

বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জনশুমারির কুমিল্লা জেলার রিপোর্ট ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার)।
কুমিল্লা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. অমৃত কুমার দেবনাথ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং স্বাগত বক্তব্যসহ জনশুমারির জেলার তথ্য তুলে ধরেন জেলা পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান।
পরে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান জনশুমারি ও গৃহগণনার কুমিল্লা জেলার রিপোর্টের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের বইটি ব্যবহারের ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে জনশুনানির রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী কুমিল্লার বর্তমান জনসংখ্যা ৬২ লাখ ১২ হাজার ২শ ১৬ জন। জনসংখ্যায় পুরুষের তুলনায় নারী সংখ্যা বেশি।
বর্তমানে কুমিল্লা মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার কারী ৭১ দশমিক ৪২ ভাগ। এর মধ্যে নারী চেয়ে পরুষ ব্যবহারকারী সংখ্যা বেশী। ইন্টারনেট ব্যবহার কারী কুমিল্লায় ৫০ দশমিক ২৯ ভাগ।নারী চেয়ে পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেশী।
এদিকে কুমিল্লায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন জেলার ৯৯ দশমিক ৩৪ ভাগ মানুষ। যেখানে ১৯৯১ সালে ছিলো ১২ দশমিক ১৪ ভাগ। এছাড়াও জনশুমারিতে উঠে আসা জেলার নানা তথ্য তুলে ধরা হয় এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকা থেকে দলনেতাসহ আট জন কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
গত ২৭ জুন রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২
একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন
দক্ষিণ মাঝিগাছা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তাদের
নিকট হতে ২ টি চাকু, ৪ টি ক্ষুর ও ৭ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃত আসামীরা হলো: ১। মোঃ নিলয় ইসলাম (২০), পিতা-মোঃ রোকন মিয়া, সাং-
অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ২। মোঃ ইমতিয়াজ মিনহাজ আকাশ (১৯), পিতা-
মোঃ গোলাম রাব্বানী মাসুম, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৩। মোঃ
বাপ্পি (১৯), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং- অরন্যপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৪। পিয়াল খন্দকার (১৯), পিতা-মোঃ বশির খন্দকার, সাং- গাজীপুর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা;
৫। মোঃ আব্দুল কাদির (১৯), পিতা-মোঃ সোয়াব আলী, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি সাং-
উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা’দেরকে গ্রেফতার এবং আইনের সাথে
সংঘাতে জড়িত শিশু ৬। শাহাদাত হোসেন মাহি (১৭), পিতা-মোঃ নাদের হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর,
থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা; ৭। রাকিবুল হাসান (১৬), পিতা- মোঃ সোহেল রানা,
সাং- উত্তর রামপুর, থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা এবং ৮। মোঃ মুনতাছির মাহমুদ@
সামির (১৭), পিতা-মোঃ মীর হোসেন, সাং- উত্তর রামপুর থানা-সদর দক্ষিণ মডেল, জেলা-কুমিল্লা।
র্যাব জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের
ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা সকলেই কিশোর গ্যাং
এর সক্রিয় সদস্য। তারা উপরোক্ত দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়
ভীতির মাধ্যমে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও তারা ভয় ভীতির
মাধ্যমে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ যানবাহনে ছিনতাই ও চাঁদা আদায়সহ ত্রাস সৃষ্টি করে
আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী ও আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশুদের
বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


এই মুহূর্তে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি বিপদসীমার ১১৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ ঘটিকায়)
আপনারা দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যান। আদর্শ সদর উপজেলার সকল স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা আছে। যেটা কাছে সেটাতে উঠে যান। গোমতী নদীর পাড় থেকে দয়া করে দর্শনার্থীগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। উপজেলা প্রশাসন আদর্শ সদর, কুমিল্লা।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ২৪ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় মাদক ট্যাপেন ট্যাডল ট্যাবলেট আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্টের টহলদল সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে সীমান্ত পিলার ২০৮১/৮-এস থেকে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর এলাকায় চোরাচালানকৃত মাদকদ্রব্যগুলো জব্দ করা হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত মাদকদ্রব্যের সংখ্যা ২,৪০০ পিস এবং বাজারমূল্য প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এগুলো সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আটককৃত মাদকদ্রব্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


অভিনব
কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ
আটক দুই নারী।
ডিএনসি
কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্বাবধানে ও উপ-পরিদর্শক মো:
মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৩ কেজি গাঁজাসহ দুজন নারী
মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আজ
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন নিমসার বাজারস্থ গাড়ীচালকদের
বিশ্রামাগারের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী Asia Aircon নামের
বাসে তল্লাশি করে ৭ কেজি গাঁজাসহ জাহানারা (৫০) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। আটককৃত
আসামি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত শরীফ আলীর মেয়ে। একই বাস তল্লাশি
করে ৬ কেজি গাঁজাসহ জুবেদা বেগম (৪৭) নামের একজন আসামিকে আটক করা হয়। উক্ত আসামি গোপালগঞ্জ
জেলার মকসুদপুর থানাধীন গোবাহাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মোল্লার মেয়ে।
আসামীদের
বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক মোঃ মুরাদ হোসেন বাদী
হয়ে বুড়িচং থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৫০ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১২ ফেব্রুয়ারী) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন বাশঁমঙ্গল চৌমুহনী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মোঃ পাভেল মিয়া কে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীর হেফাজত হতে ৫০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো: কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার আমড়াতলী গ্রামের মোঃ জামাল মিয়া এর ছেলে মোঃ পাভেল মিয়া (২৯)।
র্যাব জানান, সে দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদক দ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে কুমিল্লা জেলায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের
সুন্দুরিয়া পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে
বিদেশী ও দেশী বিপুল পরিমান অস্ত্রসহ মো. মোতাব্বির
হোসেন জনি (৩৫) নামের এক জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এ সময় তার বাড়ি থেকে ১টি বিদেশি এয়ারগান,
১৪টি দেশিয় তলোয়ার, ১টি লোহার তৈরি চাকতি, ৩টি চাকু, ৫টি স্টিক ও নগদ সাড়ে ৪ লাখ
টাকা উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সেনাবাহিনীর
নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী জনির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রসহ তাকে আটক করে।
আটক হওয়া মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন
জনি- ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর মালিক।
তাকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী।
আটককৃত মোহাম্মদ মোতাব্বির হোসেন জনিকে
অস্ত্রসহ বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে ইউনিট
প্রাঙ্গণে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক যুব দিবস-২০২৫ পালিত হয়।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-"প্রযুক্তি ও অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বহুপাক্ষিক সহযোগিতার অগ্রগতিতে যুবসমাজ"।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা
রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সহকারী পরিচালক ও ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা ফাহাদ আল নূর সাজিদ,
প্রশিক্ষণ বিভাগীয় প্রধান ফয়সাল আহমেদ , প্রশাসন বিভাগীয় উপ-প্রধান মো: মহিববুল্লাহ,
বন্ধুত্ব বিভাগীয় প্রধান মো: সাইফুল ইসলাম, সেবা ও স্বাস্থ্য উপবিভাগীয় প্রধান আমেনা
আক্তার, অফিস সহকারী জনাব মো: নজরুল ইসলাম এবং জেলা ও উপজেলা যুব রেড স্বেচ্ছাসেবকরা
উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, যুব সমাজই জাতির
ভবিষ্যৎ, তাই তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা, প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত
করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যুবকদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন
কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা ধোয়া বাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ও নগদ টাকা ফেলে পালিয়েছে দুই ভাই। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে আদর্শ সদর আর্মি ক্যাম্পের নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনী সদর ক্যাম্প।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দক্ষিণ চর্থা মিয়া বাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নজির মিয়া ও তার ভাই কাসেম সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা স্থানীয় শফিক মিয়ার ছেলে। পালানোর সময় নজির তার কাছে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ অর্থ ছাদ থেকে ফেলে দেয়।
পরে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে ১ হাজার ৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২৩ হাজার ৩৯০ টাকা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও নগদ অর্থ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর ক্লা হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন, aসেনাবাহিনার এ ধরনের অভিযান এলাকায় মাদক কারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তারা দ্রুত পলাতক পালিয়ে যায়। তারা দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছে। তাদের কারনে এলাকার যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা
নাঙ্গলকোটে আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গত ০৯/০১/২০২৫ ইং তারিখ দুপুর ১ টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানাধীন নুরপুর সাকিনস্থ সেবাখোলা বাজারের খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গনধর্ষণ এর ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম লাকি বেগম (৪০) বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গনধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জানুয়ারী দুপুরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন ধামতী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ৪ নং আসামী মোঃ খোকন (৪২), পিতা-আলী মিয়া, সাং-করের ভোমরা, থানা-নাঙ্গলকোট, জেলা-কুমিল্লাকে গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত
আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মায়া খাতুন (২০) এর সাথে ১ নং আসামী
সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে
ভিকটিমকে দেখা করার জন্য আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি
বেগম (৪০)’কে নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব
দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে
আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক
সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদ’সহ
অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ
করে এবং কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে ধৃত আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা
গ্রেফতার এড়াতে আত্নগোপনে চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন