প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার
পর কুমিল্লার ১৮টি থানার কার্যক্রম সোমবার শুরু হয়।
কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ
কর্মকর্তা ও সদস্যরা কাজে যোগ দেওয়ায় থানার কার্যক্রমে গতি এসেছে আর এদিকে১ যঙয ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে সড়কে
দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থী ও আনসার সদস্য কমতে শুরু করেছে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩
আগষ্ট) কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, গতকাল (সোমবার) থেকে
জেলার ১৮ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রায় সব পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাগণ ডিউটি
করছেন। সেবা গ্রহীতাদের তারা বিভিন্ন সেবা প্রদান করা শুরু করেছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে
থানার অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমগুলো শুরু করেছি। আমাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় ১০৪ জন
অফিসার ফোর্স কর্মরত আছেন সবাই কাজে যোগদান করেছেন । সোমবার ও আজ মঙ্গলবার এ দুই
দিনে ৬টি অভিযোগ এবং ১৯টি জিডি করা হয়েছে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায়। যেকোনো
সেবা প্রত্যাশীরা জিডি কিংবা অভিযোগ অনায়াসেই আমাদের ডিউটি অফিসারের কাছে গিয়ে
করতে পারবেন। আমি এবং আমার ডিউটি অফিসাররা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছি।
থানার সেবা আমরা চালু করেছি। কোতোয়ালি মডেল থানার কোন হামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন
আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সেনাবাহিনী প্রধান
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
উদ্যোগে আয়োজিত শুভ কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলন-২০২৪ উপলক্ষে
ঢাকার মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনী
প্রধান সবাইকে শুভ কঠিন চীবর দান উপলক্ষে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। সেই সাথে
পার্বত্য জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান হতে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিটি ধর্মের নিজ নিজ উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে
উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনী প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণে সদা প্রস্তুত।
একইসাথে তিনি সম্প্রীতির দেশ গঠনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে একে
অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়
উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য অনুষ্ঠানে আগত ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের সম্মানিত
কূটনীতিকগনকে ধন্যবাদ জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান পার্বত্য জেলা সমূহে শান্তি ও
সম্প্রীতির উন্নয়ন ঘটিয়ে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে পার্বত্য এলাকায়
বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালিদের সচেষ্ট থাকতে অনুরোধ করেন। এছাড়াও প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যমন্ডিত পার্বত্য জেলাসমূহে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি স্থানীয়
ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য জেলাসমূহে অধিকতর স্কুল, কলেজ ও
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হলে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা তাদের দক্ষতাকে দেশে ও বিদেশে
ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।
সবশেষে তিনি সারা দেশব্যাপী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ
কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহ শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সেনাবাহিনীসহ সকল
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করায় বুদ্ধিস্ট
ফেডারেশনের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সেনাসদরে
সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের
প্রতিনিধি দল। সেসময় সেনাবাহিনী প্রধান তিন পার্বত্য জেলায় শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা
ও কঠিন চীবর দান উদযাপন উপলক্ষে আর্থিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার
ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে উৎসব সমূহ পালন করার
জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল কার্যক্রম গ্রহণের আশ্বাস প্রদান
করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ বাংলাদেশ
বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের অনুকূলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার চেক
অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এ বছর পার্বত্য চট্টগ্রামসহ
সারাদেশে ২৬৬টি বৌদ্ধ বিহারে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুভ কঠিন চীবর
দান পালিত হয়েছে।
পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব
জেনারেল স্টাফ ও জিওসি ৯ পদাতিক ডিভিশন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সভাপতি
শাসনস্তম্ভ ভদন্ত ধর্মপ্রিয় মহাথের মহোদয়, প্রধান ধর্মদেশক ভদন্ত এস লোকজিৎ মহাথের
মহোদয়সহ বিভিন্ন বিহার থেকে আগত পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ, সরকারি ও বেসরকারি উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা, সামাজিক ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব, ঢাকাস্থ বিদেশী মিশনের কূটনীতিক ও
সর্বস্তরের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী গন এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
একটি শিশুর শৈশবের চিত্রাঙ্কন হচ্ছে অভিভাবক বা শিক্ষক।
আমরা যেভাবে চাইব সেভাবে তারা গড়ে উঠবে। আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে রূপদান করবে। তাই বলে ভূল রূপদান যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা আমাদের ভালোবাসা তাদের দিতে পারি কিন্তু চিন্তাভাবনা নয়, কারণ তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা আছে। আসলে কোমল শিশুরা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু চাপিয়ে দিলে তাদের স্বপ্নগুলো ভেঙে যায়। নিজে থেকে কিছু করার বা চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হারিয়ে ফেলে তার সৃজনীশক্তি।
তাদের মানসিক বিকাশ হওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চিত্রাঙ্কন হতে পারে তার অন্যতম মাধ্যম।
শিশুরা
তার আশপাশের সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, পরিবেশ তার ছবির ভাষায় তুলে ধরবে ।
মন্তব্য করুন
তথ্য
ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই।
এই স্বাধীনতাকে কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে
হবে।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক
সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা
মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপতথ্যের দ্বারা
মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপতথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা
পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহিদ ও আহত হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগের
গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে
দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত
ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী
ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে।
উপদেষ্টা
ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম ও দুর্নীতিসহ সকল অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের
প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি
বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক
তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের
সংস্কার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কমিশন
গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।
মতবিনিময়
সভায় পত্রিকার সম্পাদকগণ বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ
নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর
ভূমিকা রয়েছে।
তারা
বলেন, গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না।
মতবিনিময়
সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময়
সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
মজিবুর
রহমান পাবেল, কুমিল্লা:
কুমিল্লার ৬টি উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন ৭০টি পরিবার নিজ বসতভিটায় বিশেষ আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর নির্মিত ঘর পেয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশায় ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে ঘরগুলো উপহার হিসেবে হস্তান্তর করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
এসময় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার, ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোঃ এনামুল হক, ২৩ বীরের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জামাল হোসেনসহ সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলার বুড়িচংয়ে ২৯, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১০, সদর দক্ষিণে ৬, চৌদ্দগ্রামে ১০, মনোহরগঞ্জে ১০ ও নাঙ্গলকোটে ৫ টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর ২৪ ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এসব গৃহনির্মাণ বাস্তবায়ন করে।
ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গোলপাশা ইউনিয়নের কুমাল্লা গ্রামের উপকারভোগী মো. আলম মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে অনুষ্ঠানটি সংযুক্ত হয়।
২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন কুমিল্লা জেলার ৭০টি পরিবারের মধ্যে এ ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি
খুঁজে পায় নিজস্ব ঐতিহ্য,সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি আজ দেয়া এক বাণীতে বলেন, শুভ
নববর্ষ-১৪৩১’ পহেলা বৈশাখ বাঙালি জাতির জীবনে পরম আনন্দের একটি দিন। আনন্দঘন
এই দিনে আমি দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই বাংলা নববর্ষের
শুভেচ্ছা। ২০১৬ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্ব
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাষ্ট্রদর্শন ও আদর্শের
অন্যতম ভিত্তি ছিল দেশীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও জাতীয় চেতনার উন্মেষ। সেই চেতনায়
উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কারারুদ্ধ জীবনে সহবন্দিদের নিয়ে নববর্ষ উদযাপন
করেছিলেন। জাতীয় সংস্কৃতির এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতি হিসেবে বাঙালির জন্য
পরম গৌরব ও মর্যাদার।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন,পহেলা বৈশাখের মাঝে বাঙালি খুঁজে পায় নিজস্ব
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চেতনার স্বরূপ। দুঃখ, জরা, ব্যর্থতা ও মলিনতাকে ভুলে সবাই জেগে
ওঠে নব আনন্দে, নব উদ্যমে। বৈশাখের আগমনে বেজে উঠে নতুনের জয়গান। ফসলি সন
হিসেবে মোঘল আমলে যে বর্ষগণনার সূচনা হয়েছিল,সময়ের সাথে আজ সমগ্র বাঙালির
অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের
আত্মবিকাশ ও বেড়ে ওঠার প্রেরণা। বৈশাখ শুধু উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।বাঙালি
সংস্কৃতির বিকাশ,আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তিসাধনায় পহেলা বৈশাখ এক অবিনাশী শক্তি।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও গণতান্ত্রিক বিকাশে সংস্কৃতির এই শক্তি রাজনৈতিকতন্ত্রের
চেতনাকে দৃঢ় ও বেগবান করে।
"পহেলা বৈশাখ আমাদেরকে উদার হতে শিক্ষা দেয় এবং একটি আদর্শ জাতিকে মানব সমাজের অনুপ্রাণিত হয়ে
বিশ্বমানবের সঙ্গে মিশে যাওয়ার শক্তি জোগায়। এই উদারনৈতিক চেতনাকে ধারণ করে
বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রদর্শন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং রাষ্ট্রভাষা চেতনার
বহ্নিশিখা অন্তরে ধারণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ
বিনির্মাণ হোক আজকের দিনে সকলের অঙ্গীকার।"
ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলে মিলে নাচ-গান, শোভাযাত্রা,
আনন্দ-উৎসব, হরেক রকম খাবার ও বাহারি সাজে বৈশাখকে বরণ করে নেয় উৎসবপ্রেমী বাঙালি
জাতি। নতুন বছরে যাত্রাপালা, পুতুলনাচ, লোকসংগীত, গ্রামীণ খেলাধুলা, মেলাসহ
নানাবিধ বর্ণিল আয়োজন মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ ও সম্প্রীতির নতুন
বার্তা।
রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা - সকল অশুভ ও অসুন্দরের ওপর সত্য ও
সুন্দরের জয় হোক। ফেলে আসা বছরের সব শোক-দুঃখ-জরা দূর হোক, নতুন বছর জাতীয় ও ব্যক্তিজীবনে
নিয়ে আসুক অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি।
মন্তব্য করুন
আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত
হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ অধিনায়ক
নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরকে সামনে রেখে বিশ্বকাপের সূচি
প্রকাশ করে আইসিসি।
এনিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো নারী টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এবারের
আসরে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দশটি দল। এর আগে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৮টি দল সরাসরি
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। বাকি দুটি দল উঠে আসবে চলমান বাছাইপর্ব থেকে।
স্বাগতিক বাংলাদেশ পড়েছে বি গ্রুপে।
যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাছাইপর্বের দ্বিতীয়
দল।
অপর গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভারত,
নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের প্রথম দল।
১৯ দিনের এই আসরে দুটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত
হবে মোট ২৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশসহ গ্রুপ 'বি' এর সকল ম্যাচগুলো হবে ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয়
স্টেডিয়ামে। গ্রুপ 'এ'- এর সবগুলো ম্যাচের ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ২০
অক্টোবর ঢাকায় ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের নবম আসরের। প্রথম সেমিফাইনালে
সিলেট ও দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে ঢাকায়। নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচের জন্যই থাকবে রিজার্ভ
ডে।
আসরের প্রথম দিন বাছাইপর্ব থেকে আসা
দ্বিতীয় দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টোরিয়া কলেজের একজন শিক্ষার্থীর মার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইন্টার্নি ডাক্তার,
ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত প্রায় এগারটায় সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
ওই সময় উত্তেজিত সংঘর্ষকারীরা সেনাবাহিনীর দিকে ধেয়ে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য
সেনাবাহিনী ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে উত্তেজিত লোকদের ছাত্র ভঙ্গ করে।
এতে করে দুই পক্ষের লোকজন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মন্তব্য করুন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারো
নেই।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশের কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা হয়েছে। তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত, তাদের সচেতনতা আসতে
হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার
কারও নেই। একজন অন্যায় করলে আইনের হাতে তাকে তুলে দেন। নিরপরাধ লোক যেন কোনো অবস্থায়
হেনস্তা না হয় জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের করা মামলাগুলোয়
বিপুল সংখ্যক আসামি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর
আলম চৌধুরী বলেন, এখন পুলিশ মামলা করছে না, করছে সাধারণ জনগণ। আগে পুলিশ মামলা দিতো,
এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনের নাম দিতো
অজ্ঞাত। আজ পর্যন্ত কিন্তু পুলিশ (মামলা) দিচ্ছে না। এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে।
মিডিয়াতেও বলছি, পেপারে দিয়েছি যে সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকে
এরেস্ট করা হবে না। ডিবিকে আজকেই নির্দেশনা দিয়েছি। পরিচয় তারা নিজেরা দেবে, তারপর
ধরবে। এখানে ধরার কথা শুধু অপরাধীদের সাধারণ মানুষদেরকে তো ধরবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে
পুরোনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়া যায়
এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক
সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান
সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরেও কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে। প্রধানত আলোচনা হয়েছে
তাদের যে পুরোনো ফর্মে যেন পুলিশ যতো তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ
হতে পারে। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। সবার একটা আশা জনবান্ধব
পুলিশ। ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, চাঁদাবাজি
কীভাবে বন্ধ করা যায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা
একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে
আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলো সম্পর্কে তাদের সঙ্গে
আলোচনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি বাসায় ফিরবেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের ৯ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। কিন্তু অনুমতি দেয়নি সরকার। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসনের রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করা হয় ২৭ অক্টোবর। তার স্বাস্থ্য কিছুটা স্থিতিশীল হলে সে দফায় পাঁচ মাসের বেশি সময় চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তিনি বাসায় ফেরেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাগারে ছিলেন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক নির্বাহী আদেশে তার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকার তাকে সব মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
পৌষ
মাসের শেষ দিন পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠার দিন। এ উৎসবের মূল
আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো।
রবিবার
(১৪ জানুয়ারি) পৌষের শেষ দিন। ঐতিহ্যের আলোয় পৌষের শেষদিনকে রঙিন করতে মাতোয়ারা পুরান
ঢাকাবাসী। তাই উৎসব ঘিরে পুরান ঢাকার অলিগলিতে চলছে ঘুড়ি বেচাকেনার উৎসব। শিশু, তরুণ,
বৃদ্ধরা কিনছেন ঘুড়ি, নাটাই, সুতা। চলছে সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার কাজ। পুরান ঢাকায় চলছে
ঘুড়ি বেচাকেনার ধুম। দোকানে দোকানে হরেক রকমের ঘুড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। রঙ-বেরঙের ঘুড়ি
আর নাটাই-সুতা সারি সারি করে সাজিয়ে রেখেছেন দোকানিরা। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া
যাচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম- চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি,
চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার,
দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি। এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে
তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল,
ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম।
জানা
যায়, রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন শুরু হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা
পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে চলবে পিঠাপুলির উৎসব।
মন্তব্য করুন