ভাবুন তো, আপনি টাইপ করছেন আর আপনার এ কথা বলার মধ্য দিয়েই তৈরি হয়ে যাচ্ছে ভিডিও । শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটি বাস্তবে সম্ভব।
অ্যালফাবেট মালিকাধীন সার্চ ইঞ্জিন এবার টেক্সট টু ভিডিও জেনারেটর হিসেবে চমক দিতে এমনই এক নতুন প্রযুক্তির ঘোষণা করলো ।
জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের রয়েছে অসংখ্য ফিচার। প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে গুগল।
তবে টেক্সট টু ইমেজ জেনারেটর হিসেবে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি গুগল। তাই এবার এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ । যা নিয়ে হইচই ইন্টারনেট দুনিয়ায়। এই টুলের নাম গুগল ভিডস যেটি এআইয়ের মাধ্যমে টেক্সটকে ভিডিওতে রূপান্তরিত করবে। অর্থাৎ আপনার যেমন ভিডিও দরকার তা লিখে দিলেই তেমন ভিডিও বানিয়ে দেবে গুগলের নতুন অ্যাপ।
কিছুদিন আগে এমনই এক প্রযুক্তি এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ওপেনএআই। এতটাই নিখুঁত এবং চমকপ্রদ ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে ভিডিওটি মানুষ না রোবট বানিয়েছে তা ধরা মুশকিল। সেই রকম কিছুটা কাজ করবে গুগল ভিডস। যেখানে ব্যবহারকারীরা শুধু বর্ণনা দিলেই ভিজ্যুয়াল ছবি ফুটে উঠবে।
এই অ্যাপে গুগলের দ্বারা তৈরি করা টেম্পলেট থাকবে। যা ব্যবহার করতে পারেন ব্যবহারকারী। অথবা ব্যবহারকারী নিজস্ব প্রম্প্টও দিতে পারবে সেখানে। তিনি যেমনটা বানাতে চান তা সঠিকভাবে লিখে দিলেই তৈরি হবে ভিডিও। এদিন ব্লগ পোস্টে গুগল ভিডস সম্পর্কিত একাধিক তথ্য প্রকাশ করেছে সার্চ ইঞ্জিন।
চাইলে ব্যবহারকারী তার নিজের ভয়েস ওভার যোগ করতে পারবেন ভিডিওতে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির দ্বারা ম্যাজিকের মতো তৈরি হবে যে কোনো ভিডিও।
মন্তব্য করুন
নাসার টেলিস্কোপে মিলল পৃথিবীর মতো দেখতে আরো এক গ্রহের হদিস । ওই গ্রহের অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে । গ্রহটির নাম হল এলটিটি ১৪৪৫এসি। গ্রহটি অবিকল পৃথিবীর আকারের মত। তার মাধ্যাকর্ষণ টানও নাকি পৃথিবীরই মতো! যা বিজ্ঞানীদের অবাক করেছে।
এরিডেনাস নক্ষত্রমণ্ডলে পৃথিবী থেকে ২২ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে নতুন ‘পৃথিবী’। বিজ্ঞানীরা জানান, ২০২২ সালে নাসার অন্য একটি উপগ্রহে এলটিটি ১৪৪৫এসি-র উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। তবে সেই ক্যামেরায় ছবি কিছুটা অস্পষ্ট ছিল। তাই গ্রহটি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি, নাসার হাব্ল টেলিস্কোপে ওই গ্রহটির ছবি দেখা গেছে স্পষ্টভাবে। গ্রহটির আকার এবং অন্য বৈশিষ্ট্যও বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই গ্রহটির কাছাকাছি রয়েছে তিনটি নক্ষত্র। বিরল অবস্থানে সে ঘুরে চলেছে। হাব্ল-এর ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা ভালো করে গ্রহটিকে পর্যবেক্ষণে সক্ষম হয়েছেন। দেখা যায়, গ্রহের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে মাত্র ১.০৭ গুণ বেশি। পৃথিবীর মতো মাধ্যাকর্ষণ টান রয়েছে গ্রহটির। গ্রহের জমি পাথুরে।
তবে পৃথিবীর মতো হলেও এই নতুন গ্রহের উষ্ণতা অনেক বেশি। গ্রহটির তাপমাত্রা ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।গ্রহটি একটি ছোট লাল নক্ষত্রের চারপাশে ঘোরে। তার নাম এলটিটি ১৪৪৫এ। নক্ষত্রটিকে অপেক্ষাকৃত বড় আকারের আরো দু’টি গ্রহ সার্বক্ষণিক প্রদক্ষিণ করে।
সূত্র: নিউ অ্যাটলাস, গিজমোডো
মন্তব্য করুন
মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। এ ছাড়া ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
তিনি বলেন, মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ইউনেস্কো ২০০০ সাল থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে এ দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মেইক ল্যাঙ্গুয়েজ কাউন্ট ফর সাসটেউনেবল ডেভেলপমেন্ট’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ ও দেশের ভাষাসমূহের মর্যাদা রক্ষায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে, যা দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ড. ইউনূস আরো বলেন, শত বছরের শোষণে ও শাসনে জর্জরিত বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম জয়যাত্রা ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে। বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের ভিত রচিত হয়েছিল। এ দিনে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে প্রাণোৎসর্গ করেছিলেন আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম, রফিক উদ্দিন আহমদ, শফিউর রহমানসহ আরো অনেকে।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, ১৯৫৬ সালে বাংলা রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় এবং ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এই দিনে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
প্রফেসর
ইউনূস সবাইকে মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
জানান। তিনি এ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস
মন্তব্য করুন
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতিতে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় নির্বাচন
কমিশন (ইসি) ছয় কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে ।
আইডিইএ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন)
মেজর মাহমুদুল হাসান তালুকদার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ থেকে বিষয়টি নিয়ে জানা গেছে
, উক্ত ছয় কর্মচারী এনআইডি সংশ্লিষ্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস
টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ) দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।
ছয় কর্মচারী হলেন- অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. বুলবুল
আহমেদ ও মো. সজীব আহমেদ, অফিস সহায়ক মো. নুরুজ্জামান, মো. জুলফিকার আলী ও সরদার
আবুল কালাম পাভেল এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মাহবুবুর রহমান।
আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, প্রকল্প কার্যালয়ে কর্মরত ছয়
কর্মচারীর বিরুদ্ধে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন এবং এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন অনৈতিক
কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রকল্পের চাকরি থেকে অব্যাহতি
দেওয়া হলো।
সম্প্রতি এক উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ছয় কর্মচারীকে
বরখাস্ত করেছে ইসি।
মন্তব্য করুন
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট থেকে সূর্যের গা থেকে একটু একটু করে খসতে শুরু করে। প্রকট হতে থাকে উজ্জ্বল কাস্তের ফলা। তার পরে একেবারে চাঁদের আড়ালে চলে যায় সূর্য। দিনের বেলা অন্ধকার নামে পৃথিবীর বুকে। পূর্ণগ্রাস গ্রহণ শুরু হয়েছিল ১টা ৪০ মিনিটে। পুরোপুরি ঢেকে যায় সূর্য। আর ঠিক এই মুহূর্তে স্পষ্ট ভাবে, উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সূর্যের করোনা (সূর্যের পরিমণ্ডলের একেবারে বাইরের স্তর)। এ দিনের গবেষণায় বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য ছিল এই করোনা-ই। তাঁদের বিশ্বাস, সূর্যের এই অংশের কার্যকলাপ বা গতিবিধি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং চমকপ্রদও বটে।
গত ৮ এপ্রিলের (সোমবার) পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হয়েছিল মেক্সিকো, আমেরিকা ও কানাডা থেকে। বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ১০ হাজার সাধারণ মানুষ। এই সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি এরিস-এর গবেষকেরা। তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাসের ডালাস শহরে। উদ্দেশ্য, সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা। ডালাসের ‘কটন বোল স্টেডিয়াম’-এ গ্রহণ পর্যবেক্ষণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখার জন্য উত্তেজনায় ফুটছিলেন সকলেই। গ্রহণ দেখলেন তাঁরা, জানলেন সৌরজগতের খুঁটিনাটি, বিজ্ঞানের গল্প শুনলেন বিশেষজ্ঞদের থেকে।
দীপঙ্কর বলেন, ‘‘এমন বিরল ঘটনার সাক্ষী হতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। তা ছাড়া এই গবেষণার জন্যেও এটা আদর্শ সময়।’’গত বছর ২ সেপ্টেম্বর মহাকাশে পাড়ি দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর প্রথম সৌরযান ‘আদিত্য-এল১’। এ বছর ৬ জানুয়ারি সে পৌঁছয় গন্তব্যে। বর্তমানে পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এল ১ পয়েন্টকে ঘিরে থাকা হ্যালো অরবিট থেকে আদিত্য নজর রাখছে সূর্যের উপরে। এটি একটি করোনাগ্রাফি স্পেসক্রাফ্ট। পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সূর্যের পরিমণ্ডলের উপর নজরদারি চালাচ্ছে সে। আদিত্যের ৭টি প্রোব-ই নিয়মিত ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সূর্য ও তার হেলিওস্ফিয়ারকে নিয়ে।
দীপঙ্কর জানান, ঠিক এই সময়ে সূর্যগ্রহণ— এর থেকে ভাল সুযোগ হতে পারত না বিজ্ঞানীদের জন্য। সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবীর এমন অবস্থানে স্পষ্ট হয়ে উঠবে সৌর পরিবেশ বা সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ার। এই সোলার অ্যাটমোস্ফিয়ারের সব চেয়ে বাইরের অংশকে বলা হয় করোনা। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময়ে করোনার ভিতরের অংশ অনেকটাই পরিষ্কার দৃশ্যমান হবে।
ডালাসের স্টেডিয়ামে উপস্থিত এরিসের দলে দীপঙ্কর ছাড়াও ছিলেন বিজ্ঞানী এস কৃষ্ণপ্রসাদ এবং বিজ্ঞানী টি এস কুমার। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি ১৪ সেন্টিমিটার টেলিস্কোপ। গ্রহণকালে দূরবীক্ষণ যন্ত্রটির উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সূর্যের করোনায় তীব্র গতিতে ঘটতে থাকা পরিবর্তন। দীপঙ্কর বলেন, ‘এই ক্যামেরা এতটাই শক্তিশালী যে প্রতি সেকেন্ডে ৮টি ফ্রেম বন্দি করতে পারে।’’ দীপঙ্কর বলেন, ‘ইসরোর সৌরযান আদিত্য-এল১-এও একটি করোনাগ্রাফ যন্ত্র রয়েছে। পরবর্তী কাজ হচ্ছে, আদিত্যের করোনাগ্রাফ থেকে পাওয়া তথ্য ও আমাদের গ্রাউন্ড রিপোর্ট মিলিয়ে দেখা। বিষয়টা নিয়ে আমরা খুবই উত্তেজিত।’
মন্তব্য করুন
এআই ডিপফেক হল এমনই একটি প্রোগ্রাম, যা দ্বারা অডিও, ভিডিও ও ছবিতে কারসাজি করে এমন কনটেন্ট বানানো হয়, যা দেখে আসল কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না।
সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে যারা কাজ করে থাকেন তারা আগে থেকেই এআই ডিপফেক নামটির সঙ্গে পরিচিত। অত্যাধুনিক এআই ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে যে কোনও মানুষের চেহারা ও আওয়াজসহ সবকিছুই অবিকল অনুকরণ করা যায়। এখন পর্যন্ত সেই ডিপফেক শুধু সেলিব্রেটিদের নিশানা করলেও নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই যে টার্গেট লিস্টে ভবিষ্যতে আপনি থাকবেন না।
ডিপফেক যেভাবে তৈরি করা হয়,
ডিপফেকের অ্যালগরিদম দু’টি মুখের অর্থাৎ আসল ভিডিও’র মুখ এর পরিবর্তে যে মুখ সেখানে বসানো হবে দু’টির মধ্যে মিল খুঁজে বের করে। তারপর তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলো মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারজন্য এমনই ভিডিও খুঁজে বের করা হয়, যেখানে ক্লোজ আপ শট প্রায় থকেনা বল্লেই চলে। ডিপফেক ভিডিও’র দৈর্ঘ্য খুব একটা বড় হয় না কারণ এই প্রযুক্তির পক্ষে বড় ভিডিওকে একেবারে হুবহু এডিট করা প্রায় অসম্ভব।
ডিপফেক ভিডিও যেভাবে বুঝবেন,
ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির তাকানো কিংবা মুখের এবং শরীরী ভঙ্গিমাতে অসঙ্গতি থাকে। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির কথা বলা কিংবা কাজের সঙ্গে তার চাহনির মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। ব্যক্তির মুখ এবং আশপাশের আলোতে সামঞ্জস্যের অভাব থাকে।
অডিওর মানও আর পাঁচটা স্বাভাবিক ভিডিওর চেয়ে আলাদা তকে। তাই কোনও ভিডিও নিয়ে সন্দেহ হলে সেই ভিডিওর অডিওর মান যাচাই করে নিতে হবে। ডিপফেক ভিডিওতে ব্যক্তির হাত-পা কিংবা মুখের আদল বেশ খানিকটা বদলে যায়। অর্থাৎ দেখতে লম্বাটে কিংবা চ্যাপ্টা লাগে। ভালো করে দেখলে এই বিকৃতভাব চোখে পড়বে।
সূত্র : দ্য ওয়াল।
মন্তব্য করুন
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে
আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকের বৈঠকে মৌলিকভাবে এই বিভাগের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা বলতে চাই, সাইবার সিকিউরিটি আইনের
যে ধারাগুলো নিয়ে সমালোচনা রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। এ সময় তিনি বলেন, কোটা
সংস্কার আন্দোলনের সময়ে যেসব স্টার্টআপ শিক্ষার্থীদের পক্ষ নেওয়ায় বিরূপ আচরণের শিকার
হয়েছে, তাদের বিনিয়োগ নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক
প্রতিষ্ঠান ‘টেন মিনিট স্কুল’-এর
জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব গত ১৬ জুলাই বাতিল করে আইসিটি বিভাগের আওতাধীন
সরকারি সংস্থা স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড। টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও
আয়মান সাদিক সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের পক্ষ নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।
এর পরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকালে ইন্টারনেট শাটডাউন
নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রবিবারে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার
কথা।
এর পেছনে যদি সাবেক প্রতিমন্ত্রী বা
কোনো সংস্থাপ্রধান জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না—তা জানতে চাওয়া হলে নাহিদ ইসলাম বলেন,
অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আজকের মধ্যে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আসবে। এরপর যদি মূল্যায়ন
করে আরও তদন্ত প্রয়োজন হয়, সেটি করা হবে। এতে যদি সরকারের কোনো লোক, সংস্থা বা মন্ত্রী
কেউ জড়িত থাকেন, অবশ্যই বিচার করা হবে। ইন্টারনেটে অবাধে তথ্যপ্রবাহ হয়, এটি মানবাধিকার।
কিন্তু এই ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে, শত শত মানুষকে মেরে ফেলা
হয়েছে। এ বিভাগের প্রকল্পে দুর্নীতি ও অবহেলার সুযোগ নেই।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি স্যামসাংয়ের আনপ্যাকড ইভেন্টে গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ফোনের সঙ্গে এসেছে বেশ অবাক করার মতো ছোট এক গ্যাজেটের ঘোষণা, যার নাম - গ্যালাক্সি রিং।
একেবারেই নতুন এই গ্যাজেট প্রসঙ্গে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ডিজিটাল হেলথ বিভাগের প্রধান ডা. মান পাক-এর সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট যদিও এ গ্যাজেট সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে, স্যামসাং যে ফিচারগুলো নিয়ে কাজ করছে তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ।
ডা. পাক বলেন , স্যামসাং হেলথ-এ আমাদের ভূমিকা হল স্বাস্থ্যসেবাকে সহজ করা। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষ কোথায় রয়েছে, তাদেরকে সে পথটি বুঝতে সাহায্য করা । পরিবর্তনশীল খরচের ফলে স্বাস্থ্যসেবা আজকাল বাড়িতেই চলে আসছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে এটি দ্রুত হচ্ছে। তবে, আমি মনে করি এটা অন্যান্য জায়গায়ও ঘটে। আমাদের একটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেটি মূলত খরচের কারণে, কর্মশক্তির ঘাটতিও একটি কারণ। আমরা মনে করি আমাদের ডিভাইসের পোর্টফোলিও নিয়ে অনন্য একটি জায়গায় রয়েছি আমরা। এমনসব স্বাস্থ্য ফিচার যেগুলো মানুষ ঘরে বসেই ব্যবহার করতে পারবে সেগুলো বাজারে আনার এটিই উপযুক্ত সময় হিসেবে স্যামসাং বিশ্বাস করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক ডিভাইসের কিছু ঘাটতিও রয়েছে। এটা ঠিক যে একটি স্মার্টওয়াচ সকালে নিশ্চিত করে বলতে পারে যে, গতরাতে ঘুম ভাল হয়েছে কি হয়নি। কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য এটি যথেষ্ট তথ্য নাও হতে পারে বলে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
ডা. পাক আরো বলেন,লোকজন বলছেন তারা কীভাবে ঘুমাচ্ছেন বা ব্যায়াম করছেন সেটির ধারণা পাওয়ার বিষয়টি দারুণ। ঘুমের বিষয়টি আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কোরিয়ান এফডিএ আমাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া (নিদ্রাহীনতা) স্ক্রিনিং সনাক্তকরণ অনুমোদন করেছে। আমাদের চারটি নতুন সূচক রয়েছে যা আমরা ঘুমের সময় ট্র্যাক করছি, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রাতের চলাচল ও ঘুমের বিলম্ব। আমরা যা বুঝতে পেরেছি তা হল, ঘুমের সময় যখন আমরা মাপি যে কীভাবে হৃদস্পন্দন বা রক্তচাপ কমে যায়, সেগুলো কেবল আপনার ঘুমের গুণমান নয় আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও ইঙ্গিত দেয়। আমরা মনে করি, এগুলো অসুখের সম্ভাব্য প্রাথমিক হস্তক্ষেপের সূচক, আর ডাক্তারদের কাছে এসব তথ্য নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করেছেন ডা. পাক। এটি অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে এমন ধারণা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মনে করি না ডাক্তাররা কখনই পুরোপুরি চলে যাবেন। তবে, আমি মনে করি ডাক্তাররা এআই ব্যবহার করছেন না এমন দিন সম্ভবত সময়ের সঙ্গে চলে যাবে। কারণ, এআই এখন যথেষ্ট পরিপক্ক। আপনি যদি এটির সুবিধা না নেন তবে আপনি সঠিক দক্ষতা পাবেন না।
ইন্ডিপেনডেন্ট এর প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচনার এক পর্যায়ে ড. পাক গ্যালাক্সি রিং-এর বেশকিছু প্রোটোটাইপ সংস্করণ দেখান। এগুলো প্রোটোটাইপ হওয়ায় রং, উপাদান থেকে শুরু করে নকশাও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানান তিনি। প্রোটোটাইপগুলো এক ডজন ভিন্ন আকারে ও সোনালী আর কালোসহ চারটি ভিন্ন রঙের ছিল। রিংগুলোর বাইরের প্রান্ত কিছুটা অবতল, স্পর্শে যেটি দারুণ আকর্ষণীয় লাগে বলে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট। এটি হালকা ও আরামদায়কও, ফলে রাতে পরার জন্য এটি স্মার্টওয়াচের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য।
রিং বা আংটি জাতীয় কোনোকিছুর মূল সুবিধা হল, এটি মনোযোগ ভাঙার মতো কোনো স্ক্রিন বা তেমন ওজন ছাড়াই সবসময়ে শরীরের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে। কেউ এ আংটি পরে থাকলে এটি নিঃশব্দে ক্রমাগতভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। ড. পাক বলেন, এসব পরার মতো গ্যাজেট আমাদের এমনভাবে তথ্য বা প্রসঙ্গ দিতে পারে যা আমরা আগে কখনোই ভাবিনি। আমরা ডাক্তারের চেম্বারে যাই, রক্তচাপ পরীক্ষা করি। আবার ছয় মাস বা এক বছর পর ফিরে এসে আরেকটি পরীক্ষা করি।
বাস্তবে, এখানে অনেক প্রসঙ্গ বা তথ্য রয়েছে যা ডাক্তাররা বা ব্যক্তি নিজে জানলেই বদলাবে। আর মৌলিকভাবে এটি আমাদের কিছু ব্যবস্থাপনা ও জীবনধারার পছন্দ বা বিকল্পকে পরিবর্তন করবে। প্রথমবারের মতো এটি আমাদের পরিবর্তনের উপায় ও সুযোগ দিচ্ছে যা আগে সম্ভব ছিল না। এই ধরনের প্রযুক্তি আমাদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রান্তিক গ্রাহক পর্যায়টি বুঝতে সাহায্য করছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ সুখবরটা দিয়েছে।
সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি নতুন ফিচার সংযোগ করতে যাচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সুবিধা দিতে নিয়ে আসছে ইন্টারনেট
সংযোগ ছাড়াই ছবি, ফাইল, ভিডিও আদান-প্রদানের সুযোগ।
এ সুবিধার কারণে ব্যবহারকারীরা অফলাইনেই ফাইল ও ডকুমেন্ট
ট্রান্সফার করতে পারবে। মোবাইল ডাটা সার্ভিস চালু না থাকলেও হোয়াটসঅ্যাপের এ সুবিধা
নেয়া যাবে।
নতুন এ ফিচারটি চালু হলে উপকৃত হবে বিশ্বের অসংখ্য নেট ব্যবহারকারীরা।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার না করা গেলেও নেট ছাড়া ব্যবহার করা যাবে
হোয়াটসঅ্যাপের এ নতুন ফিচারটি।
কিন্তু এ ফিচার ব্যবহার করা যাবে কাছাকাছি কোনো ডিভাইসে। ওই ডিভাইসে চালু থাকতে হবে অফ লাইন ফাইল শেয়ারিং ফিচার। এ অপশনটি সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই এখন রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্ক্যান করে ব্লুটুথের মাধ্যমে
যেভাবে এক ফোন থেকে অন্য এক ফোনে দ্রুত ফাইল আনা নেয়া যায়, ঠিক সে প্রযুক্তিই কাজে
লাগানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে। নিরাপত্তার খাতিরে ব্যবহারকারীদের ফোন নাম্বার গোপন থাকবে
এবং শেয়ার করা ফাইলগুলোও এনক্রিপট করা হবে। অনেকটা শেয়ার ইট অ্যাপের মতো কাজ করবে নতুন
এ ফিচারটি। এরই মধ্যে এ নতুন ফিচার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা সংশ্লিষ্টরা।
খুব শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে নতুন ফিচারটি। তবে লেটেস্ট ভার্সন
পেতে অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপ আপডেট করে নিতে হবে ব্যবহারকারীদের।
মন্তব্য করুন
ছাত্র-জনতার
আন্দোলন চলাকালে ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ মামলার ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দিতে একটি
হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
আইন,
বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে,
“যদি কোনো ব্যক্তি গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক
ফৌজদারি মামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তাকে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার
লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন কল সেন্টারের ১৬৪৩০ নম্বরের (টোল ফ্রি) মাধ্যমে ভিকটিম
সাপোর্ট বা আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
সমাজের
দরিদ্র ও দুঃস্থদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে ২০১৬ সালে এই হেল্পলাইন সেবার
কার্যক্রম উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণ
আন্দোলনে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দায়িত্ব
নিয়ে তার প্রথম কর্মদিবসে এই হেল্পলাইন নম্বর ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজের দাম অবশ্যই কমাতে হবে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত ‘আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের গুরুত্ব’শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, আজকের দিনে ইন্টারনেট সেবা মৌলিক মানবাধিকার হওয়া উচিত। এ নিয়ে আইন করাটাও জরুরি। কখনোই ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া উচিত নয়। এ সেবা টেকসই ও সাশ্রয়ী করতে যা করার, তার সবই করবে বিটিআরসি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, মোবাইল অপারেটরেরা সব টাওয়ার কোম্পানিগুলোকে দিয়ে দিতে চাইছে। আবার অপারেটরেরা যদি সাশ্রয়ী দামে ফাইবারের সেবা নিতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী বলেন, মোবাইল অপারেটরগুলো ডাটা রেভ্যুলেশনে এখন ডিজিটাল সেবাদাতা হিসেবে পরিচিত হতে চায়। কিন্তু ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম পানির দামে নেমে না আসলে এটা সম্ভব নয়। এজন্য নেটওয়ার্ক সাসটেইন করতে হবে। তাই আমরা অ্যাসেট লাইট মডেলে যেতে পারি।
তিনি বলেন, বিটিআরসির অনেক ক্ষমতা কমেছে। তা পুনরুদ্ধারে কাজ করা হবে। সেই সাথে আগামীতে অধিক সংখ্যক লাইসেন্স আর দেওয়া হবে না। বরং টেকসই লাইসেন্স দিতে কাজ করা হবে। আমরা এখন ভয়েস ফ্রেন্ডলি থেকে ডেটা ফেন্ডলিতে যাবো।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কুল অব ল’র শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, অপতথ্যের অজুহাতে আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারি না। এজন্য আইন করা দরকার। টেলিকমের অবকাঠামো, কনটেন্ট ও প্রতিযোগিতা তিনটি বিষয় নিয়ে পলিসি পর্যালোচনা করে ঢেলে সাজানো উচিত।
গোলটেলিব বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন ফাইবার এট হোমের চেয়ারম্যান মঈনুল হক সিদ্দিকী, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফররুখ ইমতিয়াজ, টেলিটকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী, এমটবের মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার্স সাহেদুল আলম, বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান, আইএসপিএবির সভাপতি ইমদাদুল হক।
বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাবেক সভাপতি রাশেদ মেহেদী। সংগঠনের সভাপতি সমীর কুমার দে’র সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
মূল প্রবন্ধে রাশেদ মেহেদী বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক লাখ ৭১ হাজার ১০৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয়েছে। এই নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট ভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে। এ নেটওয়ার্কের ফলে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবা ছড়িয়ে পড়েছে।
মন্তব্য করুন