চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের
শারদীয় দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের ৭ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের
বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো.মাহবুব আলম শিকদার।
এসময় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী
ও বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
আজ (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার
পূর্ব গোমদণ্ডী লোকনাথ মন্দির পূজা মণ্ডপ ও জ্যৈষ্ঠ পুরা বীণা পাণি সংঘ পূজা মণ্ডপ
পরিদর্শনে যান তিনি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালখালী
থানা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শওকত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা,
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা
সহিদুল আলম, চট্টগ্রাম পল্লী সমিতি-১ এর ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী শ ম মিজানুর
রহমান সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
চাঁদপুর শহরে ঈদের জন্য নতুন পোশাক কেনার জন্য মায়ের সঙ্গে মার্কেটে গিয়ে লাশ হলো ছয় বছরের শিশু আফরোজা।
গতকাল রবিবার (৯ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় অটোরিকশার চাপা পড়ে শিশুটি নিহত হয়।
নিহত আফরোজা শহরের পুরানবাজার এলাকার প্রবাসী আবুল বাশারের ছোট মেয়ে। তারা শহরের আল আমিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্বজনরা জানান, বাসা থেকে মার্কেটের উদ্দেশ্যে মায়ের সঙ্গে ঘর থেকে বের হয় আফরোজা। জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী অটোরিকশা আফরোজাকে চাপা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান শোভন বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন কুমার।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাহার মিয়া বলেন, মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) কর্তৃক মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন (১০ বিজিবি) এর অধীনস্থ গোলাবাড়ী পোষ্ট এর টহলদল মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে বিজিবি টহলদল কর্তৃক সীমান্ত পিলার ২০৮১/৪-এস হতে ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরানীনগর বড়বাড়ী নামক স্থান হতে ৫২০ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১০ কেজি গাঁজা আটক করে। আটককৃত মাদকদ্রব্যের সর্বমোট মূল্য ২,৪৩,০০০/- (দুই লক্ষ তেতাল্লিশ হাজার) টাকা।
মন্তব্য করুন
সরকার
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে
৫ শতাংশ কোটার সেই আদেশ বাতিল করেছে ।
সোমবার আগের আদেশ বাতিল করে
নতুন আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে সই করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
উপসচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার।
নতুন আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে অনেক
ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারি করা আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ
জারি করা হলো।
এটাতে
বলা হয়, গত বছরে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের
সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি জারীকৃত আদেশ বাতিল
করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।
তবে,
কোটার স্থলে আহত ও নিহতদের সন্তানদের জন্য স্কুলে ভর্তিতে লটারির জন্য নির্ধারিত আসন
সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে একজন করে ভর্তির জন্য আসন সংরক্ষিত থাকবে।
আদেশে
আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে
সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং
ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ
বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই
করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
এ ছাড়া
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত
আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না বলেও আদেশে বলা হয়।
এর আগে,
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জারি করা এক আদেশে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের
পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।
মন্তব্য করুন
সংঘবদ্ধ
চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
গত
১৬ ডিসেম্বর এবং ১৮ ডিসেম্বর আবুল খায়ের মোঃ মাহবুব পারভেজ (৫৬) এবং হাসনা বেগম (৪১)
অজ্ঞাতনামা চোরদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় দুইটি পৃথক মামলা দায়ের করে।
পরবর্তী
পুলিশ সুপার কুমিল্লার নির্দেশে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ এবং জেলা গোয়েন্দা শাখা কুমিল্লার
একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার
সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন চাঙ্গীনি কোটবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন মনিরের বাড়ী থেকে মনিরকে
গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চোরাইকৃত ১টি এলইডি সনি টিভি এবং একটি এন্ড্রোয়েড মোবাইল
ফোন উদ্ধার করে। মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার সহযোগী সোহেল, সুমনকে একই থানা এলাকার
কচুয়া চৌমুহনী নুরুল ইসলামের বাড়ীর ২য় তলা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে। তাদের বাসা তল্লাশি
করে চুরির কাজে ব্যবহৃত ১টা পাইপ রেঞ্জ, ১টি হাতুড়ি, ১টি প্লাস এবং ১টি এন্ড্রোয়েড
মোবাইল উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের অপর সহযোগী বিল্লাল
(২৫)’কে চান্দিনা থানাধীন বাতাগাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে চোরাইকৃত
আরো ১টি এলইডি সনি টিভি উদ্ধার করা হয়।
জেলা
গোয়েন্দা শাখা ডিবি জানান, তারা ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ কুমিল্লা চাঁদপুর, ফেনী জেলার
বিভিন্ন জায়গায় খালি বাসা গুলোতে তালা কেটে চুরি করে।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো:
১।
মনির (৩৭), পিতা- মৃত আব্দুর রশিদ, মাতা-জোহরা খাতুন, সাং- পইয়াবাড়ি (মিয়া হাজী বাড়ী),
থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা এ/পি- চাঙ্গীনি, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা।
২।
সোহেল (২৮), পিতা- আব্দুল হক, মাতা- পারুল বেগম, সাং- পাইপেরগোড়া, থানা- কর্ণফুলী,
জেলা- চট্টগ্রাম, এ/পি- কইচ্চা চৌমুহনী, থানা- কোতয়ালী মডেল, জেলা- কুমিল্লা।
৩।
সুমন (২৮), পিতা- জশিম, মাতা- ফুল মাসা, সাং- লাজুর, থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা,
এ/পি- মুনসুরাবাদ (বোয়ালখোলা মাঠ), থানা- ডবলমুরিং, জেলা- চট্টগ্রাম।
৪।
বিল্লাল (২৫), পিতা- মৃত মজিবুর রহমান, মাতা- সাজিয়া বেগম, সাং- বাতাঘাসি, থানা- চান্দিনা,
জেলা- কুমিল্লা।
উল্লেখ্য
যে, আসামী মনির, সোহেল এবং বিল্লাল এর বিরুদ্ধে পূর্বে ০১টি করে চুরি মামলা এবং সুমন
এর বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
রাজধানীতে
ছিনতাই ও অপরাধ ঠেকাতে রাস্তার পাশের চা-পান ও সিগারেটের দোকান রাত ১১টার মধ্যে
বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
ডিএমপি
কমিশনার বলেন, রাস্তায় পুলিশের স্টিকার লেখা কোনো গাড়ি দেখলে ডিউটিরত পুলিশ অবশ্যই
যাচাই করবেন যে, সেটা আসলেই কোনো পুলিশ অফিসারের গাড়ি কি না। কারণ গাড়িতে পুলিশের
স্টিকার লাগিয়ে বা ডিএমপির লোগো লাগিয়ে সন্ত্রাসীদের চলাফেরার তথ্য পাওয়া গেছে।
যদি যাচাই করে দেখা যায় সেটা পুলিশের গাড়ি নয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ডিএমপির ক্রাইম ও ট্রাফিক বিভাগ এই বিষয়টি নজর রাখবেন।
তিনি
বলেন, কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী যেন কোনো প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না
পারে সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর থাকতে
হবে।
কমিশনার
বলেন, অন্যান্য রমজানের চেয়ে এবার রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ডিএমপির
ট্রাফিক বিভাগের সাথে ক্রাইম বিভাগও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। ট্রাফিক
নিয়ন্ত্রণ ট্রাফিক বিভাগের একার কাজ, এমনটা ভাবা যাবে না। ক্রাইম বিভাগের যাদের
সামনে রাস্তায় যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা দেখা যাবে তিনি সেখানে কাজ করবেন।
মন্তব্য করুন
নোয়াখালীর চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও ১৪৪ ক্যান বিয়ারসহ ২ মাদক কারবারিকে আটক করেছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় জেলার চাটখিল-সোনাইমুড়ী উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় তাদের।
আটকৃতরা হলো: চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের কড়িহাটি গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির মোহাম্মদ উল্ল্যার ছেলে মাহমুদ হাসান সজিব (২৯) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ঘাসের খিল গ্রামের সৈয়দ গাজী বেপারী বাড়ির সিদ্দিক উল্ল্যার ছেলে মো. ইউসুফ(৩৫)।
সহকারী পরিচালক আব্দুল হামিদ আরও বলেন, আটকৃতরা একই বাড়ির বাসিন্দা। তাদের দুজনের বাড়ি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় বাড়ির এক অংশ চাটখিল উপজেলায় ও অপর অংশ সোনাইমুড়ী উপজেলায় অবস্থিত। এজন্য তাদের দুজনের থানা ভিন্ন। দীর্ঘদিন ধরে তারা দুইজন একসঙ্গে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি সজিবের বাড়ি থেকে ১৪৪ ক্যান রয়্যাল ডাচ বিয়ার জব্দ করা এবং ইউসুফের বসতঘরে তল্লাশি চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
চাঁদপুরের কচুয়া পৌর বাজারে সোমবার মধ্যরাতে
ভয়াবহ এক অগ্নিকান্ডে পুড়ল ৮ দোকান। দোকানগুলো
হচ্ছে মহসিনের মুদি দোকান, আরিফ হোসেনের বস্ত্র বিতান, নুরু মিয়ার ঘড়ি দোকান, সালাউদ্দিনের
কসমেটিক্স, আব্দুর রহমানের কসমেটিক্স, বিল্লাল হোসেনের মোবাইল, নুরুল্লাহর টি হাউজ
ও বশির উল্যাহর জুতা দোকানের মালামালসহ প্রায় ১কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে দ্রুত কচুয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন
কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছলেও কাছকাছি পানি না থাকায় প্রায় ৫শ গজ দুরের থানা পুকুর থেকে
পানি এনে, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় দুই
ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক
শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারনা করা হয়। এ ঘটনায় ইউএনও এসহান
মুরাদ অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মন্তব্য করুন
যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ১২পিচ স্বর্ণের বারসহ ৩ পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।
শনিবার রাত ৩ টার দিকে অভিযান চালিয়ে এ স্বর্নের চালানটি আটক করা হয়। এসময় ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম (১১৯.৯৮ ভরি) ওজনের ১২পিচ স্বর্ণের বার এবং ০১টি মোটর সাইকেলসহ ৩ জন আটক।
আটককৃতরা হলো, বেনাপোল সীমান্তের পুটখালী গ্রামের আজমীর, জালাল ও নুরুজ্জামান।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার পিএসসি, জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি স্বর্ণের একটি চালান বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হতে পারে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তের দৌলতপুর বিওপি’র একটি টহল দল মেইন পিলার ১৭/৭ এস এর ১৭০ আর পিলার হতে আনুমানিক ৭.৬ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দৌলতপুর গ্রামস্থ রাস্তার পার্শ্বে গোপনীয়তার সাথে অবস্থান নেয়।
কিছু সময় পর বিজিবি টহল দল বেনাপোল হতে দৌলতপুর অভিমুখে ০১টি মোটর সাইকেল আসতে দেখে এবং টহল দলের নিকটবর্তী আসলে মোটর সাইকেল থামার সংকেত দিলে না থেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদের তল্লাশী করে ০১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২ পিচ স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।
আটককৃত স্বর্ন ১,২৫,৯৮,০০০/- টাকা এবং মোটর সাইকেল ১,৫০,০০০/- টাকা। উক্ত স্বর্ণের বারগুলো ট্রেজারী অফিসে এবং আসামী ও মোটর সাইকেল বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ মিয়া,কচুয়া:
বছর খানেক আগে জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমান মালয়েশিয়া। কিন্তু সেখানে দালালের খপ্পরে পড়েন ইসমাইল। ওই দেশে অবৈধ থাকায় কষ্টে কাটান তিনি। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়েছন ইসমাইল। অবৈধ থাকায় উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন কেউ। পরিবারের দরিদ্রতার কারনে আর্থিক সংকট থাকায় দেশে আনতেও পারছেন না তার পরিবার। বলছি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ইসমাইল হোসেনের কথা।
জানা যায়, পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা কাটাতে ঋন করে ছেলে ইসমাইলকে মালয়েশিয়া পাঠান তার পরিবার। কিন্তু সেখানে দালালের খপ্পরে পরে নিঃস্ব হয়ে যায় সে। তাছাড়া ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৮ লক্ষ টাকা। যা পরিবারের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অপর দিকে টাকার জন্য ইসমাইলকে দেশে আনতেও পারছেন তার পরিবার। মালয়েশিয়া থেকে ইসমাইলকে দেশে আনতে সরকার সহ সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন তার পরিবার। বর্তমানে ইসমাইলের স্ত্রী,২ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
ইসমাইলের বাবা সুরুজ মিয়া ও মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমাদের ছেলেকে ঋন করে বিদেশে পাঠিয়েছি। ছেলের এমন অবস্থা দেখে আমরা কিছুই করতে পারছি না। তাই ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা ও দেশে আনতে সকলের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করছি।
কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে এই নাম্বারে ০১৬৩০৩২৭১৮৩ ও ০১৩২৫০৪২৬১৬ যোগাযোগ করার আহ্বান করা গেল
মন্তব্য করুন
ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ফাইনালে বাংলাদেশের সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এসোসিয়েশন অব ইউনির্ভাসিটিজ অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এর আয়োজনে গত ৮ ও ৯ এপ্রিল দ্বিতীয় আন্তার্জাতিক ইংলিশ স্টুডেন্ট ডিবেট কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয় ফিলিপাইনের ম্যানিলায় অবস্থিত রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে। প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ এশিয়ার ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেন।
কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান মনির হোসেনের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো: আরাফাত কবির, তাফহিমুল ইসলাম স্বপ্ন এবং মাহির তাজওয়ার আকাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ফিলিপাইনে পদার্পন করেন। প্রথমবার অংশগ্রহন করেই নামকরা ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে লড়াই করে সেরা পাঁচ-এ অবস্থান করে নেন কুমিল্লার সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে শেষ পর্যন্ত ৩য় রানার আপের গৌরব অর্জন করেন টিম-সিসিএন।
বুধবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল রাউন্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন ফিলিপাইনের রিজাল টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ফার্স্ট রানার আপ ফিলিপাইনের ভিসায়াস স্টেট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় রানার আপ বাংলাদেশের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৩য় রানার আপ কুমিল্লার সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। কুমিল্লার সবুজে ঘেরা কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত সিসিএন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অর্জনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শুভাকাঙ্খীরা আনন্দিন, উচ্ছ্বসিত। বিশ্ব জয় করার এ যেন অনন্য প্রেরণা।
সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ড. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী অনুভূতি ব্যাক্ত করে জানান, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাসে পাঠদান করে আসছি। ফিলিপাইনে আমাদের বিতার্কিক টিমটির আজকের অর্জিত সফলতা তারই অংশ বিশেষ। সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েকটি সেমিনার করে থাকি এবং আমাদের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতিমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। সর্বোপরি আমরা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক করে একাডেমিক সিলেবাস সাজিয়েছি এবং তা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি আরো বলেন-আজকের অর্জন অনাগত দিনে বিশ্বপরিমন্ডলে সিসিএন-এর বিচরণ বৃদ্ধি পাবে, সফলতার ঝুলি আরও পূর্ণ হবে। আমাদের স্বপ্ন আকাশ সমান। সিসিএন-ইউএসটি ডিবেট টিম সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশেষত তিনজন বিতার্কিক নিহাদ, স্বপ্ন ও আকাশের প্রতি আমাদের অশেষ শুভকামনা ও কৃতজ্ঞতা।
মন্তব্য করুন