

নগরের সবচেয়ে বড় ডিমের বাজার পাহাড়তলীর কিছু আড়তে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৭০ পয়সা। ডজন হিসেবে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫২ টাকা ৫০ পয়সা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে পাহাড়তলী ডিম আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে খুচরায় এখনো ডিম ১৭০ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান নতুন এ মূল্য নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
মন্তব্য করুন


রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ডুলাহাজারা পার হয়ে চকরিয়া ঢোকার পথে কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সঙ্গে গাছবাহী নসিমনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ।
চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ট্রেন আসার আগে স্থানীয় একটি নসিমন (মালবাহী পরিবহন) রেললাইনে উঠে যায়। তবে ট্রেনের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
আর ২৫ মিনিট পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
এদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের চালক (লোকোমাস্টার) আবদুল আওয়াল রানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই ঘটনার কিছু ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনের ওপর দাঁড়ানো। কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি গাড়িটির মাঝামাঝি আঘাত করে।
তিনি জানান, গাছবাহী নসিমনটি রেললাইনে আটকে যায়। তবে ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পরে আবদুল আওয়াল রানা তার সহকারী লোকোমাস্টার, স্টাফ এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় নসিমনকে রেললাইন থেকে অপসারণ করে রেললাইন চলাচলের উপযুক্ত করেন।
মন্তব্য করুন


স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় নিজ জেলা মানিকগঞ্জে
দাফন করা হয়েছে ।
দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয় সদর কবরস্থানে বাদ জুমা তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, শুক্রবার (১০ মে) ঢাকা সেনানিবাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার
প্যারেড গ্রাউন্ডে আসিম জাওয়াদের ফিউনারেল প্যারেড এবং দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত
হয়। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও বিমান বাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান
(পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং নৌবাহিনী প্রধানের পক্ষ থেকে ঢাকা
নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল মাসুদ ইকবাল মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের পরিবারের সদস্য, সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য পদবীর সদস্যরা
উপস্থিত ছিলেন। এর আগে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হকের প্যারেড
গ্রাউণ্ডে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ফিউনারেল প্যারেড শেষে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের মরদেহ নেওয়া
হয় তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে বিমানবাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত
প্রশিক্ষণের অংশ নেওয়ার সময় বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
এসময় দুই পাইলট প্যারাসুট নিয়ে বিমান থেকে লাফ দেন। স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম
জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেওয়া
হয়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর ১ মাস ২০ দিন।
তিনি স্ত্রী, এক কন্যা,
এক পুত্র, বাবা-মা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মন্তব্য করুন


খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে ।
এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদীর পানি বিপৎসীমার দুই থেকে ছয় ফিট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর), এ বিপন্ন মানুষের সাহায্যার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আইএসপিআর আরো জানায়, দিনভর উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার খাগড়াছড়িবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে সেনাবাহিনী। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানরত অসহায় মানুষদের রান্না করা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুকনা খাবার, মোমবাতি, দিয়াশলাই, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
বন্যা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের পাশাপাশি চিকিৎসা
সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রামে বিপিএলের অনুশীলনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান উইন্ডিজ ক্রিকেটার ম্যাথিউ ফোর্ডের হাঁকানো বলের আঘাতে মাথায় চোঁট পেয়েছেন । সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর আজ দলের অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। তারই পাশের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ফোর্ড। ক্যারিবীয় এই ক্রিকেটারের হাঁকানো একটি বল এসে আঘাত করে টাইগার পেসারের মাথায়। এতেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এসময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়।
আঘাত পাওয়ার পর শুরুতে দলের ফিজিও দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতিতির গুরুত্ব বুঝে মাঠের ভেতর অ্যাম্বুলেন্স এনে দ্রুত তাকে ইম্পেরিয়াল হাসাতাপালে পাঠানো হয়।
কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।
মোস্তাফিজের অবস্থা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গেছে, আপাতত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই পেসারকে। হাসপাতালে নিয়ে করা হচ্ছে স্ক্যান। মূলত স্ক্যান রিপোর্টের উপরই বোঝা যাবে তার অবস্থা।
উল্লেখ্য, বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত কুমিল্লার হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েছেন ১১ উইকেট।
মন্তব্য করুন


নিজ কৃষি খামারে কাজ করতে গিয়ে পঁয়ত্রিশ বছরের যুবক মো. সুমন (৩৫) কে সাপে কাটে।
খামারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ওঝার কাছে সেই সাপে কাটা রোগী।
চমেকে রোগীতে যথারীতি ভর্তি করালেও মায়ের আকুতি মিনতি আর নানা হুমকিতে গ্রামের উদ্দেশ্যে আবারো হাসপাতাল ছাড়ে সাপে কাটা সুমন। জানা যায়, ওঝার কাছে চিকিৎসা করতেই মূলত রোগীকে চমেক ছাড়তে বাধ্য করেন তাঁর মা শাহিদা বেগম (৫০)। শাহিদার একমাত্র ছেলে মো. সুমন।
গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার খামারবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দপুরের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা।
ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমনের বাড়ি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর হলেও সুমন বসবাস করতেন মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা গোবিন্দপুর ইউনিয়নে। মেঘনা নদীর করাল ভাঙ্গনে গোবিন্দপুর ইউনিয়ন এখন বিলিন প্রায়। সব দিকে চর এলাকা।
ঘটনার দিন গত সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে সুমন নতুন চর এলাকায় নিজ খামারে কাজ করছিলেন। খামারটিতে গরু লালন পালন ও ডাল চাষ করতেন। এলাকাটি ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরপুর ছিল। রাতে সুমন জমিতে কাজ করতে গেলে হঠাৎ পায়ে কামড় দেয় বিষধর চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যে গলা দিয়ে রক্ত পড়ে সুমনের। দ্রুতই আত্মীয় স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী হাসপাতাল হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
পরে সাপে কাটা রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ওঝার কাছে নিতে সিট কেটে দেন। এ ঘটনা শোনে চমেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগিরাও হতভম্ব হয়ে পড়েন। কেননা, চট্টগ্রাম বিভাগে সাপে কাটা রোগীর একমাত্র ভরসা হচ্ছে চমেক হাসপাতাল। এখানেই দেওয়া হয় সাপে কাটা রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা। রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টিভেনম টিকা ও আইসিইউ ব্যবস্থা।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ সাপে কাটা মো. সুমনকে চমেকে ভর্তি করেন তাঁর খালু মোহাম্মদ খলিল। ভর্তি করানোর পর ডাক্তারেরা নিশ্চিত হন সুমনকে চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দিয়েছেন। কিডনিতে সমস্যা হয়েছে। ফলে, দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয় রোগীকে। কিন্তু চিকিৎসা শুরুর ১২ ঘন্টা না যেতেই রোগীর সিট কেটে গ্রামের উদ্দেশ্যে দৌঁড় দিলেন খলিল।
পরে রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, রোগী হাসপাতাল ছেড়ে মূলত ওঝার কাছে গেছেন। সাপে কাটা রোগী সুমনের মা শাহিদা বেগমকে নাকি পাশের বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন ছেলেকে ওঝার কাছে চিকিৎসা করাতে। এই ধারণায় পেয়ে বসে শাহিদা বেগমকে। ছেলেকে যেকোন মূল্যে হাসপাতাল থেকে ওঝার কাছে পৌঁছাতেই চাপ দেন রোগীর এ্যাটেনডেন্ট হিসেবে আসা খালু মোহাম্মদ খলিলকে। এতেই ঘটে বিপত্তি।
স্থানীয় সুত্র জানায়, সুমন গোবিন্দপুর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের ফজলে করিম হাওলাদারের ছেলে। সুমনের এক ছেলে, এক মেয়ে। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সবাই অসুস্থ। সুমনকে সাপে কামড় দিয়েছে এ খবরে তাঁর স্ত্রী রিক্তা বেগমও পাগলপ্রায়।
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আসলাম রোগীর এ্যাটেনডেন্ট খলিলের বরাত দিয়ে বলেন, 'সুমনের মা সরাসরি খলিলকে হুমকি দিয়েছেন। সুমন মারা গেলে তাঁকে আসামি করে মামলা করবে। সুমনকে যেন তাড়াতাড়ি ওর মায়ের কাছে পৌঁছায় দেন। এ কথা শোনে মূলত খলিল সাপে কাটা রোগীকে চমেকে ভর্তি করলেও পরে কোন মতে রোগী নিয়ে পালিয়ে যান।'
গোবিন্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেল্লাল মোল্লা বলেন, 'ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। আমি খবর নিচ্ছি। বর্তমান যুগে যেখানে চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত হয়েছে সেখানে এখনও ওঝার ঝাঁড় ফুক বিশ্বাস করা দুর্ভাগ্যজনক। মানুষকে সচেতন হওয়া দরকার।'
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, 'আমরা যতটুকু জেনেছি রোগীকে চন্দ্রবোড়া (রাসেলস ভাইপার) সাপে কেটেছে। অলরেডি চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি রোগীকে হাসপাতালে রাখতে। কিন্তু রোগীর মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না। রোগীকে নিয়ে গেলেন। বিষয়টি রোগীর এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কোন ওঝা যদি মাকে প্রলুব্ধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বণ্যপ্রাণী ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মো. আবু সাইদ বলেন, 'সাপে কামড়ানোর পর যারা আগে ওঝার কাছে যান, তাদের মধ্যে মারা যাওয়ার হার বেশি। সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। সাপে কামড়ানোর পর ৬১ শতাংশ মানুষ যান ওঝার কাছে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ যান হাসপাতালে।সাপে কামড়ানোর পর প্রথম ১০০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য দ্রুত হাসপাতালের বিকল্প নেই।'
মানুষের শরীরের ওপর সাপের বিষের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি করা গবেষক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম এ ফয়েজ জানান, 'সাপের দংশনের শিকার মানুষের প্রাণ বাঁচানোর পথে অন্যতম অন্তরায় অপচিকিৎসা। কেননা, অধিকাংশ সময় রোগীকে হাসপাতালে না নিয়ে, যাওয়া হয় ওঝা বা বৈদ্যের কাছে। এতে রোগীর মৃত্যু ও পঙ্গুঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি অপচিকিৎসা রোধে আইন প্রণয়ন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির একটি কোম্পানির দুইটি তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো কিছু জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের ওই কোম্পানিতে আগুন লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৮ তলা ভবনের মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরির প্রতিষ্ঠানের ৭ তলায় আগুন লাগার পর ৬ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদের ১৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বহুতল কারখানার ওপরের তলায় আগুন জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।কারখানাটিতে কত শ্রমিক ছিলেন, কেউ আটকা পড়েছেন কিনা, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপসহকারী পরিচালক “আবদুল মান্নান” বলেন, ওই কারখানায় কোনো শ্রমিক কর্মচারী আটকা পড়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
সিইপিজেড থানার (ওসি) মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, সিইপিজেডে একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির একটি কোম্পানির দুইটি তলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ওই দুই তলায় গুদাম বলে ধারণা করছি। আগুন লাগার খবরে সিঁড়ি দিয়ে হুড়োহুড়ি করে নারীদের নামতে দেখা গেছে। গুরুতর তেমন আহত হয়নি। এখনও সেখানে আগুন জ্বলছে।
মন্তব্য করুন


শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সদরঘাট নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকা থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৪টি ছুরি, ২টি তালা কাটার যন্ত্র ও ২টি রেঞ্চসহ ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সদরঘাট থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আরিফ হাসান মেহেদী নামে ডাকাত দলের ১ সদস্য স্বীকার করেছে- কয়েকদিন আগে মেহেদীবাগস্থ আমিরবাগ আবাসিকের এক বাসা থেকে চুরি করা স্বর্ণ তার কাছে রয়েছে।
পরে তাকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকার সানাই সিনেমা হলের খালি জায়গার ঝোপের ভিতরে মাটির নিচে লুকানো অবস্থায় ৫১ ভরি ১২ আনা ৩ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন


ঈদযাত্রা স্বস্তি ও আরামদায়ক করতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে প্রথমবারের মতো ঈদ স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ২টি বিশেষ ট্রেনই আসা-যাওয়ার পথে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের ৭টি স্টেশনে থামবে।
ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৫ দিন এই রুটে অন্তত ২টি স্পেশাল ট্রেন চলবে। এই প্রথম এই অঞ্চলের মানুষ ট্রেনে চড়ে ঈদে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সড়ক পথের উপর বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ কিছুটা কমবে। স্বস্তিতে বাড়ি ফেরার আশা এ অঞ্চলের মানুষের।
তারা জানিয়েূছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষজনের পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদে বাড়ি যেতে কি পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় সেটা বুঝানো মুশকিল। এবার সে ঝামেলা ও দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। ট্রেনে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাওয়া যাবে।
যে সকল স্টেশনে ট্রেন থামবে:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে।
পথে ট্রেনটি ষোলোশহর, জানালীহাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামু স্টেশনে থামবে।
কক্সবাজার রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। বিপুল যাত্রী চাহিদা থাকলেও গত ৩ মাস ধরে এই রুটে চলাচল করছে মাত্র দুটি ট্রেন। তাও চলছে কেবল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচল করা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেস বিরতিহীন হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোকজন দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের সুফল পাচ্ছেন না। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন এটি আমাদের কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। সে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবতায় রূপ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো ট্রেনে চড়ে কক্সবাজার যাওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে। চট্টগ্রাম অল্পকিছু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। সেখানের টিকিট পাওয়াও দুর্লভ।
বিপুল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটক এক্সপ্রেসে চড়ে প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার সুযোগ পান মাত্র ১১৫ জন করে যাত্রী। ঈদ যাত্রায় সেটি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
ঈদে বিপুল এ যাত্রী চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এবারের ঈদযাত্রায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিশেষ ট্রেন চালাবে রেলওয়ে। এতে ঈদযাত্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এবার প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ঈদযাত্রায় বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় কক্সবাজারের উদ্দোশ্যে রওনা হয়ে পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে। আবার কক্সবাজার থেকে সন্ধ্যা সাতটায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫ মিনিটে। ট্রেনটি থামবে ৭ টি স্টেশনে ।
ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু হবে আগামী ৩ এপ্রিল। অগ্রিম টিকিট মিলবে ২৪ মার্চ থেকে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার কোনো টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইনেই টিকিট মিলবে শতভাগ ।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক
মানের করতে বিদেশি ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, বন্দর নিয়ে অনেকে
অনেক কথা বলবে। কিন্তু উন্নতি করতে হলে প্রযুক্তি, অর্থ ও দক্ষতা প্রয়োজন। বন্দর ঘিরে
চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে বেশিরভাগ
বন্দর বেসরকারি অপারেটররা পরিচালনা করে। আমরাও সেভাবে এগিয়ে যেতে চাই।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রামের
পতেঙ্গা এলাকার লালদিয়া চর কন্টেইনার ইয়ার্ড উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন
তিনি।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার রাখার সক্ষমতা
৫৬ হাজার টিইউএস থেকে ১০ হাজার বেড়ে ৬৬ হাজারে উন্নীত হবে। যারা বিজনেস করে তাদের জন্য
লালদিয়ার চর টার্মিনাল বড় সুযোগ। ১০ হাজার কনটেইনার রাখার ক্যাপাসিটি বাড়বে।’
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন,
বন্দরকে গতিশীল করতে যে প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হবে, সেই প্রতিষ্ঠানই কাজের ক্ষেত্রে
অগ্রাধিকার পাবে। সবক্ষেত্রেই দেশের স্বার্থ প্রাধান্য পাবে। বন্দর নিয়ে জাতীয় স্বার্থবিরোধী
কোনো কাজ করবে না সরকার। দেশের ক্ষতি করে কোন সিদ্ধান্ত হবে না। ব্যবসায়ীরা যেন সুযোগ
পায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের ঊর্ধ্বমুখী আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের চাপ সামলাতে
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর বিকল্প নেই এবং অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষ্যেই
কাজ করছে।
লালদিয়ার চরের পরিত্যক্ত
এই টার্মিনাল বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রমও গতিশীল হবে। বন্দরের ভেতরে অব্যবহৃত
পরিত্যক্ত স্থানগুলো কাজে লাগানো হবে। চট্টগ্রামে ট্রাক টার্মিনাল না থাকায় নগরী ও
জেলায় যানজট বাড়ছে বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বন্দর চেয়ারম্যান
রিয়ার এডমিরাল এম মনিরুজ্জামানসহ বন্দর ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা
উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


চট্টগ্রাম শিক্ষার্থীরা নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় লাগেজভর্তি গাঁজা উদ্ধার করেছেন ।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় সড়কে যানবাহন সামলানোর দায়িত্বপালনকালে তারা এই গাঁজা উদ্ধার করেন। পরে নৌ-বাহিনীর সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম নৌ-বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যায় আকবর শাহ থানার সিটি গেট এলাকায় নৌ-বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আফতাব উদ্দিনের নেতৃত্বে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাদের খবর দেয় লাগেজভর্তি গাঁজাসহ এক ব্যক্তিকে তারা আটক করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি সন্দেহজনকভাবে লাগেজ নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল।
থানার নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তারাসহ আটক ব্যক্তি এবং মালামাল আকবর শাহ থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওজন করে দেখা গেছে জব্দ করা লাগেজে ১০ কেজি গাজা ছিল।
মন্তব্য করুন