চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় ভাত রান্নায় দেরি হওয়ায় স্বামীর হাতেই স্ত্রী খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী মো: ইয়াসিনকে আটক করছে থানা পুলিশ।
নিহতের নাম ফেরদৌসী আক্তার আন্না (২৫)। উপজেলার নবুরকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের মেয়ে ফেরদৌসী আক্তার।
অভিযুক্ত স্বামী মো. ইয়াছিন উপজেলার পশ্চিম গাজীপুর গ্রামে মো: শাহ আলমের ছেলে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মেঘনা ধনাগোদা নদীর নবুরকান্দি বেড়িবাঁধের সঙ্গে টেম্পু স্টেশন নদী থেকে নিহত ফেরদৌসীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিন বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. রবিউল হক।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভাত রান্না দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে স্ত্রী ফেরদৌসীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় স্বামী ইয়াসিনের। এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে ফেরদৌসীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ইয়াসিন। পরে গলা টিপে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন।
সকালে নদীর পাড়ে লাশ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নিহত ফেরদৌসী আক্তার আন্নার বড় বোন মনোয়ারা জানান, আমার ছোট বোনের স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে পারলে এবং পরকীয়ায় বাধা দিলে আমার বোনকে প্রতিনিয়ত মারধর করত ইয়াসিন। কয়েকদিন আগেও পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়ে জরিমানা দিয়েছে ইয়াসিন। শুক্রবার রাত তিনটার দিকে ইয়াসিন আমার মাকে ফোন দিয়ে বলে আপনার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না, আপনার বাড়িতে গিয়েছে কিনা। আমরা ভোরে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি ঘরের দরজায় তালা দেওয়া। পরে লোকমুখে শুনতে পাই আমার বোনকে মেরে নদীর তীরে ফেলে রেখেছে।
নিহত ফেরদৌসী আক্তারের বড় ছেলে মো. আব্দুল্লাহ (৭) জানান, ভাত খেতে গেলে আমার আব্বু রাতে আম্মুকে গ্যাসের চুলার আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় এবং গলা টিপে হত্যা করে জামা কাপড় পরিবর্তন করে অটোরিকশায় করে আম্মুকে নদীতে ফেলে দেয়।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, খবর পেয়ে মতলব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল কবিরসহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লা
জেলার মেঘনা থানাধীন মেঘনা নদীতে চাঁদা আদায়কালে চাঁদার নগদ টাকা, চাঁদা আদায়ের রশিদ
সহ ৩জন গ্রেফতার ।
কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম (বার) এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় এবং সহকারী
পুলিশ সুপার হোমনা সার্কেল, মীর মুহসীন মাসুদ রানার নেতৃত্বে পুলিশ পুরিদর্শক (তদন্ত)
মোহাঃ বিল্লাল হোসেন, মেঘনা থানা, কুমিল্লা সঙ্গীয় এসআই (নিঃ) হাক্কানী বিল্লাহ ও সঙ্গীয়
ফোর্স সহ মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে গতকাল রাতে মেঘনা নদীতে চলাচলরত মালবাহী
ট্রলার থেকে চাঁদা আদায় কালে আসামী মহিউদ্দিন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, ওমর ফারুক কে গ্রেফতার
করা হয়। তাদের নিকট হতে চাঁদা আদায়ের রশিদ ও আদায়কৃত চাঁদার নগদ ৪৩০০ টাকা উদ্ধার করা
হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামীরা হলো:
১।
মহিউদ্দিন (৪৫), পিতা-মৃত বাদশা মিয়া, ২। মোঃ ইসমাইল হোসেন (২২), পিতা-মোহাম্মদ আলী,
৩। ওমর ফারুক (৩৭), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সর্বসাং-রাধানগর, থানা-বাঞ্ছারামপুর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়ীয়া।
উক্ত
ঘটনা সংক্রান্তে মেঘনা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
যশোরের চৌগাছায় দাঁত দিয়ে কামড়ে স্বামী
সোহাগ হোসেনের (২৪) জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলেছেন তার স্ত্রী সীমা খাতুন (২৩)।
এ ঘটনায় পরে সোহাগ হোসেনকে হাসপাতালে
নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর প্রেরণ করেন।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে
উপজেলার পাতিবিলা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী সোহাগের পিতা মোজাম্মেল হক
ও নানা সিদ্দিকুর রহমান জানান, আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে নিজ বাড়িতে সোহাগ ও সীমার
মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি চলছিল। একপর্যায়ে স্ত্রী সিমা দাঁত দিয়ে কামড়ে
স্বামী সোহাগের জিহ্বা কেটে আলাদা করে ফেলে। এ সময় বাড়ির লোকজন সোহাগকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট
জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ঘটনার পর পরিবারকে ডেকে পুত্রবধূ সীমাকে তার বাবার
বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সুষ্ঠু সমাধানের পর পুনরায় তারা সংসার করবে।
বর্তমানে সোহাগ যশোর জেনারেল হাসপাতালের
সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন বলেও জানান তিনি।
চৌগাছা থানার ডিউটি অফিসার এসআই জারফিন
জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
পৃথক দুইটি অভিযানে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শোভারামপুর ও লালবাগ এলাকা থেকে ৯২ বোতল ফেন্সিডিল ও ৩ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
গতকাল (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন শোভারামপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৯২ বোতল ফেন্সিডিলসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানার কনেশতলা গ্রামের হাজী আব্দুল ওহাব এর ছেলে কামাল হোসেন (৩২)। এসময় মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
পৃথক অন্য একটি অভিযানে গতকাল (১৭ জানুয়ারী) বিকালে সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন লালবাগ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। ৩ কেজি গাঁজাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ী হলোঃ কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার আড্ডা গ্রামের অনিল দাস এর ছেলে পিল্টন দাস (২৬)।
র্যাব জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফেন্সিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে স্বীকার করে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মন্তব্য করুন
রুবেল মিয়া স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য
কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার স্ত্রীকে সম্ভ্রমহানি
করেন। এমন সন্দেহে কবিরাজকে গলা কেটে হত্যা করেন রুবেল মিয়া।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে
গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য
জানিয়েছেন।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের সুবদিয়া গ্রামে কাচারীপাড়ার মরহুম দেসের
আলীর ছেলে। তিনি কবিরাজি পেশায় যুক্ত ছিলেন এবং চাষাবাদ করতেন। নিহতের ভাইপো সানোয়ার
হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের পর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় একটি মামলা করে।
জানা যায়, শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যা
সাড়ে ৭টার দিকে রাজাই কবিরাজ জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে
সদর উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা নদীর ব্রিজের পাশে পান বরজের কাছে নিয়ে যায়।
এরপর রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর রুবেল ফিরে এসে তাদের না পেয়ে
তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সেটা বন্ধ পায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ৩৫-৪০ মিনিট
পর রাজাই কবিরাজ ও তার স্ত্রী পানবরজের কাছে ফিরে আসলে, রুবেল তার স্ত্রীকে দেখে সন্দেহ
করে। পরে রুবেল বাড়ি ফিরে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, সে কান্নাকাটি করে বলে যে,
রাজাই কবিরাজ তার সম্ভ্রমহানি করেছে। এটা জানার পর রুবেল তার সহযোগী সোহেল রানাকে নিয়ে
বাড়ি থেকে বের হয়। রাজাই কবিরাজকে তার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর জিন তাড়ানোর কথা বলে কৌশলে
সুবদিয়া ভুট্টা ক্রয় কেন্দ্রের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে কালীভান্ডারদহের দিকে
নিয়ে যায়। এ সময় মোটরসাইলের পেছনে বসা রুবেল তার হাতে থাকা ধারাল ছুরি দিয়ে রাজাই কবিরাজের
গলায় পোঁচ দিয়ে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নির্জন রাস্তায় ফেলে দেয় এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত
করে। মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে গাছপালা দিয়ে ঢেকে দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়।
পুলিশের তদন্তের পর আলোচিত কবিরাজ হত্যাকাণ্ডের
ঘটনাটি গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে এভাবেই তুলে ধরেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর
রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকর চন্দ্র
ইউনিয়নের কালিভান্ডারদহ পিরতলি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে রাজাই আলী (৪৮) নামের
এক কবিরাজের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের দিনই পুলিশি তদন্তে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রুবেল মিয়া ও সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ। তারা আদালতের বিচারকের
কাছে তাদের দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুর ১টায় চুয়াডাঙ্গা
পুলিশ সুপার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে
জানান, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-১ বিচারক রিপন হোসেনের কাছে স্বেচ্ছায়
জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে আটক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সুবদিয়া
পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই পাড়ার আনিসের ছেলে সোহেল রানা
(২০)। এদের কাছ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত আলামত ধারাল ছুরি, ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল
ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন
গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ হতে যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে ৪/৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে কুমিল্লা জেলায় নিরীহ ছাত্র জনতার উপর আক্রমনকারী সন্ত্রাসীসহ সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আটক এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ ভোরবেলায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বি-পাড়া উপজেলার সবুজ পাড়া নামক এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারী মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে কামরুল (২৩) নামক ব্যক্তিকে নিজ বাড়ি হতে আটক করা হয় এবং তার কাছ থেকে ১ টি পিস্তল (চাইনিজ), ১ টি ম্যাগাজিন ও ১ টি পিস্তলের এ্যামোঃ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও উদ্ধারকৃত অস্ত্রসহ বি-পাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদেরকে আটক
না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান অব্যাহত
থাকবে।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা,কচুয়া :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দোয়াটি গ্রামে বিভিন্ন মন্দিরে সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও তিন বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন স্বপন।
শুক্রবার বিকালে দোয়াটি শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দির ও সাবর্জনীন মন্দিরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন স্বপন প্রধান অতিথি হিসেবে সনাতন ধম্বালম্বী নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং মন্দির পরিদর্শন করেন।
মতবিনিময় সভায় সংখ্যালঘু পরিবার ও সর্বস্তরের জনগণের জানমাল সহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সর্বাত্মক সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয় এবং কেউ অপরাধ করলে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
মন্দির কমিটির সভাপতি উত্তম কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জীবন কানাই সরকারের পরিচালনায় এসময় বক্তব্য দেন, ইউপি সদস্য পরিমল সরকার,সাবেক ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন ভূঁইয়া,চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সদস্য খন্দকার রিয়াদ হাসান জিকু,মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল দাস ,সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দাস,ঠাকুর দাস,পুনীল চন্দ্র সরকার,সুশীল চন্দ্র,প্রণয় সরকার,ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভপাতি প্রণয় চক্রবর্তী,সুভাস চক্রবর্তী,বিকাশ চন্দ্র সরকার প্রমুখ। এসময় দোয়াটি নামযজ্ঞ পরিষদের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
রফিকুল ইসলাম বাবু, চাঁদপুর:
চাঁদপুরে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের আয়োজনে বৃক্ষ মেলা ২০২৪ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই বৃক্ষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ মোঃ সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়। এছাড়াও দর্শনার্থী ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় মোট চাঁদপুর জেলার২২ টি স্টল অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন
মো: মাসুদ রানা, কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় পানিকচুতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক বশির উল্যাহ। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করেছেন পানিকচু। সাধারণত স্বল্প পানিতে যে কচু চাষ করা যায় তাকে পানিকচু বলা হয়। বর্ষার শেষে বাজারে যখন সবজির ঘাটতি দেখা দেয় তখন পানি কচুর লতি ও কান্ড বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, যথাযথ গবেষণা, সরকারি প্রণোদনা প্রদান, সর্বোপরি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় বর্তমানে কচুয়া উপজেলায় বাড়ছে পরিবেশবান্ধব ও ভিটামিনযুক্ত বারি-২ জাতের লতিরাজ পানিকচুর চাষ। এ কচু চাষে নেই পোকার আক্রমণ ও রোগবালাই, সম্ভাবনা নেই আর্থিক ক্ষতির। সেই সঙ্গে বর্তমান বাজারে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ সবজির চাহিদা বাড়ায় লতিরাজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এ উপজেলার কৃষকরা।
কচু চাষী বশির উল্যাহ বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে কচু চাষ করে আসছেন তিনি। প্রতি বছরে আমি কচু বিক্রি করে লাভবান হয়েছি। চলতি মৌসুমে এবার প্রায় ৪৮ শতাংশ জমিতে পানিকচুর চাষাবাদ করি। তাছাড়া কৃষি অফিসের পরামর্শে এবার লতিরাজ জাতের কচুর চারা রোপণ করি। কৃষি প্রণোদনা প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে প্রদর্শনী পাই। ২০হাজার টাকা ব্যয় হলেও প্রথমে বিক্রি করেছেন লতি ১০ হাজার টাকা। লতি আসতে শুরু করেছে মাত্র। তিনি আরো প্রায় ৫০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন বলেও জানান। তার এ পানিকচু ও লতিরাজ কচু উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিক্রি করে থাকেন।
কচুয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান শাওন বলেন, কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের সিংআড্ডা ব্লকে কৃষক বশির উল্যাহকে পানিকচু চাষে উৎসাহী করা হয়েছে। ফলে তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে তার জমিতে ভালো পানি কচুর আবাদ হয়েছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবে কৃষক বশির উল্যাহ।
কচুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন জানান, সবজি হিসেবে কচু স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। কচু উৎপাদনে খরচ ও রোগবালাই কম, দামও ভালো পাওয়া যায়। কচুয়া উপজেলায় ইতোমধ্যে উত্তর ইউনিয়নের লতিফুর গ্রামের কৃষক বশির উল্যাহ লতিরাজ কচুর চাষাবাদ শুরু করেছে। এ ব্যাপারে কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহায়তা ও কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
এম এ হান্নান, ভোলা:
ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে টুলু নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ড ভাঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুলু ওই ইউনিয়নের মো. রহমান চৌকিদারের ছেলে।
অভিযুক্ত ফারুক একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। টুলু এবং অভিযুক্ত ফারুক রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেদুয়া সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করেন।
পুলিশ রক্তমাখা ছুরি ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর হয়েছে।
ভোলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, আমরা ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় শুধু ফারুকই জড়িত নাকি অন্য কেউ আছে। ময়না তদন্ত করে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
কুমিল্লায়
১৪৬ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১, সিপিসি-২।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯
ডিসেম্বর) ভোরে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমতলী এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযানে আসামী ১। মোঃ আলমগীর ও ২। মোঃ
ছাব্বির হোসেন টুটুল নামের দুই জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। এ সময় আসামীদ্বয়ের
হেফাজত হতে ১৪৬ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী
১। মোঃ আলমগীর (৫১) চট্টগ্রাম জেলার বন্দর থানার পূর্ব নিমতলা (দিয়ারবাড়ী) গ্রামের
মৃত হাজী মোঃ ইউনুস এর ছেলে এবং ২। মোঃ ছাব্বির হোসেন টুটুল (৩৫) একই থানার পূর্ব নিকতলা
(খয়রাতি মাঝির লেন) গ্রামের মোঃ হারুন অর রশিদ এর ছেলে।
র্যাব
জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে জব্দকৃত ট্রাক ব্যবহার করে কুমিল্লার সীমান্তবর্তী এলাকা
হতে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ী
ও মাদক সেবীদের নিকট পাইকারি ও খুচরা মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। র্যাব-১১ এর মাদক বিরোধী
ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির
বিরুদ্ধে র্যাব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন