

টাঙ্গাইলে বাসি-পচা মাংস দিয়ে বিরিয়ানি প্রস্তুত ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম নামে ১ মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে শহরের কলেজপাড়ার কান্দাপাড়া রোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। জহিরুল ইসলাম হাজি বিরিয়ানি, কাচ্চি খাদক এবং হানিফ কাচ্চি বিরিয়ানি এ ৩টি প্রতিষ্ঠানের মালিক। টাঙ্গাইলের জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, একই মালিকানাধীন হাজি বিরিয়ানি, কাচ্চি খাদক এবং হানিফ বিরিয়ানির রান্না ঘরে বাসি এবং দুর্গন্ধযুক্ত খাবার নতুন খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে ভোক্তাদের খাওয়ানো প্রতারণার শামিল।
তিনি আরও বলেন, নোংরা পরিবেশে এসব খাবার উৎপাদন এবং সংরক্ষণ ও বাসি খাবার বিক্রির দায়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরে বাসি এবং দুর্গন্ধযুক্ত মাংস বিনষ্ট করেছি। মানসম্মত পরিবেশে খাদ্যপণ্য প্রস্তুত নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সাহিদ আক্তার, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাবের) জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জলসহ পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মন্তব্য করুন


প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়ে বলেছেন, আগামী
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখরভাবে আয়োজন
করতে হবে।
আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স ২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখন নির্বাচনের
সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক
বাহিনী, পুলিশ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন। এটি একটি বড় প্রয়াস। অভ্যুত্থান
থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা। এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ ও মিলনের সময়। মানুষ
তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।
মন্তব্য করুন


হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের
আশ্বাসে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চিকিৎসকরা
স্থগিত করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল নাজমুল।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ঢামেক পরিচালক জানান, কমপ্লিট শাটডাউন
থেকে সরে এসেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ ইনডোরের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ চালু
থাকবে। এখন থেকে ঢামেক হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের
পর সবাই কাজে ফিরবেন।
এদিকে, চিকিৎসকদের দাবি যৌক্তিক জানিয়ে সন্ধ্যায়
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগন বলেন, তাদের সঙ্গে ন্যক্কারজনক ঘটনা
ঘটেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির উপচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হবে, হামলায় কারা
ছিল।
চিকিৎসকদের সুরক্ষা দেয়ার কথা জানিয়েছে
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে
হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ করতে সময়
লাগবে বলেও জানিয়েছেন নুরজাহান বেগম।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের
মারধরের প্রতিবাদে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়া হয়। চিকিৎসকদের
সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায়
আনার দাবি তোলেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় রোববার বিকেলে দুই প্লাটুন
বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
মন্তব্য করুন


নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গভীর রাতে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে দাদপুর ইউনিয়নের বারাইপুর গ্রামের লেদু মিয়ারগো বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম হোসেন (২৭) স্থানীয় খলিফারহাট বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী ও মৃত শাহ আলম মেম্বারের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সাদ্দাম রাত সাড়ে ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে বারাইপুর এলাকায় স্পিড ব্রেকারের কারণে তিনি গতি কমালে দুর্বৃত্তরা তার পথরোধ করে এবং পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তার জানা নেই; অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


অন্তর্বর্তী
সরকার যে ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে-বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান করার মধ্য দিয়ে তাদের
নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন। এজন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার
ততটুকু সময় পেতে পারে।
আজ
শনিবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর
বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিরতিতে এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন এমন কথা বলেন।
আখতার
হোসেন বলেন, নির্বাচনের আগে বিচার ও সংস্কারের দৃশ্যমান রোডম্যাপ সরকারকে উপস্থাপন
করতে হবে। আমরা নির্বাচন প্রলম্বিত করার পক্ষে নয়, তবে তার আগে বিচার এবং সংস্কারকে
যেন অবশ্যই দৃশ্যমান করা হয়। সে ব্যাপারে আমরা জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। আমরা
এখন পর্যন্ত সংবিধানের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এখন পর্যন্ত বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন,
জনপ্রশাসন, দুদক এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের মতো বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারিনি। তবে
পুলিশ সংস্কার কমিশিনের রিপোর্ট কেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি সে বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন
করেছি। আমাদের মতামতগুলো জানাতে চেয়েছি।
বর্তমান সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত সম্ভব
নয় উল্লেখ সম্ভব নয় উল্লেখ করে আখতার হোসেন বলেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে একচ্ছত্র
ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ
তৈরি হয়েছে। আমরা ক্ষমতার ভারসাম্যের কথা বলেছি এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারের কথা
আমরা বলেছি। কীভাবে নতুন একটি সংবিধান পুনর্লিখন করা যায়। গণপরিষদ নির্বাচনের বাস্তবতা
নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
এনসিপি’র
দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি বিষয়ের মধ্যে
১২৯টি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি সেসব বিষয়ে আমাদের অবজারভেশন
রয়েছে। এসব বিষয়ে সংযোজন, বিয়োজনের নোট আমরা ঐকমত্য কমিশনে দিয়েছি। আমরা মূলত এখন পর্যন্ত
তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। প্রথমত, প্রটেকশন অব সিটিজেন (নাগরিকদের নিরাপত্তা)। আমরা দেখেছি,
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রে নাগরিকদের নিরঙ্কুশ অধিকার কখনো স্বীকৃত হয়নি। সেসব
বিষয়ে আমরা বিস্তারিত কথা বলেছি।
দ্বিতীয়ত,
আমরা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছি। আমরা প্রতিনিয়ত দেখেছি, যখনই ক্ষমতা
হস্তান্তরের একটি সময় এসেছে তখনই দেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একটা সরকার
থেকে অন্য সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর কীভাবে হবে এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা
হচ্ছে।
তৃতীয়ত,
সংসদের স্থিতিশীলতার নামে আর্টিকেল ১৭ দিয়ে আমাদের কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে
কথা হয়েছে। আমাদের সংসদকে আরো বেশি কীভাবে কার্যকর করা যায় ওই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা
হয়েছে।
উক্ত বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রিয়াজ, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এনসিপি’র
পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক
সরোয়ার তুষার, জ্যেষ্ট যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী,
মুখ্য সংগঠক (দাক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
মন্তব্য করুন


ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়া
নিয়ে সর্তকবার্তা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজের
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের হুশিয়ারী দিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ভূমি অফিসে
ঘুষ দেওয়ার মাত্রা কমে যাওয়ায় সেখানে কর্মীদের কাজে অনীহা দেখা যাচ্ছে এবং কাজ স্লো
করে দেওয়া হয়েছে। ভূমি অফিসের কর্মীরা যদি ঘুষের অভ্যাসের অভাবে কাজে অনীহা দেখান এবং
কাজ স্লো করে দেন, তাহলে এটি তাদের পেশাগত দায়বদ্ধতার অভাবকেই প্রকাশ করে। যাদের পেশাগত
দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে, তাদের বিকল্প চিন্তা করা সরকারের দায়িত্ব। আপনারা যারা কাজ
স্লো করে দিয়েছেন, এখনো সময় আছে, সাবধান হয়ে যান। না-হয় আপনাদের রিপ্লেসমেন্টও চলে
আসবে।
মন্তব্য করুন


দেশজুড়ে নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যপুস্তকে ভুল-ত্রুটি ও অসঙ্গতি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন।
এসব সমালোচনা ও মতামতকে ইতিবাচকভাবে নিয়ে মূল্যায়ন করে পাঠ্যপুস্তকের ভুল-অসঙ্গতির সংশোধনী অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানোর কথা জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
মঙ্গলবার বিকালে পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীসহ সবার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ২০২৪ সালের বইয়ের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা ও গভীর পর্যবেক্ষণে যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। বছরের প্রথম দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের সময় আমরা সব শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক সম্পর্কে কোনো পরামর্শ থাকলে তা অবহিত করতে অনুরোধ করেছিলাম। আপনারা আমাদের আহ্বানে তাৎপর্যপূর্ণ ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে একই সাথে আরো বলা হয়, আপনাদের এ তাৎপর্যপূর্ণ মতামত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে বিদ্যমান পাঠ্যপুস্তক যৌক্তিকভাবে মূল্যায়ণপূর্বক সংশোধনীসমূহ অতি দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমে পাঠানো হবে। যারা আমাদের নানান তথ্য-উপাত্ত, যৌক্তিক বিশ্লেষণ এবং সঠিক উপস্থাপনার মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়নে সহায়তা করছেন, তাদের প্রতি আমরা অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মন্তব্য করুন


মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয় ও সরকারি সাব রেজিস্ট্রি অফিসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে পৃথক দুই কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুটি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, নথি এবং আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
মাগুরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আলিম মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুটো জায়গাতেই পেট্রোল বোমার কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আক্তার জানান, রাতে দুষ্কৃতকারীরা ভূমি অফিসের পেছনের জানালা ভেঙে ভেতরে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে। এতে নিচতলায় থাকা কম্পিউটার, আসবাবপত্র এবং জমি–জমা সংক্রান্ত দলিল ও নথিপত্র সম্পূর্ণ পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
এদিকে একই সময়ে সাব রেজিস্ট্রার অফিসেও একই ধরনের হামলা হয়। সাব রেজিস্ট্রার শুভ্রা রানী দাস বলেন, পেট্রোল বোমার আগুনে সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের নিচতলা এবং সামনে থাকা দলিল লেখকদের অফিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। জমিজমার দলিল, নথিপত্রসহ লেখকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নষ্ট হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আগুনে দুটি প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার, বৈদ্যুতিক লাইন, আসবাবপত্রসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সদর থানার ওসি আয়ুব আলী জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে উপসচিব মোসামৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি নীতিমালা না থাকায় এবং বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিপত্র ও অফিস আদেশ যুগোপযোগী করার উদ্দেশে এ নীতিমালা প্রণয়ন করা হলো।
নীতিমালার আওতা বিষয়ে বলা হয়েছে, শিক্ষার মাধ্যমিক স্তরের সরকারি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। সরকার জনস্বার্থে যেকোনো সময় যেকোনো শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়ন করতে পারবে।
তবে বদলির সময়কাল প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতি শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে আগ্রহী শিক্ষকদের বদলির আবেদন করতে পারবেন। এ সময়সীমা ছাড়া অন্য কোনো সময়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না। তবে অনিবার্য পরিস্থিতিতে শুধু সিনিয়র সচিব বা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর আবেদন করা যাবে।
আবেদনের শর্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমান কর্মস্থলে চাকরির সময়সীমা তিনবছর পূর্ণ হতে হবে এবং বদলির উপযুক্ত কারণ থাকতে হবে। শিক্ষকদের বদলি হবে শুধুমাত্র অনলাইনে। বছরের আর অক্টোবর মাসে এ বদলি আবেদন নেওয়া হবে।
এছাড়া নতুন নীতিমালায় আরো জানানো হয়, সমতলের কোনো শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে পার্বত্য অঞ্চল (রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) এবং দূর্গম, চর ও হাওড় অঞ্চলে বদলি করা হলে বদলিকৃত কর্মস্থলে এক বছর চাকরির পর তিনি পুনরায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে তার আবেদন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
এতে বলা হয়, মহানগরী ও জেলা সদরে কর্মরত কোনো শিক্ষকের কর্মকাল একই প্রতিষ্ঠানে একাধারে ৬ বছরের বেশি হলে তাকে নিজ জেলায় অথবা পাশের জেলায় বদলি করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি বা অন্যকোনো অভিযোগ থাকলে তা প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাকে বদলি করতে পারবে। বদলির ক্ষেত্রে আবেদনকারীর নিজ জেলা ও পার্শ্ববর্তী জেলায় পদায়নে গুরুত্ব দেওয়া, সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ে শিক্ষক বদলি বা সহ পদায়ন করা হবে না।
এতে আরো বলা হয়েছে, অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিপরীতে অন্য বিষয়ের শিক্ষক বদলি বা পদায়ন করা যাবে না।
তবে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার একবছর আগে কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী অবসরভাতা গ্রহণের সুবিধার্থে কোনো সুবিধাজনক কর্মস্থলে বদলির আবেদন করলে তার আবেদন সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
মন্তব্য করুন


বাংলাদেশ
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সংস্কার-নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা
হলে সংশয় কেটে যাবে।
আজ
শনিবার (২৪ মে) রাত ৮টার দিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ
আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার
দিকে প্রেস ব্রিফিং করেন।
সেখানে
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে কিছুটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। তার
ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের একটা বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে প্রধান
উপদেষ্টা একটি মেসেজ জাতিকে দিতে চেয়েছিলেন।
জামায়াতের
আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তিনি (প্রদান উপদেষ্টা) সেটা দেননি। কিন্তু এটা খুব দ্রুত
সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে এক ধরনের আশঙ্কা বিরাজ করে। আমরা সেটাকে আমলে নিয়েছি।
একই সময়ে একজন রাজনৈতিক নেতা তার জনপ্রতিনিধিদের দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। আরেক
জায়গায় অন্যরা গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিষয়টা কিছুটা
কষ্টের ও বিরক্তির। যে কারণে তিনি তার দায়িত্বের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন এমনটি প্রকাশ
করেছিলেন।
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশ ভালো থাকলে আমরা সবাই ভালো থাকবো। দেশে একটা পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু এই পরিবর্তনে এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকারের তাদের পরিচয় হলো তারা কোনো দলকে ধারণ করবে না। এটাই হওয়া উচিত নয়। আমাদের সবার দাবি ছিল অর্থবহ একটি সংস্কার হবে। এই সংস্কার ও বিচারের মধ্য দিয়েই একটা অর্থবহ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনের সুস্থ মাঠ থাকবে, যারা অংশগ্রহণ করবে তারা ষড়যন্ত্রের শিকার হবে না, পেশী শক্তির প্রবণতা থাকবে না। সাড়ে ১৫ বছর জনগণ ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এবার তারা ভোট দিতে পারবে সেটা নিশ্চিত হবে এটাই ছিল আমাদের দাবি।
জামায়াতের
আমির আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে কয়েকবার বলেছেন, নির্বাচন তিনি দিতে চান
এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো রোডম্যাপ
দেননি। দিন মাস ঘোষণা করেননি এটাকে কেন্দ্র করে। আমরা বলেছি, দুটি বিষয় স্পষ্ট করা
দরকার- গ্রহণযোগ্য সংস্কার হতে হবে, এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। আমরা মনে করি, সংস্কার
ও নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা হলে অনেকটাই সংশয় কেটে যাবে।
মন্তব্য করুন


রাজধানীসহ দেশের
বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত
হয়।
চট্টগ্রাম, রাজশাহী,
সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও
ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর
পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া
অফিস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ। রিখটার স্কেলে এর
মাত্রা ছিল ৫.৬।
মন্তব্য করুন