

পিরোজপুরের কাউখালীতে পণ্যের মান যাচাইয়ে অভিযান চালিয়ে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলা কার্যালয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারী) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার উত্তর বাজার ও উপজেলা পরিষদের সামনের বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এস এম ইলিয়াস উদ্দিন ও কাউখালী থানা পুলিশের টীম সহযোগিতা করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাজারে পণ্যের মান তদারকির নিয়মিত অংশ হিসেবে কাউখালী উপজেলার উত্তর বাজার ও উপজেলা পরিষদ সড়কে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখায় উত্তর বাজারের চৌধুরী মেডিকেল হলকে ২ হাজার ৫শত টাকা, ইন্দ্রানী মেডিকেল হলকে ২ হাজার ৫ শত টাকা, উপজেলা পরিষদের সামনের সাধনা ঔষধালয়কে ২হাজার ও উত্তর বাজারের মুবিন ফল ষ্টোরকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ফল রাখায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দেবাশীষ রায় বলেন, ভোক্তা অধিকারের তদারকি অভিযানে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ও পর্ণ রাখায় ৩টি ওষুধের ফার্মেসি ও ১টি ফলের দোকানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মন্তব্য করুন


কিশোরগঞ্জের
ভৈরবে ফেসবুকে হা হা রিয়েক্ট দেওয়ায় ২ গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০টি
দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার
(১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার কমলপুর লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ২ পক্ষের মধ্যে
এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা
জানান, সোমবার রাতে কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে আজিবরের সঙ্গে পূর্বপাড়ার
রউফ মিয়ার ছেলে ওমর মিয়ার ফেসবুকে ‘হা হা’ রিয়েক্ট দেওয়ার কারণে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে
স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে মিলিয়ে দেন দোকান মালিক মানিক মিয়া। ঘটনার আধা ঘণ্টা পর
দুপক্ষ দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ
সময় ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার এক পর্যায়ে পূর্বপাড়ার ১০টি দোকান কুপিয়ে ভাঙচুর করা হয়। এ
ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা উজ্জল মিয়াসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ
বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা জানান, আমরা তারাবির নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম দোকান
বন্ধ করে। এসে দেখি দোকানের শাটারগুলো কুপিয়ে ভেঙে দিয়েছে। এরা সবাই কিশোরগ্যাংয়ের
সদস্য। আমরা এদের বিচার চাই।
ভৈরব
থানার ওসি মো: সফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র
করে লোকাল বাসস্ট্যান্ড এলাকার দুপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ
ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে
২ জনকে আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
রবিউল আউয়াল মাসের পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন লক্ষে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজে কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে কলেজের আয়োজনে কিরাত নাত,হামদ ও হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জীবনীর উপর কুইজ প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সিহাদ হোসেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন মোল্লা,আবুল খায়ের,ফজলুল হক,প্রভাষক আবু জাফর ও হাসিনা আক্তার সহ আরো অনেকে। এসময় কলেজের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন,ইয়ার আহমেদ মজুমদার,বিল্লাল হোসেন,সেলিম হোসেন,প্রভাষক ইফনুছ মোল্লা,সাইফুল ইসলাম সবুজ,ইয়াছিন মিয়া,লায়লা আরজুমান,নিগার সুলতানা,কবরি হোসেন সহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


রংপুরের তারাগঞ্জে
ভ্যান চোর সন্দেহে জনতার হাতে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তারা সম্পর্কে ভাগনি জামাই-শ্বশুর।
গতকাল শনিবার
(৯ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের বুড়িরহাট বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের
নাম রূপলাল দাস (৪০) ও প্রদীপ দাস (৩৫)।
পরিবার, পুলিশ
ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানা, রূপলালের মেয়ের শ্যামপুর এলাকার লালচাদ দাসের ছেলের সঙ্গে
বিয়ের জন্য রোববার তারিখ নির্ধারণের কথা ছিল। এ জন্য মিঠাপুকুর থেকে প্রদীপ দাস নিজের
ভ্যান চালিয়ে রূপলালের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথ ভুলে সয়ার ইউনিয়নের কাজীরহাট এলাকায়
পৌঁছে রূপলালকে ফোন করেন। এরপর তারা রিকশায় চড়ে ঘনিরামপুর গ্রামের দিকে যাত্রা শুরু
করেন। রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জ-কাজীরহাট সড়কের বটতলা এলাকায় ভ্যান চোর সন্দেহে স্থানীয়রা
তাদের আটক করেন। এর পর লোকজনের জড়ো হওয়ায় পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়। একপর্যায়ে প্রদীপ
দাসের ভ্যানে থাকা বস্তা থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট বোতল বের করেন লোকজন। এর একটি
বোতল খুললে ভেতরে থাকা তরলের ঘ্রাণে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাশারিপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক
আলমগীর হোসেন ও বুড়িরহাটের মেহেদী হাসান। এতে লোকজনের সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর অজ্ঞান
করে ভ্যান চুরির সন্দেহে তাদের মারধর শুরু করেন। বটতলা থেকে মারতে মারতে বুড়িরহাট উচ্চবিদ্যালয়
মাঠে নিয়ে আসা হয় তাদের। মারধরের একপর্যায়ে অচেতন হলে সেখানে ফেলে রাখা হয়। পরে রাত
১১টায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে রূপলাল দাসকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রদীপ দাসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
ভর্তি করা হলে ভোররাতে তারও মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রূপলালের ভাই খোকন
দাস।
এ বিষয়ে তারাগঞ্জ
থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি
চলছে।
মন্তব্য করুন


রাতে বড় ভাইয়ের কাছে ৫০০ টাকা চাওয়ায়
টাকা না দিয়ে গালিগালাজ করায় সকালে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমন্ত বড় ভাইকে ধারালো দা দিয়ে ঘাড়ে
কুপিয়ে হত্যা করে ছোট ভাই।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে
এমন লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছে ঘাতক ছোট ভাই। গত শনিবার (৯ আগস্ট ) সকালে মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের সিদ্ধেশ্বরপুর গ্রামে সংঘটিত একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য
উদঘাটন করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে মৌলভীবাজার
জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত শনিবার
৯ আগস্ট সকালে নিজ বসতঘরে আব্দুর রহিম রাফি (২৬) নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
করা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রাথমিকভাবে হত্যার
কারণ ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মনোয়ারা
বেগম বাদী হয়ে পরদিন ১০ আগস্ট কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গোপন সোর্স,
তথ্য প্রযুক্তি, এলাকাবাসীর বক্তব্য এবং আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল
করিম রোহান (১৬) কে সে দিনই (৯ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নিহতের স্ত্রী এবং আশেপাশের মানুষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গত (১০ আগস্ট) সে তার ভাইকে ঘুমের মধ্যে দা দিয়ে কুপিয়ে
হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় ঘাতক রোহানের তথ্যমতে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা
এবং রক্তমাখা লুঙ্গি ঘরের খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক ছোট ভাই জানায়,
ঘটনার আগের দিন গত ৮ অগস্ট রাতে তার বড়ভাই নিহত রাফির কাছে সে ৫০০ টাকা চায়। রাফি ছোট
ভাইকে টাকা না দিয়ে গালিগালাজ এবং দুর্ব্যবহার করে। পরের দিন শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে
ঘুম থেকে উঠে ঘাতক ছোট ভাই দেখে তার মা বাড়িতে নাই। অপরদিকে বাড়িতে স্ত্রী না থাকায়
সেদিন রাফির ঘরের সব দরজাও খোলা ছিল। বাড়িতে কেউ নেই আর রাফি ঘুমিয়ে ছিল- এই সুযোগে
আগের রাতের ঘটনায় ভাইয়ের উপর রাগের বশবর্তী হয়ে খাটের নিচে থাকা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত
অবস্থায় বড়ভাই রাফিকে ঘাড়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত
দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয় এবং তার পরনে থাকা রক্তমাখা
লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে
থাকে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজারে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নোবেল চাকমা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন
ও অর্থ) আসিফ মহিউদ্দীন।
মন্তব্য করুন


দিনাজপুরে চাকরির পরীক্ষার হলে বারবার সন্দেহজনক কাশি দিচ্ছিলেন এক পরীক্ষার্থী। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত মনে হওয়ায় এবং কিছুটা বিরক্তিকর লাগায় সেই পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তল্লাশি করতে গিয়ে উদ্ধার হয় বারবার কাশির কারণ। ওই পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি ডিভাইস। তাকে এ ঘটনায় আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দিনাজপুর শহরের কসবা এলাকায় “ কেরী মেমোরিয়াল হাইস্কুলের “ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে। অন্যান্য কেন্দ্রের মতো এ কেন্দ্রেও খাদ্য অধিদপ্তরের ‘উপখাদ্য পরিদর্শক’ পদের পরীক্ষা চলছিল।
আটক পরীক্ষার্থীর নাম “কৃষ্ণকান্ত রায়”। তিনি বিরল উপজেলার সিঙ্গুল পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্নাতক সম্পন্ন করা এ চাকরি প্রার্থী দিনাজপুর শহরের ফকিরপাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কৃষ্ণকান্ত রায় চাকরির পরীক্ষায় জালিয়াতির কথা স্বীকার করে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে ঢাকার একটি চক্র জড়িত রয়েছে। তাদের মাধ্যমে এসব ডিভাইস পেয়েছেন এবং তা নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন। যোগাযোগ ডিভাইসের অন্য প্রান্ত থেকে তাকে বলা হয়েছিল, প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে যেন কাশি দেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে না পেরে বারবার কাশি দিতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি।
জালিয়াতির প্রক্রিয়া বর্ণনা করে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা শুরুর এক থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে চক্রটির হাতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রটি চলে আসে। শহরের ফকিরপাড়া ও সুইহারি এলাকায় দুটি ছাত্রাবাসে কোচিং সেন্টারের কয়েকজন শিক্ষক বিভিন্ন সেটের প্রশ্নগুলোর উত্তরপত্র প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নের সেট নম্বর জেনে নেয় চক্রটি। পরে ক্রম অনুযায়ী প্রশ্নগুলোর উত্তর (ক, খ, গ, ঘ) বলতে থাকে। পরীক্ষার্থী শুনে শুনে তৎক্ষণাৎ প্রশ্নপত্রে বিশেষ দাগ দিয়ে উত্তরগুলো চিহ্নিত করেন। পরে ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার “আনোয়ার হোসেন ” বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আগে থেকেই তথ্য ছিল, ওই কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থী ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন; কিন্তু সেটি কোন কক্ষে এবং কোন পরীক্ষার্থী সেটি অস্পষ্ট ছিল। আমরা বিশেষ নজরদারিতে রেখেছিলাম। পরে ১০১ নম্বর রুমের ওই শিক্ষার্থীর আচরণ সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে আমরা তাকে তল্লাশি করে ডিভাইসগুলো উদ্ধার করা হয়।
আজ শনিবার দিনাজপুরের বিভিন্ন কেন্দ্রে কমপক্ষে ৫৫ জন ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন বলে প্রশাসনের কাছে তথ্য রয়েছে বলেও জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) “এস এম হাবিবুল হাসান ” বলেন, জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত এক পরীক্ষার্থীকে আমরা হাতেনাতে ধরেছি। পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে থেকে তার ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। পুরো চক্রটি ধরতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা দাউদকান্দিতে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার(৩অক্টোবর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের আওতাধীন দাউদকান্দির হাসানপুর আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
আটককৃত ব্যক্তি মো. সাগর মিয়া (৪০)। তিনি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের স্বল্প পেন্নাই দিঘীরপাড় গ্রামের মৃত মোহন মিয়ার ছেলে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার রাতে গৌরীপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসয়ী সাগর মিয়াকে গাঁজাসহ আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে পুলিশে সোর্পদ করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আল আমিন ও তার সহযোগীকে পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১,
সিপিসি-২।
২২ নভেম্বর রাতে র্যাব-১১,
সিপিসি-২ একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল
থানাধীন সংরাইশ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ আল আমিন এবং ২। আবুল
কাশেম নামের দুইজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ১ টি পিস্তল,
১টি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা
হলো: ১। মোঃ আল আমিন (৩৩) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানার সংরাইশ মধ্যপাড়া গ্রামের
মৃত ইদ্রিস মিয়া এর ছেলে এবং ২। আবুল কাশেম (৩৪) একই গ্রামের বাবুল মিয়া এর ছেলে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ বিভিন্ন ধর্তব্য অপরাধ সংগঠিত করে আসছিল। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামী আল আমিন এর বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষণেরও তথ্য পাওয়া যায়। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর
রহমান পাবেল,
প্রতিবেদক:
দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (IAUP)-এর ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সেমি-অ্যানুয়াল কনফারেন্স ২০২৫-এ অংশগ্রহণ করেছে কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (CCN University of Science & Technology)।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ও গ্লোবাল এডুকেশন লিডারদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি বোর্ডের অনারারি ডিরেক্টর (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ইফতেখারুল ইসলাম চৌধুরী সিয়াম।
এ সম্মেলনে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা সহযোগিতা, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হয়। সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য করুন


মো: মাসুদ রানা,কচুয়া ॥
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামে অবস্থিত মাদরাসাতুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান ও দোয়া অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার মাদ্রাসা মিলনায়তনে কুরআনের পাখিদের দ্বীনি শিক্ষার আলোকে তাদের সবক প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের সবক প্রদান করেন, মুন্সীগঞ্জ দারুত তাকওয়া আরাবিয়া কাহেতারা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ ক্বারী শিব্বির আহমেদের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বয়ান রাখেন, নারায়নগঞ্জ জামিয়া আবু বকর ইসলামিয়া মক্কিনগর মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আশেক এলাহী ও ঢাকার ডেমরার দাওয়াতুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম সহ আরো অনেকে। এসময় কচুয়া ডাকবাংলো ঈদগাঁ বড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সানি ইমাম আবু বকর সিদ্দিক সহ মাদ্রাসার শিক্ষক,অভিভাবক,শিক্ষার্থীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে সবক শেষে মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করতে মাদ্রাসার আয়োজনে এমন উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলনায়তনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) রাশেদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে আগত সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরা তাদের পেশাগত ও প্রশাসনিক নানা সমস্যার কথা পুলিশ সুপারের সামনে তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার অত্যন্ত মনোযোগের সঙ্গে এসব সমস্যা শোনেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।এসময় পুলিশ সুপার সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি নৈতিক স্খলন রোধ, প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দক্ষতা বৃদ্ধি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা শেষে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ কয়েকজন অফিসার ও ফোর্স সদস্যকে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজের জন্য তাদের উৎসাহিত করা হয় এবং পুরস্কারের পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পংকজ বড়ুয়াসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্য করুন