আলী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত ০২ ঘাতককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নাজিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম মোঃ মুসা আলী (৪০) খুন হয়। উক্ত ঘটনাটি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমসমূহে প্রচারিত হলে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিকটিমের শ্বশুর বাড়ী কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন তুলাগাও এলাকায় হওয়ায় সে প্রায়ই উক্ত এলাকায় আসা-যাওয়া করতো। এরই সূত্র ধরে আসামীদের সাথে ভিকটিম মুসা আলী (৪০) এর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ও অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমকে অপহরণপূর্বক ভিকটিমের স্ত্রীর নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্ত্রী দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে বিকাশের মাধ্যমে ৩০,০০০/- টাকা আসামীদেরকে প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে আসামীরা দাবীকৃত অর্থ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের পায়ে, হাতে ও পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন পশ্চিম বাগুর এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানাধীন মেডিনোভা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চিকিৎসক জানান যে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ভিকটিমের মৃত্যু হয়েছে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী রাজিয়া আক্তার (৩৮) বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের নিমিত্তে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা এর একটি আভিযানিক দল গত ০২/০২/২০২৪ ইং তারিখ রাতে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন বাসস্ট্যান্ড ও কোতয়ালী মডেল থানাধীন বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে হত্যাকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম@ লিমন (৩০), পিতা-মোঃ আবুল হোসেন, সাং-রেইসকোর্স, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং সবুজ সরকার (২৭), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-বাগুর, থানা-দেবীদ্বার, জেলা-কুমিল্লা’দ্বয়কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় দেশবাসীকে সালাম জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমাদের তরুণ বিপ্লবীরা দেশের মানুষের মনে নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন জাগিয়ে দিয়েছে তা পূরণে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। শহীদদের আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করতে চাই।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেছেন, আজ আমরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের প্রথম মাস
উদযাপন করছি। ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় বিপ্লবের জন্য শত শত ছাত্র এবং সর্বস্তরের মানুষ
সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের বাংলাদেশকে এর পূর্ণ গৌরবে প্রতিষ্ঠিত করার
দায়িত্ব আমাদের।
তিনি বলেন, আমি সেই সাহসী তরুণ, শ্রমিক, দিনমজুর, পেশাজীবীদের স্মরণ করছি যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল। স্মরণ করছি আন্দোলন চলাকালে নিহত সাংবাদিকদের। আজ আমি এই বিপ্লবে শাহাদাত বরণকারী সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। আমি অভিবাদন জানাই হাজার হাজার মানুষকেও যারা আহত হয়েছেন, প্রাণঘাতী আঘাতের শিকার হয়ে চিরজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, কিংবা চক্ষু হারিয়েছেন।
গত মাসে আমাকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আবু সাঈদ, মুগ্ধ এবং সমস্ত জানা এবং অজানা শহীদদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমার প্রিয় তরুণেরা, তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শপথ নিয়েছিলে। শহর ও গ্রামীণ জনপদের দেয়ালে আঁকা তোমাদের স্বপ্নগুলো এখনো নানা রঙের সাজ নিয়ে আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।’
তিনি আরো বলেন, বিপ্লবের সময়, তোমরা পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ঘুমহীন রাত কাটিয়েছো এবং দিনে নিষ্ঠুর শাসনকে প্রতিহত করার জন্য পরস্পরের থেকে চির বিদায় নিয়ে রাস্তায় নেমেছো। বিপ্লব শেষ হওয়ার পর তোমরা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের উপাসনালয় পাহারা দিয়েছো এবং সারাদেশে ট্রাফিক পরিচালনা করার দায়িত্ব নিয়েছো। আমি জানি তোমাদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এখন সময় পড়াশোনায় ফেরার। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে ক্লাস ও ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কেননা বিপ্লবের সুফল ঘরে তুলতে আমাদের একটি সুশিক্ষিত ও দক্ষ প্রজন্মের দরকার।
তিনি বলেন, মাত্র একমাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা বিপ্লবের প্রকৃত লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু করেছি। আমাদের প্রথম কাজ জুলাই ও আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। গণহত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করার জন্য আমরা জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এদেশে এসেছেন এবং তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলির মধ্যে একটি হল বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে। আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলিতে পূর্ণাঙ্গতা দেওয়া হচ্ছে। আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন এখন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস সবশেষে বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাইবোনদের
আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের জন্য
তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে
আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই। মহান আল্লাহ আমাদের
সকলের সহায় হোন।
মন্তব্য করুন
রাজশাহী-ভাঙ্গা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেন মধুমতী এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করছে। ১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনটি রুট পরিবর্তন করে নতুনভাবে ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলবে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন বৃহস্পতিবার অপরিবর্তিত থাকবে।
গত ১৫ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের (পশ্চিম) পক্ষে সহকারী অপারেটিং সুপারিন্টেনডেন্ট আব্দুল আওয়ালের সই এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যাত্রী উঠা-নামার সুবিধা না থাকায় আপাতত ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষার্থীদের নতুন
এক বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (১৪ মে) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫ম সমাবর্তন
অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন কিছু গড়ার সক্ষমতা রাখি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়।
সমাবর্তন ভাষণে অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আমরা চাইলে আমাদের মতো
করে এক নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে পারি। তবে, তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই স্বপ্ন থাকা দরকার-
কেমন পরিবেশ ও সমাজ তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেই সম্পর্কে।
গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পটভূমি স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা
বলেন, বর্তমানে যে সভ্যতা চলছে তা একটি ধ্বংসাত্মক অর্থনীতির সভ্যতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা যে অর্থনীতি তৈরি করেছি তা মানুষের জন্য নয়,
বরং ব্যবসার জন্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসাকেন্দ্রিক
এই সভ্যতা আত্মঘাতী এবং তা টিকবে না।
অধ্যাপক ড. ইউনূস আরও বলেন, দীর্ঘদিন পর তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে
এসে আনন্দিত। তিনি স্মরণ করেন, ১৯৭২ সালে চবিতে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ এবং কীভাবে গ্রামীণ ব্যাংক চট্টগ্রামে
দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষদের সহায়তা করতে গঠিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়েছিল চবির অর্থনীতি
বিভাগে।
অনুষ্ঠানে, চবি কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ইউনূসকে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে
দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য সম্মানসূচক
ডক্টরেট অব লিটারেচার (ডি লিট) উপাধিতে ভূষিত করে।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহিয়া আখতার অধ্যাপক ইউনূসের
হাতে ডি লিট সনদ তুলে দেন।
সমাবর্তনে শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজসহ অন্যান্যরাও বক্তব্য রাখেন।
চবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (একাডেমিক) ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন
খান এবং প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চবি আজ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করে, যেখানে
২২,৫৮৬ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন