

ডিএনসি-কুমিল্লার মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে
মাদকের গডফাদার মো: ছালাউদ্দিন আইয়ুবীকে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার
উপ- পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এঁর সার্বিক তত্বাবধানে ও পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম
এঁর নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২৩ বি- ব্যাটালিয়নের মেজর মাহিন এঁর সার্বিক
সহযোগিতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে ডিএনসি
কুমিল্লা ও ২৮ জন সেনা সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার সকাল ৭টা দিকে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন
উত্তর বাবুর্চি সৈয়দপুর গ্রামে আসামীর নিজ বাড়ি তল্লাশি করে ৪ কেজি গাঁজাসহ আটক করা
হয় তাকে।
আটককৃত আসামী মো: নুরুল আমিন এর ছেলে।
আসামীর বিরুদ্ধে পরিদর্শক মো: শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন


নিজস্ব প্রতিবেদন:
কুমিল্লার সুপরিচিত সমাজসেবক ও দক্ষিণ চর্থার স্থায়ী বাসিন্দা মো. আবুল হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক,দৈনিক আজকের জীবনের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি নেকবর হোসেনের বাবা মরহুম আবুল হোসেন ২০১৩ সালের ৩০শে নভেম্বর ৬৪ বছর বয়সে হঠাৎ করেই দুনিয়ার মায়া ছাড়েন। পরিবারের ভাষ্য মতে, মৃত্যুর সময় তিনি কোনো কষ্ট পাননি, কাউকেও কষ্ট দিয়ে যাননি—যা তাঁর সৎ, সরল ও শান্ত জীবনযাপনেরই প্রতিফলন।
জীবদ্দশায় তিনি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর্থা এলাকায় শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি নিজ কর্মজীবনে সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন এবং অবসর সময় সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রাখতেন। তাঁর সাদামাটা জীবনযাপন ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা আজও এলাকাবাসীর মনে গভীরভাবে জায়গা করে রেখেছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর পরিবার দক্ষিণ চর্থা এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। পাশাপাশি তিনটি এতিমখানার ছাত্রদের জন্য দুপুরের খাবারের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘মুভ ফর চেঞ্জ ফাউন্ডেশন’ এবং রক্তের বাঁধনে চর্থাবাসীর উদ্যোগে বাদ আসর দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
প্রয়াত মো. আবুল হোসেনের রূহের মাগফিরাত কামনায় পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া সৎ পথের দৃষ্টান্ত ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লায় বিএসটিআই, কুমিল্লা ও উপজেলা প্রশাসন, সদর দক্ষিণ, কুমিল্লার যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার পরিচালিত অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে 'মুড়ি' পণ্যের গুণগত মান সনদ গ্রহণ ব্যতীত প্রস্তুত, বিক্রয়-বিতরণ করায় "বিএসটিআই আইন-২০১৮" অনুযায়ী কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর বেলতলীর কৃষ্ণপুরে মেসার্স খোরশেদ চিড়া ও মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার টাকা) এবং কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ এর গোপিনাথপুরের মেসার্স মমতা মুড়ি মিল প্রতিষ্ঠানটিকে "বিএসটিআই আইন-২০১৮" এবং "ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮" অনুযায়ী ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়।
উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈয়দ রেফাঈ আবিফ এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা জনাব ইকবাল আহম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং প্রকৌ: আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি)।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
মন্তব্য করুন


গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিএনসি কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান এরঁ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার এর নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি বুড়িচং থানাধীন নিমসার এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে হোমনাগামী একতা বাস তল্লাশি করে ১৬ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।
আটককৃত আসামি মো: হোসেন মিয়া (২৯) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার শুভপুর গ্রামের নাছির মিয়ার ছেলে। অপর আসামী শারমিন আক্তার(২০) কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী থানার আড়াইওড়া গ্রামের জনি মিয়ার স্ত্রী।
আটককৃত আসামীরা প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে ডিএনসি টীমকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করে। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে মাদক পাচার করছিলো। একপর্যায়ে প্রকৃত স্বামীকে মুখোমুখি করলে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। আটকৃত আসামি শারমিন তার স্বামীর অগোচরে মোবাইলের মাধ্যমে আসামি হোসেন মিয়ার সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলে। কথিত স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তার কৌশল হিসেবে লোকাল বাসে কুমিল্লা হতে গাঁজা নিয়ে প্রথমে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। তারপর অন্যবাসে করে ঢাকা নিয়ে যেতো।
আসামীদের বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি :
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও সেনানিবাস এলাকা) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও কুমিল্লা মহানগরীর আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দিনব্যাপী ব্যাপক গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনা করেন।তিনি সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুভপুর বড় মসজিদ থেকে গণসংযোগ কার্যক্রম শুরু করেন। এরপর শুভপুর, চানপুর, গাংচর, গর্জনখোলা, ঋষিপট্টি, আমীর দিঘী ও চকবাজার এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগে অংশ নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি এবং মহানগরীর ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন, ৫ নং পাঁচথুবী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা কাজী আব্দুল কাদির সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।গণসংযোগে সভাপতিত্ব করেন ৬ নং ওয়ার্ডের আমীর মোঃ মোজাম্মেল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি এস. এম. কাদির হোসাইন সানি।এতে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর যুব বিভাগের টিম সদস্য ও চকবাজার অঞ্চল সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা মাকসদুল ইসলাম, যুব বিভাগের সভাপতি আব্দুল হাই হাসিব, সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, মোবারক হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন, অর্থ সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু, সহকারী সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাজাদা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রাসেল, ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা কামরুজ্জামান গাফ্ফারী, সেক্রেটারি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা মতিউর রহমান, পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কুমিল্লা মহানগরীর সেক্রেটারী মোঃ মোশারফ হোসেন,এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ইকবাল হোসেন, আব্দুল কাদের, আব্দুল হক, আব্দুল মান্নান, সাহিদুল ইসলাম পাটোয়ারী, দেলোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, বাবুল চৌধুরী সহ স্থানীয় শ্রমিক নেতারা গণসংযোগে অংশ নেন।চকবাজার এলাকায় গণসংযোগকালে সাধারণ মানুষ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সমাজের মুরুব্বিরাও পরিবর্তনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে জামায়াত প্রার্থীকে সমর্থন জানান।
বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ সদর দক্ষিণ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। সেখানে স্থানীয় জনগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামী নির্বাচনে পরিবর্তনের পক্ষে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
গণসংযোগ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, “আমরা দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। জনগণের দোয়া ও সহযোগিতা পেলে ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে এই পরিবর্তন বাস্তবে রূপ নেবে।”
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম এমদাদুল হক মামুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সবুজ, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডাঃ ফজলুল হক লিটন, অঞ্চল সহকারী পরিচালক মুফতি মাহবুবুর রহমান, তামিরুল উম্মাহ আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা রাশেদুল হক, ইউনিয়ন আমীর অধ্যাপক মাওলানা নুরুল হুদা, চেয়ারম্যান প্রার্থী আই আর আশিক আহমেদ শাহীন, সাবেক ছাত্র নেতা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আমিরুল ইসলাম মুসা, জামায়াত নেতা হেলাল উদ্দিন বশির,আব্দুল জলিল,কামাল উদ্দিন বেপারী,মোঃ শাহআলম, আলমগীর, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দোকানদার কামাল হোসেন, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


তাপস
চন্দ্র সরকার, কুমিল্লা:
আসছে ৩১ আগস্ট, ২০২৫ (রবিবার) শ্রীশ্রী
রাধাষ্টমী ব্রত।
জানা যায়- ভাদ্র মাসের শুক্লাষ্টমী
তিথি অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পরবর্তী অষ্টমী তিথি হল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গিনী
শ্রীরাধার পবিত্র জন্মতিথি। এই তিথি রাধাষ্টমী নামে পরিচিত। মথুরার বারসনা হল শ্রীরাধার
জন্মস্থান। এই পবিত্র তিথিতে রাজা বৃষভানু এবং তাঁর স্ত্রী কীর্তি স্বর্ণপদ্মের কোলে
এসেছিলেন শ্রীরাধা। পবিত্র রাধাষ্টমী পালন করলে মনোবাসনা পূরণ হয় বলে মনে করা হয়।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন , কুমিল্লা প্রতিনিধি :
কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে নগরীর পূবালী চত্বর। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এ সমাবেশে পূবালী চত্বর পূর্ণ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে লিবার্টি চত্বর, রানীরবাজার, পুলিশ লাইন, রাজগঞ্জ ও টমছম ব্রিজ সড়কে।
দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেন এ মহাসমাবেশে। প্রত্যেকের হাতে ছিল “কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই”লেখা ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও জাতীয় পতাকা। কুমিল্লার নামেই বিভাগ চাই এবং তুমি কে, আমি কে কুমিল্লা” নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সমাবেশস্থল, প্রকম্পিত হয় আশপাশের এলাকাও।
এদিন মহাসমাবেশে অংশ নিতে কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের উদ্যোগে নেওয়া হয় এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি। মহানগরীর সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও শপিংমল প্রায় দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। ব্যবসায়ী থেকে শ্রমিকসবাই দল মত নির্বিশেষে সমাবেশে যোগ দিয়ে কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে একাত্মতা জানান।
নারী-পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে পূবালী চত্বর রূপ নেয় জনসমুদ্রে। প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন এই ঐতিহাসিক সমাবেশে।
এছাড়া সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর সমিতিসহ কুমিল্লার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে এবং প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লা নামে বিভাগ বাস্তবায়ন কুমিল্লাবাসীর প্রাণের দাবি। এ দাবির পক্ষে জনসমর্থনের এই ঢল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছে।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন। এসময় বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা দোকান মালিক ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা আমিরুজ্জামান আমির, কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী এনামুল হক ফারুক, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ সম্পাদক আবুল কাশেম হৃদয়, কুমিল্লা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি ও জেলা কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের সেক্রেটারি মাওলানা মুন্নীরুল ইসলাম কাসেমী এবং বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া।এছাড়া সমাবেশে অংশ নেন বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর সমিতিসহ কুমিল্লার বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০.২০ টায় কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, সকাল ১০.৪০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা এবং বাদ যোহর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণভাবে জানি, সমাজের দু’টি শ্রেণি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে ধনী শ্রেণি, আরেকটি হচ্ছে জ্ঞানী বা বুদ্ধিজীবী শ্রেণি যাদেরকে সাধারণ মানুষ অনুসরণ করে। বুদ্ধিজীবীরাই একটি সমাজ ও জাতির বিবেককে জাগ্রত করে রাখেন। আমাদের শত্রুরা পরিকল্পনা করেছিলেন, এই দুই শ্রেনিকে ধ্বংস করে দিতে পারলেই একটি জাতি ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে।আমরা সেই সকল বুদ্ধিজীবী যাদেরকে ৭১-এ হত্যা করা হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
এই দুই শ্রেণি ছাড়াও আরও একটি শ্রেণি আছে, সেটি হলো যুব সমাজ যেটি আমরা জুলাই বিপ্লবে দেখলাম। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আমাদের সমাজের পরিবর্তন এনেছে। সেই সকল শহীদদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শোক র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন


নেকবর হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা মাধাইয়ায় আদাভর্তী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে আব্দুল খালেক নামে একজন পথচারী নিহত হয়েছে।
ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার মাধাইয়া অংশে বাঁশ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল খালেক পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিন পেশায় কসাই।
স্থানীয় বাঁশ ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানান, ভোর পাঁচটার দিকে আবদুল খালেক গরু জবাই করতে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আদা ভর্তি একটি ট্রাক ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালেককে চাঁপা দিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় খালেক। এ সময় খবর পেয়ে স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলায় পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শনিবার কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে চিফ জুডিশিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, কুমিল্লার আয়োজনে কুমিল্লার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ
হাসান সিজেএ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ, কুমিল্লা
(ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন জাহান।
উক্ত কনফারেন্সে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, কুমিল্লার সার্বিক
কার্যক্রম সন্তোষজনক মর্মে অভিনন্দন জানানো হয় ।
সন্তোষজনক এ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান
(সিজেএ), কুমিল্লা মহোদয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কুমিল্লার উপপরিচালক চৌধুরী
ইমরুল হাসান এর হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন
জেলা প্রশাসক খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান, হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত
ডিআইজি মো: খাইরুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বিপিএম বার, পিবিআই কুমিল্লা
জেলার পুলিশ সুপার, মো. মিজানুর রহমান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের কুমিল্লা ইউনিটের পুলিশ
সুপার, একেএম জহিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ শামছুল তাবরীজ, সিভিল সার্জন
ডাঃ নাছিমা আকতার, জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির
সভাপতি এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম ভূঁইয়া এবং কুমিল্লা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালতের অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট
মোঃ জসিম উদ্দিন আবাদ।
অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ সিজিএম পারস্পরিক সহযোগীতার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ন্যায়
বিচার নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয় ।
মন্তব্য করুন


কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার
চাঞ্চল্যকর ৩য় শ্রেণীর পড়ুয়া ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ এর ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী মাওলানা
নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গত ৪ জুলাই
কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকায় ৮ বছরের এক মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশুকে
ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিাদ থানায় নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষণের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচারিত হলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। উক্ত
ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১১ ও র্যাব-১০
এর যৌথ অভিযানে গত ১১ জুলাই রাতে ঢাকা জেলার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা
করে ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী হলো- কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন খালিশা এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ পাটোয়ারীর
ছেলে মাওলানা নাছির পাটোয়ারী (৪২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতারকৃত আসামী ধর্ষণের ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
স্থানীয় সূত্রে
জানা যায়, ভিকটিমের পিতা মালেশিয়া প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম এবং তার
ভাই স্থানীয় খালিশা মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত
রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী মাওলানা নাছির পাটোয়ারী উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক।
প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গত ৪ জুলাই ২০২৪ইং তারিখে ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় যায়।
ঘটনার দিন প্রবল বর্ষণের কারণে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। গ্রেফতারকৃত
আসামী নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর
পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের কম উপস্থিতি এবং
গ্রেফতারকৃত আসামীর পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসামী নাছির মাদ্রাসার
পিছনে অবস্থিত তার বাসা ঝাড়ু দেয়ার জন্য ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিকটিম বাসায় প্রবেশ
করলে গ্রেফতারকৃত আসামী তার বাসার দরজা লাগিয়ে দেয় এবং ভিকটিমকে তার খাটের উপর নিয়ে
ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের একপর্যায়ে ভিকটিম চিৎকার করলে
গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে উক্ত ঘটনা গোপন রাখতে বলে এবং প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলার
হুমকি দেয়। বাড়িতে আসার পর ভিকটিমের কান্নাকাটির কারণ ভিকটিমের পরিবার জানতে চাইলে
একপর্যায়ে ভিকটিম মাদ্রাসায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা বর্ণনা করে। ঘটনার পর গ্রেফতারকৃত
আসামী নিজ এলাকা ছেড়ে ঢাকায় পালিয়ে যায় এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সেখানে
আত্মগোপন করে।
উক্ত বিষয়ে
গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন