কুমিল্লায় নিত্যপণ্যের
বাজারে তদারকি অভিযান পরিচালনা করে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা জেলা কার্যালয়।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে
২টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরীর নিউমার্কেট ও এর আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে
চাল, ডাল, আটা, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডিম, মাংস, সবজি, তেলসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের
ক্রয় ভাউচার ও বিক্রয়ের তথ্য যাচাই করা হয়।
এরই সাথে দৃশ্যমান স্থানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন ও সেখানে তথ্যের গরমিল আছে কিনা সেটিও যাচাই করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন শিশু খাদ্য ও কসমেটিকস বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটিও তদারকি করা হয় ।
অভিযান পরিচালনা শেষে অতিরিক্ত মূল্যে চিনি বিক্রি ও মূল্য তালিকায়
গরমিল থাকায় মেসার্স তুহিন স্টোরকে ৫ হাজার টাকা, অনুমোদনহীন রং ও শিশু খাদ্য
বিক্রয় করায় মেসার্স মা-মনি স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং অনুমোদনহীন বিদেশী কসমেটিকস
বিক্রি এবং ইচ্ছেমাফিক
মূল্যের স্টিকার লাগানোর অভিযোগে মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা
জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বুধবার আয়োজিত এ অভিযানে
ভোক্তা অধিকার বিরোধী নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে
তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় এবং তদারকি করা হয় অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান।
আজকের এ অভিযান পরিচালনা
করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো:
আছাদুল ইসলাম। সহযোগিতা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ইসরাইল হোসেন।
অিভিযান পরিচালনা করার সময়
নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
জনস্বার্থে এ ধরণের কার্যক্রম
অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের সুবিদপুর উত্তর পাড়া গ্রামের প্রধানীয়া বাড়িতে ঘটেছে একটি অন্যরকম ঘটনা।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন যুবক মিলন মুন্সী (২৩)। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে স্ত্রী যেতে রাজি না হওয়ায় অভিমানে শ্বশুরবাড়িতেই বিষপানে আত্মহত্যা করলেন ওই যুবক।
আত্মহননকারী মিলন মুন্সী উপজেলার ৪নং কালোচোঁ ইউনিয়নের উড়পুর মুন্সীর বাড়ির বাদল মুন্সীর ছেলে।
মিলন মুন্সীর বাবা বলেন, গত ৫ মার্চ পারিবারিকভাবে ছেলেকে বিয়ে করাই। বিয়ের আড়াই দিন পর বাবার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে আর রাজি হয়নি আমার ছেলের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার আমার ছেলে তার স্ত্রীকে নিতে শ্বশুরবাড়ি যায়। সেখানে তার শাশুড়ি মেয়েকে দেবে না বলে ছেলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। জানতে পারি এক পর্যায়ে অভিমানে আমার ছেলে পকেট থেকে বিষের বোতল নিয়ে খেয়ে ফেলে। স্থানীয় চিকিৎসা শেষে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে রাগী স্বভাবের ছিল এবং মানসিক সমস্যাও ছিল তার। সে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের মারধর করতো। যার কারণে তাকে জেলেও দিয়েছিলাম একবার।
গৃহবধূর বড় বোন আয়শা আক্তার ও তার বাবা আব্দুর রহিম জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর বুঝতে পারি ছেলের কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। যে কারণে এর আগেও দুইবার তারা আমাদের মেয়েকে নিতে এলে ফেরত দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, মূলত এই ছেলে আগেও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তিনি তার বাবাকেও মারধর করতেন। নেশাগ্রস্ত ও উত্তেজিত অবস্থায় থাকতেন। এই ঘটনায় মৃতের বাবা বাদল মুন্সী থানায় মামলা করেছেন। বাকিটা ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে।
মন্তব্য করুন
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে যায়
স্ত্রী জাকিয়া। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ফিরোজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এদিকে পলাতক স্ত্রীকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা
পুলিশ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে
এ ঘটনা ঘটে। আহত ফিরোজ (২৯) উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান ছেলে এবং
জাকিয়া (২৬) একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। ফিরোজ পেশায় একজন এক্সকেভেটর
(বেকু) চালক। এ ঘটনায় আহত ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
হাসপাতালে এবং পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকে (কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন।
এদিকে ঘটনার পর স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে
পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া
লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান , প্রায় এক যুগ আগে ফিরোজ ও জাকিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন।
তাদের ঘরে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই একে অপরকে পরকীয়া
প্রেমের সন্দেহে নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়।
সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ
টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসে।
এদিকে কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে
বুধবার সকালে স্ত্রী জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে ছেলেকে
সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাতক স্ত্রী জাকিয়াকে উপজেলার জিগাতলার নিজ গ্রাম
থেকে আটক করে পুলিশ।
প্রতিবেশী আলমগীর বলেন, ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে।
ঘর রক্ত দিয়ে ভেসে গেছে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার
পর থেকেই স্ত্রী পলাতক রয়েছে।
ফিরোজের ফুফাতো ভাই রবিন জানায় ,আমি পুকুরের পাড়ে গোসল করতেছিলাম, তখন কেরু
কাকার বউ এসে এ দুর্ঘটনার কথা জানায় । পরে আমরা ৪-৫ জন এসে ভাইকে ধরে নিয়ে সিএনজি করে
ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য
টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়া হয়।
ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে
বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়িতে
যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের
সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের
মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় ৫২ কেজি গাঁজাসহ
২ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ।
বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত
১১টায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা
করে।
উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের
ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ৫নং পাঁচতুবি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ডুমুরিয়া
চাঁনপুর ব্রীজের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তার উপর
হতে ৫২(বায়ান্ন) কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মামুন মিয়া (৫২) ও মোঃ সুজন
মিয়া (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লার কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি চোর চক্রের ১জনকে গ্রেফতার করাসহ ৭ টি
চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে।
সোমবার রাত ০১:৩০ নাগাদ গোপন সংবাদের
ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই (নিঃ)
মোঃ মোরশেদ আলম ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ সদর দক্ষিন মডেল থানার কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়
পেট্রোল ডিউটি সহ ওয়ারেন্ট তামিল ডিউটি করাকালে জানতে পারেন যে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি সালমানপুর দীঘির পূর্বপাড় আবুল হোসেনের গ্যারেজের সামনে রাস্তার
উপর কয়েকজন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য একত্রিত হয়ে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়- বিক্রয়
করতেছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সুকৌশলে
ঘটনাস্থল হতে আসামীগণ পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহয়তায় আসামী মোঃ খোরশেদ
আলম (৩০) কে ০১টি কালো রংয়ের Hero glamour মোটরসাইকেল যার রেজি: নং-কুমিল্লা ল-১১-৫৯৪৮
সহ গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ খোরশেদ আলম
(৩০) কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করাকালে জানা যায় যে, তার সঙ্গীয় অপর আসামীগণ মোঃ শিপু
ওরফে শিল্পা ওরফে শিপা (৩৭), রাকিবুল হাসান
প্রকাশ রিয়াদ (২৭) দ্বয়ের হেফাজতে আরো ০৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল রয়েছে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য মতে সদর দক্ষিন
মডেল থানাধীন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দক্ষ টিম কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান
পরিচালনা করে এবং অভিযানের এক পর্যায়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন বালুতুপা এলাকার
পলাতক আসামী জসিম ও শিপুদ্বয়ের বসত বাড়ির উঠানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে
পলাতক আসামী জসিম ও শিপু ঘর থেকে বাহির হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে পলাতক আসামীদের বসত-বাড়ী
তল্লাশী করে ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার জব্দ করা হয় ।
উদ্ধারকৃত ৬ টি চোরাই মোটর সাইকেল
-
(i) ০১ টি নীল কালো রংয়ের YAMAHA
FZS V2 150 CC MOTORCYCLE (ii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 110 CC
MOTORCYCLE (iii) ০১ টি লাল কালো রংয়ের HONDA XBLADE 150 CC MOTORCYCLE (iv) ০১ টি
নীল কালো রংয়ের BAJAJ DISCOVER 125 CC MOTORCYCLE (v) ০১ টি কালো রংয়ের TVS RAIDER
125 CC MOTORCYCLE (vi) ০১টি লাল কালো রংয়ের HERO GLAMOUR MOTORCYCLE
উক্ত ঘটনায় সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার
দায়ের করলে সদর দক্ষিণ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ- ২২/০৪/২০২৪ইং ধারা-৪১৩ পেনাল
কোড, রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০০ কেজি গাঁজা এবং মাদকের কাজে ব্যবহৃত ১টি এ্যাম্বুলেন্স সহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার কোতয়ালী মডেল থানাধীন ২নং উত্তর দূর্গাপুর এর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় অবস্থিত ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর হতে ১টি পুরাতন এ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে ১০০ কেজি গাঁজা সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গেফতার করা হয় ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো -ভোলা সদরের ধনীয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২১) এবং গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঠাকুরতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪৯)।
আসামি সাইদুলের বিরুদ্ধে আগে আটটি ও রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
বর্ণিত ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানাধীন আইনানুগ ব্যবস্হা প্রয়োগ করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মাদক প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা খুব সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ।
তারই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একটি বিশেষ অভিযানে ২৪ কেজি গাঁজা এবং একটি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে দুই জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর ৩:১০ মিনিটে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আলেখারচর বিশ্বরোড সংলগ্ন ঢাকা মুখী পাকা সড়কের উপর চেকপোস্টে জেলা গোয়েন্দা শাখা, কুমিল্লার একটি টিম কুমিল্লা জেলায় বিশেষ অভিযান
পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একটি পিকআপ গাড়ি তল্লাশি করে মাদকদ্রব্য এবং আসামীদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন - মোঃ নাজমুল (২৭), বর্তমান ঠিকানা- নরসিংহপুর, আশুলিয়া, ঢাকা এবং মোঃ হাসেম (৪০), বর্তমান ঠিকানা- জামগড়া, আশুলিয়া, ঢাকা।
উক্ত ঘটনায় কুমিল্লা এর কোতয়ালী মডেল থানার মামলা নং- ৪৫ ,ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১) এর টেবিল ১৯(গ) তে মামলা রুজু করা হয়।
মন্তব্য করুন
কক্সবাজারের রামু উপজেলায়
পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার রাজারকূল ইউনিয়ন
পরিষদের চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ইউনিয়নের পশ্চিম
রাজারকূল মৌলভী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
দুই শিশুর ব্যাপারে জানা
যায় তারা খেলতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল ।
মৃত মো. রিহাব (৭) ও মারিয়া
(৫) পশ্চিম রাজারকূল মৌলভী পাড়ার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর সন্তান।
স্থানীয়দের বরাতে ইউপি চেয়ারম্যান
মুফিজুর বলেন, “সন্ধ্যার ঠিক আগে বাড়ির আশেপাশে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলা করছিল
রিহাব ও মারিয়া। এক পর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের রেললাইনের সেতুর দিকে চলে যায়। সন্ধ্যার
পরেও দুই ভাই-বোন বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের
সন্ধান পাচ্ছিল না। পরে হাসমত আলী নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি মাছ ধরে বাড়ি ফেরার পথে
রেললাইন সংলগ্ন একটি সেতুর মুখে পানিতে ভরে থাকা গর্তে জাল ফেলেন। এ সময় দুই ভাই-বোনের
মৃতদেহ জালে উঠে আসে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান
বলেন, রেললাইন ও সেতু নির্মাণের সময় বেশ কয়েকটি গর্ত তৈরি হয়। সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের
সময় ওই গর্তগুলোতে পানি জমে যায়। আর ওই পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, গর্ত বা কূপের পানিতে পড়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের লাশ স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার করে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে ।
মন্তব্য করুন
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে ফসলি জমি ও সরকারী জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ মাটি চোর চক্র।
এতে মাটিবাহী ট্রলি, ট্রাক ও ডাম্পারের দাপটে ভাঙছে রাস্তাঘাট।
এ মাটি চুরির হিড়িক চলছে দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলির চক মৌজায়। এতে করে বিনিস্ট হচ্ছে আশপাশের ফসলি জমি নস্ট হচ্ছে পরিবেশ।
প্রতিদিন মাটি চোর চক্রের সদস্যরা প্রায় অর্ধাশতাধিক সন্ত্রাসী পাহারায় একদল শ্রমীক দিয়ে ভেকরু সাহায্যে মাটি কেটে ট্রাকে ভরে নিয়ে যায়। এই ট্রাকের মাটি যাচ্ছে আশপাশের যত ইট ভাটায়। প্রতি ট্রাকের মাটি সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে। প্রতিদিন মাটি চোরেরা কমপক্ষে তিন শতাধিক মাহেন্দ্রা ট্রাক দিয়ে মাটি চুরি করে বিক্রি করে। কাক ডাকা ভোর থেকে শুরু হয় এ মাটি কাটার লুট পাট চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। কেউ বাধা প্রদান করলে তার উপর চলে নির্যাতন, হতে হয় বাড়িঘর ছাড়া। আর এসব মাটি চোর চক্রকে সাহায্য করেন স্থানীয় দলীয় নেতারা।
দক্ষিন কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার খবরে ঢাকা জেলা প্রশাসক নির্দেশে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ওই এলাকায় সোমবার সকাল ১১টায় অভিযান পরিচালনা করা হয় । অভিযানে কুমলিরচক মৌজার সরকারী জমিসহ আশেপাশের ফসলি জমির মাটি অবৈধভাবে চুরিকরে কেটে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি মাহেন্দ্রা ট্রাক ও একটি সেলো মেশিন জব্দ করেন।
এ সময় ভ্রম্যমাণ আদালত মাটি চুরি করার সহযোগিতা করার কারনে মোঃ মোতাহার (৫৫) ,মোঃ শামীম (১৯) ও আতিক (২৭) নামের তিনজনকে হাতেনাথে আটক করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ০৪ ধারা অপরাধ লঙ্গন করায় প্রত্যেককে ১৫ ধারায় ৩০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ । এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল দক্ষিন সহকারী কমিশনার ভূমি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিজা খাতুন, উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ শেরিফ হোসেন খান, মোঃ খোরশেদ আলম ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। ভ্রম্যমান আদালত শেষে পুলিশের সহযোগিতায় জব্দ করা মাহেন্দ্রা ট্রাক ও সেলো মেশিন থানা হেফাজতে নিয়েছেন এবং সাজা প্রাপ্ত তিনজনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে হস্তান্তর করেছেন।
ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু রিয়াদ বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে জানতে পারি যে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কুমলিরচক মৌজায় একদল মাটি চোর চক্র দিনে ও রাতে মাটি চুরি করে বিক্রি করে আসছে। এ সংবাদের ভিত্তিত্বে আমি ঢাকা জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে এ বিষয় নিয়ে আলাপ করে আজ সকালে উক্ত কুমলিরচক মৌজায় অভিযান পরিচালনা করি। অভিযান পরিচালনা করার সময় মাটি চুরি করে কাটার সহযোগিতা করার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অপরাধে তিনজনকে হাতে নাতে আটক করি। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করি। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সেনাসদর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল
স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতায়
ঢাকাসহ সারাদেশে মব জাস্টিস, চাঁদাবাজি ও হত্যার ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে ।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, অপরাধের হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। হটস্পটগুলো সার্বক্ষণিক ২৪ ঘণ্টা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
সারাদেশে মব জাস্টিসের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে
কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু মব জাস্টিস নয়, চাঁদাবাজি, চুরি, রাহাজানি ও হত্যা
আগের চাইতে কমেছে। গত দুই মাস আগে চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল ২৫০টি, কিন্তু বর্তমানে
কমে ১২০টিতে নেমেছে। চুরি ৮৫০টির মতো হতো, বর্তমানে ৬০০টির নিচে নেমে এসেছে। হত্যা
সাড়ে তিনশো ছিল, বর্তমানে ১২০-তে নেমেছে। সেনাবাহিনীর কর্মতৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনানীতে সেনাবাহিনীর কিছু
বিপথগামী সদস্য এবং কিছু অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আর যারা অবসরপ্রাপ্ত
সদস্য তাদের দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে। কোনো অন্যায়কে সেনাবাহিনী কখনো
প্রশ্রয় দেয় না। সেনাবাহিনী সবসময় সততার সঙ্গে আছে এবং থাকবে। জনগণের আস্থার জায়গায়
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পাশে পাবেন।
সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জের
সম্মুখীন হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোনো চ্যালেঞ্জ ফেস করছে
না। তবে আমরা দীর্ঘ ছয় মাস বাইরে নিয়োজিত রয়েছি। অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর
সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
তিনি বলেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত ৫০ দিনে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আইনশৃঙ্খলা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ১৭২টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৫২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ
উদ্ধার করেছে।
এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে (মূলত
গাজীপুর, আশুলিয়া ও সাভার এলাকায়) ৮৮টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং এ ধরনের
পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত ৩০বার মূল সড়ক অবরোধ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা
রেখেছে। কারখানাগুলোকে চালু রাখার জন্য মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ, সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রণালয়, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, বিজিএমইএসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে পদক্ষেপ
নিয়েছে। ফলে বর্তমানে দেশের ২ হাজার ৯৭টি পোশাক কারখানার মধ্যে গুটিকয়েক
(বেক্সিমকো গ্রুপ, সাউদার্ন ডিজাইনার'স লিমিটেড, স্বাধীন গার্মেন্টস প্রাইভেট
লিমিটেড এবং সেলফ ইননোভেটিভ ফ্যাশন লিমিটেড) ছাড়া সকল কারখানাই চালু রয়েছে।
শিল্পাঞ্চল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত এক
মাসে ৪২টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে, যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪টি, সরকারি সংস্থা/অফিস সংক্রান্ত তিনটি, রাজনৈতিক কোন্দল
৯টি এবং অন্যান্য ঘটনা ছিল ১৬টি।
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইজতেমা ময়দানে তুরাগ নদীর ওপর ৫টি ব্রিজ স্থাপন, বোম ডিসপোজাল
দলসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল মোতায়েন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনাসদস্য যে কোনো উদ্ভূত
পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া রাজধানীর সংস্কার
কর্মকাণ্ড যেমন- অ্যান্টি পলিঘিনি অপারেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে
পরিচালিত খাল পুনরুদ্ধার অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছে।
সেনাসদরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা
রক্ষার পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন সময় যারা আহত হয়েছেন, তাদের
সুচিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী আজ পর্যন্ত তিন হাজার ৮৫৯ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে
চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে, যার মধ্যে ৪১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের জানমাল এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ও স্থাপনার নিরাপত্তা প্রদানসহ সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে এ সমন্বয় ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করে কর্মধারা অব্যাহত রাখতে সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেন কর্নেল শফিকুল ইসলাম।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছ ধরার দায়ে অর্ধশত জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। আটকদের মধ্যে ৩১জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড, ৬ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় বাকীদের মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট শওকত জামিল চৌধুরী ।
বুধবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ৪৮ ঘন্টার অভিযানে জেলেদের সাথে থাকা ৩ টি বেহুন্দিজাল, ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ৭টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, ও ১০ হাজার মিটার সুতার জাল জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত নৌকা মামলার আলামত হিসেবে জব্দ রয়েছে।
মন্তব্য করুন