

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ায় বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই প্রসাধনী পণ্য
বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে
৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে উপজেলা
সদর ও সাহেবাবাদ বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন।
এতে পৃথকভাবে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম
এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ ফারহানা পৃথা।
এ সময় বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড
টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক (কুমিল্লা) কাজী মো: শাহান ও থানা পুলিশের
একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ভারতীয়
ও পাকিস্তানি অবৈধ প্রসাধনী দোকানে রাখা ও বিক্রির দায়ে উপজেলার সদর বাজারের শরীফ কসমেটিকস
নামের এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা ও এমি কসমেটিকস অ্যান্ড গিফট সেন্টার নামের অন্য
এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে
খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ রিয়েজেন্ট কেমিক্যাল পাওয়ার অপরাধে সাহেবাবাদ
বাজারের আল বারিয়া বেকারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভারতীয় ও পাকিস্তানি কসমেটিক্সের
বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় অভিযান চলাকালে সদর উপজেলার দুটি মার্কেটের দুটি দোকানে
অননুমোদিত কসমেটিক্স রাখা ও বিক্রয়ের দায়ে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও
উপজেলার সাহেবাবাদ বাজারের এক বেকারি মালিককে নানা অনিয়মের দায়ে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করন এবং দ্রুত সংস্কারের দাবিতে কুমিল্লার ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বুধবার সকাল ১০ টা থেকে ঘন্টা ব্যাপী কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কের ময়নামতি থেকে কংশনগর পর্যন্ত নয়টি পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালীন সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হলেও, বিক্ষোভ শেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের আশ্বাসে পরবর্তীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি উঠিয়ে নেওয়া হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, দীর্ঘদিন যাবত কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করনের জন্য প্রস্তাবিত হয়ে। এছাড়া দীর্ঘদিব সড়কটিতে খানাখন্দ হলেও সেটি মেরামত করা হচ্ছে না। চরম ভোগান্তিতে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই আমরা চাই খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হোক।
এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, সড়কটি সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত হলো দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রাণহানি সহ মানুষের অঙ্গ হানি হচ্ছে। তাই সড়কের নিরাপদ করতে দ্রুত মেরামত করা দরকার। আমাদের দাবি মেনে নেয়া হলে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
দেবপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ময়নামতি ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, যুবদল নেতা মোস্তফা কামাল, সমাজকর্মী আনোয়ারুল আজিম, হারুনুর রশিদ মেম্বারসহ অন্যান্যরা।
এদিকে মহাসড়কের দেবপুর এলাকায় এসে বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা ও বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করার আশ্বাসে দেবপুর এলাকা সহ অন্যান্য এলাকা থেকে বিক্ষোভ উঠিয়ে নেয়া হয়।
এ সময়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, কুমিল্লা সিলেট মহাসড়কটি চার লাইনে উন্নীত করনের কাজ সরকারের ঊর্ধ্বতনও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে সড়কটি মেরামতের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার হোমনায় জমি সংক্রান্ত বিষয়ের
জের ধরে রফিকুল ইসলাম প্রকাশ বেঙ্গা (৬৫) নামের একজনকে পেট কেটে ভুরি বের করে হ*ত্যা
করা হয়েছে।
আজ রবিবার (২৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মাথাভাঙ্গা ইউনিয়নের ছয়ফুল্লাকান্দি দক্ষিণ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রফিকুল ইসলাম বেঙ্গা ওই গ্রামের মৃত ছুনু মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত অলেক মিয়া নামে একজনকে স্থানীয় জনগণ আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। সে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ও নিহতের চাচাতো ভাই।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমজাদ হোসেন, আবুল হোসেন, আমির আলী, কমিক মিয়াসহ তিন পরিবারের ১০/১২জন মিলে দশ লাখ টাকা বাজেট করে আমার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আমি বিষয়টি জানিয়ে হোমনা থানায় লিখিত অভিযোগ করেও আমার স্বামীকে বাঁচাতে পারলাম না। আজ সকালে আমার স্বামীকে মেরে এসে আবার আমাদেরকেও মারার জন্য দল বল নিয়ে হামলা চালায়। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে হোমনা থানা অফিসার ইনচার্জ (ও.সি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি জায়গা দখল-বেদখল নিয়েই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিলো। সে কারণেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


আসন্ন
ঈদ-উল আযহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক ও ট্রাফিক
ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (১০ জুন) দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কনফারেন্স রুমে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানার পশুর হাটের ইজারাদারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত আলোচনা সভায় পশু হাটের ইজারাদারগণ তাদের বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা ও পর্যবেক্ষণ
তুলে ধরে মতামত ব্যক্ত করেন।
পরবর্তীতে
পুলিশ সুপার পশুর হাট সংক্রান্তে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও হয়রানি রোধ, জালটাকা সনাক্তের
জন্য মেশিন স্থাপন ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়সহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে
গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, কুমিল্লা জেলার ১৮টি থানা এলাকায় এই বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সর্বমোট ৪০৯টি পশুর হাট বসবে।
উক্ত
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) খন্দকার
আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিক
(অতিরিক্ত দায়িত্বে ডিবি) মোঃ নাজমুল হাসান, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মোঃ মতিউল ইসলাম, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ কামরান হোসেন, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মোঃ রবিউল ইসলামসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের ভবানীপুর ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, দুপুরে এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হলে ভবানীপুর ঘাটে উজানচর-ঘাগুটিয়া খেয়া পারাপারের জন্য কয়েকজন অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন হোমনা উপজেলার নালা দক্ষিণ গ্রামের মৃত হাজি মতিউর রহমানের মেয়ে মমতাজ বেগম (৩৭) ও জাকিয়া (২৩) এবং অপরজন দুলালপুর ইউনিয়নের পাথালিয়াকান্দি গ্রামের পুরুষ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব নুরুল হক নুর এবং কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে গণ অধিকার পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে দলীয় নেতাকর্মীরা নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নুরুল হক নুরসহ গণ অধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর আবারো হামলা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
আন্দোলন কারিরা টায়ার জালিয়ে বিক্ষাভ করে।
এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আধাঘন্টা পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।তুলে নেয়ার আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্হা না করলে আবারও রাজপথ অচল করে দেয়া হবে। যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অধঃস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা-২০২৫ উপলক্ষে ক্যাম্প প্রশিক্ষণ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স মাঠে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় কনস্টেবল হতে নায়েক/এটিএসআই এবং নায়েক হতে এএসআই (সশস্ত্র) পদে পদোন্নতির জন্য অংশগ্রহণকারীরা নির্ধারিত নিয়মে প্রশিক্ষণ পরীক্ষা দেন।
পরীক্ষা বোর্ডের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন। তিনি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ক্যাম্প অনুশীলন পরিদর্শন করেন এবং শৃঙ্খলা ও দক্ষতা যাচাই করেন।এ সময় বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) কুমিল্লা রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কুমিল্লা পংকজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আবু সাঈদ মোঃ গাওছাল আজম (পিপিএম) এবং কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সের আরআই মোঃ ফরিদুজ্জোহা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ১২৫ বোতল বিদেশী মদসহ একজন
মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (৫ জুলাই) বিকালে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন রাজমঙ্গলপুর এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০)
নামক একজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১২৫ বোতল বিদেশী মদ
উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ ইয়াসিন (২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার রাজমঙ্গলপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের এর ছেলে।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার
সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য বিদেশী মদ সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার
মুরাদনগর উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে হঠাৎ
হামলা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন সমর্থক আহত
হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।
আজ
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা সদরে এ হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা
ধাওয়া ঘটনা ঘটে।
এর
আগে আজ বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে এনসিপির নেতৃবৃন্দ
ও মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ নিয়ে সমাবেশে জমায়েত হন। এ সময় সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী
জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে বেশ কয়েকটি ইট, পাটকেল ছোঁড়া হয়। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে
ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। হামলা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় এনসিপির ১০ থেকে
১২ জন সমর্থক আহত হন এর মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছে।
আহত
ইউপি সদস্য শেখর জানান, আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আল্লাহ চত্বরে এসে সমাবেশ শুরু করার
পরপরই সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোঁড়া হয়। এ সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করে মাথা
ফাঠিয়ে দেয়া হয় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ আঘাত করে।
মিছিল
নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহবায়ক মিনাজুল হক জানান, তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিএনপির
লোকজন আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর করে শত শত ইট পাটকেল ছুড়ে
আমাদেরকে ধাওয়া দিতে থাকে এ সময় প্রায় অর্ধ শতাধিক সমর্থক আহত হয়।
কুমিল্লার
মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন, আজকে মুরাদ নগরের সদরে এনসিপির
সমর্থনের একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল এ সময় পাশে অবস্থানকৃত কিছু লোক বিনা
উস্কানিতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন, এরপরে বিপক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া
শুরু হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। তবে এনসিপির সমর্থকদের অর্ধ শতাধিক
আহতের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। এছাড়াও কারা এ হামলার সাথে ইন্ধনদাতা তাদের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন


স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা যাচ্ছে যে, আজ ৩০ এপ্রিল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইঁয়ার পদত্যাগেরদা বিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে একটি মিছিল করার চেষ্টা করা হয়। আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করছি এই মিছিলের সাথে মুরাদনগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নাই।
বুধবার ( ৩০ এপ্রিল) রাত ৯ টায় মুরাদনগর উপজেলার জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মুরাদনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, মুরাদনগর শাখার আহ্বায়ক মোঃ ওবায়দুল হক সিদ্দিকী, সদস্য সচিব আল মামুন ও মুখ্য সংগঠক আসিফ সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ , ছাত্রলীগ এক হয়ে কায়কোবাদ সাহেব
নিজের হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে জোর করে মিছিলে নিয়ে আসেন । এর ফলে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ব্যানারটিকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যবহার করছেন বলেই আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে ব্যানারে খুনি হাসিনার পতন হয়েছে সে ব্যানারে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগ ব্যবহার করে উপদেষ্টার মর্যাদাহানী করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঐতিহাসিক ব্যানার ব্যবহার করে এমন হীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ ও অনুমোদনহীন ব্যক্তি কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহারকারীদের দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে মিছিলে অংশগ্রহণ কারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের করতে হবে। অন্যথায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগ ও অনুমোদনহীন ব্যক্তিকতৃর্ক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করার প্রতিবাদে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল,কুমিল্লা:
১৯৭১ সালের ১৮ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দেউশ মন্দভাগ বাজারে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।
১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর সালদা নদীতে প্রথম আক্রমণের পর ৪ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘সি’ কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ওহাবের ৭ নং প্লাটুনকে দেউশ-মন্দভাগ এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান নিতে নির্দেশ দেন। এলাকাটি দক্ষিণ-পশ্চিমে চান্দলা খাল ও দক্ষিণ-পূর্বে সালদা নদী ঘিরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা, ২টি এমজি, ৭-৮টি এলএমজি এবং ৬০ মি.মি. মর্টারসহ দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থান গ্রহণ করেন।
শত্রুপক্ষ ৩৩ বালুচ রেজিমেন্টের একটি কোম্পানি ১৭ অক্টোবর রাতে সালদা নদী পথে অগ্রসর হয়। ১৮ অক্টোবর ভোরে চান্দলা খালে মাছ ধরায় নিয়োজিত আবু মিঞা প্রথমে শত্রুর নৌবহরের শব্দ শুনে মুক্তিযোদ্ধাদের সতর্ক করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই শত্রুর প্রথম নৌকাটি প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলে নায়েক আতাউর রহমান গুলি চালিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। মুহূর্তেই মুক্তিবাহিনীর সব পোস্ট সক্রিয় হয় এবং সুবেদার ওহাব নিজে এমজি পজিশনে থেকে ফায়ার নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়াবহ গুলিবর্ষণে পাকিস্তানি সেনাদের ৭-৮টি নৌকা ধ্বংস হয়, বহু সেনা নিহত ও আহত হয়। ভোরের আলো ফোটার পর সুবেদার ওহাব ও তাঁর সহযোদ্ধারা লে. সীমাসহ প্রায় ১৫-২০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। নিহত এক হাবিলদারের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত চিঠিতে লেখা ছিল- “এখানে মুক্তিবাহিনী নামক বাহিনী আচমকা এসে আক্রমণ করে পালিয়ে যায়, এদের দেখা যায় না।”
এই চিঠি মুক্তিবাহিনীর গেরিলা কৌশলের সার্থকতা প্রকাশ করে।
আহতদের মধ্যে হাবিলদার আকরাম নামের এক সৈনিক জানায়, তাদের নৌকায় মেজর আফ্রিদি ছিলেন যিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিখোঁজ হন। সুবেদার ওহাব আহত আকরামকে হত্যা না করে চিকিৎসার জন্য ক্যাম্পে পাঠান—যা মুক্তিবাহিনীর মানবিক আচরণের উদাহরণ।
অতঃপর সকাল ৯টার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী পশ্চিম ও দক্ষিণ দিক থেকে প্রতিআক্রমণ শুরু করে। সুবেদার ওহাবের এমজি ও এলএমজি পোস্ট থেকে গুলি ও মর্টার বর্ষণে শত্রু ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে পিছু হটে যায়। এরপর শুরু হয় আধাঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ, যা অধিকাংশই খাল ও বিলের পানিতে গিয়ে পড়ে। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত না হলেও তাদের দৃঢ় অবস্থান শত্রুকে হতাশ করে।
দুপুরে শত্রু ৪টি হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশ থেকে গুলি বর্ষণ করে। এই হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক হতাহত হলেও মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত থাকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও সুবেদার ওহাব পরে হেডকোয়ার্টারের সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করে যুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাঠান।
এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় ৫০-৫২ জন নিহত ও ৫০-৫৫ জন আহত হয়, যার মধ্যে ২ জন অফিসারও ছিলেন। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একক অভিযানে শত্রুপক্ষের সর্বাধিক হতাহতের অন্যতম নজির। পাকিস্তানি সেনারা পরবর্তীতে সুবেদার ওহাবকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরিয়ে দিলে ৫০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে।
দেউশ-মন্দভাগ অভিযান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়—যেখানে সুবেদার ওহাবের নেতৃত্ব, মুক্তিযোদ্ধাদের কৌশল, সাহস ও আত্মত্যাগ প্রমাণ করেছিল যে আধুনিক অস্ত্র নয়, স্বাধীনতার অদম্য আকাঙ্ক্ষাই বিজয়ের মূল শক্তি।
মন্তব্য করুন