

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে আলু বোঝাইকৃত ট্রাকের চাপায় বাকিয়ার মল্লিক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জালাল মিয়া (৬৭) নামের অপর বৃদ্ধ আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়েছে।
নিহত ব্যক্তি বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখরদী গ্রামের মৃত হানিফ মল্লিকের ছেলে।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কানখরদী গ্রামের বৃদ্ধ বাকিয়ার মল্লিক (৬৫) ও জালাল মিয়া নামে দুইজন কানখরদী বাসস্ট্যান্ড মসজিদ থেকে নামাজ শেষে শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময় বোয়ালমারীগামী আলু বোঝাইকৃত (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-০২৪৯) ট্রাক মাঝকান্দী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে কানখরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাকিয়ার মল্লিক ও জালাল মিয়াকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই বাকিয়ার মল্লিক মারা যায়। দুর্ঘটনায় আহত জালাল মিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
তবে ঘাতক ট্রাকটি বোয়ালমারী বাজারে কাঁচাবাজারের আড়তে ট্রাকটি রেখে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ আড়ত থেকে ট্রাকটি জব্দ করে থানায় নিয়েছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক
আব্দুর রশিদ বলেন, মাঝকান্দী-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কানখরদীতে আলু বোঝাইকৃত
ট্রাকের চাপায় একজন নিহত এবং অপরজন আহত হয়েছেন। ট্রাকটিকে বোয়ালমারী বাজারের আলুর
আড়ত থেকে জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন


মজিবুর রহমান পাবেল, প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতির ভাগ্যের ফয়সালা হবে। এ নির্বাচনে যাতে জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যাপারে সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বুধবার ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট-১ আসনের ময়ূরকুঞ্জ কনভেনশন হলে মাঠ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। এ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী জামায়াতের আমীর ফখরুল ইসলাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমানসহ সিলেট মহানগরী ও জেলা নেতৃবৃন্দ।
আমীরে জামায়াত আরও বলেন, জনগণ যদি ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেন তাহলে আমরা বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ দেশবাসীকে উপহার দিব। মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে উঠে আমরা দেশবাসীর সেবা করবো। দেশে যাতে আর কখনো ফ্যাসিবাদী শাসন ফিরে আসতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক ভূমিকা পালন করতে হবে। সৎ, যোগ্য ও খোদাভীরু লোকদের ভোট দিয়ে ভোটের সৎ ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, ভোট একটি পবিত্র আমানত। এ আমানতের সঠিক ব্যবহার করতে হবে।
জনগণ যদি উপযুক্ত লোককে ভোট দিয়ে নির্বাচন করে তাহলেই জাতির ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। আমাদের সবাইকে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তের উপরই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।
তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে যথাযথ ভূমিকা পালনে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন ,কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় সাফরাত হোসেন সানভীর নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের আলকরা এলাকায় মেঘনা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু সানভীর উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কেন্দুয়া গ্রামের মোঃ বাহরাইন প্রবাসী রাজুর একমাত্র ছেলে। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিহতের চাচা মোরশেদ আলম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া গ্রামের নুর হোসেন সুজন মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশের বৈছামুড়া ব্রিজের পাশে মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর জেঠার খোঁজে বৈছামুড়া ব্রিজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে ভাতিজা সাফরাত হোসেন সানভীর। নুর হোসেন সুজন মনে করেছিলেন, ভাতিজা সানভীর কিছু দূর গিয়ে আবার বাড়িতে ফিরে যাবে। কিন্তু ভাতিজা সানভীর জেঠার কাছে যেতে রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটতে থাকে। মুহুর্তের মধ্যেই চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সেপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় সানভীর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নুর হোসেন সুজন পিছনের দিকে ভাতিজা সানভীরের দিকে তাকালে তাকে রেললাইনের পাশে নিহত অবস্থায় পাওয়া যায়। এদিকে একমাত্র ছেলে সানভীরকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা-মা। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিহত সাফরাত হোসেন সানভীর চাচা মোরশেদ আলম বলেন, বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রেললাইনের সাথে মাছ ধরা দেখতে তাঁর জেঠা বৈছামুড়া ব্রিজের পাশে যায়। জেঠার পিছনে পিছনে ভাতিজা সাফরাত হোসেন সানভীরও চলে যায়। জেঠা মনে করেছিলেন, সানভীর একটু গিয়ে আবার বাড়ির দিকে চলে গেছে। খেয়াল না করায় ট্রেনের ধাক্কায় ভাতিজা সানভীরের মৃত্যু হয়েছে।
তবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি জানে না লাকসাম জিআরপি থানা ও গুণবতী রেলষ্টেশন কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন


আজ মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে।
যা চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।
গতকাল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে ২৪ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।আর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায়, শেষ হবে বেলা ১১টায়।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত ১০০টি প্রশ্নের প্রতিটি ১ নম্বর করে মোট (এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী) ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।বিষয়ভিত্তিক বিভাজন পদার্থবিদ্যা ২০, রসায়নবিদ্যা ২৫, জীববিজ্ঞান ৩০, ইংরেজি ১৫ ও সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ) ১০ অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
লিখিত পরীক্ষার প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে অকৃতকার্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম পেলে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন না।
জানা যায়, দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। বেসরকারি মেডিকেলের জন্য আসন রয়েছে ৬ হাজার ৩৪৮টি।
মন্তব্য করুন


খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহিত জীবনের চাপ ও মানসিক কষ্টের পর প্রবীর সরকার (৪১) তার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। নবপল্লী এলাকার প্রবীর দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক ও সংসারের অশান্তিতে ভোগছিলেন।
যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রবীর এক মানত করেছিলেন: “যেদিন আমি এই মানসিক যন্ত্রণার মুক্তি পাব, সেদিন দুধ দিয়ে স্নান করব।”
সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, প্রবীরের স্ত্রী স্থানীয় ভাড়া বাসায় কয়রা উপজেলার নিত্যানন্দ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সময় ধরা পড়েন। স্থানীয়রা কোনো সালিশ ছাড়াই তাকে নিত্যানন্দের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দম্পতির একটি প্রতিবন্ধী সন্তানও রয়েছে।
এই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে প্রবীর সরকার পাইকগাছা পৌরসভার কালীমন্দিরে গিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করেন এবং মানত পূর্ণ করেন।
প্রবীর সরকার বলেন, “আমাদের সংসারের প্রথম দুই বছর ভালোই কেটেছিল। কিন্তু পরবর্তী ১২ বছর ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর। ধারাবাহিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়া ও সন্দেহজনক আচরণ আমাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছিল। বহুবার সালিশ হয়েছে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবেই সহ্য করেছি। সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমি মানত করতে বাধ্য হই।”
স্ত্রী বর্তমানে নতুন সংসারে থাকায় তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
মন্তব্য করুন


রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কুয়েতে বাংলাদেশের
নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন ।
বুধবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে গুরত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে
নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
রাষ্ট্রপতি কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন
করে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়ে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজকের এ সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে
কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক কল্যাণের পাশাপাশি নতুন করে জনশক্তি রপ্তানির
বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, কুয়েতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
বিদ্যমান সম্ভাবনাগুলোকেও কাজে লাগাতে হবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন


আবদুল হান্নান পেশায় দিনমজুর। পাঁচ কাঠা জমি আর টিনের ছাপরার একটি ছোট ঘরেই ছয় সদস্যের পরিবারের ঠিকানা। দিনমজুরের কাজ করে সংসার চলে কোনোরকমে। তবে আর্থিক সংকটের মধ্যেও মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করেননি তিনি। তাঁর স্ত্রী গৃহস্থালি সামলানোর পাশাপাশি সব সময় মেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়ে এসেছেন। অনেক কষ্ট ও সংগ্রামের পথ পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত এ দম্পতির দুই মেয়ে বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন। মা–বাবা ও ভাই–বোনদের নিয়ে এখন তাঁরা সেই পরিশ্রমের আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন।
আবদুল হান্নানের
বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। বিসিএস
ক্যাডার হওয়া দুই মেয়ে হলেন মোসা: সারমিন আক্তার ও মোসা: খাদিজা আকতার। ছোট বোন খাদিজা
৪১তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়েছেন। এবার বড় বোন সারমিন ৪৪তম বিসিএসে পশুসম্পদ
ক্যাডার পেয়েছেন। দুই বোনের ভাষ্যমতে, তাঁদের এ অবস্থানে আসার পেছনে মায়ের অবদানই সবচেয়ে
বেশি।দুই মেয়ের সাফল্যে মা–বাবার আনন্দ সীমাহীন। বাবা আবদুল হান্নান
বলেন, ‘কষ্ট কর্যাছি, মেয়েরা বাপ–মায়ের কষ্টের মর্ম বুঝ্যাছে। তারা সফল
হয়্যা দ্যাখিয়্যা দিয়াছে। বাপ–মাকে সম্মানের জাগাতে লিয়া গেছে। গাঁয়ের
মানুষ হামারঘে এ্যাখুন অনেক সম্মান দ্যাখায়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দ্যায়।’
সারমিন খাতুন
২০০৮ সালে বালিয়াডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ–৫
পান। একই বিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে জিপিএ–৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন খাদিজা খাতুন।
তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন আবদুর রাজ্জাক। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই দুই
বোনের গল্প নিয়ে প্রথম আলোর ‘অদম্য মেধাবী’
সিরিজে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর সারমিন পান ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য
মেধাবী তহবিলের শিক্ষাবৃত্তি এবং খাদিজা পান হামদর্দ লিমিটেডের সহায়তা।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগে ভর্তির পর ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট
অদম্য মেধাবী তহবিলের বৃত্তির টাকাই ছিল সারমিন খাতুনের মূল ভরসা। ছোট বোন খাদিজাও
ভর্তির সুযোগ করে নেন একই বিভাগে। তখন বৃত্তির টাকা ভাগাভাগি করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছেন
দুই বোন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সারমিনের জন্য বরাদ্দ সিঙ্গেল সিট ব্যবহার করতেন ছোট
বোন খাদিজা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে। একই বিষয়ে পড়ায় দুজনের জন্য আলাদা করে বইপত্র কিনতেও
হয়নি।
কঠিন পথ পেরিয়ে
বিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সারমিন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের কষ্টের পথ অনেক
লম্বা ছিল। প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তির সহায়তা ও মা–বাবার
ত্যাগ না থাকলে আজকের অবস্থানে আসা সম্ভব হতো না।’স্থানীয় মানুষ দুই বোনের অর্জনকে এলাকার
মেয়েদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন বলে জানালেন শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক। তিনি
বলেন, দিনমজুর বাবার ঘামঝরা কঠিন পরিশ্রম ও অনিশ্চয়তার মধ্যেও বড় হওয়া সারমিন ও খাদিজা
আজ বিসিএস ক্যাডার। তাঁদের গল্প কেবল একটি পরিবারের নয়, এটি প্রমাণ করে যে সুযোগ, সহায়তা
ও দৃঢ়সংকল্প থাকলে দারিদ্র্যও শেষ পর্যন্ত হার মানে। গ্রামের ছোট্ট ঘর থেকে সারমিনদের
পথচলা শুরু। বাবা দিনমজুর হলেও তাঁর জেদ ছিল মেয়েদের পড়াশোনা যেন থেমে না যায়। মা ছিলেন
সেই জেদের বড় শক্তি—মেয়েদের পড়ার সময় কোনো বাধা না আসে, তা
তিনি নিশ্চিত করতেন। এখন গ্রামের মানুষ এই বাবা–মাকে সম্মান করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত
দেয়। দুই বোন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পর প্রয়াত শিক্ষক সিদ্দিক আহমেদের নামে গড়ে ওঠা
সংগঠন ‘সিদ্দিক আহমেদ শ্রদ্ধা নিবেদন পরিষদ’ তাঁদের সংবর্ধনার আয়োজন করে।
আবদুর রাজ্জাক
আরও বলেন, প্রথম আলো ট্রাস্টের বৃত্তি শুধু খাতা–কলম বা পরীক্ষার ফি নয়, সারমিনের জীবনে
উচ্চশিক্ষার দরজা খুলে দেয়। এই সহায়তায় তিনি পার করেছেন উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়,
সঙ্গে এগিয়ে নিয়েছেন ছোট বোনকেও। পরিশ্রম ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। সীমাবদ্ধতার মধ্যেই
রাতজাগা পড়া, বই সংগ্রহ ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি—সবই
করেছেন সারমিন। শেষ পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
কুপির আলোয়
পড়ার জন্য যখন কেরোসিন তেল কিনতে পারতেন না, তখন প্রতিবেশীর বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের আলোয়
পড়েছেন বলে জানান সারমিন আক্তার। সেই প্রতিবেশী আত্মীয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি
আরও বলেন, বালিয়াডাঙ্গা ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রয়াত সহকারী শিক্ষক মোখলেসুর
রহমান, বালিয়াডাঙ্গা উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রাজ্জাক, নাম
প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষানুরাগী, প্রথম আলো ও প্রথম আলো ট্রাস্টের প্রতি তিনি
কৃতজ্ঞ।
সারমিন আক্তার
বলেন, ‘আমার অর্জন শুধু আমার নয়, আমার মা–বাবারও। তাঁদের ত্যাগ না থাকলে কিছুই
সম্ভব হতো না। আর প্রথম আলো ট্রাস্ট আমাকে যে সহায়তা দিয়েছে, সেটা ছিল এগিয়ে যাওয়ার
সবচেয়ে বড় শক্তি। প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দেওয়া খাদিজা আকতার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন,
‘এমন মা–বাবার জন্য আমরা গর্ব করি। আর বড় বোনের ছত্রচ্ছায়ায় আমি লেখাপড়া
এগিয়ে নিতে পেরেছি।’
মন্তব্য করুন


ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, এখন থেকে সব মসজিদের সভাপতি হবেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইমামদের নিয়োগ বা বরখাস্ত হতে হবে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী।
আজ
শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুরে খুলনার বয়রা এলাকার মেট্রোপলিটন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়াও তিনি বলেন, ইমামদের জনবান্ধব হতে হবে। বাস্তবভিত্তিক ওয়াজ-নসিহত করতে হবে, যাতে মানুষ সচেতন হয়। ‘মব’ তৈরির সংস্কৃতি সমাজের জন্য কতটা ভয়ংকর, তা মসজিদে আলোচনা করা দরকার। মসজিদভিত্তিক শিক্ষাকেও নিতে হবে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে। যেসব কেন্দ্রে প্রকৃতপক্ষে পাঠদান হচ্ছে না কিংবা ভুয়া কেন্দ্র দেখিয়ে অথবা স্কুল ও মসজিদে একই ব্যক্তি একযোগে শিক্ষকতা করছেন—এমন প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ধর্ম
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশে অপরাধের মাত্রা কমছে না, অপরাধের এত প্রবণতা পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেই। সমাজে অপরাধ রোধে ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিকতা চর্চার বিকল্প নেই। যদি সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অপরাধপ্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
তিনি জানান, সব জায়গা জবাবদিহির আওতায় আনা হচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ফিরে এসেছে শৃঙ্খলা।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. সালাম খান, বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ।
মন্তব্য করুন


পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্য বর্জ্য ও শূন্য কার্বন’-এর ওপর ভিত্তি করে একটি নতুন জীবনধারা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ
বুধবার (১৩
নভেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯-এর ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি আহ্বান করেন।
একটি নতুন পৃথিবী গড়ার লক্ষে তিনটি শূন্যভিত্তিক তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের কথাও উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস
বলেন, বেঁচে থাকার জন্য, আমাদের আরেকটি সংস্কৃতি গঠন করতে হবে। একটি ভিন্ন জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে আরেকটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়তে হবে। এটি হবে শূন্য বর্জ্যের ওপর ভিত্তি করে। এ সংস্কৃতি নিত্য পণ্যের ব্যবহারকে সীমিত করবে, কোন বর্জ্য অবশিষ্ট রাখবে না। এ জীবনযাত্রাও হবে শূন্য কার্বনের ওপর ভিত্তি করে যেখানে কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি থাকবে না, শুধুমাত্র পুনঃনবায়নযোগ্য শক্তি থাকবে। এতে এমন একটি অর্থনীতি হবে যা প্রাথমিকভাবে সামাজিক ব্যবসার মতো ব্যক্তিগত পর্যায়ে শূন্য মুনাফার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। সামাজিক ব্যবসার একটি বিশাল অংশ পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষায় মনোযোগ দেবে। সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবে উন্নত হবে। এটি যুবকদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ সহজতর করবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মাধ্যমে তরুণরা প্রস্তুত হবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা উদ্যোক্তা-কেন্দ্রিক শিক্ষা দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
পরিবেশের সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জীবনধারার প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, নতুন জীবনধারা চাপিয়ে দেয়া হবে না, এটি হবে পছন্দ বেছে নেওয়া। তরুণরা সে জীবনধারাকে পছন্দ হিসেবে বেছে নেবে। প্রতিটি যুবক তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে। এগুলো হচ্ছে- শূন্য নেট কার্বন নির্গমন, শুধুমাত্র সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীকরণ ও নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিণত করার মাধ্যমে শূন্য বেকারত্ব। প্রত্যেক মানুষ তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠবে এবং সারাজীবন তিন শূন্য ভিত্তিক ব্যক্তি হিসেবে থাকবে। এটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলবে। এটা করা যেতে পারে আমাদের যা করতে হবে তা হল এ গ্রহের নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি নতুন জীবনধারা গ্রহণ করা যেখানে সবাই বসবাস করে। আজকের তরুণ প্রজন্ম বাকিটা করবে। তারা তাদের আমাদের গ্রহকে ভালোবাসে। আমি আশা করি আপনারা এ স্বপ্ন দেখায় আমার সাথে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি তবে তা সম্ভব হবে। জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে এবং সে কারণে মানব সভ্যতা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। মানুষ আত্ম-বিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আত্ম-রক্ষাত্মক ও আত্ম-শক্তিবর্ধক একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক ও যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা, এই গ্রহের মানব বাসিন্দারা এই গ্রহের ধ্বংসের কারণ। মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এটি করছে এবং তারা এমন একটি জীবনধারা বেছে নিয়েছে যা পরিবেশের বিরুদ্ধে কাজ করে। তারা এটিকে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দিয়ে ন্যায্যতা দেয়, যা এ গ্রহ ব্যবস্থার মতো প্রাকৃতিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অর্থনৈতিক কাঠামো সীমাহীন খরচের ওপর ভিত্তি করে চলছে। আপনি যত বেশি ব্যবহার করবেন তত বেশি প্রবৃদ্ধি পাবেন। যত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবেন, তত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন। সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকে সিস্টেমের সবকিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ভূমিকা পালনের শক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মন্তব্য করুন


শৈত্য প্রবাহের কারণে কমছে না শীতের দাপট। পৌষ মাসের শেষ দিনে হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ, মাঘ মাসের শুরুতেও কমেনি শীতের দাপট। তীব্র শীতে জবুথবু পাবনা সহ উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা।
ঘন কুয়াশায় মেঘাচ্ছন্ন আকাশে সূর্যের দেখা না মেলায় দিনের বেলাতেও হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে পাবনা সহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি পাবনা, কুষ্টিয়া নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের কয়েক জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ: যা অব্যাহত থাকতে পারে আরও এক-দুই দিন।
রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সকাল থেকেই কুয়াশায় আচ্ছন্ন পাবনা সহ উত্তর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলা। ঘন কুয়াশার কারণে পর্যাপ্ত সূর্যের আলো না থাকায় কিছুদিন ধরে দিনে ও রাতের
তাপমাত্রার প্রায় একই রকম থাকায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়ে গেছে। এটা প্রতিবছরই জানুয়ারি মাসে মাঝেমধ্যেই হয় এবং টানা তিন-চার দিন থাকে।এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়, এই অবস্থা আরো
এক-দুই দিন থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ধারণা। তীব্র শীতে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।ঘন কুয়াশা এবং মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে ছয় দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। এ ছাড়া তীব্র শীতে শীতজনিত রোগের
প্রকোপ বেড়েছে বহুগুণে। তীব্র শীতের কারণে বেশি বিপাকে আছে হতদরিদ্রর ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী, শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্বিষহ তাদের জীবন। কুয়াশার কারণে ব্যাহত হচ্ছে
কাজিরহাট টু আরিচা, নাজিরগঞ্জ টু ধাওয়াপাড়া নৌ রুটের ফেরি সহ বিমান ও যান চলাচলে।
মন্তব্য করুন


আজ (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে যাবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক
হাসনাত আবদুল্লাহ এবং মুন্সিগঞ্জ যাবেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক
যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তারা এ তথ্য জানান।
গতকাল সমন্বয়ক ফেসবুকে হাসনাত আবদুল্লাহ
জানান, প্রিয় চট্টগ্রামবাসী! আগামীকাল (রোববার) ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর। এ সফরের অংশ হিসেবে আমাদের একটি সমন্বয়ক
টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে।
সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল চট্টগ্রামে দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। ছাত্র-জনতার
সঙ্গে মতবিনিময় নিয়ে প্রথম সভাটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
একইদিনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
নিয়ে দ্বিতীয় সভাটি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘির ময়দানে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হবে, ইনশাআল্লাহ।
মুন্সিগঞ্জে’শিরোনামে আরেকটি স্ট্যাটাস
দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি ফেসবুকে লেখেন, আগামীকাল রোববার
(৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সফর।
যেখানে আমাদের একটি সমন্বয়ক টিম প্রত্যেকটি জেলার অভ্যুত্থান ঘটানো ছাত্র-জনতার সঙ্গে
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করবে। ঢাকা বিভাগীয় সফরের প্রথম জেলা হিসেবে আগামীকাল মুন্সিগঞ্জে
সেই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময়
সভা হবে মুন্সিগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে বিকেল ৩টায়। রক্তের বন্ধনে
আবদ্ধ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন