

নেকবর হোসেন,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০২৪ সালের ৪ ও ৫ আগস্ট, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ কুমিল্লার দেবীদ্বার পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আওয়ামী লীগের সশস্ত্র কর্মী ও পুলিশের হামলায় নিহত হন পৌর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বাদশা রুবেল (৪৩), স্কুলছাত্র আমিনুল ইসলাম সাব্বির (১৮) ও আব্দুস সামাদসহ মোট ১২ জন। আহত হন অর্ধশতাধিক, এদের মধ্যে স্কুলছাত্র আবুবকর মানসিক ভারসাম্য হারান।
৪ আগস্ট বানিয়াপাড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রুবেল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার স্ত্রী হ্যাপি আক্তার তখন ছিলেন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত¦া। নিহতের এক মেয়ে ও পরবর্তীতে জন্ম নেওয়া এক ছেলে রয়েছে। রুবেল দেবীদ্বার পৌর এলাকার বারেরা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। রুবেল পেশায় বাস টালক ছিলেন।
৫ আগস্ট থানা ঘেরাওয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সাব্বির। ৪০ দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৪ সেপ্টেম্বর মারা যান। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাব্বির পরিবার চালাতেন ভ্যান চালিয়ে। সিএনজি চালক আমিনুল ইসলাম ছাব্বির দেবীদ্বার পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের পুত্র। একই ঘটনার জেরে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুস সামাদ। তিনি দীর্ঘ সাত মাস চিকিৎসা নিয়ে ৪ মার্চ ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে মারা যান।
আহত শিক্ষার্থী আবুবকর এখন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের সহায়তা কামনা করছে।
দেবীদ্বারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১২ শহীদের রক্তে লালিত গণআন্দোলন। সংগ্রামী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের করুণ ইতিহাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো কুমিল্লার দেবীদ্বারও জেগে উঠেছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু সে জাগরণ থেমে গেছে গুলির আওয়াজে, রক্তাক্ত হয়েছে শহরের রাজপথ। এ পর্যন্ত দেবীদ্বার উপজেলার ১২ জন শহীদ গণআন্দোলনের অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। তাঁদের রক্তে লেখা হয়েছে আন্দোলনের করুণ ইতিহাস।
নিম্নে উল্লেখিত ৩ জন ছাড়া বাকী ৯ জনের শহীদদের নাম, পরিচয় ও শাহাদাতের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:
দেবীদ্বার উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের কাচিসাইর গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম সরকার’র পুত্র ফয়সাল সরকার (২৪)। সে ঢাকায় একটি পলিটেকনিক্যাল ইনিস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ১৯ জুলাই বিকেলে ঢাকা আব্দুল্লাহপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে ফয়সালের মাথার খুলি উড়ে যায়, পরে হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে ঢাকায় অজ্ঞাত স্থানে দাফন করা হয়।
উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মো. হানিফ মোল্লা’র পুত্র মো. সাগর মিয়া(১৯), তিনি পেশায় সবজি বিক্রেতা ছিলেন। ১৯ জুলাই ঢাকা মিরপুর ১০ নম্বরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২০ জুলাই তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার রাজামেহার ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার পুত্র মোঃ হোসাইন মিয়া (১০), সে পেশায় পপকর্ন বিক্রেতা ছিলেন। ২০ জুলাই বিকেলে চিটাগং রোডে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামের মৃত: মোহাম্মদ আলীর পুত্র কাদির হোসেন সোহাগ (২২), তিনি পেশায় চাকরি জিবী(পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিস)। ২০ জুলাই ঢাকা গোপীবাগে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২২ জুলাই নিজ বাড়িতে দাফন সম্পন্ন করা হয়। উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মৃত শাহআলম সরকার’র পুত্র জহিরুল ইসলাম রাসেল। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৪ আগস্ট ঢাকা গুলিস্তান এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়।
উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের ওয়াহেদপুর গ্রামের মোঃ ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মোঃ রবিন মিয়া (৩৫)। পেশায় একজন ব্যবসায়ি ছিলেন। ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ি গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়।
উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের খয়রাবাদ গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মোঃ রায়হান রাব্বি। তিনি শিক্ষার্থী ছিলেন। ৫ আগস্ট খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে গুলিতে নিহত হন। ৬ আগস্ট নিজ বাড়িতে দাফন হয়। উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের মো. সফিকুল ইসলাম রানার পুত্র সাইফুল ইসলাম তন্ময়। উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সৈয়দ আবুল কায়েসের ছেলে নাজমুল হাসান। ঢাকার মধ্য বাড্ডায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করতেন তিনি। গত ১৯ জুলাই দুপুরের বাড্ডা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। পরদিন মরদেহ মাদারীপুরে তার মামার বাড়িতে দাফন করা হয়।
মন্তব্য করুন


মো. মিজানুর রহমান মিনু :
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার ও অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উদ্যোগে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন, মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম লোকমান হোসাইন। এ সময় থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক, সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শকবৃন্দ সহ পুলিশের পৃথক দু’টি টিম। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম বাজার ও মিয়াবাজার এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে সিএনজি অটো-রিকসা, থ্রি-হুইলার সহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটক করে। এ সময় আটককৃত গাড়ীগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে ফারজানা পরিবহনের একটি বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রবাস ফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
আজ রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম সরকার (৩২)। তিনি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের সরকারবাড়ীর বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুরাদনগরগামী ফারজানা পরিবহনের একটি দ্রুতগামী বাস পারুয়ারা দাখিল মাদ্রাসার সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে বাসের নিচে ঢুকে যায় এবং ঘটনাস্থলেই যাত্রী ইব্রাহীম সরকার মারা যান। গুরুতর আহত চারজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে সাময়িক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাস ও সিএনজি জব্দ করেছি এবং নিহতের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ইব্রাহীম সরকার একজন প্রবাস ফেরত ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে, তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গ্রামে শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা–০৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে টানা ১১ দিন ধরে মাঠে অবস্থান করছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে থেকে বিকাল পর্যন্ত নগরীর কান্দিরপাড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তারা আন্দোলনের একাদশ দিন পার করেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের।
নেতাকর্মীরা জানান, ৩ নভেম্বর রাতে মহাসড়ক অবরোধের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনের সূচনা হয়। পরদিন ৪ নভেম্বর নগরীর কান্দিরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে নারী সমর্থকদের সমাবেশ, গণ–ইফতার, দোয়া মাহফিল, সংবাদ সম্মেলন, তারুণ্যের সমাবেশ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি—সব মিলিয়ে টানা ১১ দিন ধরে একের পর এক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন মহানগর, সদর উপজেলা, সদর দক্ষিণ উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আকবর হোসেনের সাবেক পিএস আমিনুল ইসলাম, আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা হাজী নাসির উদ্দিন, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য হাজী শাহজাহান, মামুনুর রশিদ, জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম মেম্বার, পাঁচথুবী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ূম, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সালমান সাঈদ, মহানগর যুবদলের যুগ্ম–আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন, যুবদল নেতা মনছুর নিজামী, আরিফুর রহমান সুমন, আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু, মহানগর ছাত্রদল নেতা রবিন খাঁনসহ অনেকে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাজী ইয়াছিন শুধু রাজনীতিক নন, তিনি দলের সংকটে আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত। দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আইনি ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগঠনে রেখেছেন সক্রিয় ভূমিকা। অথচ এ আসনে এমন একজনের নাম আলোচনায় এসেছে, যিনি এলাকার রাজনীতি বা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
আমড়াতলী ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব শাহজাহান সাজু বলেন, আমরা যাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করি, যিনি হামলা-মামলার সময় আমাদের আশ্রয় দেন, সেই ইয়াছিন ভাইয়ের পরিবর্তে বাইরের কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমরা তা মেনে নেব না।
মহানগর যুবদল নেতা মনছুর নিজামী বলেন, কুমিল্লা–৬ আসনে বিএনপির রাজনীতির প্রাণকেন্দ্রে আছেন হাজী ইয়াছিন। তিনি দলের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যাঁকে বাদ দিয়ে এ আসনে কোনো গণভিত্তিক রাজনীতি করা সম্ভব নয়।
যুবদল নেতা আরিফুর রহমান সুমন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাচ্ছি। গণস্বাক্ষর, ইফতার, দোয়া মাহফিল—সবই তৃণমূলের বার্তা কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে। দল যেন এই বার্তাকে সম্মান জানায়, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতাকর্মীরা ঘোষণা দেন—তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতি (ডিপ্রকৌস), কুমিল্লা শাখার ২০২৪-২০২৬টার্মের নির্বাহী কমিটি ও কাউন্সিলর নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতি ও মোঃ হাবিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াহিদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিলন আকন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু নোমান, অর্থ সম্পাদক মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নাজমুল হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাজীব চন্দ্র দেবনাথ, প্রচার সম্পাদক মোঃ আব্দুর রব, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজকল্যান সম্পাদক শিপন মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নূর আলম, নির্বাহী সদস্য মোঃ বাবুল হোসেন, সুমন হোসেন সরদার, জনাব আবু সালেহ মোঃ নাসিম। কাউন্সিলর মোঃ ফারুক হোসেন দেলোয়ার, মোঃ সোহাগ, জসীম উদ্দিন, আয়ুইব আলী সরকার, সঞ্জয় কুমার দত্ত, মোঃ ফয়সাল হাওলাদার।
ডিপ্রকৌস কুমিল্লা শাখা নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কামাল উদ্দিন আহমদ, নির্বাচন কমিশনার পিন্টু দেবনাথ, ও জাহিদুর রহমান কর্তৃক সমন্নয়ে গঠিত নির্বাচন কমিশন ২৫ নভেম্বর’২৪ তারিখে উল্লেখিত ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে নির্বাচিত বলে ঘোষনা দেন।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করা তিনটি শিক্ষাবর্ষের ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে 'ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড'।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, পিএইচডি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মোট ৫৫ জন শিক্ষার্থীকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয় । অ্যাওয়ার্ড হিসেবে শিক্ষার্থীদের নগদ ১০ হাজার টাকাসহ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ৬ টি অনুষদের ১৯ টি বিভাগ হতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসামান্য কৃতিত্ব, অনুকরণীয় নিষ্ঠা এবং একাডেমিক ও প্রাতিষ্ঠানিক উৎকর্ষতায় ব্যতিক্রমী অবদান রাখা শিক্ষার্থীদের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন," তোমরা চিন্তাটা সীমাবদ্ধ রাখবে না। তোমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে কিংবা দেশের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষক হবে এরকম চিন্তাধারা রাখিও না। এটা এক প্রকার গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ থাকা। তোমাদের গণ্ডীটাকে আরো ছড়িয়ে দিতে হবে। তোমরা দেশেও থাকবে এবং বাইরেও থাকবে। প্রথমত, তোমাদের ভালো মানুষ হতে হবে। আমার একটাই কথা, আমরা লেখাপড়া শিখি বা না শিখি আমাদের প্রথমে ভালো মানুষ হতে হবে। আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, জিপিএ নির্ভর হলে চলবে না। পেয়ে গেছি এই আত্মতুষ্টিতে নিয়ে বসে থাকলে চলবে না, পথ এখনো বাকি আরো এগিয়ে যেতে হবে। "
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন," আসলে বৃত্তিটা শুধু অনুপ্রেরণা না, এটা হলো ভবিষ্যতে সত্য ও ন্যায়ের সাথে জীবন পরিচালনা করার পথ নির্দেশক। খারাপ কিছুকে ভালো কিছু দিয়ে জয় করবে। আমি আশা করবো তোমরা বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী ও মহর্ষীদের জীবনিগুলো পড়বে এবং তা অনুসরণ করবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনাগুলো মনে চলবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন," তোমরা তোমাদের দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছো আজকে। নিশ্চয় এটা তোমাদের জন্য আনন্দের। তোমাদের এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। শিক্ষাজীবনে তোমরা সফল হয়েছো এটার প্রতিফলন যাতে তোমাদের কর্মজীবনেও ঘটে।"
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন," আমি চাই, তোমরা শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডীর মধ্যে না থেকে সারাবিশ্বে তোমাদের পদচারণা থাকবে৷ যার মাধ্যমে তোমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিবে। তোমাদের কাছে আমার প্রত্যাশা, তোমাদেরকে সত্য উন্মোচনের জন্য কাজ করে যেতে হবে এবং তোমরা সর্বদা ন্যায়ের পথে থাকবে।"
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন," আজকে যারা এখানে উপস্থিত আছেন, তারা মেধাবীদের মেধাবী। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। এই অ্যাওয়ার্ডকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে সামনের দিনে আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা রাখি।"
তিনি আরো বলেন," মেধাকে শুধু সিজিপিএর মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। আপনাদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। এ্যাভারেজ স্টুডেন্টসের থেকে আপনাদের ইউনিক হতে হবে। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে হবে। আশা করি আপনাদের মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।"
উল্লেখ্য, মেধা বৃত্তি, অসচ্ছল ও মেধাবী স্টাইপেন্ড এবং স্পোর্টস স্কলারশীপ চলতি মাসেই প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ লিটন মিয়া (৪৫) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটককৃত লিটন মিয়া (৪৫) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের সিতুলিয়া এলাকার মো: আবদুল হাকিমের ছেলে।
অভিযান পরিচালনাকালে ৫২.৫ কেজি গাজা, ২০০ পিস ফেনসিডিল বোতল জব্দ করা হয়েছে।
আসামি এবং মাদকদ্রব্যসমূহ উক্ত ব্যক্তিকে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন


বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও চিকিৎসাধীন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় করেছেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম।
আজ রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় প্রশাসনিক ভবনের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সমন্বয়ক, আহত ও চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবী উপস্থাপন করেন।
ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সকল কথা শুনেছি। সকল দাবীই যৌক্তিক। আমাদের এসব দাবী পূরণের তীব্র ইচ্ছা থাকলেও সক্ষমতা কম রয়েছে। দুটি হলের নাম অফিসিয়ালি পরিবর্তন করতে একটু সময়ের দরকার। আবদুল কাইয়ুমের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সক্ষমতা সীমিত। কারণ এসব চিকিৎসা অনেক ব্যয় বহুল। তবে আমরা আহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার জন্য উপদেষ্টাদের কাছে তা পাঠিয়ে দেবো। সেখান থেকে তাঁরা সাহায্য করবেন বলে আমরা আশাবাদী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সকল দাবী পূরণে চেষ্টা করবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানায় ছাগল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ায় চোর চক্রের ৬ জন সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে পারভেজ (২২), একই গ্রামের রহিম মিয়ার ছেলে সাইদুল (২৩), শিশু মিয়ার ছেলে তামিম (২৩), বাদশা মিয়ার ছেলে ইসমাইল (২৫), শহিদ মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (২৫) ও গুঞ্জর গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২২)।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দিঘীরপাড় গ্রামের জয়নাল হোসেনের মেয়ে নয় বছর বয়সী জাকিয়া সুলতানা নিজেদের দুইটি কালো রঙের পালিত ছাগল নিয়ে দিঘীরপাড় নুরুন্নেসা হাফিজিয়া মাদ্রাসার রাস্তার পাশে ঘাস খাওয়াচ্ছিল। এ সময় একটি সিএনজিতে করে এসে চোর চক্রের ৬জন সদস্য জাকিয়া সুলতানা কে কৌশলে পানি আনতে মাদ্রাসার ভেতরে পাঠায়। মাদ্রাসা থেকে পানি এনে জাকিয়া সুলতানা দেখে তার একটি কালো রঙের ছাগল চুরি হয়ে গেছে। ছাগল হারিয়ে জাকিয়া সুলতানা কান্নাকাটি ও চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের কলাবাগান মোরে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে একটি সিএনজি সহ চোর চক্রের ৬ জন সদস্য কে আটক করে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে এবং ছাগল ও চুরিতে ব্যবহৃত সিএনজি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী জয়নাল হোসেন বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি মামলা করেছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, আটককৃত ৬ জন চোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদেরকে সোমবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
২০১৫ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা হামলা ও কাভার্ডভ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া তৎকালীন সরকারের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাকি আসামিদের মামলাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. কাইমুল হক রিংকু।
তিনি জানান, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ মামলায় বাদী ছিলেন চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান হাওলাদার। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ সে সময় বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এ মামলারও বাদী চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার। এ মামলাতেও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা না পাওয়া যাওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আফরোজা শিউলি তাকে অব্যাহতি দেন।
কাইমুল হক রিংকু আরও জানান, মামলা তিনটি বিগত আওয়ামী সরকারের সময় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা বিবেচনায় প্রত্যাহারের জন্য আইন মন্ত্রণালয় আবেদন করা হয়। মন্ত্রণালয় সেই আবেদন গ্রহণ করে মামলা তিনটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এখন থেকে খালেদা জিয়া ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় কোনো মামলা নেই।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা তাদের পেশাগত ও প্রশাসনিক নানা সমস্যার কথা পুলিশ সুপারের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে এসব সমস্যা শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় পুলিশ সুপার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি নৈতিক স্খলন রোধ, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েকজন অফিসার ও ফোর্স সদস্যকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয় এবং পুরস্কারের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়াসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন