ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)
কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদ জামাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঈদ কেন্দ্রিক
সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই।
রবিবার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ
ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন,
সারা দেশের মতো ঢাকা মহানগরীতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এ ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে সব
জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার
জন্য পার্কিং ও ডাইভারশন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত
সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রোলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা
নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের
পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে। আশা করি, ঈদের জামাত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন,
বাংলাদেশের চামড়া প্রসেসিং এলাকা ঢাকা জেলার সাভারে। ঢাকা কেন্দ্রিক যে চামড়া সেগুলো
কালই সেখানে যাবে। আর ঢাকার বাইরেরগুলো ৭ দিনের মধ্যে সেখানে আসবে। এ কাজ যাতে সুন্দরভাবে
সম্পাদন করা হয় সেজন্য ডিএমপি সহায়তা করবে। আমরা ইতোমধ্যে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গ্রহণ করেছি, অনেককেই গ্রেফতার করেছি। পরে এ ধরনের কাজ যারা করবেন, তারা সতর্ক হবেন
এবং ভবিষ্যতে এসব থেকে তারা নিবৃত থাকবেন। আমরা সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই নিরাপত্তা
ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। আমরা সব সময় সর্বাত্মক ও সর্বোচ্চ ব্যবস্থাটাই নিয়ে থাকি।
এবারও সেটি করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ফরিদপুরের সালথায় একরাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মালামালসহ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অভিযোগ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার (১৬, ১৭ জানুয়ারি) বিভিন্ন সময়ে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল, নগদ ৬০ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি, ১টি রামদা, ১টি ছুরি ও ১টি শাবল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো: সালথার দিয়াপাড়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে ইয়াদ আলী (৪৬), একই গ্রামের সোনা উল্লাহ মাতুব্বরের ছেলে মো. নাঈম মাতুব্বর (২০) ও মো. সাইফুল মাতুব্বর (২২), একই উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের আ. ওহাব শেখের ছেলে মো. বাবুল শেখ (৩৫), বড় লক্ষণদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রব মাতুব্বরের ছেলে মো. মিজানুর মাতুব্বর (৫০) ও জয়ঝাপ গ্রামের আতিক শেখের ছেলে শাকিবুল শেখ (২০)।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সালথার দিয়াপাড়া এলাকায় একই রাতে ৩টি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় পরদিন ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল, সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান, ট্র্যাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) তুহিন লস্করসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে শনিবার রাতে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: ডিএমপি ঢাকা জেলার মিরপুর থানার ৬৮নং জনতা হাউজিং, শাহ আলীবাগ এলাকার মৃত ওসমান গনির ছেলে মাঃ ইমামুল হক @শুক্কুর এবং কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদর থানার পূর্ব মুক্তার পোল, ০৬ নং ওয়ার্ড এর মৃত দানু মিয়ার ছেলে দিদারুল আলম (৫০)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় জানায়, তারা উভয়েই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য এবং তারা সাধারণ পেশার আড়ালে এসকল মাদকদ্রব্যের পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় পরিচালনা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত ০১ নং আসামী মোঃ ইমামুল হক শুক্কুর ড্রাইভার পেশার আড়ালে মাদকদ্রব্য সংরক্ষণ ও ক্রয়-বিক্রয় করে আসছিল। এই চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ ট্রাক, পিকআপ, কার্ভাড ভ্যান সহ অন্যান্য যানবাহন ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের পণ্যদ্রব্য পরিবহনের আড়াঁলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কুমিল্লা ও ঢাকা সহ পাশর্^বর্তী জেলা সমূহে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় আরো জানায় এই বিপুল পরিমান ইয়াবা এর চালান ঢাকাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলায় সরবরাহের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। পরবর্তীতে গোয়েন্দা কার্যক্রম ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর আভিযানিক দল মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ ইমামুল হক @শুক্কুর ও দিদারুল আলম’দ্বয়কে গ্রেফতার পূর্বক তাদের দেখানো মতে সদর দক্ষিণ থানাধীন পদুয়ার বাজার এলাকার ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়ক হতে গ্রেফতার করে ০১ টি ব্যাগে সর্বমোট ৪০,০০০ পিস উদ্ধার করে যার আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসংক্রান্তে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) মধ্যরাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মুজিবনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী স্বাধীনতা সড়কে অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের দারিয়াপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে মো. মাসুদ রানা (৩৫) ও একই উপজেলার সাজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছা. কোহিনুর (৪৫)।
ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার বলেন, ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানী সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজে (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন’উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তি ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছে মন্তব্য করে জাতির কল্যাণে আগামী দিনেও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
দেশ–বিদেশের কয়েকশ’প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন সম্মেলনে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যেকোনো অন্যায়, অবিচার মোকাবিলা করা যায়। শুধু তাই নয়, ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করা যায়। যেটা আমরা একশ’দিন জুলাই-আগস্ট মাসে দেখিয়েছি। তাই আগামী দিনেও সবাইকে দেশ-জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, কোনো অন্যায়, দোষ না করেও এ দেশের মানুষ কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। অনেক বড় শক্তির মুখোমুখি হওয়াতে আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু আমরা এটাও জানি যে, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, যখন আমরা এক হয়ে কাজ করি, তখন আমাদের ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করার ক্ষমতা আছে, যেমনটি আমরা ১০০ দিন আগে বাংলাদেশে করেছি।
তিনি বলেন, মাত্র ১০০ দিন আগে একটি অনন্য রাজনৈতিক উত্থানের সম্মুখীন হয়েছিল বাংলাদেশ। গত ১৬ বছর ধরে চলা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটিয়েছে ছাত্ররা। আমি এ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অতিথিদের কাছে একটি সদ্য উদীয়মান দেশে স্বাগত জানাই। নতুন বাংলাদেশ বলে অভিহিত করছি।
জুলাই বিপ্লবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ছাত্র-জনতা নিহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০ হাজার আহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, যারা সারা জীবনের জন্য তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, চোখ এবং অনেক শারীরিক সক্ষমতা হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশিদের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড নিজের চোখে দেখার জন্য রাজধানীতে ঘুরে ঘুরে দেখার অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি আরও বলেন, ঠিক ১০০ দিন আগে এ শহরে যা ঘটে গেছে তা আপনার নিজ চোখে দেখে যান। জুলাই বিপ্লবের সময় তরুণদের আবেগ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রকাশ করে রঙিন চিত্রে আঁকা রাস্তার দেয়ালগুলো দেখুন। দেখতে পারবেন কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তাদের অভিব্যক্তি দেখে যে কেউ অবাক না হয়ে পারবেন না। এ ঐতিহাসিক সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এ বিপ্লবের কোনো ডিজাইনার ছিল না, কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছিল না এবং কোনো সংস্থা এটিকে অর্থায়ন করেনি। তরুণরা তাদের নিজের শক্তিতে করেছে।
মন্তব্য করুন
খেজুরের রস পান করে নড়াইল সদরের একটি বিদ্যালয়ের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় এ ঘটনাটি ঘটে জেলা সদর উপজেলার শাহাবাদ এলাকায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে স্কুলে আসার পরে ১০টায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থী মিলে পাশের একটি জমিতে কয়েকটি খেজুরের গাছে উঠে রসের হাঁড়ি নামিয়ে আনে। এরপর সবাই সেটি পান করে। কিছুক্ষণ পর ৬ জনের তীব্র পেটে ব্যথা শুরু হয়। কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এর মধ্যে একজন বমি করতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক অসুস্থদের অন্যদের সহায়তায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
খেজুরের রসের মধ্যে অন্য কিছু ছিল কি না তা শিক্ষার্থীরা জানে না, তবে রস খাওয়া কয়েকজন সুস্থ আছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকে শাহাবাদ, দলজিতপুরের বাসিন্দা।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রেশমী খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে। মাত্রা বেশি না হওয়ায় ওয়াশ করার প্রয়োজন পড়েনি। একজন বমি করেছে, অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
আপাতত তাদের ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের ভিত্তিতে গঠিত হবে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সংবাদমাধ্যমের সংস্কার : কেন? কীভাবে?’ শীর্ষক এক মুক্ত আলোচনায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ওয়েজবোর্ডসহ বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে দাসসুলভ আচরণের সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা কেন পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারেন না, সেসব বিষয় পর্যালোচনা করা হচ্ছে। দেশে গণমাধ্যম সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে পেশাদারিত্বের সংস্কৃতি অনুপস্থিত। অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কাজ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, এই অভ্যুত্থান গণমাধ্যমের জন্য বড়ো কেস স্টাডি। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমের কী ভূমিকা ছিল তা নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের সময় মাঠ পর্যায়ে অনেক সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করলেও মিডিয়া হাউজ পলিসির কারণে সেসব সংবাদ প্রকাশ করেনি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া আন্দোলনের পক্ষে কোনো তথ্যই প্রচার করেনি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় ইলেকট্রনিক মিডিয়া কী প্রচার করেছে, তা দেশের মানুষ জানে। এই অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিরোধও দেখা যায়নি।
মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি অভিহিত করে তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে সাংবাদিকদের পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি তরুণদের এই পেশায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।
এসময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংস্কারের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন।
মুক্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. সাইফুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
মিডিয়া সাপোর্ট নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক জিমি আমির। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি হতে ০৯ মার্চ ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত বিলাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উক্ত অভিযানে সেনাবাহিনী কর্তৃক সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সর্বত্র প্রভাব বিস্তারের ফলে কেএনএ সহ অন্যান্য সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো লোকালয় ত্যাগ করে। সেনাবাহিনী সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের একাধিক অস্ত্রের অবস্থান, গুপ্তাশ্রয় ও আস্তানা চিহ্নিত ও ধ্বংস করে। এই অভিযানের ফলে কেএনএ ও অন্যান্য সন্ত্রাসী দলগুলো আরো কোনঠাসা হয়ে পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্থানীয় জনগণ। অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ ও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় স্ব স্ব ক্যাম্পে প্রত্যাবর্তন করেছে সেনাবাহিনীর টহল দল। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধানের
সাথে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো সেনাসদরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময়
ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দু'দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা
করেন। বিশেষ করে তাঁরা সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, যৌথভাবে হাসপাতাল নির্মাণ ও
পরিচালনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা শিল্পে বিনিয়োগ ও সামরিক
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রশিক্ষনার্থী বিনিময়ের উপর আলোকপাত করেন।
এছাড়া দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, স্পেশাল ফোর্সেস' অভিযান ইত্যাদি বিষয়ে যৌথ মহড়া পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্তব্য করুন
৫ আগস্টের পর গিরগিটির মতো ভুয়া সমন্বয়ক
তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক
মো: সারজিস আলম।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার
দিকে মাদারীপুর পৌরসভার হলরুমে মাদারীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের
সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সমন্বয়ক মো: সারজিস আলম বলেছেন, এসব
ভুয়া সমন্বয়কদের আলাদা করতে হবে। তাদের মধ্যে সুবিধাবাদী চরিত্রটা পূর্বেও ছিল এখনও
আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এদেরকে আলাদা করা না হলে সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে আমাদের ইমেজকে
খেয়ে ফেলবে। দেশের অনেকে জেলায় এমনটা হচ্ছে।
ভুয়া সমন্বয়কদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মো:
সারজিস আলম বলেন, ছাত্রদের মধ্যে কেউ যদি ভবিষ্যতে ফ্যাস্টিস হওয়ার চিন্তা করেন কিংবা
ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তাদেরকে বহিষ্কার করে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা কেউ আলাদা হবেন না। সবাই একত্রে থাকবেন।
তা না হলে পরিণতি খারাপের দিকে যাবে।
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকার বারিধারায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট’ দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডেএম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে হতে পারে। সেজন্য আজকে উনি বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে আমেরিকান অ্যাম্বেসিতে গিয়েছিলেন।’
খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে রওয়ানা হয়ে পাজোরো জিপে বেলা ২টা ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে প্রবেশ করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দূতাবাসে পৌঁছালে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
এ সময় সঙ্গে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন ছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিক্সসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা হলেও তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাল্টি ডিসিপ্লানারি সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডন এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানান।
মন্তব্য করুন