

মো:মিজানুর রহমান মিনু,কুমিল্লা
কুমিল্লায় কিছুতেই যেন কমছে না শীতের তীব্রতা। উত্তরের হিমেল বাতাস আর হার কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির।
দুপুর গড়িয়ে গেলও
সূর্যের দেখা মিলছে না, এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের
মানুষ, বয়স্ক ও শিশুরা।
এদিকে শীতের প্রকোপ
বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শীত জনিত নানা রোগ। হাসপাতালে বাড়ছে শিশু ও বয়স্ক
রোগির সংখ্যা।
আজ কুমিল্লায়
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১
দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন


মাদক সেবন করে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি ও মা–বাবাকে মারধরের অভিযোগে মো. শাকিল (২২) নামে এক যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে দণ্ড দেওয়া হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক রহমান। এ সময় ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুজন কুমারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
স্থানীয়রা জানান, শাকিল দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে মাতলামি ও আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের শান্তি বিনষ্ট করে আসছিলেন। মাদক কেনার টাকার জন্য তিনি প্রায়ই মা ও বাবাকে মারধর করতেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক দিন আগে তাঁর বাবা শাহাদাত হোসেন বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
গত সোমবার (৬ অক্টোবর) রাতে মাদক সেবনের পর মা শাহনাজ বেগমকে মারধর করেন শাকিল। পরদিন দুপুরে আবারও মাদক কেনার টাকার জন্য তাঁর ওপর হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন শাকিলকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেন। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মাদক সেবনের কথা স্বীকার করেন।
এ সময় শাকিলের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে বিছানার নিচ থেকে দুই পুরিয়া গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
শাকিলের মা শাহনাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে মাদক সেবন করে আমাদের মারধর করত। তার বাবাও রাগ করে কয়েক দিন আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। অবশেষে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারেক রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাকিলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে। ঘর তল্লাশি করে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে সাড়ে ১৪ লাখ টন চাল মজুত রয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের মজুতের চেয়ে ৩ লাখ টন বেশি।
আজ সোমবার কুমিল্লা সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও খাদ্য অফিসারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব এ তথ্য জানান।
তিনি জানায়, গত বছর এই সময় মজুতের পরিমাণ ছিল সাড়ে ১১ লাখ টন। সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ও যেন চাহিদার তুলনায় মজুত বেশি থাকে, তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
খাদ্যদ্রব্যের দাম প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, চাল-গম, ভুট্টার দাম নিম্নমুখী আছে। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ আছে, কৃষক লাভবান হচ্ছে না। এ তিনটি খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়েনি বরং কমেছে। যেন না কমে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মু. রেজা হাসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের জেলা-উপজেলার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন
মন্তব্য করুন


নব-নির্বাচিত কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নের্তৃবৃন্দের দেবীদ্বারে আগমন
উপলক্ষে আনন্দ
র্যালী করেছে
দেবীদ্বার উপজেলা ও
পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল।
শনিবার দুপুরে দেবীদ্বারের বানিয়াপাড়া থেকে
আনন্দ র্যালীটি বের
হয়ে বিভিন্ন সড়ক
প্রদক্ষিন করে
পৌর সদরের রুবেল চত্বরে এসে
শেষ হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি
কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আন্দন, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এস এম ইমরান হাসান, পৌর বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন আহাম্মদ ভিপি মাহফুজ, উপজেলা বিএনপি'র
সদস্য সচিব
কাজী মাসুদ হাসান, উপজেলা বিএনপি'র নেতা আবুল হোসেন লিপু, উপজেলা সেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন
নিজামী, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনসহ আরো
অনেকে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে মাঠে অবস্থান করছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের একাদশ দিন পার করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের।
নেতাকর্মীরা জানান, ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে নারী সমর্থকদের সমাবেশ, গণ–ইফতার, দোয়া মাহফিল, সংবাদ সম্মেলন, তারুণ্যের সমাবেশ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি—সব মিলিয়ে টানা ১১ দিন ধরে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন মহানগর, সদর উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আকবর হোসেনের সাবেক পিএস আমিনুল ইসলাম, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হাজী নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী শাহজাহান, মামুনুর রশিদ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মেম্বার, পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সালমান সাঈদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, আরিফুর রহমান সুমন, আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু, মহানগর ছাত্রদল নেতা রবিন খাঁনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাজী ইয়াছিন শুধু রাজনীতিক নন, তিনি দলের সংকটে আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগঠনে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। অথচ এ আসনে এমন একজনের নাম আলোচনায় এসেছে, যিনি এলাকার রাজনীতি বা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু বলেন, আমরা যাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করি, যিনি হামলা-মামলার সময় আমাদের আশ্রয় দেন, সেই ইয়াছিন ভাইয়ের পরিবর্তে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।
মহানগর যুবদল নেতা মনছুর নিজামী বলেন, কুমিল্লা–৬ আসনে বিএনপির রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে আছেন হাজী ইয়াছিন। তিনি দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যাঁকে বাদ দিয়ে এ আসনে কোনো গণভিত্তিক রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
যুবদল নেতা আরিফুর রহমান সুমন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাচ্ছি। গণস্বাক্ষর, ইফতার, দোয়া মাহফিল—সবই তৃণমূলের বার্তা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে। দল যেন এই বার্তাকে সম্মান জানায়, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেন—তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


গত ২০ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বার বাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১ টি মামলা দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ এর অভিযানে অদ্য ০৫ অক্টোবর ভোর রাতে নরসিংদী জেলার পলাশ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার হাসনাবাদ গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার ছেলে ধর্ষক মোঃ সাকিব আহম্মেদ (২৪) কে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা একজন ব্যবসায়ী। ভিকটিম দাউদকান্দি উপজেলার স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ভিকটিম কলেজে যাওয়া আসার সময় গ্রেফতারকৃত আসামী সাকিবের সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে সাকিব ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিবাহের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ভিকটিম উক্ত প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে আসামী সাকিব তাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি সহ অপহরণের ভয় দেখায় এবং ভিকটিমের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে।
পরবর্তীতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকায় ভিকটিম কিছু জিনিস কেনার জন্য কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন হাসনাবাদ এলাকায় পৌছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামী সাকিব ও তার সহযোগীরা ভিকটিমকে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানাধীন মেম্বারবাড়ীতে নিয়ে যায়।
সেখানে পূর্ব হতেই আসামী সাকিব একটি রুম ভাড়া করে রাখে এবং গত ২০/০৯/২০২৪ তারিখ হতে ২৭/০৯/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে ঐ ভাড়া বাসায় আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধ’ষর্’ণ করে। একপর্যায়ে আসামী সাকিব ঐ বাসা থেকে পলায়ন করে আত্নগোপনে চলে যায় এবং ভিকটিম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বাসায় যোগাযোগ করলে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় পৃথক পৃথক অভিযানে ২০ কেজি
গাঁজা, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩৫ বোতল স্কাফ সহ তিন জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, সিপিসি-২।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে কোতোয়ালী মডেল
থানার শাহপুর, শালুকমোড়া ও ধনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের ভবেরচরের
আব্দুর রহিমের ছেলে মো. অর্ক (৩২), কুমিল্লার পালপাড়ার রিপন মিয়ার ছেলে মো. তুষার
(২৬) ও চাঁদপুরের মতলব উত্তরের তুষপুর গ্রামের মো. জুলহাস মিয়ার ছেলে মো. মামুন হাসান
(২৮)।
র্যাব জানায়, প্রথম অভিযানে শাহপুর
এলাকা থেকে মো. অর্ককে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার কাছ থেকে ৩৫ বোতল স্কাফ ও মাদক পরিবহনে
ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। দ্বিতীয় অভিযানে শালুকমোড়া থেকে মো. তুষারকে
আটক করে ২০ কেজি গাঁজা ও একটি সিএনজি জব্দ করা হয়। তৃতীয় অভিযানে ধনপুর থেকে মো. মামুন
হাসানের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার
করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে স্কাফ, গাঁজা ও ইয়াবা সংগ্রহ করে মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, চাঁদপুর
সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করে আসছিল।
এ বিষয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী, আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন পোশাকশ্রমিকরা। আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মালিক ও শ্রমিক পক্ষ এবং নিরপক্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্রুত নতুন মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন শ্রমজীবী মানুষ আন্দোলন করে আসছেন মজুরি বাড়ানোর জন্য। মালিক ও শ্রমিকপক্ষকে নিয়ে মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।মজুরির যদি কোনো তারতম্য হয়ে যায় আমরা শেষ সম্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বারস্থ হই সবসময়। উনার মৌখিক নির্দেশে আজকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা করছি।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের রেশনের দাবি আছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ডের মধ্যেই নির্ধারিত থাকবে যতগুলো সদস্য কার্ডটি ব্যবস্থা করতে পারবে। পরবর্তীতে এ কার্ডের মাধ্যমে রেশনিং ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।এখানে শ্রমজীবী মানুষ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ আছে। শিল্প বাঁচলে শ্রমিক বাঁচবে। শ্রমিকের সঙ্গে শিল্পও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। উভয়দিক লক্ষ্য রেখেই মজুরি ঘোষণা করা হচ্ছে।
মজুরি ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়বে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বহাল আছে।
আন্দোলন-অবরোধের কারণে শিল্পাঞ্চলের বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের বেতন নতুন বেতনের আলোকে হবে। গেজেট এখনই করতে দেবে, কোনো সংশোধন থাকলে ১৪ দিনের মধ্যে করবে।
মজুরি ঘোষণার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তৌফিকুল আরিফ, বিকেএমইএ'র সভাপতি সেলিম ওসমান, বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ অভিযানে কুমিল্লা শহর থেকে বিপুল পরিমাণ স্কাফ ও ফেন্সিডিলসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (৫ অক্টোবর ২০২৫) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব সদস্যরা। এসময় জেসমিন (৪০) নামে এক নারীকে আটক করা হয়। তিনি ওই এলাকার আবাদ মিয়া খন্দকারের স্ত্রী।
র্যাব জানায়, এ অভিযানে ২৮৫ বোতল স্কাফ ও ১৫ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেসমিন স্বীকার করেছেন, তিনি ও তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কুমিল্লা ও আশপাশের এলাকায় পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রি করতেন।
র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযানে ১১ জন মাদক ব্যবসায়ী
ও একজন আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু গাঁজা ও ইয়াবা সহ আটক করেছে র্যাব-১১ সিপিসি-২।
গতকাল (২৮ জুন) সকালে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ছুপুয়া
এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে
তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। বাবলু মিয়া
(২৩), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-আইরল, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া; ২। বিল্লাল হোসেন
(২২), পিতা-মাহবুল হক, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
মুন্না হোসেন (২২), পিতা-মোঃ রেজাউল করিম, সাং- আলিপুর, থানা-সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরা;
৪। মোঃ সাইফুল ইসলাম কামাল (১৯), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট,
জেলা-কুমিল্লা; ৫। মোঃ সোহাগ (২৫), পিতা-আব্দুল খালেক, সাং-শফিবাদ, থানা-কচুয়া, জেলা-
চাঁদপুর; ৬। মোঃ ফয়সাল (২০), পিতা-আব্দুল বারেক, সাং-পানিপাড়া, থানা-চান্দিনা, জেলা-কুমিল্লা
৭। ইমরান হোসেন বাবু (২৫), পিতা-মাহবুল হক, সাং-শহীদপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
৮। মোঃ সালমান হোসেন (১৯), পিতা-মৃত শহীদুল ইসলাম, সাং-মাঝিআলী, থানা- বাঘারপাড়া, জেলা-যশোর;
৯। মোঃ শাহেদ হাসান (২০), পিতা-মৃত কবির হোসেন, সাং-পানিপাড়া; ১০। মোঃ হুমায়ুন হোসেন
(২০), পিতা-মোঃ আবুল বাশার, সাং-ছুপুয়া দূর্গাপুর, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা;
১১। মোঃ কাওসার (২২), পিতা-মৃত লোকমান হোসেন, সাং-মহিশ্বর, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে
গ্রেফতার করা হয় এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু ১২। মোঃ জসিম উদ্দিন (১৬), পিতা-মোঃ
জাফর আলী, সাং-পশ্চিম নোয়াগাও, থানা-লালমাই, জেলা-কুমিল্লা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৭০
গ্রাম গাঁজা ও ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানান, আসামীরা ও আইনের সহিত
সংঘাতে জড়িত শিশু দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের
পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয়
করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার
সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত
খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে
মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায়
রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার
হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে
অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুকে আটক করে।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত
আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন