

স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন প্রধান
চ্যালেঞ্জ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা।
সোমবার
(১৯ আগস্ট) সচিবালয় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ কথা জানান।
এর
আগে তিনি জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে
আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো আইনশৃঙ্খলা, যত দ্রুত সম্ভব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি
করা যায়। আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছি, সেখানে আমার লক্ষ্য কীভাবে উৎপাদন
বাড়িয়ে লোকজনকে খাওয়াতে পারি বেশি।
স্বরাষ্ট্র
উপদেষ্টা আরও বলেন, জাতিসংঘ থেকে যে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন আসার কথা, সেটা তারা পাঠাবে।
সেক্ষেত্রে তারা আমাদেরকে কোন ধরনের সহযোগিতা করবে, আমরা কোন ধরনের সহযোগিতা চাই-
এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মেশিন আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে
আসতে পারে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
গণঅভ্যুত্থানের
শহীদদের স্মরণে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালে চাঁদপুর থেকে পদযাত্রা শুরু করে দুপুরে কুমিল্লা শহরে এসে
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের নেতারা।
দুপুরে
কুমিল্লার পদুয়ার বাজার হোটেল নুরজাহানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে
মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এনসিপির উত্তরের সমন্বয়ক সারজিস আলম। পরে সেখানে এক ঘরোয়া
মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভায়
উপস্থিত ছিলেন এনসিপির দক্ষিণের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মূখ্য
সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী,
সিনিয়র মুখ্য সংগঠক সাদিয়া ফারজানা দিনা,
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন,
যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির এবং সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল
হান্নান মাসুদ। এছাড়া কুমিল্লা জেলার এনসিপি নেতৃবৃন্দও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পরে
শহীদ মাছুম মিয়ার কবর জিয়ারত শেষে বিকাল ৫ টায় নগরীর টাউন হল মাঠে সভায় যোগদান করেন তারা।
দলের
নেতারা জানান, শহীদদের
আত্মত্যাগকে স্মরণ করতেই এই পদযাত্রা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, শহীদের রক্ত
বৃথা যেতে দেওয়া হবে না—গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠার জন্য এনসিপি দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
মন্তব্য করুন


বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ।
এ সরকারে ১৫ জন সদস্য থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সংকট কাটিয়ে দেশে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ তৈরি করব। সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে। কেউ গুজবে কান দেবেন না।
এসময় তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন এবং ছাত্রদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ইতিবাচক কাজ অব্যাহত রাখারও অনুরোধ জানান।
এছাড়া সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়ে আসবে। পরিস্থিতি দিনদিন উন্নতি হচ্ছে, আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
মন্তব্য করুন


মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে ।
তিন দিনব্যাপী এ বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগে তিনজন ও ইজতেমা শুরু হওয়ার পর একজন মুসল্লি মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে বিশ্ব ইজতেমায় চারজন মুসল্লি মারা গেলেন।
শুক্রবার ভোররাতে এখলাস উদ্দিন (৭০) নামে এক মুসল্লি বার্ধক্যজনিত কারণে ইজতেমা ময়দানে মারা যান যার বাড়ি নেত্রকোনা জেলা সদরে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের প্রধান মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ভোররাত ৩টা ১৫ মিনিটে ইজতেমা ময়দানে নির্দিষ্ট খিত্তায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে এখলাস উদ্দিনকে টঙ্গী শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার কুমরি বাজার গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৭০), চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬৫) নামে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন।
মন্তব্য করুন


শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ (১৪
ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের
প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা
ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৭টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো.
সাহাবুদ্দিন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা
নিবেদন শেষে তারা সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।
এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর
বাঙালি জাতির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি
বাহিনী ও তাদের এই দেশীয় দোসররা জাতিকে মেধা শূন্য করতে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের
হত্যা করে।
মন্তব্য করুন


সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি
আজ (১ অক্টোবর ২০২৪) ইসিবি চত্ত্বরে ঢাকা জেলার জন্য স্থাপিত মেডিকেল ডিসপেনসারিতে
উপস্থিত হয়ে ভিডিও টেলি কনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন
করে স্থাপিত আরও ৩০টি মেডিকেল ডিসপেনসারির শুভ উদ্বোধন করেন।
এরপর তিনি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সাথে মতবিনিময়
করেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের
কল্যাণার্থে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বোর্ড কর্তৃক সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী,
বিমান বাহিনী এবং সেনাকল্যাণ সংস্থার অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন জেলায় ৩১টি মেডিকেল
ডিসপেনসারি পরিচালিত হচ্ছে।
আজ আরও ৩০টি নতুন মেডিকেল ডিসপেনসারির কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে দেশের ৬১টি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত ১,৫৫,২৬৪ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও তদ্বীয় পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।
উল্লেখ্য, অবশিষ্ট ৩টি জেলায় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত মেইন ড্রেসিং স্টেশন (এমডিএস) হতে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তদ্বীয় পরিবারবর্গ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। প্রতিটি জেলায় মেডিকেল ডিসপেনসারি স্থাপনের ফলে তাদের অর্থ ও সময় উভয়ই বাঁচবে এবং দূর-দূরান্ত থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের ঔষধ সংগ্রহের সমস্যাও অনেকাংশে লাঘব হবে। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বহিনীর সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের চিকিৎসা সেবায় সিএমএইচ সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাইভেট হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রেশন ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী কর্তৃক এ বিষয়ে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও পরিবারবর্গের জীবনযাত্রার মান বহুলাংশে উন্নত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ছাড়াও সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন জেলার বেসামরিক প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ (ভিটিসির মাধ্যমে), সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যগণ ও তাদের পরিবারবর্গ এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, খেলোয়াড়দের
সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে বরাদ্দ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভেরিফাইড ফেসবুকে
এক পোস্টে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়দের জন্য সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণে বরাদ্দ বাড়াতে উদ্যোগ
নিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতের ক্রীড়া উন্নয়নকে টেকসই ও বিস্তৃত করতে,
সেই অনুযায়ী নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে।
পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য খেলাধুলায় সক্রিয় অংশ গ্রহণে উৎসাহ দিতে অভিভাবকদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
মন্তব্য করুন


প্রধান
উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ
শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে আসেন প্রেস
সচিব। সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস
সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জামায়াত আমিরের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এখানে আসার
আগে আমি উনার (প্রধান উপদেষ্টার) হয়ে জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার কথাও বলেছি।
তিনি
বলেন, জামায়াত আমির সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।
প্রেস
সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সব দলের রাজনৈতিক নেতারা সুস্থ থাকুন,
ভালো থাকুন। দেশ গড়ার কাজে সবাই অবদান রাখুন।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন,
জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। এটা আমাদের শপথ, আমাদের অঙ্গীকার।
চব্বিশের জুলাইয়ে আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যা করেছিল ফ্যাসিস্ট
সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যার
চিত্র।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা মাগুরা সরকারি
উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক
আব্দুল কাদের, মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা বিএম
সাজিন ইসরাত ও ক্রীড়া সংগঠক বারিক ননজাম বারকি।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান
খান কামালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচারের রায় মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আমরা চাই
তাদের দেশে এক্সট্রাবিশন করা হোক। তাদের আপিল করার অধিকার আছে। দেশীয় আন্তর্জাতিক নিয়ম
মেনে তাদের রায় দ্রুত কার্যকর হয় আমরা সেইটা করবো। যারা যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে
জড়িত ছিল। যাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে তাদের প্রত্যেককে আমরা বাংলাদেশে ফিরে আনবো
এটা শহীদদের কাছে আমাদের দায় আমাদের শপথ। আমরা ফেল করলে এটা পরবর্তী জেনারেশন নিবে।
এ জায়গায় কারো ছাড় নেই। দেশে প্রত্যেকটা মানুষ একতাবদ্ধ তাদের ছেলে মেয়েকে যারা খুন
করেছে, পঙ্গু করে দিয়েছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনবো এটা আমাদের শপথ।
আমাদের হাতে ৭০ দিনের মতো আছে ইলেকশনের আগ পর্যন্ত আমরা পারবো কিনা জানি না, তবে আমাদের
চেষ্টা থাকবে। আমরা কোনো মাইনাস ফোরের কথা বলিনি। এ কথা যারা বলছে তারা স্বৈরাচারের
দোসরের মতো। যিনি মাইনাস হয়েছেন তিনি হত্যাযজ্ঞ করে মাইনাস হয়েছেন। উনি উনার পরিবারকে
নিয়ে চোরতন্ত্র জারি করেছিলেন সে জন্য উনি মাইনাস হয়ে গেছে।
শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়া আমাদের জাতীয় নেতা। আপামর জনসাধারণের নেতা। উনি শুধু বিএনপির নেতা না। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি। তিনি দেশে ফিরে আসুক। বাংলাদেশের তার প্রেজেন্টটা খুবই প্রয়োজন। আমরা চাই উনি নির্বাচনে থাকবেন এবং কনটেস্ট করবেন।
তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের
লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা
সম্পন্ন করেছে। আমরা চাই দেশে শান্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
মন্তব্য করুন


জাতি
গঠনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ
ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশকে ধ্বংসাবশেষ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে প্রবাসীরাই মূল ভূমিকা পালন
করেছেন।
আজ
শুক্রবার টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য
রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই সত্য যে কঠিন সময়ে দেশের যে টিকে থাকা—তা সম্ভব হয়েছে প্রবাসীদের
পাঠানো রেমিটেন্সের কারণে’।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, ক্ষমতাচ্যুত পতিত সরকার রাষ্ট্রীয় কোষাগার এবং ব্যাংক শূন্য করে গিয়েছিল
এবং যদি প্রবাসীরা সহায়তা না করতেন, তাহলে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারত না।
তিনি
বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, তবে জাতি গঠনে প্রবাসী
বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত।
প্রধান
উপদেষ্টা প্রবাসীদের বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
‘একজন নাগরিক হিসেবে আপনাদেরই
রাষ্ট্র মেরামতের দায়িত্ব নিতে হবে,’ তিনি বলেন।
অধ্যাপক
ড. ইউনূস বলেন, প্রবাসীদের বাংলাদেশে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন, তাদের ব্যবসাও
আছে—এই কারণে তারা নিয়মিত বাংলাদেশে
যাতায়াত করেন।
‘তাই সামগ্রিকভাবে আমাদের
একসঙ্গে কাজ করতে হবে...আপনারা জাপান সরকারের ওপর প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করুন,’বলেন
তিনি।
প্রধান
উপদেষ্টার জাপান সফরের তৃতীয় দিনে আজ তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়— যথাক্রমে অর্থনৈতিক সংস্কার
ও জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা জোরদার করতে ডেভেলপমেন্ট পলিসি লোন (৪১৮ মিলিয়ন মার্কিন
ডলার), জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডুয়াল-গেজ ডাবল-লেন রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ঋণ (৬৪১ মিলিয়ন
ডলার) এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন স্কলারশিপ অনুদান (৪.২ মিলিয়ন ডলার)।
বাংলাদেশের
পক্ষে রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী এবং জাপানের পক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত শিনিচি সাইদা সমঝোতা
স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
প্রধান
উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস দলিল এমওইউ স্বাক্ষরের এই আনুষ্ঠানিকতা প্রত্যক্ষ করেন।
পরে,
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দেওয়া নৈশভোজে তিনি অংশ নেন।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বার কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশ করে বলা হয়, আইনজীবী তালিকাভুক্তির (এনরোলমেন্ট) লিখিত পরীক্ষা গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২ হাজার ৫৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় পরীক্ষকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে ৩৪৫ জনকে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের এখন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি পরে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেতে তিন ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
প্রথমত, আইনের উপর স্নাতক উত্তীর্ণের পরপরই আইনজীবী হিসেবে ন্যূনতম ১০ বছর পেশায় রয়েছেন এমন একজন সিনিয়রের অধীনে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়।
দ্বিতীয়ত, ইন্টিমেশন জমা দেওয়ার পর ছয় মাস অতিক্রম হলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ করে এমসিকিউ পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়।
এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা লিখিত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পান।
আর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভ করেন।
সবশেষে সনদ লাভের পর সংশ্লিষ্ট জেলা বার এ যোগদানের মধ্য দিয়ে আইন পেশা শুরু করতে পারেন।
আইনজীবী হিসেবে সনদ লাভের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
মন্তব্য করুন