নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে আটক ভাই-বোন

নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে আটক ভাই-বোন
সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে নকল করার সময় এক নিয়োগ পরীক্ষার্থীসহ দুই জনকে আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন - পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার জেলার বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে ও পরীক্ষার্থীর ভাই আব্দুল জলিল।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রের ১০১ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষা শুরু হলেও এক ঘণ্টার পরীক্ষা সময়ের মধ্যে প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে প্রশ্নের উত্তরপত্রে কোনো কিছু না লিখে বসে থাকেন। এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটিরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভেতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

পরে কলেজের অধ্যক্ষ সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। পরে সদর ইউএনও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী সদর ইউএনও মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ডিভাইসের মাধ্যমে পরীক্ষার্থী হয়তো পরীক্ষার শেষ দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করত। এটি একটি বিশাল চক্র। তিনি তার ভাইয়ের মাধ্যমে এই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেন। পরে তার ভাইকেও আটক করা হয়। 

এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আটকের চেষ্টা করা হবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

বমি পার্টির গুরু গ্রেফতার

বমি পার্টির গুরু গ্রেফতার
সংগৃহীত

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন নিশ্চিত করেছেন,বমি পার্টির গুরুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।


রাজধানীতে ছিনতাইয়ের অভিযোগে মো. স্বপন প্রকাশ ওরফে চোরা স্বপন (৫২)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।


চোরা স্বপন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাসে যাত্রীবেশে উঠে বমি করে যারা ছিনতাই করে তাদের কাছে ‘গুরু স্বপন’নামে পরিচিত চোরা স্বপন। 


স্বপন বরিশাল জেলার কাজিরহাট থানার সন্তোষপুর গ্রামের মৃত আয়নাল ফকিরের ছেলে। তিনি চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি একসময় চুরি করতেন। চুরির অভিযোগে বেশ কয়েকবার আটকও হন। এ কারণে গ্রামে সবাই চোরা স্বপন নামেই চেনে তাকে।


ওসি মহসীন আরো বলেন, গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে তিনি ছিনতাই শুরু করেন। প্রথমে অন্য দলের সঙ্গে থাকলেও পরে নিজেই দল গঠন করেন। এরপর তিনি নিজেই বমি পার্টি করেন। তার দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসে ওঠেন। বাসে প্রথমে কৃত্রিম জটলা তৈরি করেন, এরপর কেউ একজন কৃত্রিম বমি করেন। বমি করার পর বাসের মধ্যে এক ধরনের হৈ-হুল্লোড় তৈরি হয়। সে সুযোগে এই গ্রুপের সদস্যরা যাত্রীর মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে যান। তারা চকলেট এবং পানির বিশেষ মিশ্রণে কৃত্রিম বমি করতেন বাসে থাকা যাত্রীদের শরীরে।


তবে কৃত্রিম এই বমি কিন্তু সবাই করতে পারে না। এই বিশেষ বমি করার প্রশিক্ষণ দেন স্বপন। তাই তাকে এই ধরনের ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা গুরু স্বপন নামেই ডাকেন  ।


ওসি বলেন, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ফার্মগেটে একটি বাসে স্বপন তার আরও দুই সদস্য নিয়ে ওঠেন। তারা সেখানে বমি করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করলে যাত্রীরা দেখে ফেলেন। এসময় দুজন পালালেও স্বপনকে আটক করা হয়। 


এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে একটি ছুরি ও ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়

হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়
সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, “যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”

সমাজের দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণ আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা
ছবি

খুলনার পাইকগাছায় দীর্ঘ ১৪ বছরের বিবাহিত জীবনের চাপ ও মানসিক কষ্টের পর প্রবীর সরকার (৪১) তার দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। নবপল্লী এলাকার প্রবীর দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর একাধিক সম্পর্ক ও সংসারের অশান্তিতে ভোগছিলেন।

যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে প্রবীর এক মানত করেছিলেন: “যেদিন আমি এই মানসিক যন্ত্রণার মুক্তি পাব, সেদিন দুধ দিয়ে স্নান করব।”

সম্প্রতি খবর পাওয়া গেছে, প্রবীরের স্ত্রী স্থানীয় ভাড়া বাসায় কয়রা উপজেলার নিত্যানন্দ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের সময় ধরা পড়েন। স্থানীয়রা কোনো সালিশ ছাড়াই তাকে নিত্যানন্দের সঙ্গে বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এই দম্পতির একটি প্রতিবন্ধী সন্তানও রয়েছে।

এই ঘটনার পর সোমবার দুপুরে প্রবীর সরকার পাইকগাছা পৌরসভার কালীমন্দিরে গিয়ে দুধ দিয়ে স্নান করেন এবং মানত পূর্ণ করেন।

প্রবীর সরকার বলেন, “আমাদের সংসারের প্রথম দুই বছর ভালোই কেটেছিল। কিন্তু পরবর্তী ১২ বছর ছিল অত্যন্ত কঠিন ও কষ্টকর। ধারাবাহিকভাবে স্ত্রীর পরকীয়া ও সন্দেহজনক আচরণ আমাদের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছিল। বহুবার সালিশ হয়েছে, কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমার একমাত্র বাকপ্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যৎ ভেবেই সহ্য করেছি। সব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আমি মানত করতে বাধ্য হই।”

স্ত্রী বর্তমানে নতুন সংসারে থাকায় তাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এই ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ

স্বামী-স্ত্রী নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে করতো শিশু অপহরণ
সংগৃহীত

অপহরণের জগতে এ যেন এক নতুন মোড়।


রাজধানীর হাজারীবাগের নিউ মডেল টাউন এলাকায় থাকেন নুরুল ইসলাম। পেশায় রিকশাচালক। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন। ২১ মার্চ বিকেলে বাসার সামনে তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে তাবাসসুম ও আড়াই বছর বয়সী ছেলে তাওসীন খেলতে যায়।এসময় শিশুদের সঙ্গে যায় তাদের নানী। কিছুক্ষণ পর একজন বোরকা পরা নারী বাসার সামনে এসে শিশুদের নানীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন।এর কিছু সময় পর বাচ্চাদের রেখে বাসার ভেতরে যান নানী। এই সুযোগে বোরকা পরা ওই নারী শিশুদের ডেকে নিয়ে দুজনকে চিপস কিনে দেন। চিপস নিয়ে তাবাসসুম বাসায় ফিরে গেলেও তাওসীনকে নিজের কাছে রেখে দেন ওই নারী। একপর্যায়ে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ঝাউচর মেইন রোডের দিকে চলে যান তিনি। এভাবেই নিখোঁজ হয়ে যায় শিশু তাওসীন।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে শিশু অপহরণ চক্রের বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।


তিনি জানান, স্বামী-স্ত্রীর এই চক্রটি নিঃসন্তান কোনো দম্পতির কাছে বাচ্চার অর্ডার পেয়ে শিশু অপহরণ করতো। এরপর শিশুটিকে বিক্রি করে দিতো তারা। তারা হলেন অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২) ও তার স্বামী শিশু বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহান (৩৪)। বুধবার (২৭ মার্চ) কুমিল্লার লালমাই ও বরুড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।



তাওসীন অপহরণের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এমন তথ্য পায় ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে শাহজাহানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুটিকে। শাহজাহান ৫০ হাজার টাকায় সাইফুল-নেহা দম্পতির কাছ থেকে ওই শিশুকে কিনে নিয়েছিলেন।


ডিবি জানায়, চক্রটি নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশু বিক্রির অর্ডার নিয়ে অপহরণের জন্য মাঠে নামতো। পরে চাহিদামতো শিশু পেলে কৌশলে অপহরণ করে বিক্রি করে দিতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছে। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের ঘটকদের মতো নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে শিশু চুরি করে বিক্রি করতো। অপহরণের কাজটি করতেন সাইফুলের স্ত্রী নেহা। তিনি বোরকা পরে বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের টার্গেট করতেন। এরপর কৌশলে তাদের চকলেট, চিপসসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে করে নিয়ে সটকে পড়তেন। 


ভুক্তভোগী শিশু তাওসীনকে তারা অপহরণ করে কুমিল্লার শাহজাহানের কাছে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন।


ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা

চায়ের দোকানে ভাইভা পরীক্ষা, চুক্তি ২০ লাখ টাকা
সংগৃহীত

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।


সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।


ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।


গ্রেফতাররা হলেন- মো. ফরিদুল ইসলাম (২৯), মো. নাসির চৌধুরী (৪৫), মো. নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।


বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেফতাররা বেশ কিছুদিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে দেখিয়ে প্রদানের মাধ্যমে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা যায়।


প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।


ডিবিপ্রধান আরো বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো। পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো। এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো। অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, পরবর্তী সময়ে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্রে উল্লেখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে গেলে জানতে পারেন, প্রতারক চক্রের দেওয়া নিয়োগপত্র আর আইডি কার্ডটি ভুয়া। ততোদিনে তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মতো। পরে চক্রটি নিজেদের মধ্যে চুক্তির টাকা ভাগাভাগি করে নিতো।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানায়, চক্রটি গত দু-তিন বছর ধরে এভাবে চাকরিপ্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, তারা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, এলজিইডি, সচিবালয়, বিভিন্ন ব্যাংক, প্রাথমিকের পিয়ন, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস ও ওয়াসার আউটসোর্সিং এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে নিয়োগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিতো।


গ্রেফতার এ চক্রে জুয়েল রানা ফিল্ড পর্যায়ে মাঠকর্মী, নাসিম মাহমুদ ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্ট ও নাসির চৌধুরী ঢাকাস্থ সাব-এজেন্ট এবং চক্রের মূলহোতা হিসেবে ফরিদুল ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়।


১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর মামলা করেন এক ভুক্তভোগী । মামলার বাদীকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র নিয়ে তিন মাস পরে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে যোগদানের জন্য গেলে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরবর্তী সময়ে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করতে গেলে তাদের ব্যবহৃত সব মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। মামলার বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।


ডিবি-সাইবারের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল হক বলেন, চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা কারে নিলেও কারও চাকরি দিতে পারেনি। পত্রিকায় চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে শুধু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনো লেনদেন করা যাবে না।


তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরূদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামিদের ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ

ইলিশের কেজি ৭০০ টাকা নির্ধারণ করতে আইনি নোটিশ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রকের কাছে এ নোটিশ পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।

নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচাররোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া। এছাড়া ভবিষ্যতে যেকোনো দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ মূলত বঙ্গোপসাগরের মাছ। মহান আল্লাহ প্রদত্ত এই ইলিশ মাছ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশের চেয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমা অনেক বেশি বিস্তৃত। ভারত ও মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় প্রচুর ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন নদীতেও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। এই ইলিশ মাছ সাগরের মাছ হলেও ডিম পাড়ার জন্য যখন ইলিশ পদ্মা নদীতে আসে, তখন ইলিশ মাছ পদ্মার বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে পরিপুষ্ট হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে উঠে। মূলত পদ্মা নদীর ইলিশ মাছই স্বাদে ও গন্ধে উৎকৃষ্ট। ফলে পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ যখন রান্না করা হয় তখন এর সুঘ্রাণ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু ইলিশ মাছ সাগরের মাছ তাই এই মাছ পুকুরে বা অন্য কোনো স্থানে চাষ করতে হয় না। ফলে ইলিশের কোনো ধরনের উৎপাদন খরচ নেই। এটি শতভাগ প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মাছ। বাংলাদেশে রুই, কাতলাসহ যেসব মাছ চাষ করা হয় তা বাজারে কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ৫শ টাকাতে খুচরা বিক্রয় করা হয়। বাংলাদেশে ভারতীয় এজেন্টরা ও মাছ রপ্তানিকারকরা সারা বছর পদ্মা নদীর ইলিশ মাছ মজুদ করে রাখে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার করে। বাংলাদেশের পদ্মা নদীর সব ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় মাছ হওয়া সত্ত্বে বাজারে গিয়ে পদ্মা নদীর ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশ মাছের মতো সুস্বাদু নয়।

বাংলাদেশে ইলিশ সুরক্ষায় তিন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এর মধ্যে অক্টোবরে ২২ দিন। এ সময় মা মাছের ডিম ছাড়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর বাচ্চা হলে তার সুরক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাস নিষেধাজ্ঞা থাকে। মাছের বাড়ানোর জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই আবার এক দফায় সাগরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। অন্যদিকে ভারতে নিষেধাজ্ঞা থাকে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। ১৫ জুন শুরু হয় তাদের মাছ ধরা। বাংলাদেশে ইলিশ মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সুবিধা পাচ্ছেন ভারতের মৎস্যজীবীরা। এক মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে চলা নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ইলিশ মাছ ধরা হয়। এতে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বেশি ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা তাই অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে এখনো ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ। নোটিশ প্রাপকদের দায়িত্বে অবহেলার ফলে বাংলাদেশের জনগণ কম দামে বড় আকারের সুস্বাদু পদ্মার ইলিশ মাছ তথা জাতীয় মাছ খাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোতে জাতীয় মাছ ইলিশের দাম বাংলাদেশের জনগণের ক্রয়সীমার বাইরে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হওয়ার পর ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার কারওয়ান বাজারে এবং ২৬ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সময় হঠাৎ করেই অভিযান পরিচালনার স্থানে দাম কমে যায় ইলিশ মাছের। অথচ জাতীয় মাছ ইলিশ নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ করে এক শ্রেণির মৎস্য ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে মনোপলি কর্মকাণ্ড করলেও নোটিশ প্রাপকরা প্রতি কেজি ইলিশের সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করে বাংলাদেশের জনগণকে সুলভে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি।  

নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে রপ্তানি শুরু হয়েছে। ভারতে যেই দামে ইলিশ মাছ রপ্তানি হচ্ছে, তার চেয়ে প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ৯শ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে বাংলাদেশের ভোক্তাদের। ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগে তৈরি করা। এছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী, ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য কোনো পণ্য নয়। এই মাছ রপ্তানি করতে চাইলে যথাযথ শর্ত পূরণ করতে হবে। তাই ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে দেশীয় বাজারদরের চেয়ে বেশি মূল্যে রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা উচিত ছিল। বাংলাদেশের জনগণ যেখানে প্রতি কেজি ইলিশ মাছ ১৯০০-২৪০০ টাকায় খুচরা বাজারে কিনছে সেখানে ভারতে রপ্তানি মূল্য কীভাবে ১১৮০ টাকা হতে পারে? এর ফলে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও নোটিশ প্রাপকরা চরম দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়ে রাষ্ট্র ও জনগণের ক্ষতিসাধন করেছেন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
সংগৃহীত

কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায়  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে  "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।

উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।

জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

স্ত্রী-ছেলেসহ ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

স্ত্রী-ছেলেসহ ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্ত্রী-ছেলেসহ ছাগলকাণ্ডের আলোচিত সেই মতিউরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাজস্বের আলোচিত সেই মতিউর রহমান, তার স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।  

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) এই আদেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মীর আহমেদ আলী সালাম।  

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে তাকে। পাশাপাশি তাকে সোনালী ব্যাংক থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

সরকার পার্বত্য জেলায় শান্তি নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর
সংগৃহীত

গতকাল খাগড়াছড়ি ও আজ রাঙামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। 

উল্লেখ্য, গত বুধবার এক ব্যক্তিকে গণপিটুনি ও পরবর্তীতে তার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান হামলা, আক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনায় সরকার গভীরভাবে দুঃখিত এবং ব্যথিত।

প্রধান উপদেষ্টার মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো বার্তায় আরো বরা হয়, সরকারের পক্ষ থেকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সকল বাহিনীকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে এবং পার্বত্য তিন জেলায় বসবাসকারী সকল জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।

বার্তায় আরো বলা হয়, আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়া এবং ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত না হওয়ার জন্য সকলকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে। আইন নিজ হাতে তুলে নেওয়া এবং যে কোনো সম্পত্তি ধ্বংস করা দণ্ডনীয় ও গর্হিত অপরাধ। সহিংসতার সঙ্গে সম্পর্কিত সকল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি খুব শিগগিরই গঠন করা হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

মিডিয়া উইং এ আরো বলা হয়, আগামীকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি পরিদর্শন করবেন। এই প্রতিনিধি দলে থাকছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এবং প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

এর আগে খাগড়াছড়িতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ক-র্ত-ন, স্ত্রী আটক

ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ ক-র্ত-ন, স্ত্রী আটক
সংগৃহীত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :


টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ দা দিয়ে কেটে নিয়ে পালিয়ে যায় স্ত্রী জাকিয়া। এ ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামী ফিরোজকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনেরা। এদিকে পলাতক স্ত্রীকে আটক করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ।   

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফিরোজ (২৯)  উপজেলার রাউৎবাড়ী গ্রামের মৃত শাহজাহান ছেলে এবং জাকিয়া (২৬) একই উপজেলার জিগাতলা গ্রামের মো. জামিলের মেয়ে। ফিরোজ পেশায় একজন এক্সকেভেটর (বেকু)  চালক।  এ ঘটনায় আহত ফিরোজকে প্রথমে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এবং পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকে (কলেজ) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। 

এদিকে ঘটনার পর স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়। এছাড়া কর্তনকৃত পুরুষাঙ্গটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডাক্তারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কর্তন হওয়া পুরুষাঙ্গ উদ্ধার করে জোড়া লাগাতে না পারলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান , প্রায় এক যুগ আগে  ফিরোজ ও জাকিয়া ভালবেসে বিয়ে করেন।

তাদের ঘরে পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই একে অপরকে পরকীয়া প্রেমের সন্দেহে নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য শালিস হয়। সম্প্রতি গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। সেখানে শালিসে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও পরবর্তীতে ৩ লাখ টাকা না দিতে পেরে ফিরোজ স্ত্রীকে আবারও বাড়িতে নিয়ে আসে। 

এদিকে কিছুদিন যাইতে না যাইতে আবারও তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর ফলশ্রুতিতে বুধবার সকালে স্ত্রী জাকিয়া তার স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখণ্ডিত করে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে পলাতক স্ত্রী জাকিয়াকে  উপজেলার জিগাতলার নিজ গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।  

প্রতিবেশী আলমগীর বলেন, ঘরের ভিতর গিয়ে দেখি স্বামী ফিরোজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। ঘর রক্ত দিয়ে ভেসে গেছে। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকেই স্ত্রী পলাতক রয়েছে। 

ফিরোজের ফুফাতো ভাই রবিন জানায় ,আমি পুকুরের পাড়ে গোসল করতেছিলাম, তখন কেরু কাকার বউ এসে এ দুর্ঘটনার কথা জানায় । পরে আমরা ৪-৫ জন এসে ভাইকে ধরে নিয়ে সিএনজি করে ভূঞাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স করে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল নিয়ে যাওয়া হয়। 

ফিরোজের মা ফরিদা বেগম বলেন, সকালে ফিরোজকে ঘুমে দেখে আমি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। হঠাৎ সাড়ে ৯ টার দিকে ফিরোজের বৌ আমাকে ফোন দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়িতে যান। আপনার ছেলে যেন কেমন করছে। একথা বলেই সে ফোন কেটে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমার ছেলের সাথে যা করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, ঘটনাটি স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমুদ্রের মাঝে ট্রলার বিকল, উদ্ধার হলো ৪৫ জন যাত্রী

ককসিট তৈরির কারখানা ও গুদামে আগুন

অস্ত্র-গুলিসহ ছাত্রলীগকর্মী আটক

প্রেমিকার বড় ভাইয়ের হাতে প্রেমিক খুন

৩৬ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেফতার

আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক আটক

কুলখানি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুন

কুমিল্লা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৪১ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

দুধ দিয়ে গোসলের পর ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘোষণা

ট্রাকের ধাক্কায় বাবা–মেয়ের মৃত্যু,আহত হলো দুইজন

১০

হ-ত্যা মামলায় ২ ভাইয়ের ফাঁ-সি-র আদেশ দিয়েছেন আদালত

১১

ইন্টারপোল সম্মেলনে যোগ দিতে মরক্কো গেলেন আইজিপি

১২

হাসিনা, জয় ও পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে ২৭ নভেম্বর

১৩

ওসির প্রত্যাহারের খবর পাওয়া মাত্রই পাওনাদাররা ভিড় জমালো থানায়

১৪

কুমিল্লায় মুড়ির মিলে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ২ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

১৫

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৭ দিনে ৪২৭ জন গ্রেপ্তার

১৬

জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে আ.লীগ নেতাদের হাতাহাতি

১৭

কুমিল্লায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর মনিটরিং

১৮

বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

১৯

কুমিল্লায় যৌথ অভিযান

২০