সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে।এখন থেকে সব ধরনের ভিসাধারীই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ট্যুরিস্ট, ট্রানজিট, কর্মসংস্থানসহ সব ধরনের ভিসা অন্তর্ভুক্ত।
সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো, ওমরাহ পালনকারীদের জন্য প্রক্রিয়া সহজ করা এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থায় সেবার পরিধি বাড়ানো। এটি সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ধর্মীয় পর্যটনকে আরও সম্প্রসারণের উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভিসা, ই-ট্যুরিস্ট ভিসা, ট্রানজিট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা—সব ভিসাধারীই এখন ওমরাহ পালন করতে পারবেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্বের মুসলমানদের জন্য সৌদি আরবে ওমরাহ পালন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।
এ ছাড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘নুসুক ওমরাহ’ নামে একটি নতুন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সরাসরি ওমরাহ প্যাকেজ নির্বাচন, অনুমতি সংগ্রহ ও সময় নির্ধারণ করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ আরও দ্রুত ও ডিজিটালভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, এসব ব্যবস্থা পবিত্র দুই মসজিদের খেদমতগার বাদশাহ সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে মুসলমানদের নিরাপদ, আধ্যাত্মিক ও মানসম্মত ওমরাহ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উদযাপন করছেন মুসল্লিরা। বুধবার সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন তাঁরা। মুসল্লিরা বলছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ঈদুল ফিতর পালন করছেন তাঁরা।
চাঁদপুর
চাঁদপুরের পাঁচ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে বুধবার সকাল থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে এই ঈদ উদযাপন করে আসছেন বলে জানান মুসল্লিরা।হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, শমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, শাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা একদিন আগে ঈদ পালন করেন। এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামে একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে মুসল্লিরা।
লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরের ১১টি গ্রামে আজ ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। বুধবার সকালে জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১০টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।
ফেনী
ফেনী জেলার বিভিন্নস্থানে বিচ্ছিন্নভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন কাদেরীয়া তরিকার অনুসারীরা। ফেনীর তিনটি স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানগুলো হলো– ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব সুলতানপুর শাহ আমানিয়া জাহাগিরিয়া দরবার শরীফ, পূর্ব সুলতানপুর রশিদিয়া দরবার শরীফ এবং পরশুরাম পৌরসভার কোলাপাড়া ছয়ঘরিয়া এলাকা।
ঝিনাইদহ
প্রতিবারের মতো ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ঈদুল ফিরতের নামাজ আদায় করেছে কয়েকটি গ্রামে মুসল্লিরা। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় হরিণাকুন্ডু উপজেলা শহরে ফুটবল মাঠ এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জামালপুর
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার বলারদিয়ার মধ্যপাড়া মাস্টারবাড়ি জামে মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড় ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশ নেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুর ছয়টি উপজেলায় আজ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিদের একটি অংশ। দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, কাহারোল, বোচাগঞ্জ, বিরল ও বিরামপুর উপজেলার কিছু মুসল্লি ঈদে নামাজ আদায় করেছেন। আগাম ঈদের নামাজ আদায়কারী মুসল্লীরা জানান, তাঁরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন থেকে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করে আসছেন।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার কয়েকটি স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এসব স্থানে সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভাড়ুখালি পাঞ্জাখানা মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাওলানা মাহবুবুর রহমান ইমামতি করেন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা সদরের বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম ছিলেন মাওলানা মহব্বত আলী।
টাঙ্গাইল
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ঈদ উদযাপন করেছে একটি গ্রামের মানুষ। উপজেলার শশীনাড়া গ্রামের অন্তত ৪০টি পরিবার এ ঈদ উৎসব পালন করছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় স্থানীয় মসজিদ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শরীয়তপুর
শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার প্রধান ও বড় জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় নড়িয়ার উপজেলার সুরেশ্বর দরবার শরীফ মাঠে। নামাজ শেষে শাহ্ সুরেশ্বরীর (রা.) অনুসারীরাদের নিয়ে বিরানি, সেমাইসহ মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ঈদ উদযাপন করেন।
মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জের অন্তত ৯ গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হচ্ছে। বুধবার এসব এলাকা গুলোতে ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু হয়। গ্রামগুলো হলো– মুন্সিগঞ্জ সদরের মোল্লা কান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দি ও কংসপুরার একাংশ। এসব গ্রামে পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ শত বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করে।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল থেকে শিশু-কিশোরসহ এসব গ্রামের মানুষের মাঝে ঈদের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে।
বরিশাল
বরিশালে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাহবাদ জাহাগীরিয়া শাহছুফি দরবার শরীফের অনুসারীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁজকাঠী হাজীবাড়ি শাহছুফি জাহাগীরিয়া জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল নগরীর তাজকাঠি, জিয়া সড়ক, টিয়াখালী, হরিনাফুলিয়া এবং সদর উপজেলার সাহেবের হাট এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব হরিনাফুলিয়ার চৌধুরী বাড়ি শাহ মমতাজিয়া জামে মসজিদে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়ান হাফেজ মাওলানা মো. আবু জাফর।
নোয়াখালী
নোয়াখালীর চারটি গ্রামের কয়েকশ মানুষ আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় দুই উপজেলার ৮টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাতে অংশ নেন এই চার গ্রামের মুসল্লিরা। স্থানগুলো হলো– বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ ও নোয়াখালী পৌরসভার হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ মসজিদ।
মন্তব্য করুন
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক মসজিদ হচ্ছে পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদটির ৯টি লোহার দানবাক্স রয়েছে।
প্রতি ৩মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৩ মাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।
শনিবার ( ৯ ডিসেম্বর) সকাল পৌনে ৮টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজের তত্ত্বাবধানে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় ২৩ বস্তা টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ.টি.এম ফরহাদ চৌধুরী, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ জাবের আহমেদ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মাদরাসার ১১২ জন ছাত্র, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায় তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে মাষ্টার আবুল খায়ের (৯০) নামে এক মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর জামে মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
তিনি ওই গ্রামের মরহুম সংশের আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে ৫ পুত্রসন্তান ও ৪ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আবুল খায়ের কর্মজীবনে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। সর্বশেষ নাঙ্গলকোট বাজার আফসারুল উলুম কামিল মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
নিহতের ছেলে মেডিসিন ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় বাবা মসজিদে আজান দেওয়ার আগে তাহাদজ্জুদের নামাজ আদায় করতে যান। তাহাজ্জুদ শেষ করে ফজরের নামাজের প্রস্তুতিকালে ওনার মৃত্যু হয়।
দৌলতপুর জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোহাম্মদ রবিউল হোসেন জানান, মাস্টার আবুল খায়ের এ মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি ছিলেন। প্রতিদিন তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করে ফজরের নামাজ পড়তেন তিনি। আজ ফজরের নামাজ আদায় করার আগেই মসজিদে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন
এবারের পূজা খুব ভালোভাবে হবে। কোনো ধরনের কোনো অসুবিধা হবে না। এ জন্য আপনাদেরও সহযোগিতা চাই। প্রতিবার তো পুলিশ ও আনসার সদস্য থাকে, এবারে বাড়তি র্যার, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিগগিরই বাজার একটি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে মনে করেন তিনি। যদি কোনো সিন্ডিকেট থাকে, সেটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভেঙে দেবে।
কৃষিক্ষেত্রে উন্নতিতে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশংসা করেন তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি। এখন জনসংখ্যা বেড়েছে, কিন্তু আবাদযোগ্য ভূমি কিন্তু বাড়েনি। মনে রাখতে হবে, দেশের উন্নতির জন্য সবচেয়ে বেশি ভূমিকা এই কৃষিক্ষেত্রের। কৃষির উন্নতির জন্য কাজ করছে এই ইনস্টিটিউট।’
এ সময় উপস্থিত
ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল্লাহ ইউছুব আখন্দ, কৃষি সচিব মো. এমদাদ উল্লাহ মিয়া, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন
আগামীকাল শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার বাদ ফজর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনানুষ্ঠাকিভাবে আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কাজ শুরু হয়েছে ।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করছেন। তারা ইজতেমা ময়দানে জেলাওয়ারি নির্দিষ্ট খিত্তা অনুসারে অবস্থান নিচ্ছেন। বিদেশি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের পশ্চিমাংশে টিনের ছাউনিযুক্ত বিশেষ কামরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইজতেমা ময়দান ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পয়েন্টগুলোতে। ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সড়ক-মহাসড়কে যানজট নিরসনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প ও হাসপাতালের অতিরিক্ত বেড ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স। ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। র্যাবের পক্ষ থেকে আকাশে হেলিকপ্টার টহল দেবে। সিসি ক্যামেরা ও সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ার থেকেও মনিটরিং করা হবে সবার গতিবিধি।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমের সামনে প্রেস ব্রিফিংকালে বলেন, আমরা বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থাকি। এবারও বিশ্ব ইজতেমার ময়দান নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা ও আস্থা রয়েছে। আমরা তাদের ব্রিফিং দিয়েছি, প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কে কখন কোথায় কীভাবে তার দায়িত্ব পালন করবে সেভাবে তাদের প্রস্তুত করেছি। বর্তমান নিরাপত্তায় বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম, ডগ স্কোয়াড, বিস্ফোরক প্রশিক্ষক টিম, ট্রাইম সিন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও আমাদের প্রশিক্ষক টিম, নৌ বহর ও হেলিকপ্টার দিয়েও টহল ব্যবস্থা প্রস্তুত থাকবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, জিআইজি (অপারেশন) আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নূরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বুধবার সকালে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ইজতেমায় র্যাবের কন্ট্রোল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা বা জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার প্যাট্রলিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি।
৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের জোবায়েরপন্থি মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।
এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাযের অনুসারী (সা’দ পন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সমাপ্তি ঘটবে।
মন্তব্য করুন
আজকের এ রাত মহিমান্বিত এক রাত। এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও কল্যাণ লাভ করেন। প্রতিবছর হিজরি ক্যালেন্ডারের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে শবে বরাত পালন করা হয়।
ফারসি ভাষায় শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি। শবে বরাত অর্থ মুক্তির রাত। এই রাতে মহান আল্লাহ মুক্তি ও মাগফিরাতের দুয়ার খুলে দেন। সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন। এটি নিঃসন্দেহে বরকতময় রাত। রাতটি শাবান মাসের মধ্যবর্তী হিসেবে হাদিসে এই রাতকে লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান তথা অর্ধ শাবানের রাত বলা হয়েছে। বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে অসংখ্য বান্দা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে। এ কারণে এ রজনীকে ‘মুক্তির রজনী’বলা হয়।
হযরত মোহাম্মদ (সা.) এ রজনী সম্পর্কে বলেছেন, এই রাত্রিতে এবাদতকারীদের গুণাহরাশি আল্লাহ তালা ক্ষমা করে দেন। তবে কেবল আল্লাহর সঙ্গে শিরককারী, সুদখোর, গণক, যাদুকর, কৃপণ, শরাবী, যিনাকারী এবং পিতা-মাতাকে কষ্টদানকারীকে আল্লাহ মাফ করবেন না।
প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগি করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন।
সন্ধ্যায়- এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দুই রাকাত করে মোট ৬ রাকাত নফল নামায পড়া উত্তম। এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু’রাকাত নামাজ শেষ করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা এখলাছ ২১ বার তিলাওয়াত করতে হবে।
শবে বরাতের নফল নামাজ :
দুই রাকাত তহিয়াতুল অজুর নামাজ, নিয়ম- প্রতি রাকাতে আল হামদুলিল্লাহ (সূরা ফাতিহা) পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ (সূরা এখলাছ)। ফজিলত: প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।
দুই রাকাত নফল নামাজ, নিয়ম- ১ নম্বর নামাজের মত, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসি এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ, অতঃপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফজিলত: রুজিতে বরকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বকশিস পাওয়া যাবে।
আট রাকাত নফল নামাজ দু্রাকাত করে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফজিলত: গুনাহ থেকে পাক হবে, দু’আ কবুল হবে এবং বেশি বেশি নেকী পাওয়া যাবে।
১২ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামাজ শেষ করে, ১০ বার কালেমা তওহীদ, ১০ বার কলেমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।
১৪ রাকাত নফল নামাজ দু’রাকাত করে, নিয়ম- প্রতি রাকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফজিলত - যে কোনো দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।
চার রাকাত নফল নামাজ এক সালামে পড়তে হবে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।
আট রাকাত নফল নামাজ এক সালামে, নিয়ম- প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফজিলত: এর ফজিলতে সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহা এরশাদ করেছেন, ‘আমি ওই নামাজ আদায় কারীর সাফায়াত করা ব্যতীত জান্নাতে কদম রাখব না।
রোজার ফজিলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোজা রেখেছে, তাকে আমার সাফায়াত হবে। আরো একটি হাদিস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। এছাড়াও পড়তে পারেন সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামাজ পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুণাহ মাফ করে দেবেন।
শবে বরাতের নামাজের নিয়ত : নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার।
বাংলায় নিয়ত করলে এই ভাবে করতে পারেন: শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর।
সতর্কতা
মনে রাখতে হবে ফরজ নফলের চেয়ে অনেক বড় শবে বরাতের নামাজ। যেহেতু নফল সেহেতু নফল পড়তে পড়তে ফরজ পড়া ভুলে গেলে বা ঘুমের কারণে পড়তে না পারলে হবে না । অর্থাৎ ঠিক সময় মত ফজর নামাজ যেন পড়তে পারা যায় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
মন্তব্য করুন
বিশ্ব
ইজতেমা-২০২৪ এর প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলাকালীন ময়দান ও আশপাশের সড়ক ও এলাকার
পরিবেশ ছিল শান্ত। সড়কগুলোতে যে যার মত বসে মোনাজাতে অংশ নেয় ।
দুই
হাত তুলে অনেকেই কেঁদেছেন, কেউ কেউ আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনিও উচ্চারণ করেছেন। সবাই নিজেদের
সব গুনাহর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আর আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয় তবলিগ
জামাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার ১ম পর্বের আখেরি মোনাজাত। তারপর থেকে শুরু
হলো মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার ঢল।
রোববার
(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর মোনাজাত শেষে ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায়
মুসুল্লিদের ভিড়।
টঙ্গী
সড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর স্লুইসগেট ও কামারপাড়াসহ ময়দানের চারপাশে
সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নেমেছে।
সড়কে
যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও
মাথায় বিছানাপত্র। যে যার মাল-সামান নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।
ট্রাফিক
পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।
এদিকে,
বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা
রয়েছে। র্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা
পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।
নিরাপত্তার
স্বার্থে ময়দান ও আশপাশের নজরদারি রাখতে মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। এছাড়াও
র্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেওয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।
মোনাজাত
শেষে মুসল্লিদের নিরাপদ চলাচলের জন্য ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা
হয়েছে।
মন্তব্য করুন
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এখন থেকে সব মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইমামদের নিয়োগ বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী।
আজ
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনার বয়রা এলাকার মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ইমামদের জনবান্ধব হতে হবে। বাস্তবভিত্তিক ওয়াজ-নসিহত করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। ‘মব’ তৈরির সংস্কৃতি সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর, তা মসজিদে আলোচনা করা দরকার। মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকেও নিতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। যেসব কেন্দ্রে প্রকৃতপক্ষে পাঠদান হচ্ছে না কিংবা ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে অথবা স্কুল ও মসজিদে একই ব্যক্তি একযোগে শিক্ষকতা করছেন—এমন প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ধর্ম
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে অপরাধের মাত্রা কমছে না, অপরাধের এত প্রবণতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। সমাজে অপরাধ রোধে ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই। যদি সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
তিনি জানান, সব জায়গা জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. সালাম খান, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।
মন্তব্য করুন
সৌদি
আরবের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই আগামীকাল (মঙ্গলবার) ৩০ রমজান
পূর্ণ হবে। তাই দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বুধবার।
আজ
সোমবার (৮ এপ্রিল) ইনসাইড দ্য হারামাইনের ফেসবুক পেজে চাঁদ উঠার এই তথ্য জানানো হয়।
তবে
আগেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখার দায়িত্বে থাকা প্রধান জ্যোতির্বিদ আব্দুল্লাহ আল খুদাইরি
জানিয়েছিলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
ধর্ম-বর্ণ ও মতের পার্থক্য থাকলেও বাংলাদেশের সব মানুষ একই পরিবারের সদস্য বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলিমসহ বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে বিমানবন্দরে দেওয়া নিজের একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, তখন বলেছিলাম আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানামত, নানা ধর্ম থাকবে, নানা রীতিনীতি থাকবে কিন্তু আমরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এটাতে জোর দিয়েছিলাম। আমাদের শত পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমাদের জাতীয়তা, পরিচয়ের প্রশ্নে এক জায়গায় চলে আসি। আমরা বাংলাদেশি, এক পরিবারের সদস্য।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শপথ গ্রহণের পরে শুনতে আরম্ভ করলাম, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। তখন মনটা খারাপ হয়ে গেল। এর পরপরই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলাম। সেখানেও বললাম, আমরা একই পরিবারের সদস্য।
তিনি বলেন, সব দাবিদাওয়া বাদ দিলেও একটা দাবি পরিষ্কার আমাদের সকলের সমান অধিকার, বলার অধিকার, ধর্মের অধিকার, কাজকর্মের অধিকার। সেটা এসেছে সংবিধান থেকে। নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য, রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটা নিশ্চিত করা।
অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, শুনলাম এখনো সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে।
তাই আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম, এটা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেটা পুরো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছিল। তখন তৃপ্তি পেলাম, একটু তো কাজ করেছি।
ভুল তথ্যের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবার নতুন কথা, হামলা হচ্ছে, অত্যাচার শুরু হচ্ছে। বিদেশি গণমাধ্যম বলব না প্রচারমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, এটা হচ্ছে। আমি খোঁজ নিচ্ছি, কী হচ্ছে? সবদিকে দেখলাম এটা হচ্ছে না। এক খবরে বলা হচ্ছে, আরেক খবরে বলা হচ্ছে হচ্ছে না, তথ্যের মধ্যে ফারাক আছে। এটা ঠিক না। এটার অবসান হতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা ভুল হতে পারে। তথ্যের ওপর বসে থাকার কিছুই নাই, এটার অর্থ অন্ধের মতো বসে থাকা। ভেতরে গিয়ে দেখতে হবে। খোঁজ নিতে হবে তথ্যের গরমিল কেন? তাতে ওরা যা বলছে, তা কি মিথ্যা প্রচার? না আমরা যা বলছি তা মিথ্যা প্রচার। সত্যটা কোথায়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যের কোনো ফারাক নেই। সেখানে সঠিক তথ্য কীভাবে পাব, সেটা আমাদের জানার। প্রকৃত তথ্য, অনেক সময় সরকারি তথ্যের ওপর ভরসা করে লাভ নেই। কর্তা যা চায়, সেভাবে বলে। আসলটা মন খুলে বলতে চাই না। আমরা আসল খবরটা জানতে চাই। সেই প্রক্রিয়াটা প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এত বড় দেশে যেকোন ঘটনা ঘটতে পারে, কিন্তু প্রকৃত তথ্য জানতে চাই। তাৎক্ষণিক খবর পেলে যাতে সমাধান করা যায়। যেদিক থেকেই দোষী দোষীই। তাকে বিচারের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেন, প্রথম কথাটা হলো না হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। আর হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা করা। আমি যা বলছি, তা দেশের বেশির ভাগ মানুষ মনে করে। আমরা এক পরিবারের মানুষ হিসেবে সামগ্রিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি। সেখানে তথ্য ও প্রতিকার হলো বড় বিষয়।
তিনি বলেন, আমি পেলাম তথ্য কিন্তু প্রতিকার পেলাম না। সমস্যা হয়ে গেলে সমাধান করতে হবে। আজকের আলোচনা খোলাখুলি, আমরা সবাই আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্যে কোনো গোলমাল নেই। তথ্য প্রবাহ কীভাবে পাব, দোষীকে কীভাবে ধরব, যাতে সবাই সঠিক তথ্যটা পেয়ে যায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এমন বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই, যার নাম দিয়েছি নতুন বাংলাদেশ। এটা আমাদের করতে হবে। আপনাদের কথা বলে সন্তুষ্ট করে আজকের মতো বিদায় দিলাম তা নয়। এটা দ্রুত করতে হবে। ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দেখলে হবে না, আমাদের বর্তমানেই করতে যেতে হবে।
সংখ্যালঘু সমস্যার বিষয়ে অবাধ, সত্য তথ্য কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সে বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের পরামর্শ চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কীভাবে নিরাপদে সংগ্রহ করব, যে তথ্য দিচ্ছে সে যেন বিব্রত না করে তাও নিশ্চিত হতে হবে।
মন্তব্য করুন