

আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস
রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ নিয়ে ১২ ও ১৪ ডিসেম্বর দু’দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হল এ জেলায়। এদিন সকাল ৯ টার সময় চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার
তাদের নিয়মিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫
শতাংশ। তবে আজ কুয়াশা কম রয়েছে। এদিন সকাল ৬ টার সময় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ডিগ্রী সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়ছে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রী
সেলসিয়াস কমে গেছে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারের মত
এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গত ১৯ নভেম্বর হতে এ জেলায় তাপমাত্রা
কমতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা আরো কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি জানান, চুয়াডাঙ্গা
জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে শীত ও কুয়াশা কয়েক
দিন অব্যাহত থাকবে। আসছে সপ্তাহ থেকে শীতের প্রকোপ আরো বেশী হবে বলে তিনি জানান। শুক্রবার
(১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা
হয়। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৮ শতাংশ।
মন্তব্য করুন


এক্সিম ব্যাংক ৩৫তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে কুমিল্লা জেলা হ্যান্ডবল দল।
সোমবার (৩ জুন) এক্সিম ব্যাংক ৩৫তম জাতীয় নারী হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর উদ্বোধন হবে ঢাকায়।
১২ সদস্যের কুমিল্লা জেলা নারী হ্যান্ডবল দল রবিবার কুমিল্লা থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে যাত্রা করে।
রবিবার সকালে কুমিল্লা জেলা নারী হ্যান্ডবল দলকে বিদায় জানান কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কোষাদক্ষ আল আমিন ভূইয়া ও সদস্য দেলোয়ার হোসেন জাকির।
নারী হ্যান্ডবল দলকে শুভেচ্ছা জানান, নাজমুল আহসান ফারুক রোমেন, তিনি শৃংখলার সাথে খেলায় অংশ নিয়ে নিজেদের ও কুমিল্লা জেলার সুনাম বয়ে আনতে মনোযোগী হতে বলেন।
কুমিল্লা জেলা নারী হ্যান্ডবল দলের ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন রোকসানা বেগম ও কোচ আলমগীর আলম রাজু।
মন্তব্য করুন


মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় ৭০ কেজি গাঁজাসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে
আসামী ১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন নামের দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার
করা হয়। এ সময় আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ৭০ কেজি গাঁজা ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি
পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। আমজাদ হোসেন ফরহাদ (২৭) ফেনী জেলার সদর থানার মরুয়ারচর গ্রামের মৃত সাদেক এর ছেলে
এবং ২। মোঃ মাইন উদ্দিন (২৮) একই গ্রামের মৃত মাস্টার সৈয়দ আহমেদ এর ছেলে।
র্যাব জানান, তারা
দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত পিকআপ ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য
গাঁজা সংগ্রহ করে ফেনী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের
নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী ধারাবাহিক
অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে
র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে শ্বশুরবাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার হওয়া করিম ভূঁইয়া নামে এক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হক মিলে করিম ভূঁইয়াকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখেন।
আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার আমলী আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন চার ঘাতক।
পুলিশ জানায়, নিখোঁজের একমাস পাঁচদিন পর গত ১৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের শ্বশুর বাড়ির একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূঁইয়ার (৪৮) গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের মন্ত্রীবাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারদের জবানবন্দী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট রাতে স্ত্রী তাছলিমা বেগমের পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে করিমকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নেন শ্যালক ইসরাফিল। সেখানে প্রথমে তিন ভাই মিলে তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেন। এ সময় তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় স্ত্রী তাছলিমা সেই রক্ত মুছে ফেলেন। পরে বড় ভাইয়ের বিল্ডিংয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে মরদেহ ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়। তিনি রাজি না হওয়ায় প্রথমে মরদেহ বাড়ির পাশের খালে ফেলে দেওয়া হয়। সকালে মরদেহ ভেসে উঠলে আবারও স্ত্রী এবং ভাইয়েরা মিলে খাল থেকে তুলে এনে হাত-পা বেঁধে বড় ভাইয়ের টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেন।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও তার তিন ভাই ইসরাফিল, গোলাম হাক্কানী ও মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা শনিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিনের আদালতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দেন।
দেবিদ্বার থানার ওসি সামছুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, স্ত্রী তাছলিমার পরিকল্পনায় মাদক সেবনের লোভ দেখিয়ে ভালো ব্যবহার করে ডেকে নিয়ে তিন ভাইসহ চারজনে মিলে করিম ভূঁইয়াকে হত্যা করে। নিহতের ভাই আমির হোসেন থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে। পরে সন্দেহভাজন আসামিদের ওপর নজরদারি ও গ্রেপ্তারের ভিত্তিতেই মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়। নিহত করিম ভুইয়া প্রায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতেন। এতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে এ হত্যাকান্ডটি ঘটায়।
মন্তব্য করুন


এলপি গ্যাস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১১ই জুলাই) কুমিল্লা পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বার্ড এর ময়নামতি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, সারাদেশের এলপিজি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ এবারের কেন্দ্রীয় সাধারণ সভাটি কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এলপিজি ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মো. সেলিম খান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক স. ম. জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মনি মুক্তা পাল, কোষাধ্যক্ষ আবু তাহের কোরেশি, কুমিল্লা সভাপতি আমানত উল্লাহ সরকার প্রমুখ।
দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠান রাতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
বিদায় লগ্নে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে জেলার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খাঁন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে অভিজ্ঞতা, অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁন বলেন, “কুমিল্লা আমার কর্মজীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি সবসময় মানুষের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা পেয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন, মাদকবিরোধী অভিযান, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা— সবক্ষেত্রে সাংবাদিকরা যে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দায়িত্বশীল সংবাদ প্রকাশ পুলিশের কাজকে আরো গতিশীল করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমার লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধি ও জনবান্ধব পুলিশিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। কুমিল্লাবাসী আমাকে যে ভালোবাসা, সম্মান ও সহযোগিতা দিয়েছে— তা আজীবন স্মরণে থাকবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক নেতারা বিদায়ী পুলিশ সুপারের সৎ, নিষ্ঠাবান ও মানবিক কর্মকৌশলকে প্রশংসা করেন। তারা বলেন, তার নেতৃত্বে কুমিল্লার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত ছিল। বিভিন্ন থানা উন্নয়ন, কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার, অভিযোগ নিষ্পত্তির গতি বৃদ্ধি— এসব উদ্যোগ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, সাবেক সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাহবুব আলম বাবু, সিনিয়র সদস্য সহিদউল্লাহ, ওমর ফারুকী তাপস,দিলীপ মজুমদার,দপ্তর সম্পাদক সেলিম রেজা মুন্সি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নেকবর হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু,বুড়িচং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবুসহ জেলা ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ বড়ুয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক, ডিবি ওসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
পরিশেষে বিদায়ী পুলিশ সুপার নাজির আহম্মেদ খাঁনের হাতে কুমিল্লা প্রেস ক্লাব, কুমিল্লা ইয়ুথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব এবং কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির পক্ষ থেকে স্মারক উপহার তুলে দেওয়া হয়। তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন সবাই।
মন্তব্য করুন


আজ বেলা ১১ টায় টঙ্গীর কামারপাড়া রোড়ে র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিং করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (জিডি) এম খুরশীদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা-২০২৪ উপলক্ষে ইজতেমা মাঠসহ আশেপাশের এলাকায় যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাবপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাবের ৫টি ব্যাটালিয়নের (১, ২, ৩, ৪ ও ১০) এর সমন্বয়ে আকাশপথে র্যাবের হেলিকপ্টার টহল, ডক স্কোয়াড টিম, ফুট পেট্রোলিং, মোবাইল টিম, টহল টিম, সাইবার মনিটরিংসহ ৭ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে এবার বিশ্ব ইজতেমায়।
এই বছরও দুই ধাপে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে মাঠে থাকবেন জুবায়ের পন্থী ২-৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপে সাদ পন্থী ৯-১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় বিদেশি মুসল্লিসহ সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ার এর সামনে এবং আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইজতেমা এলাকায় র্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র সার্বক্ষণিকভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ সার্বক্ষণিকভাবে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, মাঠে আগত মুসল্লিদের জন্য বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতের দিনে আগত ও ঘরমুখী মুসুল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য র্যাবের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা চলমান থাকবে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী অপপ্রচার-গুজব রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রাখছে। আসন্ন ইজমেতাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোন ব্যক্তি, স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টা-অপপ্রচার কঠোর ভাবে দমন করতে প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে কোন ধরনের হুমকি বা নাশকতার আশংকা নেই। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। কুচক্রী মহলের অপচেষ্টা, সাইবার আপরাধ ও গুজব রোধে সচেষ্ট থাকবে র্যাব।
মন্তব্য করুন


ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ও বিভিন্ন স্কিল সম্পর্কে জানানোর উদ্দেশ্যে ‘জায়ান্ট মার্কেটার্স জব ফেয়ার-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী কুমিল্লা ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে জব ফেয়ার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুরজিৎ সর্ববিদ্যা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জায়ান্ট মার্কেটার্সের ফাউন্ডার এন্ড সিইও মো: মাসুম বিল্লাহ ভূইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিএসই বিভাগের লেকচারার মো: জাহিদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি
ছিলেন, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোজাম্মেল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার শিহাব উদ্দিন আহমেদ, কুমিল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন রনী।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্ক্ষীরী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই জব ফেয়ারে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন ক্যাম্পাস থেকেই চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ। পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশনে অংশ নিয়ে চাকরির জন্য কী কী বিষয় অত্যাবশ্যকীয় সে বিষয়ে রয়েছে জানার সুযোগ।
মন্তব্য করুন


লালমনিরহাটে
সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংক শাখা ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার
(২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার বড়বাড়ি সোনালী ব্যাংক শাখায় এ
ঘটনা ঘটে।
তবে ব্যাংকের টাকা খোয়া গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ
ও স্থানীয়রা জানান, ব্যাংকের পেছনের দেয়ালের নিচে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ব্যাংকে ঢোকার
চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। তবে ব্যাংকে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মচারী বিষয়টি
বুঝতে পেয়ে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এতে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। খবর
পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ ব্যাংকের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। ব্যাংক থেকে টাকাসহ
অন্যকিছু খোয়া গেছে কিনা তা জানতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, পুলিশ ও
সেনাবাহিনী।
লালমনিরহাট
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নূরনবী জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত
সম্পূর্ণ হলে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। তবে টাকা খোয়া যাওয়ার কোনো তথ্য এখন
পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সারের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে কার্যপত্র পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্র্যাট মো. জাফর সাদিক চৌধুরী। সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান, কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট অ্যাডভোকেট কাইউমুল হক রিংকু, অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোতালেব হোসাইন, জামায়াতে ইসলামীর মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক এমদাদুল হক মামুন, এনসিপির কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুল হাসান, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাজহারুল ইসলাম হানিফ, পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জামিল খন্দকার, জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারগন সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের প্রধানরা।সভায় জেলার সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হয়। কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেন ঠিক থাকে সে দিকে সভায় উপস্থিত সকলকে নজর রাখার জন্য জোর তাগিদ দেয়া হয়। যেন জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং কোন কারণে তার অবনতি হয়ে জনসাধারণের জান-মালের ক্ষতি সাধন না হয়। এই বিষয়ে সভার সকলকে সজাগ থাকার বিশেষ তাগাদা দেয়া হয়েছে।সভার কার্যপত্রে জানানো হয়, কুমিল্লায় সেপ্টেম্বর মাসে চাঁদাবাজি, চুরি, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও অপমৃত্যু মতো অপরাধের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। অপরদিকে ডাকাতির পরিমান বেড়েছে। স্থিতি রয়েছে ছিনতাই, খুন ও চোরাচালান। অপরদিকে কিছু অপরাধ প্রবণতায় সামান্য হলেও কমতির ধারা লক্ষ্য করা গেছে। জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান বলেন, কার্যপত্রে দেখলাম আইনশৃঙ্খলা সূচক কিছু ক্ষেত্রে কমেছে, কিছু ক্ষেত্রে বেড়েছে। জেলা পুলিশ ডাকাতি প্রতিরোধে গত মাসরমে বেশ কয়েকটি অভিযান করেছে। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ১৪ জনের একটি ডাকাতের টিম আটক করেছি। মাদক নিয়ে জেলা পুলিশ কাজ করছে।
বিজিবি কুমিল্লার সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত অপারেশন অব্যাহত আছে। গোমতী নদীকে ব্যবহার করে অনেকে মাদক চোরাকারবার করছে। আমরা এমন কয়েকটি চালান সনাক্ত করে ধরতে পেরেছি।
সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাইনউদ্দিন চিশতী বলেন, পলিথিন ব্যবহারে সর্বত্র সয়লাব। আপাতত ব্যবহৃত পলিথিন সংগ্রহ করে ডাম্পিং করা হয়। কিন্তু যেসব পলিথিন ড্রেনে বা খালে ফেলা হয় সেগুলো ডাম্পিংয়ের সুযোগ থাকে না।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা কাজ করছি, আগামী তিনদিনের মধ্যে সড়কে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশা করছি। মহাসড়কে ইউটার্নগুলো নিয়ে আমরা পরিকল্পনা গ্রহন করেছি। ডিসেম্বরের মধ্যেই সুফল আসবে বলে আশা করছি। উল্টোপথে গাড়ি চলাচল রোধে কাজ করছি, অনেকাংশে কমে এসেছে। বর্ষায় মোটামুটি অনেক রাস্তাই বেহাল দশা। বর্ষায় মেরামত করলে টেকসই হয় না। এখন বর্ষার মৌসুম শেষের দিকে, এখন অনেক রাস্তাই মেরামত শুরু হয়েছে। কিছু রাস্তায় নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই ওঠানামা নিয়ে আমাদেরকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ডাকাতি, দস্যুতা ও অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনা বেড়ে যাওয়াটা আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। এসব প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন